পাশ্ববর্তী ভারতে যারা মুসলমান হত্যা করে, আসিফার ন্যায় মুসলিম নাবালিকা মেয়েদের ধর্ষণ করে, তাদের পক্ষে হিন্দুরা মিছিল বের করে। মুসলিম হত্যা-ধর্ষণকে সেখানে বীরত্বের কাজ হিসেবে গণ্য করে ক্যাবিনেট মন্ত্রিদের দ্বারা ধর্ষণকারীদের গলায় ফুলের মালা দেয়া হয়। অর্থাৎ এককথায় ভারত হচ্ছে হিন্দু গুণ্ডারাজত্বের দেশ।
সম্প্রতি ‘বিজয়া’ নাটককে কেন্দ্র করে বাংলাদেশেও হিন্দু গুণ্ডারাজত্বের আগমন প্রতীয়মান হচ্ছে। নাটকের অভিনেতা থেকে শুরু করে গল্পকার, প্রযোজকদের মন্দিরে নিয়ে বলি দেয়ার হুমকি দিয়েছে হিন্দুরা (https://bit.ly/3iUx7li) । তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়ে উকিল নোটিশ দিয়েছে লিটন কৃষ্ণ দাস নামক এমন এক উগ্র হিন্দু, যার বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোট নামক সংগঠনটির নিজস্ব নিউজ পোর্টাল eibela.com এ লিটন কৃষ্ণের সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে,
//মানুষ কত ভয়ানক এবং নীতি বিবর্জিত হতে পারে তার কাজ না দেখে বলা যায় না। চেহারা দেখলে মনে হয় কিছুই জানে না। কিন্তু এই কুৎসিত চেহারার আড়ালে যে কত ভয়ানক একটি রুপ লুকিয়ে আছে। তা এইবেলা ডটকমের অনুসন্ধানী কাজে বের হয়ে আসছে।
মুখোশধারী এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট জালিয়াতকারী, ভন্ড, প্রতারক, প্রবঞ্চক, জালিয়াত, লোভী, অর্থ-আত্মসাৎকারী, নারী নির্যাতনকারী, দুধর্ষ এই মানুষটি হলো লিটন কৃষ্ণ দাস।
লিটন কৃষ্ণ দাসের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগরে, বর্তমানে সে পুরান ঢাকার লালবাগে থাকে। তার পিতা: রনজিত কুমার দাস, মাতা: মমতা রানী দাস। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের অপূর্ব সাহা এর নামে একজনের রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার ব্যবহার করে এবং BBA সার্টিফিকেট জাল করে সবাইকে ধোকা দিচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের বর্তমান প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক অসীম কুমার সরকার এক প্রজ্ঞাপন জারি করে লিটন কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে। সেখানে বলা হয়- লিটন কৃষ্ণ দাস নামের ব্যক্তিটি এর কোনো তথ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল অফিসের নথিতে নিবন্ধিত নেই। কাগজপত্রে উল্লেখিত ২০০২-২০০৩ শিক্ষাবর্ষের ফিন্যান্স বিভাগে এরুপ কোনো ছাত্রের তথ্য নেই। তাছাড়া নম্বরপত্রের উল্লিখিত রেজিস্ট্রেশন নম্বর: ২৩৪৮ এবং রেজিস্ট্রেশনের সেশন : ২০০২-২০০৩ লিটন কৃষ্ণ দাসের নামের সাথে মিলে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযের জগন্নাথ হলের ২০০২-২০০৩ শিক্ষাবর্ষের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের অপূর্ব সাহার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ২৩৪৮। যা লিটন কৃষ্ণ দাস জালিয়াতি করেছে। // (লিঙ্কঃ http://archive.is/6U48g)
কলমের বার্তা নিউজ পোর্টালে মামলা নম্বরসহ উল্লেখিত হয়েছে লিটন কৃষ্ণ দাসের চেক জালিয়াতির বিষয়টি-
//গাজীপুরের চেক ডিজ অনার মামলার আসামি লিটন কৃষ্ণ দাস (৪০) দীর্ঘ দিন যাবত পলাতক রয়েছেন ।তার বিরুদ্ধে গাজীপুর জেলা জজ আদালতে গত ২০১৪ সালে একটি ৭ লাখ টাকার চেক ডিজ অনার মামলা করেন কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক ইউনিয়নের, ভান্নারা গ্রামের সবুজ দেওয়ান। যার মামলা নাম্বার – ৬১৮/১৪। ২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল চেক জালিয়াতির ৭ লাখ টাকার মামলায় ১৪ লাখ টাকা রায় এবং এক বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। আদালতের রায়ের পর থেকেই তিনি পলাতক রয়েছেন।//(লিঙ্কঃ http://archive.is/0Aurr)
এই উগ্র হিন্দু লিটন কৃষ্ণ দাস তার পরিচয় দেয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের নেতা হিসেবে। ফেসবুকে তার মুসলিমদের উপর হত্যাকাণ্ড চালানোর আহবান সমৃদ্ধ বহু স্ট্যাটাস ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। তাকে নিয়ে এর আগেও আমি লিখেছিলাম, যেগুলো আমার ব্লগসাইটে রয়েছে
এতোসব অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকার পরও তাকে তো গ্রেফতার করা হচ্ছেই না, উল্টো এই লিটন কৃষ্ণ-ই আরেকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করছে। কারণ ভারতের ন্যায় বাংলাদেশেও থাবা বাড়িয়েছে হিন্দু গুণ্ডারাজ, যে মুসলিমবিরোধী যতো গুণ্ডামি করতে পারবে তাকে ততো বড় সেলিব্রেটি গণ্য করা হবে। উল্লেখ্য, লিটন কৃষ্ণ তার 01718267697 ফোন নম্বরটি ফেসবুকে দিয়ে তার সংগঠনের যোগাযোগ পরিচালনা করে। এমতাবস্থায় পুলিশ তাকে ধরছেনা, যার একমাত্র কারণ আওয়ামী সরকারের হিন্দুতোষণ।
আরেকটি কারণ, মুসলমান পিছিয়ে রয়েছে ঘৃণার যুদ্ধে। হিন্দুরা তিলকে তাল বানাতে পারে, সামান্য ঘটনায় গোটা মুসলিম জাতির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতে পারে। মুসলমান একদিনে খারাপ হয়নি, হিন্দু ও নাস্তিকেরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে বলতে বলতে তাদেরকে অপরাধী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। কিন্তু মুসলমান হিন্দুদের বিরুদ্ধে বলতে পারে না হিন্দুরা অনেক বড় বড় অপরাধ করলেও। বুয়েটের আবরারকে হত্যার প্ল্যান দুর্গাপূজার মণ্ডপ থেকে হলেও মুসলমান মণ্ডপের বিরুদ্ধে আঙুল তুলতে পারেনি, হরেকৃষ্ণ বলিয়ে তাদের বাচ্চাদের প্রসাদ খাওয়ানোর পরও চট্টগ্রামবাসী মুসলমানরা ইসকনকে তাদের শহর থেকে বিতাড়িত করতে পারেনি। উল্টো চট্টগ্রামেই দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল মন্দির নির্মাণের ঘোষণা দিয়ে সেখানে ঢাকা থেকে প্রধান কার্যালয় সরিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে এই কুখ্যাত ইসকন।
উল্লেখ্য, বর্তমান মুসলমান হচ্ছে এমন একটি বেলুনের ন্যায়, যাতে অনেক হাওয়া ভরলেও ‘সব হিন্দু খারাপ নয়’ এই ফুটো দিয়ে তা বের হয়ে যায়। বাংলাদেশে হিন্দুদের দ্বারা অনেক ধৃষ্টতা-ইসলাম অবমাননা-নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, যেগুলো ঘটার পরপরই অনলাইন-অফলাইনে মুসলমানদের অনেক তেজের বহিঃপ্রকাশ দেখা যায়। কিন্তু কিছুদিন বাদেই ফুটো বেলুনের মতো সব মিইয়ে যায়। অমুসলিম জাতিগুলোর এই ফুটো নেই বলেই তারা সামান্য ঘটনাকে বাড়িয়ে বাড়িয়ে সেগুলোকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-মুসলিম গণহত্যায় পৌঁছিয়ে দেয়।
সংখ্যাগরিষ্ঠতা-অর্থ-শিক্ষা সবকিছুতে এগিয়ে থাকলেও বাংলার মুসলমান আজ নির্যাতিত, কারণ ঘৃণার যুদ্ধে তারা অনেক পিছিয়ে রয়েছে। ঘৃণার যুদ্ধে, ঘৃণার যুদ্ধে এবং ঘৃণার যুদ্ধে মুসলমানরা তাদের প্রতিবেশী হিন্দুদের তুলনায় সহস্র থেকে সহস্রতর আলোকবর্য পিছিয়ে রয়েছে।

Post a Comment

 
Top