সংবিধানে ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ না থাকলে কী হতে পারে, এটি না বুঝতে পারাটাই বর্তমানে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় অযোগ্যতা। অনেকেই মনে করছে, যেখানে গোটা সংবিধানই অনৈসলামিক, সেখানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম না থাকলেই বা কী হবে!
তাদের উদ্দেশ্যে বলবো, আগে দেখুন কারা রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল করতে চাইছে? রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল করতে চাইছে আনিসুজ্জামান, বদরুদ্দিন উমর, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সি আর দত্তের মতো কট্টরপন্থী হিন্দু ও ইসলামবিরোধী নাস্তিকেরা। এরা রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল চাইছে কেবল কাগজে কলমে থাকার জন্য নয়, বরং বাস্তবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল হলে এদের ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডে বাধা দেয়ার মতো কিছুই থাকবে না।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, কয়েকমাস আগে ইত্তেফাকের সাংবাদিক তাসমীমা হোসেন প্রকাশ্যে বলেছিলো, এদেশে প্রকাশ্যে মাইকে আযান নিষিদ্ধ করতে হবে। যাদের যাদের আযান শুনতে ইচ্ছা হয়, তারা যেন কানে হেডফোন লাগিয়ে তা শোনে।
এখন ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ যদি না থাকতো, তাহলে নাস্তিকেরা সরকারকে দিয়ে ইত্তেফাক সম্পাদকের বক্তব্য বাস্তবায়ন করিয়েই ছাড়তো। আপনি সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান হয়েও কিছুই করতে পারতেন না। উল্টো হিন্দুরা আপনার মুখের ওপর বলে দিতো, এটা ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ দেশ, এখানে অন্য ধর্মের লোকদের সুবিধা অসুবিধা দেখতে হবে। মসজিদের আযান শুনলে আমাদের হিন্দুদের সমস্যা হয়।
‘ব-দ্বীপ’ প্রকাশনীর কথা কী ভুলে গেছেন পাঠকেরা? মাত্র ১ মাস আগেই বইমেলায় সরকার ব-দ্বীপ প্রকাশনীকে নিষিদ্ধ করে ইসলামবিরোধী বই ছাপার দায়ে। তখন যদি এদেশে ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ না থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা থাকতো, তাহলে পুলিশ তো দূরে, মিলিটারি দিয়েও আপনি ব-দ্বীপ প্রকাশনীকে বন্ধ করতে পারতেন কিনা সন্দেহ!
সুতরাং সময় থাকতে থাকতেই কেন ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ প্রয়োজন, তা আমাদের অনুধাবন করতে হবে। এই ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ আছে বলেই বাংলাদেশ এখনো মুসলমানদের জন্য বাসযোগ্য রয়েছে। ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ না থাকলে এদেশ সিকিম কিংবা কাশ্মীরের মতো হবে, যেখানে মুসলমানদেরকে বেঁচে থাকতে হবে উগ্র হিন্দুদের ছুরির তলায়।

Post a Comment

 
Top