Image may contain: one or more people and people standing
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের ক্ষমতালাভের পর উক্ত অঞ্চলে সমস্ত প্রকার আমিষ জাতীয় খাবারের যোগান বন্ধ হয়ে গিয়েছে, সেটি সবাই জানেন। একটি খবরে দেখেছিলাম, লখনৌতে ‘টুন্ডে কাবাবি’ নামক একপ্রকার বিখ্যাত কাবাব তৈরী করা হয় মহিষের গোশত দিয়ে, সেটি যোগী আদিত্যনাথ আসার পর বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
হ্যাঁ পাঠকেরা, গরুর গোশত নয়, মহিষের গোশত। উত্তরপ্রদেশের মুসলমানরা নিজেরা স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই হিন্দুদেরকে তুষ্ট করতে গরুর জায়গায় মহিষ খেয়েছে। কিন্তু তাতে করে তারা রেহাই পায়নি, উল্টো হিন্দুরা বাধ্য করেছে তাদেরকে সমস্ত প্রকার আমিষ খাওয়া বন্ধ করে দিতে। এটিই স্বাভাবিক, কারণ হিন্দুরা হচ্ছে গোলামের জাত। আপনি নিচুশ্রেণীর লোকদের প্রতি যদি বিনয় দেখাতে যান, তারা সেটিকে আপনার দুর্বলতা হিসেবে ধরে নিয়ে উল্টো আপনার ঘাড়ের উপর চেপে বসবে।
এতগুলো কথা এজন্য বললাম যে, পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানরা হিন্দুদের তুষ্ট করতে টিপু সুলতান মসজিদের ইমাম নূর উর রহমান বরকতিকে রীতিমতো আহত করে বের করে দিয়েছে! উল্লেখ্য বরকতি টিপু সুলতান মসজিদে সেই ১৯৮৮ সাল থেকে ইমাম। তাকে আহত করতেও পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানদের বাধেনি স্রেফ হিন্দুপ্রীতির কারণে। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানরা জেনে রাখুক, তারা যা-ই করুক না কেন অন্তত মুসলমান হয়ে হিন্দুদের সন্তুষ্ট তারা করতে পারবে না। কারণ কুরআন শরীফে তো রয়েছেই, কাফির মুশরিকরা কখনোই তোমাদের প্রতি সন্তুষ্ট হবে না, যতোক্ষণ না তোমরা তাদের ধর্ম গ্রহণ করবে। কেবল গরুর গোশত না খাওয়াতেই কি উত্তরপ্রদেশের হিন্দুরা তুষ্ট হয়েছে? হয়নি, বরং সবরকম আমিষ বাদ দিয়ে হিন্দুদের মতো ফুল নিরামিশাষি হতে হয়েছে উত্তরপ্রদেশের মুসলমানদের। সুতরাং ইসলাম ত্যাগ করে ফুল হিন্দু না হওয়ার আগপর্যন্ত হিন্দুরা মুসলমানদের প্রতি সন্তুষ্ট হবে না, এটাই চরম সত্য।
বরকতিকে কেন অপমান করল পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানরা? কারণ বরকতি মোদির কথা মানতে চায়নি। মোদি বলেছিল ভিআইপিরা গাড়িতে লালবাতি ব্যবহার করতে পারবে না, কিন্তু বরকতি বলেছিল সে ভিআইপি হিসেবে লালবাতি ব্যবহার করবেই। এখানে মুসলমানদের উচিত ছিল বরকতিকে সাপোর্ট করা, কিন্তু মুসলমানরাই দেখা গেল উল্টো বরকতির গাড়ি থেকে লালবাতি খুলে নিল। এতে করে কাকে বিজয়ী করল পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানরা? মাথায় ঘিলু থাকলে তারা বুঝতে পারবে যে, মোদিকেই কিন্তু তারা বিজয়ী করল এবং ফলশ্রুতিতে নিজেরা পরাজিত হল।
পশ্চিমবঙ্গের কতিপয় ঘিলুলেস ‘ইসলামিস্ট’ ফেসবুকারদের যুক্তি হলো, বরকতি উগ্র হিন্দুদের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে নাকি বিজেপি-আরএসএসের হাতে মুসলিম বিরোধিতার অস্ত্র তুলে দেয়া হচ্ছে, তাতে করে নাকি হিন্দুদের সাথে মুসলমানদের সম্পর্ক নষ্ট হবে! পশ্চিমবঙ্গের ঐসব কতিপয় ইসলামিস্ট নামধারী সেক্যুলাররাই জেল থেকে তারক বিশ্বাসের মুক্তি চেয়েছিল। তারক বিশ্বাস নামক নমশূদ্র হিন্দুটি জেলে গিয়েছিল নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিয়ে অপমানজনক ব্যঙ্গচিত্র ফেসবুকে পোস্ট করে, আর তারা নিজেদেরকে মুসলমান দাবি করেও তার মুক্তি চাইল এই বলে যে, তারক বিশ্বাসকে মুক্তি না দিলে নমশূদ্রদের সাথে সম্পর্কের অবনতি হবে! নিজ নবীর সম্মানের চেয়ে নমশূদ্রদের সাথে সম্পর্ক তাদের নিকট বড় হয়ে দেখা দিয়েছিল।
কিন্তু তারক বিশ্বাস মুক্তি পাওয়ার পর উল্টো ‘হিন্দু সংহতি’ নামক উগ্র হিন্দু সংগঠনটির পায়ের তলার মাটি আরো সংহত হল, তাদের প্রচারপ্রসার ও সমর্থন বৃদ্ধি পেল। কারণ হিন্দুরা ধরে নিল যে, হিন্দু সংহতির তৎপরতার ফলেই তারক বিশ্বাস মুক্তি পেয়েছে। ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা তথা পশ্চিমবঙ্গের ইসলামিস্ট নামধারী ফেসবুকারদের কিন্তু কেউ কৃতিত্ব দেয়নি। ঠিক সেভাবেই বরকতিকে বরখাস্ত করার কৃতিত্বও ঐসব ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চারা পাবে না, যতোই তারা ‘অপারেশন বরকতি’ শিরোনামে পোস্ট দিয়ে নিজেদের জাহির করুক না কেন। বরকতিকে বরখাস্ত করার কৃতিত্ব বিজেপির পকেটেই যাবে আর পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের চোখে বিজেপির গ্রহণযোগ্যতাই বরং বৃদ্ধি পাবে।
সুতরাং পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুপ্রেমিক মুসলমানরা আবার হিসাব মিলিয়ে নিক, বরকতিকে বরখাস্ত করে তারা কি লাভ করবে? তারা উল্টো পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির আরো কয়েকটি সিট বৃদ্ধি করায় ভূমিকা রাখবে, তাতে করে উত্তরপ্রদেশের ন্যায় পশ্চিমবঙ্গেও মুসলমান মহিলাদের লাশ কবর থেকে তুলে ধর্ষণ করার পথ সুগম হবে। হিন্দুতোষণ করে পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানরা কখনোই হিন্দুদের তুষ্ট করতে পারবে না, যেমনটি পারেনি উত্তরপ্রদেশের মুসলমানরা। উল্টো পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার রাস্তা প্রশস্ত হবে।

Post a Comment

 
Top