বর্তমান বিশ্বে মুসলমানদের সবই আছে, জনবল অর্থবল খনিজ সম্পদ থেকে শুরু করে মেধাসম্পদ, কোন কিছুরই আমি অভাব মুসলমানদের মধ্যে দেখি না। একটি জিনিসেরই অভাব মুসলমানদের মধ্যে রয়েছে, আর তা হলো একজন প্রকৃত নেতা। আর মুসলমানদের প্রকৃত নেতা খুঁজে না পাওয়ার মূল কারণ, তারা ‘অসাম্প্রদায়িকতা’র চশমা পড়ে নেতা খুঁজে পেতে চায়।

বিশ্বের সবগুলো অমুসলিম দেশে রাজনীতিবিদদের এন্টি-ইসলামিক বক্তব্য দিয়ে ভোট চাইতে হয়,কারণ অমুসলিম জনগোষ্ঠী তা না হলে ভোটই দিবে না। বিপরীতে মুসলিম জনগোষ্ঠীর সাম্প্রদায়িক চাহিদা না থাকায় মুসলিম দেশগুলোর রাজনৈতিক নেতাগুলো হয় এন্টি ইসলামিক, নাস্তিক প্রকৃতির। আর ধর্মীয় নেতাগুলো হয় একেকটা সিলমারা সেক্যুলার। সম্প্রতি এদেশে রংপুরে ৬ জনের মৃত্যুর পর জৈনক হিন্দু ডাকতর ফেসবুকে যথেষ্ট এক্টিভিটি প্রদর্শন করেছে। তার বুদ্ধিতে চলা একটি ‘সেক্যুলার’ ইসলামিক সংগঠন সম্প্রতি বিবৃতি দিয়েছে, “যত উস্কানি আসুক না কেন, কোনো অবস্থাতেই কাউকে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের কর্তব্য হচ্ছে অপরাপর গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের মানুষের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে পূর্ণ সহযোগিতা করা।”

আমি বেশিকিছু বলতে চাই না, শুধু বলব মুসলমানদের ৬ জন পুলিশের গুলিতে মারা গিয়েছে। এসব থিওরেটিক্যাল গার্বেজে এখন চিড়া ভিজবে না, এখানে সমাধান একমাত্র পাল্টা হিন্দুদের মরামুখ নিশ্চিতকরণ। পাকিস্তান আমলে যখন পাঞ্জাবী শাসকগোষ্ঠীর গুলিতে মানুষ মারা যেত, তখন বাঙালি নেতারা জনগণকে উজ্জীবিত করতে পাল্টা বক্তব্য দিত, “রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দিব”। এটি না বলে যদি তারা বলত, “পাকিস্তানীরা যতোই উস্কানী দিক, আপনারা আইন ভঙ্গ করবেন না”, তাহলে বাংলাদেশ জীবনেও স্বাধীন হতে পারত না। এজন্যই তাদেরকে নেতা বলা হয়। সেখানে কথিত ইসলামী দলগুলোর নেতারা ৬ জনের মৃত্যুর পরও যদি কোন শক্ত বক্তব্য দিতেই না পারে, জনগণকে উজ্জীবিতই না করতে পারে, তাহলে তারা কিসের নেতা?

অবশ্য এই লোকগুলো নেতা হতে পেরেছে বাঙালি মুসলমানদের অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে। এই বেকুব জনগোষ্ঠীর চোখের ‘অসাম্প্রদায়িক চশমা’র কারণেই ঐ হিন্দু ফেসবুকার খুব গর্বের সাথে প্রচার করছে, “দেখ ৬ জন মুসলমান মরার পরও এই দলটি কতোটা মেনি বিড়ালের মতো অসাম্প্রদায়িক বক্তব্য প্রচার করেছে, দেখাও তো ভারতে এরকম একটি উদাহরণ!” অথচ বিষয়টি মোটেই কৃতিত্ব দাবি করার মতো কিছু নয়, বরং চরম লজ্জার। ভারতে এরকম উদাহরণ নেই বলেই হিন্দুরা সেদেশে হিন্দু সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে, আর বাংলাদেশে এন্টি ইসলামিক সরকার মসনদে বসে হিন্দুদের পক্ষ নিয়ে মুসলমানদের বুকে গুলি চালাচ্ছে।

সব কথার শেষ কথা হলো, মুসলমানদের প্রকৃত নেতা তিনি-ই, যিনি ইসলাম ও মুসলমানের স্বার্থকে সর্বাবস্থায় প্রাধান্য দিবেন। সুতরাং তাঁর কোন অবস্থাতেই অসাম্প্রদায়িক হওয়ার সুযোগ নেই। বর্তমানে এদেশের মুসলমানরা হতাশায় ভুগছে যে, মুসলমানদের কোন নেতা নেই। ভারতের পেটে তাদেরকে যেতেই হবে। আমি তাদেরকে অভয় দিয়ে বলতে চাই, মুসলমানদের প্রকৃত নেতা অবশ্যই আছেন, কিন্তু মুসলমানরা তাকে দেখতে পারছে না ‘অসাম্প্রদায়িক’ চশমার কারণে। মুসলমানরা যেদিন তাদের এই অসাম্প্রদায়িক চশমা ছুঁড়ে ফেলতে পারবে, সেই দিনই তারা তাদের প্রকৃত নেতাকে খুঁজে পেতে সক্ষম হবে।

Post a Comment

  1. আপনারপোস্ট গুলো নিয়মিত ব্লগে আপগ্রেড দিবেন

    ReplyDelete

 
Top