দিল্লীতে উগ্রহিন্দুত্ববাদী কর্তৃক মুসলিম নিধনের পর ফেসবুকের গোপন গ্রুপ গুলোতে বাংলাদেশের হিন্দুরা কি বলা-বলি করছে সেটা লক্ষণীয়। ছবিতে, ‘হিন্দু সমৃদ্ধি সভা’ নামক একটি গোপন গ্রুপে বাংলাদেশী হিন্দু জয়ন্ত কর্মকারের স্ট্যাটাস লক্ষ্য করুন, সে বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের হিন্দুদের অনেকগুলো প্রস্তুতি নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি প্রস্তুতি হলো-

১) হিন্দুদের ঘরে ধারালো অস্ত্র, বিষাক্ত দ্রব্য এবং এসিড মজুদ রাখা।

২) হিন্দু পুলিশের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা।

আমি কিন্তু আমার আগের স্ট্যাটাসে বলেছি, সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু কোন ফ্যাক্টর না, দাঙ্গার সময় কার হাতে অস্ত্র ও ক্ষমতা আছে সেটা ফ্যাক্টর এবং দাঙ্গা লাগলে তারাই কিন্তু সফল হবে। তাই বাংলাদেশেও যদি কোন দাঙ্গার পরিস্থিতি হয়, তবে বাংলাদেশের সেক্যুলার মুসলিম সমাজ মন্দির বাচানোর কথা বললেও, হিন্দুরা কিন্তু মসজিদ বাচানোর কথা বলেনি, তারা নির্দেশনা দিচ্ছে অস্ত্রের ব্যবহার এবং হিন্দু পুলিশের সাহায্য নিতে। অর্থাৎ তারাও দাঙ্গার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

অনেকে হয়ত ভাবতে পারেন- কেউ যদি আক্রমণের শিকার হয়, তবে তো সে আত্মরক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতেই পারে।

আপনাদের কথাও ঠিক। কিন্তু কথা হচ্ছে, কার কি মনের গোপন ইচ্ছা কি সেটা আসলে জানা প্রয়োজন। যেমন জয়ন্ত কর্মকারের এক স্ট্যাটাসের কমেন্টে ভারতের দাঙ্গাবাজ হিন্দু সংহতির নেতা অনিমিত্রা চক্রবর্তী জয়ন্ত্রকে যবনের (মুসলমানের) রক্তে গোসলের পরামর্শ দিয়েছে। সেই কমেন্টের রিপ্লাইয়ে জয়ন্ত বলেছিলো, যবন মুসলিমের রক্ত দিয়ে গোসল করার সময়ের অপেক্ষায় আছে সে (স্ট্যাটাস লিঙ্ক- https://bit.ly/2VrVAXc , আর্কাইভ- http://archive.ph/QZbRG)

তারমানে বাংলাদেশী হিন্দুরা মুসলমানের রক্ত দিয়েও গোসল করার আকাঙ্খা রাখে এবং সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে তারা সে সুযোগটাই কাজে লাগানোর জন্যই ঘরে ঘরে অস্ত্র এবং হিন্দু পুলিশের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে বলছে। দুই জাতের প্রস্তুতি ও চিন্তাধারার মধ্যে এটাই হলো তফাৎ। তাহলে সফলতা কার ঘরে আসবে, সেটা আগেই বলে দেয়া সম্ভব। 

Post a Comment

 
Top