বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার চক্রান্তকারী সিনহাকে বের করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ, যদিও তার হিন্দুপ্রীতি সে ত্যাগ করতে পারেনি। কারণ আওয়ামী লীগের মজ্জাগত বিশ্বাস, অতীতের ন্যায় হিন্দুরা এখনও আওয়ামী লীগের অনুগত রয়েছে। কিন্তু গত দশ বছরে সরকারি মদদে হিন্দুদের গর্দানে চর্বি জমার কারণে তারা যে এখন আওয়ামী লীগ ছেড়ে আরো বৃহৎ প্রভু তথা আম্রিকা-ইস্রায়েলের ছাতার তলে গিয়েছে, সবাই তা দেখতে পেলেও টিনের চশমা পড়া আওয়ামী লীগ তা দেখতে পারছে না। এই হিন্দু আর সেই হিন্দু নেই।

মুঘল শাসনের কেন পতন হলো, তা নিয়ে আমার শিক্ষকের সাথে আলোচনা করছিলাম। তিনি বলেছিলেন, মুঘলরা হিন্দুদের পরিবর্তন ধরতে পারেনি। ব্রিটিশরা আসার বহু আগে থেকেই হিন্দুরা মুসলমানদের অধীনে ছিল। এমনকি পোষাক, আদব-কায়দা ও শিক্ষাব্যবস্থার ক্ষেত্রেও অবধারিতভাবে মুসলমানদের অনুসরণ করতো হিন্দুরা। যে কারণে মুসলমানদের অধীনে চাকরি করা হিন্দুদের বাহ্যিক অবয়ব তথা দাড়ি-মোচ থেকে শুরু করে পোষাক-আশাক, সবকিছু মুসলমানদের মতোই হতো।

যে কারণে মুঘলদের মধ্যে একটি বদ্ধমূল ধারণা ছিল যে, এই হিন্দুরা তাদের অনুগত থেকেই যাবে। কিন্তু ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর সাথে তলে তলে হিন্দুরা যে আঁতাত করছে, তারা যে পক্ষ চেঞ্জ করছে, সেটি মুঘলরা ধরতে পারেনি। অবশেষে ১৮৫৭’র ব্রিটিশবিরোধী মহাযুদ্ধের সময় এসে উপস্থিত হলো, দিল্লী অবরোধ করল ব্রিটিশবাহিনী। ভেতরে অবরুদ্ধ মুসলমান মুজাহিদেরা মুঘল বাদশাহ বাহাদুর শাহ জাফরকে অনুরোধ করলেন দিল্লীর হিন্দুদেরকে নজরদারিতে নেয়ার জন্য।

কিন্তু বাহাদুর শাহ জাফর হিন্দুদের ব্যাপারে মুঘলদের চিরাচরিত অবস্থান পরিবর্তন করতে রাজী হলেন না। উল্টো যতোদিন যেতে লাগল, হিন্দুদের উপর তার আস্থা ও বিশ্বাস বৃদ্ধি পেতেই থাকল। মুসলিম সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল বখত খান, যার যুদ্ধকৌশলের কারণে ইংরেজদের হার অনিবার্য ছিল, তাকে সম্রাট ‘ফরযন্দ’ বা পুত্র খেতাব দিয়েছিলেন। কিন্তু যখনই হিন্দুরা এসে অভিযোগ করল, জেনারেল বখত খান ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’ থুক্কু হিন্দু নির্যাতন করছেন, তখনই বাহাদুর শাহ জাফর তার সেই ‘পুত্র’কে অপসারণ করলেন। ব্রিটিশরাও হাফ ছেড়ে বেঁচে গেল।

একপর্যায়ে অবরুদ্ধ দিল্লীতে গরু কুরবানী নিষিদ্ধ করে দিল বাহাদুর শাহ জাফর। হিন্দুরাও এই অতি হিন্দুতোষণের কারণে বেপরোয়া হয়ে মুসলমান কসাইদের হত্যা করা শুরু করল, কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেয়া হলো না। এরকম করতে করতেই পরাজয় ঘনিয়ে আসল। মুসলমানদের দিল্লী থেকে বের করে করে দিয়ে গোলাম শ্রেণীর হিন্দুদেরকে মুসলমানদের সম্পত্তি নামমাত্র মূল্যে দান করে দিল্লীর সর্বেসর্বা করে দেয়া হল। বাহাদুর শাহ জাফরকে গরুর গাড়িতে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হল দিল্লীর বাইরে, নির্বাসিত করা হলো আজকের বার্মার রেঙ্গুনে।

শুরুতে যা বলেছিলাম, এই হিন্দু আর সেই হিন্দু নেই। মুঘলরা বুঝেনি, এখন আওয়ামী লীগও বুঝছে না। আওয়ামী লীগ মনে করছে, বাড়ি-গাড়ি-উচ্চপদে চাকরি দিলেই হিন্দুরা অতীতের ন্যায় অনুগত থেকে যাবে, কিন্তু তা এখন আর সম্ভব নয়। হিন্দুর গর্দানে এখন চর্বি জমেছে, ফলে তার মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে সাম্প্রদায়িক চাহিদা। এই চাহিদা পূরণ করতে পারবে কেবল আমেরিকা ও ইসরায়েল। মুসলমানের রক্ত জিভের কাছে না ধরলে এখন হিন্দুরা আর সন্তুষ্ট হবে না। দোর্দণ্ড প্রতাপশালী মুঘল বাদশাহকেও যেখানে ছ্যাকড়া গরুর গাড়িতে নির্বাসিত হতে হয়েছিল, সেখানে শেখ হাসিনার কি হবে তা তো বলারই অপেক্ষা রাখে না। শিপন কুমার বসু তো বলেই দিয়েছে,

খুব বেশী হলে নভেম্বর ২০১৭, গেম ওভার! GET READY TO GET PUNISHED.

Post a Comment

 
Top