আওয়ামী সরকারের চোখে ঘুম নেই, সে কিভাবে হিন্দুদেরকে খুশি করবে? প্রতিবছর সে মণ্ডপের সংখ্যা বাড়ায়, প্রতিবছর সে পূজায় বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ায়, ফুটপাতের হিন্দু টোকাই সস্তা এন্ড্রয়েডে দ্বীন-নবী-রসূল তুলে গালিগালাজ করলে সে তাতে নীরবে সমর্থন জানায়! সারাবছর অজপাড়াগাঁয়ের যেই পরিত্যক্ত ছাপড়া মন্দিরে গরু-ছাগল চড়ে বেড়ায়, পূজার সিজনে সেই মন্দিরের মাথাভাঙ্গা মূর্তির ছবি পত্রিকায় নিয়ে এসে ছাপা হয়। তখন সরকারের মাথা খারাপ হয়ে যায়, এলাকার হাজার দুই মুসলমানের নামে মামলা দিয়ে গোটা এলাকা মুসলিম পুরুষশূন্য করে দেয়।

তারপরও হিন্দুদের অভিযোগের শেষ হয় না! এদিকে সরকার দিশেহারা, নোংরা চামড়াঢাকা জিনিস চাটতে চাটতে তার জিভ ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে, অত্যাচারের স্টীমরোলারে মুসলমানদের রীতিমতো সে পিষে ফেলছে, তারপরও সে ভেবে কুল পায় না কিভাবে এই নমশূদ্রগুলোকে সে খুশি করবে।

আসলে হিন্দুরা কখনো খুশি হবে না। যতোই পোলাও-কোপ্তা-কালিয়া খাওয়াও, যতোই উচ্চপদে চাকরি দাও, যতোই রুচির মাথা খেয়ে অকর্তিত নোংরা জিনিস চাটতে থাকো, হিন্দু কখনো খুশি হবে না। কারণ সেই ‘অখণ্ড ভারত’। যদি বাংলাদেশের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করা হয়, তাহলে যে তাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়। আর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার অর্থই হলো অখণ্ড ভারতকে অস্বীকার করা, যা আওয়ামী সরকার চাটতে চাটতে জিভ ক্ষয় করে ফেললেও নমশূদ্রগুলো দিবে না।

অথচ ভারতে নমশূদ্রগুলো ফুটপাতে মা-বোন নিয়ে পতিতাবৃত্তি করেও শান্তি পায়। হিন্দুদের মধ্যে যারা অগ্রসর শ্রেণীর, যারা দেশভাগের পূর্বে কিংবা সাথে সাথেই কলকাতায় চলে গিয়েছিল। থেকে গিয়েছিল নমশূদ্রগুলো, যারা ব্রিটিশ আমলে ছিল হিন্দু জমিদারদের লাঠিয়াল বাহিনী, পোষা কুকুর। পাকিস্তান আমলের পুরোটা সময় এবং স্বাধীনতার পর এরা পশ্চিমবঙ্গে যেতে থাকে, তবে এসব পরিত্যক্ত কুকুরগুলোকে ভদ্রসমাজে জায়গা দেয়া হয় না। এদেরকে পাঠানো হয় ছত্রিশগড়ের মানা ক্যাম্প, দণ্ডকারণ্য এসব জায়গায়।

deep halder এর blood island: An Oral History of the Marichjhapi Massacre বইতে রয়েছে যে, ঐসব ক্যাম্পে এই নমশূদ্রগুলো রীতিমতো মানবেতর জীবনযাপন করত। সবচেয়ে বড় কথা, রাত হলে রিফিউজি ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা ভারতীয়রা ইচ্ছামতো মেয়েদের তুলে নিয়ে যেত, সকাল হলে তাদের ফেরত দিয়ে যেত। তারপরও এই নমশূদ্ররা ভারতকে ভালো বলবে, বিজেপিকে ভোট দেবে। বাংলাদেশের সম্মানজনক জীবনযাপনের চেয়ে ভারতে ফুটপাতে পতিতাবৃত্তি করেও নমশূদ্ররা শান্তি পায় অখণ্ড ভারতের চেতনার কারণে।

আর বাংলাদেশে মুসলমানরা তো বেকুব, তাই ভারতে নমশূদ্ররা ফুটপাতে টোকাইগিরি-পতিতাবৃত্তি করলেও বাংলাদেশে ঠিকই মুসলমানরা এসব পরিত্যক্ত কুকুরগুলোর গর্দানে চর্বি জমায়। প্রিয়া সাহার কথাই বলা যায়, সে হচ্ছে দলিত হিন্দুদের প্রতিনিধি। তাকে, তার পরিবারকে সরকার যে সুযোগসুবিধা দিয়েছে, তার পুরোটা সে কাজে লাগিয়েছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধাচরণের জন্য। এদেশের মুসলমানরা যে বিদ্যানন্দকে ডোনেশন দিয়ে, এমনকি যাকাত দিয়ে রীতিমতো ফুলিয়ে ফাঁপিয়েছে, বিদ্যানন্দকে যে ফেসভ্যালু এদেশের মুসলমানরা দিয়েছে, প্রিয়া সাহার ন্যায় তার পুরোটাই নমশূদ্র কিশোর দাস কাজে লাগিয়েছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে।

বি’বাড়িয়ার প্রয়াত মন্ত্রী ছায়েদুল হক পাকিস্তান আমলে তার জেলার হিন্দুদের অবস্থা সম্পর্কে বলেছিল, ‘সেকেন্ড ক্লাস সিটিজেন’। মূলত দেশভাগের পর এদেশে রয়ে যাওয়া হিন্দুরা আমভাবেই সেকেন্ড ক্লাস ছিল, আর এই সেকেন্ড ক্লাস কুকুরগুলোকেই বাংলাদেশের মুসলমানরা গর্ত থেকে তুলে নিয়ে মুসলমানদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছে। বিপরীতে ভারতে কি হয়েছে?

হায়দারাবাদের কথা আপনারা সকলেই শুনেছেন, দেশভাগের পর তাকে ভারত সরকার স্বাধীন থাকতে দেয়নি। এই হায়দারাবাদ অত্যন্ত ধনী রাজ্য ছিল, তার মুসলমানরাও ছিল অত্যন্ত অভিজাত। Muslims in Indian Cities: Trajectories of Marginalisation বইতে রয়েছে যে, হায়দারাবাদের নিজামের রাজসভায় কর্মরত মুসলমানদের বংশধরদের এখন হায়দারাবাদের ‘ওল্ড সিটি’র মধ্যে একঘরে করে রেখেছে ভারত। তারা কোনো চাকরি পায় না, ওল্ড সিটিতে সরকারি কোনো বরাদ্দ দেয়া হয় না। অথচ দেশভাগের পূর্বে তারাই পুলিশ-প্রশাসনের সর্বেসর্বা ছিল। ভারতের ভোপাল, দিল্লী, আলিগড় এসব সমস্ত শহরের একই ইতিহাস।

অর্থাৎ ভারতে মুসলমান শাসকদের বংশধরদের একঘরে করা হয়েছে, দারিদ্র্যতার দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। বিপরীতে বাংলাদেশের মুসলমানরা পরিত্যক্ত শেয়াল-কুকুরকে গর্ত থেকে তুলে এনে গর্দানে চর্বি জমায়, যেন তারা গলা চড়িয়ে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশকে হেয় করতে পারে, এদেশে আক্রমণের জন্য আহবান করতে পারে। সুতরাং পোলাও-কোপ্তা খাইয়ে, উচ্চপদে চাকরি দিয়ে সমাধান হবে না। একমাত্র সমাধান, গর্তের কুকুর গর্তে ঢুকিয়ে দেয়া, তাদেরকে শক্তিহীন করে দেয়া। মুসলমান তার পৃষ্ঠপোষকতা ও সুযোগসুবিধা না দিলেই এদের বাংলাদেশের বিরোধিতা করার শক্তি থাকবে না। কুত্তার পেটে যে ঘি সয় না, বিষয়টা স্মরণে রাখা দরকার।

Post a Comment

 
Top