শুধু ভারতীয় নয়, বাংলাদেশী হিন্দুরাও কথায় কথায় বলে মসজিদ-মাদ্রাসাগুলো সন্ত্রাসী তৈরীর কারখানা, তাই এগুলো সব ধ্বংস করে ফেলতে হবে। কখনোই এসব হিন্দুদের মুখে মসজিদ-মাদ্রাসা নিয়ে একটা ভালো কথা আপনি শুনবেন না। কিন্তু মন্দিরে ৮ দিন আটকে রেখে পুরোহিত-হিন্দু পুলিশ দ্বারা আসিফাকে ধর্ষণ করার পর মডারেট মুসলমানদের কাছে হিন্দুদের মন্দির পরিণত হয়েছে ‘পবিত্র’ জায়গায়, যেখানে ধর্ষণ করাটা মোটেই শোভা পায় না।
.
এ প্রসঙ্গে দক্ষিণ ভারতীয় ‘মায়া’ সিনেমাটির প্রসঙ্গ উল্লেখ করা যেতে পারে। সিনেমাটির তৈরীই হয়েছে দক্ষিণ ভারতীয় মন্দিরগুলোতে প্রথম মাসিক হওয়া মেয়েকে পুরোহিত দ্বারা ধর্ষণ করানোর প্রথা নিয়ে। সিনেমার প্রধান চরিত্র মায়াকে বয়োঃপ্রাপ্তির পর শাড়ি পরিয়ে মন্দিরে নিয়ে যায় বাড়ির মহিলারা। তারপর তাকে মন্দিরের ঘরে পূজার বেদির ওপর বসিয়ে, দেবী হিসেবে কল্পনা করে একজনের পর একজন পুরোহিত তাকে ধর্ষণ করে। (https://bit.ly/2H8X1ng) (মায়া সিনেমার এ অংশটুকু নিচে দেয়া হযেছে)
.
হিন্দুরা যেখানে তাদের নিজেদের মেয়েদের মন্দিরে ধর্ষণ করাতে পারে, সেখানে মুসলমান মেয়েকে তারা সুযোগ পেলে মন্দিরে নিয়ে ধর্ষণে করবে, এটিই তো স্বাভাবিক। সিনেমাটিতে আরো দেখানো হয়, মন্দিরের বাইরে বিয়েবাড়ির মত লোকজন খাওয়াদাওয়া করে এই ধর্ষণ উদযাপন করার জন্য। নিজেদের মেয়ের ধর্ষণকে যদি হিন্দুরা সেলিব্রেট করতে পারে, সেক্ষেত্রে মুসলমান মেয়ের ধর্ষণকারীকে তারা মিছিল করে সমর্থন জানাবে এটিই তো স্বাভাবিক!
.
আর কতিপয় মডারেট ছাগলের দল কান্নার সুরে বলছে যে, কিভাবে পারলেন আপনারা মন্দিরের মতো ‘পবিত্র’ জায়গায় ধর্ষণ করতে? গর্দভের দল বোঝে না কেন, মন্দির তো তৈরীই করা হয়েছে পূজায় মদ খাওয়ার জন্য, মন্দির তো তৈরীই হয়েছে ধর্ষণ করার জন্য। দুর্গাপূজার সময় পতিতালয়ের মাটি দিয়ে পূজা হয় না? সেক্ষেত্রে মন্দিরে পতিতাবৃত্তি হবে না কেন? হিন্দুরা মুসলমানদের মাদ্রাসাকে ‘সন্ত্রাস’ বলতে পারে, মুসলমানরা হিন্দুদের মন্দিরগুলোকে ‘পতিতালয়’ বলতে পারে না কেন?
.
এদেশে একদা প্রচুর পতিতালয় ছিল, যেগুলো তৈরী করেছিল ব্রিটিশ আমলের সুবিধাপ্রাপ্ত হিন্দুরা। মুসলিম দেশ গঠন হওয়ার পর আলিম-ওলামাগণ আন্দোলন করে অনেক পতিতালয় উচ্ছেদ করেছেন। কিন্তু শুধু পতিতালয় উচ্ছেদ করলে তো হবে না, মন্দিরগুলোও উচ্ছেদ করতে হবে। ভারতে হিন্দুরা যদি রামমন্দিরের নামে মসজিদ ভাঙতে পারে, পতিতালয় উচ্ছেদের নামে মন্দির ভাঙা যাবে না কেন?
.
ইতিমধ্যে খতিবদের বক্তব্যের কারণে দেশে অনেক জায়গায় বৈশাখী পূজার মেলা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, আলিম-ওলামারা পদক্ষেপ নিলে মন্দিরগুলোও এই ধারাবাহিকতায় অদূর ভবিষ্যতে বন্ধ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। শুধু দরকার তাদের কণ্ঠকে একটু উন্মোচন করা।

ভিডিও লিঙ্ক: https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1026882687459635&id=100004137400335

Post a Comment

 
Top