গতকাল আমার সাইটে প্রকৌশলী হিসেবে তদারকির সময়ে একটি ভিন্ন ধরণের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলাম। শনিবারের আগে একটি কাজ আমাদেরকে শেষ করতে হবে, কিন্তু লেবাররা কিছুতেই আজকের শুক্রবারে কাজ করতে রাজি নয়। কারণ আজকে পহেলা বৈশাখ, তাই এই দিন তাদেরকে ছুটি দিতেই হবে।
বিগত কয়েক বছরে টিএসসিতে পহেলা বৈশাখের যে এতো রমরমা, তার পেছনে বড় একটি কারণ হলো সেখানে শ্রমিক শ্রেণীর লোকজনও গিয়ে ভিড় জমায়। গ্যারেজে কাজ করা ছোকরা, বাসের হেলপার এই শ্রেণীর লোকজনের মাঝপহেলা বৈশাখ নিয়ে আজকাল প্রচুর enthusiasm লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু কেন? ডিপজলের গালি উপভোগ করা শ্রেণীর কাছে শাহবাগীদের ‘চুশীল’ ডায়ালগের কী আবেদন থাকতে পারে? আসলে মূল বিষয়টা তা নয়, তারা টিএসসিতে জমায়েত মেয়েমানুষ আর নাচাগানা উপভোগ করতেই পহেলা বৈশাখে ছুটি চায়। পাঞ্জাবীপরা চুশীল তো হাতে গোনা কয়েকটা, মূলত গার্মেন্টস শ্রমিক আর এজাতীয় শ্রেণীর উত্তরোত্তর যোগদানের কারণেই পহেলা বৈশাখে এখন ভীষণ ভীড় হচ্ছে।
একটি খবরে দেখলাম, ছায়ানটি সনজিদা এখনকার পহেলা বৈশাখ পালন নিয়ে নাকি হতাশ, কারণ তাতে নাকি হৈহুল্লোড় তথা ইতরামির প্রকোপটা বেশি চোখে পড়ে। (https://goo.gl/1YyTLx) অবশ্য তার হতাশ হওয়ার কারণ বোধগম্য নয়, কারণ হিন্দুয়ানী উৎসবগুলোকে যতোই ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে বিরাট কিছু হিসেবে প্রচারের চেষ্টা করা হোক না কেন, সবগুলোর গন্তব্যই শেষমেষ নারীদেহ উপভোগ আর মদ্যপানে গিয়ে ঠেকে। দুর্গাপূজার সময়ে এদেশের বিভিন্ন পত্রিকায় নানা উপমা ব্যবহার করে দুর্গাপূজার ‘মাহাত্ম্য’ বর্ণনার চেষ্টা করা হলেও বর্ণনার সাথে বাস্তবতার অনেক তফাৎ। কলকাতার এক ইঞ্জিনিয়ার আমার কাছে তার দুর্গাপূজার অনুভূতি বর্ণনা করছিল এভাবে, “নবমীতে ধুন্ধুমার নাচব, দশমীতে মা চলে গেছে এই দুঃখে মদ খেয়ে টাল হয়ে পড়ে থাকব।”
মূল কথা হলো, যে কোন হিন্দুয়ানী উৎসবই হলো নিন্মশ্রেণীর, ইতর প্রকৃতির জনগোষ্ঠীর উৎসব, যা কিনা ডিগ্রিধারী লোকদেরকেও ইতরশ্রেণীতে নামিয়ে নিয়ে আসে। অপু বিশ্বাস কেন শাকিব খানকে বিয়ে করল, এটা নিয়ে ‘বৃষ্টি কর্মকার’ নামক ঢাকা ভার্সিটি থেকে পাশ করা এক হিন্দু মেয়ের বক্তব্য হলো, “আমি আমার লাইফে যতো ইতর, হারামি, ‍পারভার্ট, লুচ্চা ছেলে দেখছি তার ম্যাক্সিমামই হলো হিন্দু ছেলে। এসব কারণেই হিন্দু মেয়েরা কনভার্ট হচ্ছে।” (https://goo.gl/th1TPs)
কেন হিন্দু ছেলেমেয়েরা এতো পারভার্ট আর লুইচ্চা হয়? এর মূল কারণ তাদের হিন্দুয়ানী অনুষ্ঠান ও সংস্কৃতি, যাতে ছোটবেলা থেকে যোগদান করলেই যে কেউ ইতর আর লুইচ্চা হতে বাধ্য। আর হিন্দুয়ানী অনুষ্ঠানের এই বৈশিষ্ট্যের জন্যই বর্তমান সরকার এদেশের সমস্ত ইউনিয়নে ইউনিয়নে, স্কুলে স্কুলে জোর করেপহেলা বৈশাখ ও অমঙ্গল শোভাযাত্রা চাপিয়ে দিয়েছে। কারণ সরকার চায় এদেশের জনগোষ্ঠীকে ডি-মরালাইজড হিসেবে দেখতে। হাসিনা সরকারের এটিই সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব যে, সে সবাইকে হতাশ করে দিতে পেরেছে। সে সেনাবাহিনীকে ডি-মরালাইজড করতে পেরেছে, পুলিশকে করতে পেরেছে, সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে করতে পেরেছে। আর এই ডি-মরালাইজড প্রতিষ্ঠান ও জনগোষ্ঠীই এদেশকে পরাধীন করার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার, এতে কোনই সন্দেহ নেই।

Post a Comment

 
Top