রিভার্স গেম সবাই ধরতে পারে না। সেক্যুলাররা এখন যে কাসেম বিন আবুবাকরের বিরোধিতা করছে, সেটা ঠিক সেরকমই একটি রিভার্স গেম। সবার সেটা ধরার যোগ্যতা নেই। তাই হঠাৎ করে বিরাট লেখক বনে যাওয়া একজন মনে করছে, নাস্তিকেরা যেহেতু কাসেম্মার বিরোধিতা করছে, তাই ডান-বাম বিবেচনা না করেই কাসেম্মার পক্ষাবলম্বন করা তার জন্য ফরয।
রিসেন্ট বইমেলায় প্রকাশিত এই লেখকটার বইয়ের উদাহরণ আমি দিতে চেয়েছিলাম আমার কোন একটি ফেসবুক পোস্টে, কারণ তার বই নাস্তিকবিরোধী জনমত গঠনে প্রভাব রেখেছে। তার সাথে তু্লনা দিয়ে আমি ইসলামিস্টদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রাখতে চেয়েছিলাম, আচ্ছা আপনাদের কোন অর্জনে এই কাসেম বিন আবু বাকারের লেখার ভূমিকা রয়েছে? আপনাদের নাস্তিকবিরোধী আন্দোলনে? পাঠ্যপুস্তকে হিন্দুয়ানী দূরীকরণে? পহেলা বৈশাখের পূজাযাত্রার বিরুদ্ধে জনমত গঠনে? কিংবা হাইকোর্টের সামনে থেকে মূর্তি অপসারণে?
কোনটাতেই কাসেম বিন আবু বাকারের লেখার কোন ভূমিকা নেই। তাহলে আপনারা ইসলামিস্টরা কেন, কোন যুক্তিতে কাসেম বিন আবু বাকারের হয়ে অনলাইনে ফাইট দিচ্ছেন? সেই নাস্তিকবিরোধী লেখকের আরও কি বালখিল্য যুক্তি, সে আমার কৈশোরের হিরো। আসলে কাসেম বিন আবু বাকারকে নিয়ে পিনাকী সহ অন্যরা বালছাল যা যা লিখেছে, প্রত্যেকটাই আবেগ দিয়ে ঠাসা বেলুন ছাড়া কিছু নয়। যা দেখে মজা নিচ্ছে এদেশের ইসলামবিরোধী গোষ্ঠীটি। উক্ত লেখকের কাসেম বিন আবু বাকারকে নিয়ে ‘কৈশোরের আবেগ’ সম্পর্কে বলতে হয়, মানুষের ছোটবেলায় কিংবা কৈশোরে নানারকম স্টুপিডিটি থাকতেই পারে। সেটাকে জাতীয় আবেগে রূপ দেয়াটা হাস্যকর ছাড়া কিছু নয়। ঐ লেখকের ছোটবেলার ন্যাংটা ছবিকে কী সে তার সিভি বা বায়োডাটায় প্রদান করবে? নিজের বেলায় সে তা করবে না, কিন্তু জাতির বেলায় তা সে করতে চায়।
উক্ত লেখক জনমানুষকে বিভ্রান্ত করেছে এই বলে যে, শিক্ষিত লোকের সাহিত্য না হলেও ‘কিশোরসাহিত্য’ হিসেবে কাসেম বিন আবু বাকারের বই চলতে পারে, কারণ কিশোরদের সাহিত্য অত উন্নত হওয়ার দরকার নেই। এটি চরম পর্যায়ের ফালতু একটি কথা। মাদ্রাসায় ছোট বাচ্চাদের শেখ সাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি কিংবা ফরীদুদ্দীন আত্তার রহমতুল্লাহি আলাইহির বই পড়ানো হয়, যা একইসাথে শিশুদের উপযুক্ত এবং কালজয়ী সাহিত্য।
গতকাল যুগান্তর পত্রিকায় দেখলাম, কাসেম বিন আবু বাকার সাক্ষাৎকার দিয়েছে, সে স্কুলটিচার থাকার সময়ে ক্লাস-টু এর ছাত্রীর প্রেমে পাগল হয়ে নাওয়াখাওয়া ছেড়ে দিয়েছিল। চিন্তা করেন মুসলমানরা, এই তৃতীয় শ্রেণীর বদমাশ লোকটিকে কিনা আপনাদের জাতীয় আইকন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে রিভার্স গেম খেলছে কিছু নাস্তিক, আর কিছু কম বুঝওয়ালা ‘লেখক’ বিষয়টির হাক্বীক্বত ধরতে না পেরে সেই নাস্তিকদের পালেই হাওয়া দিয়ে যাচ্ছে।

Post a Comment

 
Top