Image may contain: outdoor

সিনেমার সবচেয়ে জঘন্য চরিত্র কোনটি? উত্তর যদি দেন ভিলেন, তবে ভুল করবেন। সিনেমার সবচেয়ে জঘন্য চরিত্র হচ্ছে ভিলেনের চামচাটা। ভিলেন কিন্তু নায়কের মুখোমুখি হওয়ার সাহস রাখে, কিন্তু চামচাটার সেই সাহস কখনোই থাকে না। সে সবসময় ভিলেনকে পেছন থেকে প্ররোচিত করে যায়, “বস এই সুযোগ, এই ‍সুযোগ, দেন নায়করে একটা কোপ।” তার কাজ হয় ভিলেনের হাতে নায়কের মার খাওয়ার সময় হাততালি দেয়া, কিংবা ভিলেনের ডেরায় নায়ক যখন বাঁধা থাকে তখন বন্দী নায়ককে চড়থাপ্পর মেরে বাহাদুরি দেখানো।
বর্তমান আওয়ামী লীগ আমলে এই ‘ভিলেনের চামচা’ শ্রেণীটি হচ্ছে হিন্দু ও নাস্তিক সম্প্রদায়। নিজেদের মুরোদ নেই মুসলমানদের সামনে সরাসরি দাঁড়ানোর, তাই পত্রিকার কলামে, ফেসবুক স্ট্যাটাসে কিংবা টকশোতে সাক্ষাৎকার দিয়ে যায় “যারা মূর্তির বিরোধিতা করে তাদের জিভ টেনে ছিঁড়ে নিতে হবে, গুলি করে মেরে ফেলতে হবে” ইত্যাদি। কিন্তু আওয়ামী লীগ তো নাস্তিকদের মতো জেগে জেগে ‘মুসলিমমুক্ত বাংলাদেশ’ এর স্বপ্ন দেখতে পারে না, কারণ রাজনৈতিক দল হিসেবে মুসলমানদের ভোটেই তাদেরকে জিতে আসতে হয়।
তাই এই ভিলেনের চামচাগুলো তাদের expectation এর বিপরীতে গেলেই শুরু করে আওয়ামী লীগকে গালিগালাজ। সনাতন মালোর মত নিন্মশ্রেণীর দলিত হিন্দুরা দেয় “ছি ছি ছি হাসিনা, লজ্জায় বাঁচিনা” স্লোগান। তাই হাসিনা এখন বিরক্ত হয়ে নাস্তিক আর নমশূদ্রগুলোকে বলেছে, “পারলে তোরা গিয়ে মুসল্লিদের মোকাবিলা কর। খালি তো পারিস পেছন থেকে খোঁচাতে।”
এ নিয়ে এখন শুরু হয়েছে রাম-বাম শ্রেণীর মাতম! চ্যাংড়া নাস্তিক আরিফ রহমান লিখেছে “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি মারা যাচ্ছেন...”। তার লেখায় রয়েছে
“যেই বিষধর সাপকে পাছায় লাথি মেরে শান্ত করে ফেলা যেতো চিরতরে- এদেরকে দুধ-কলা দিয়ে পুষে পুষে বংশবিস্তার করিয়ে মনে করছেন এদের সাথে পলিট্যিকাল গেইম খেলবেন, কিন্তু বারবার ভুলে যাচ্ছেন ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার ফলাফল কত ভয়াবহ হয় এই উপমহাদেশে। .... আপনি এদের যদি নিজের কলিজা কেটে রান্না করে খাওয়ান তবুও এরা সন্তুষ্ট হবে না, হেফাজতের কাছে এই দেশে ইসলাম কায়েম মানে প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যু।” (https://archive.is/42ckN)
নবনীতা চৌধুরীর একটি টকশো প্রসঙ্গে একজন অনলাইন এক্টিভিস্ট আমাকে বলছিলেন, “এই নাস্তিকগুলো যতোই উদারতা, অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলুক না কেন, বাস্তবে এরা ভয়াবহ হিংস্র। এরা যদি ক্ষমতা পায়, মুহূর্তের মধ্যে এদেশে একটি মুসলমানও রাখবে না। কিন্তু আমরা মুসলমানরা এতোদিন সুযোগ পেয়েছি, তাদেরকে আঘাত করি নি।”
কথাটা যে কতোটা বাস্তব, তা লেখাটার শুরুতে “পাছায় লাথি মেরে শান্ত করা যেত” কথাটি দেখলে বোঝা যায়। শুধু এই আরিফ রহমান নয়, আজকে যতো বামপন্থীকে বড় গলা করতে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের ক্ষমতায়নের আগে সবগুলো ছিল ফুটপাতের টোকাই। আওয়ামী লীগের ক্ষমতায়নের আগে এরা সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম সমাজে নিজেদের আসল চেহারা গোপন করে আরশোলার মতো, গর্তের ইঁদুরের মতো টিকে ছিল। চাইলে তখনই এই ইঁদুরগুলোকে পিষে মারতে পারত মুসলমানরা, কিন্তু তারা তখন গোবেচারা ভাব করে ছিল দেখে মুসলমানরা তাদের আসল চেহারা বুঝতে পারেনি।
এখন এই ইঁদুরগুলোর গর্দানে চর্বি জমিয়েছে শেখ হাসিনা, তাই তারা বেসামাল হয়ে এখন হেফাজতের মত বিরাট গোষ্ঠীকেও “লাথি দিয়ে শান্ত” করে দেয়ার হুঙ্কার দেয়। তেলাপোকাগুলোকে লাই দিয়ে মাথায় তোলার ফলাফল এমনই হয়ে থাকে। আরিফ রহমান আরও লিখেছে, “নিজের কলিজা কেটে রান্না করে খাওয়ান তবুও এরা সন্তুষ্ট হবে না।” কথাটার বাস্তব প্রতিফলন হেফাজতের ক্ষেত্রে নয়, বরং আরিফ রহমানের মতো ‘প্রগতিশীল’দের ক্ষেত্রেই দেখা যায়। এসব বামপন্থীদেরকে শেখ মুজিব তার জীবদ্দশায় খুশি করতে পারেনি। বামপন্থীরাও বিশ্বাস করত, শেখ মুজিবের মৃত্যু ছাড়া প্রকৃত সমাজতন্ত্র কায়েম হবে না। তাই মুজিবের মৃত্যুর পর ইনুরা ট্যাঙ্কের উপর দাঁড়িয়ে উল্লাস করেছিল।
আওয়ামী লীগ আমল কিন্তু চিরদিন থাকবে না। যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে চলে যাবে, তখন যেন মুসলমানরা এই নাস্তিক ও উগ্র হিন্দুদের গর্তে ফিরে যাওয়ার সুযোগ না দেয়। কারণ সিনেমার ভিলেনের মৃত্যুর পর তার চামচার মৃত্যু অবশ্যই হয়। নায়কের সাথে লড়াই করে মরার কারণে ভিলেনের মৃত্যুতে বীরত্বের ছাপ দেখা যায়, কিন্তু চামচার মৃত্যু হয় কাপুরুষের মতো, রাস্তার পাশে থেতলানো ইঁদুরের মতো। যেটা দেখলেই দর্শক ঘৃণায় থুথু ছুঁড়ে দেয়।
আওয়ামী আমলে যেসব নাস্তিক ও উগ্র হিন্দু গর্ত থেকে বের হয়েছে, আওয়ামী লীগ যাওয়ার পর তাদেরকে ইঁদুরের মতোই থেতলে দিতে হবে। এজন্য দরকার মুসলমানদের ঐক্য ও গণপিটুনি, হ্যাঁ মুসলমানরা সবাই মিলে গণপিটুনি দিয়েই নাস্তিকদের মেরে ডাস্টবিনে ফেলে রাখতে হবে, যেভাবে গাড়ির চাকার নিচে পড়া থ্যাতা ইঁদুর রাস্তার পাশে মরে পড়ে থাকে। রাস্তা দিয়ে চলার সময় থ্যাতা ইঁদুর পায়ের কাছে পড়লে যেমন গা ঘিনঘিন বোধ হয়, এদের গণপিটুনি খাওয়া থ্যাতলানো লাশ দেখেও মুসলমানদের ঠিক তেমনই বোধ হবে। আবারও বলছি, এদেশে মুসলমানদের সোনালি দিন আবারও আসবে, তখন এই নাস্তিক ও উগ্র হিন্দুরা যেন আগের মত পার না পেয়ে যায়।

Post a Comment

 
Top