পবিত্র
কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করা হয়েছে যে, “নিশ্চয়ই মানুষের মধ্যে
তোমরা তোমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে পাবে প্রথমত ইহুদিদের, অতঃপর
মুশরিকদের।” (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ ৮২)
এরূপ বহু পবিত্র আয়াত শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ রয়েছে কাফিরদের
বিরুদ্ধে। তবে সাধারণ মানুষ নফসের তাড়নায় তথা বিধর্মীপ্রীতিতে আসক্ত হয়ে
অনেকক্ষেত্রেই এসব পবিত্র আয়াত শরীফ নিয়ে চু-চেরা করে। তারা বলে, সব
বিধর্মীতো খারাপ নয়! আমার পাশের বাসার হিন্দুরা তো ভাল ইত্যাদি।
মুক্তিযোদ্ধা ও প্রখ্যাত সাংবাদিক এমআর আখতার মুকুল তার ‘গয়রহ’
প্রবন্ধগ্রন্থের অন্তর্গত একটি প্রবন্ধ ‘পণ্ডিতরা বলেছে বাংলার রেনেসাঁ
আসলে সেটাই ইংরেজের দালালী’-তে উল্লেখ করেছেন, সিপাহী বিদ্রোহের পর
ব্রিটিশরা যেভাবে সিপাহীদের (যাদের প্রায় সকলেই ছিল মুসলমান) কোনরূপ বিচার
ছাড়াই গণহারে ফাঁসি আর কামানের তোপের মুখে বেঁধে শহীদ করেছিল, তা ইতিহাসে
বিরল। শুধু তাই-ই নয়, এসব ফাঁসী আর হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন ইংরেজ সরকার
বিদ্রোহের সমর্থকদের খুঁজে বের করে শহীদ করতে উত্তর ও পূর্ব ভারতীয় এলাকার
সমস্ত শহরে মার্শাল আইন জারী করে। কিন্তু একটিমাত্র শহরে এর ব্যতিক্রম
হয়েছিল, আর তা হচ্ছে বাংলার তথাকথিত রেনেসাঁর প্রাণকেন্দ্র কলিকাতা। সিপাহী
বিপ্লবের সময় কলকাতার বিত্তশালী, মধ্যশ্রেণী ও বুদ্ধিজীবীরা (যাদের সকলেই
ছিল হিন্দু) ইংরেজদের সক্রিয়ভাবে সমর্থন করেছিলো বলেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া
হয়েছিল।
একাত্তরে আমাদের দেশে যারা রাজাকার হয়েছিল, তারা ছিল মোট
জনগোষ্ঠীর অত্যন্ত ক্ষুদ্র একটি অংশ মাত্র। কিন্তু হিন্দুদের ক্ষেত্রে
দেখুন পাঠকেরা, তারা গোটা জাতি মিলেই ব্রিটিশদের রাজাকারি করেছিল। যে কারণে
গোটা কলকাতা শহরকেই মার্শাল আইনের আওতার বাইরে রাখতে দ্বিধা করেনি
ব্রিটিশরা। সুতরাং বুঝতেই পারছেন, তাদের মধ্যে ভাল খুঁজতে গেলে ‘ঠগ বাছতে
গা উজাড়’ হওয়া ছাড়া কিছুই হবে না।
যারা বিধর্মীদের মাঝে ভাল খুঁজতে যায়
তারা মূর্খ, তারা গণ্ডমূর্খ। তাদের মূর্খতার কারণে তারা পবিত্র কুরআন শরীফ
উনার নির্দেশ মুবারক অগ্রাহ্য করে নিজের ঈমান তো হারায়ই, এমনকি নিজের
জানটাও হারিয়ে থাকে। পাশের বাসার হিন্দু বাসিন্দা কিংবা পাশের টেবিলের
হিন্দু কলিগের দোহাই দিয়ে যারা গোটা হিন্দুজাতির সাফাই গায়, তারা যেন
গুজরাট দাঙ্গার ইতিহাস পড়ে দেখে। সেখানে মুসলিম নারীরা সেসব প্রতিবেশী
হিন্দু পুরুষদের হাতে সম্ভ্রম হারিয়েছিল, যাদেরকে তারা মামা, চাচা, ভাই বলে
সম্বোধন করেছিল সম্ভ্রম হারানোর কয়েকঘন্টা আগেও।
Home
»
আখতার মুকুল
»
কাফির
»
বিধর্মী
»
সিপাহী বিদ্রোহ
»
হিন্দু
» ‘সব বিধর্মী খারাপ নয়’- একথা বলে যারা পবিত্র কুরআন শরীফ উনার নির্দেশ মুবারক নিয়ে চু-চেরা করে, তাদের বক্তব্যের জবাব
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
মহিলা সাহাবীদের নামের তালিকা দেখুন। ইসলামের সৌভাগ্যবান ৭৯ জন মহিলা সাহাবীদের নাম
ReplyDeletehttps://islami-bangla.blogspot.com/2020/02/blog-post_139.html