হিন্দু ওনলি এনক্লেভ ধরণের কিছু বানানো। বা হিন্দু ঐতিহ্যমন্ডিত এলাকা হিসেবে সরকারী স্বীকৃতি ধরণের কিছু করতে পারে। অথচ সেই অর্থে এসব এলাকায় অত বেশি হিন্দুও নাই, ধরেন ৩০% এর বেশিনা। কিন্তু হাইলাইট করা হয় হিন্দু এলাকা বলে। চট্টগ্রামে ইসলামের আগমণ এবং প্রচার শুরু হয় এই জায়গা গুলো থেকেই। যেমনঃ পবিত্র কদম মোবারক মসজিদ, রহমতগঞ্জ, জামাল খান, আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ, বদর শাহ আউলিয়ার মাজার, আমানত শাহের মাজার, চেরাগী পাহাড়, যেখান থেকে আউলিয়ারা চেরাগ জ্বালিয়ে জ্বীনদের বিতাড়িত করে ইসলাম প্রচার শুরু করে- এসব জায়গা চট্টগ্রামের মুসলিম ইতিহাস ও ঐতিহ্যের Core অংশ। কিন্তু নব্বই দশকের পর থেকে সিনারিও পাল্টাতে থাকে হাজারি গলি নামের একটি হিন্দু কলোনিতে গজিয়ে ওঠা পাইকারি ঔষধ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে। প্রচুর হিন্দু ওই এলাকায় এসে বাস করতে থাকে। হাজারি গলির আশেপাশের এলাকায় বাড়িগুলোতেও তারা ভাড়াটিয়া হিসেবে ওঠে। দেখা যায় বাড়িওয়ালা মুসলিম, কিন্তু ওই বাড়িতে ২/৩ টা হিন্দু ভাড়াটিয়া। এভাবেই ওই এলাকা মুসলিম প্রধান হলেও হিন্দু ভাড়াটিয়ার কারণে এলাকার ডেমোগ্রাফি পরিবর্তন হয়ে মুসলমান হিন্দু অনুপাত দাড়ায় কোথাও ৬০ঃ৪০, আবার কোথাও ৭০ঃ৩০।
ডিসি হিল নামের একটি এরিয়ার একটি আবাসিক এলাকার নাম নন্দনকানন যেখানে একটি বৌদ্ধ মন্দির আছে (চট্টগ্রামের প্রধান বৌদ্ধ মন্দির)। ওই নন্দনকাননে ও বাড়ি প্রায় সব মুসলমানদেরই, কিন্তু ভাড়াটিয়া প্রায় ৪০% হিন্দু এবং বৌদ্ধ। নন্দনকাননে পাহাড়িকা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় নামের একটি স্কুলে ১২ মাসে ১৩ পার্বন হয়। এটা কি স্কুল নাকি মন্দির বোঝা মুশকিল। কারণ এর সামনেই কৃষ্ণ, ইসকন, প্রভুপাদ, ইত্যাদি নানান হিন্দু ধর্মীয় ব্যানার ঝুলানো থাকে যেখানে তাদের ধর্মের নানান অনুষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। এর পাশেই আছে 'ফুলকি' নামের স্কুল। ৮/৯ তলা বহুতল ভবন বিশিষ্ট এই স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছে চট্টগ্রামের নাস্তিকগুরু আবুল মোমেন এবং তার স্ত্রী শীলা মোমেন। মূলত বাচ্চাদের (ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত ) স্কুল হলেও এই স্কুলের কারিকুলাম নাস্তিক্যবাদী এবং ইসলামোফোবিক। পাহাড়িকা এবং ফুলকি এই দুই স্কুল আসলে 'স্কুল' নাম দিয়ে হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডার এডুকেশনাল ফ্রন্ট হতে পারে। আমি যা বললাম, তা হয়তো স্পেকুলেশন মনে হতে পারে। কিন্তু আল্টিমেটলি যা যা অনুমান করেছি এই ব্যাপারগুলো নিয়ে দেখা গেছে পরে তা সত্য প্রমাণিত হয়েছে।
এই এলাকাগুলোতে গেলে আপনি মনস্তাত্ত্বিকভাবে নিজের মুসলিম আইডেন্টিটিকে 'সেন্সর' করবেন সাবকনসাসলি। আপনার মনে হবে আপনি ভারতে আছেন। মুসলিম ঐতিহ্যমন্ডিত এলাকার ইতিহাস ঐতিহ্য হিন্দুরা ছিনতাই করে নিচ্ছে।
আগে শুনতাম হিন্দুরা পুরাতন বাড়িতে সস্তায় ভাড়া থাকে। এখন সেই দিন নেই৷ যে এলাকাগুলো বললাম সেখানে পুরাতন বাড়ি ভেঙ্গে হাইরাইজ হয়েছে। প্রতিটি হাইরাইজের গ্যারেজের সামনে এবং ব্যালকনিতে ''শারদীয় শুভেচ্ছা, ইকুইটি নন্দন ফ্লাট মালিক সমিতি", "বাণী অর্চনা, সানমার স্প্রিং ফ্লাট মালিক সমিতি" ইত্যাদি ব্যানার চোখে পড়ে। ওই এলাকার একটা ফ্লাটের দাম মিনিমাম ৭০/৮০ লাখ টাকা। ফইন্নীগুলো এত টাকা কই পেলো!? এসব প্রশ্নের উত্তর জানা নেই। তার মানে তারা বুঝে গেছে আগে হোক পরে হোক এই এলাকাগুলো অখন্ড ভারতে আসবে। তাই হয়তো তারা আর টাকা জমিয়ে ভারতে বাড়ি করার চিন্তা বাদ দিছে। সে টাকায় এখানেই ফ্লাট / বাড়ি কিনে রাখতেছে। তারা নিত্য নতুন ব্যবসা খুলতেছে। যেমনঃ সাধু মিষ্টান্ন ভাণ্ডার। এর অবস্থান চেরাগী পাহাড় মনুমেন্ট এর পাশেই৷ পাশেই জাতীয় হিন্দু মহাজোট এর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়। এর অল্প দূরে হাজী মুহম্মদ মহসিন কলেজ৷ কলেজ সংলগ্ন হাজী মুহম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। এই স্কুলে অমুসলিম ছাত্র ভর্তি করা হতোনা। কিন্তু ২০০৬/৭ সাল থেকে স্কুলের হিন্দুত্ববাদী এক শিক্ষকের প্রভাবে সেখানে এখন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টানদেরও ভর্তি করা হচ্ছে। উদাহরণ দিলে লিখে শেষ করা যাবেনা। তাদের ব্যবসা গুলোর কাস্টমার সবাই মুসলিম। এখানের মুসলমানদের একটা বদ খাসলত হলো তারা মনে প্রাণে বিশ্বাস করে "হিন্দুরা সৎ", তারা পণ্যে ভেজাল দেয়না৷ তাই ভালো পণ্য পাবার জন্য তারা হিন্দুর দোকান থেকেই জিনিস কেনে৷ এই এলাকার কমিশনার শৈবাল দাস সুমন। বিউটিফিকেশন এর নামে এলাকার মুসলিম চরিত্র মুছে হিন্দুয়ানী চরিত্র দেয়া হচ্ছে। যেমনঃ জামাল খান এলাকায় রোড আইল্যান্ডে প্রাচীন অশ্বত্থ গাছ গুলোতে সাদা লাল গেরুয়া রং লাগিয়ে সেখানে মোমবাতি জ্বালানো হয়। ষড় ঋতুর বাংলাদেশ নামের এক্টি ম্যুরাল সিরিজ বানিয়ে অনেকগুলো রোড আইল্যান্ডে দিয়েছে। ৬ ঋতুর ৬ রকম প্রকৃতি তুলে ধরার নামে মূলত শারদ, কাশফুল পূজো, ইত্যাদি হাইলাইট করা হয়েছে। জেরুজালেমের ওল্ড সিটিকে যেমন ইহুদিরা জুডাইজেশন করেছে অনেকটা ওরকম ইমপোজিশন বলতে পারেন।
ইহুদিরা ইউরোপ থেকে এসে প্রথমে জাফফার শহরতলীতে ঘেটো করে থাকা শুরু করে। একে একে ফিলিস্তিনিদের সব ব্যবসা দখল করে নেয়। ফিলিস্তিনিদের ভেড়া বানিয়ে তেল আবিব জাফফা দখল করে নিয়ে ইসরাইল নামের রাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা করে। অনেক বেশি মিল পাই এই ঘটনার সাথে। (কৃতজ্ঞতাঃ আদিত্য পবন)

Post a Comment

 
Top