কথিত মিস ওয়ার্ল্ড নিয়ে নাটকীয় কর্মকাণ্ড এদেশের জনগণকে গত কয়েক মাস ব্যস্ত রেখেছে, যেন এই সুযোগে রোহিঙ্গা ইস্যু ও ভারতীয় ঋণচুক্তি সবার চোখ এড়িয়ে যায়। সবাই হয়তো মনে করেছে, বিবাহিত ‘এভ্রিল’কে মনোনয়ন কিংবা দাঁতাল জেসিয়াকে মুকুট পরানো, সবই বোধহয় কাকতালীয়। আসলে সবই আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ।

আয়োজক তথা অন্তর শোবিজ ও প্রথম আলো কেন্দ্রিক ব্যক্তিরা বহু আগে থেকেই সিআইএ-র চক্রান্তের সাথে জড়িত। তাদের সাজানো নাটকে বোকা বনেছে গোটা দেশের জনগোষ্ঠী। নাটকের শুরুটা এরকম ছিল যে, এভ্রিলের যেহেতু আগে বিয়ে হয়েছিল, সেহেতু তাকে প্রথমে বিজয়ী ঘোষণা করে আবার তার মুকুট কেড়ে নেয়া হলো। উদ্দেশ্য, যেন তাকে বাল্যবিবাহ বিরোধী আইকন হিসেবে দাঁড় করানো যায়।

এভ্রিলের কান্নাকাটির ভিডিও প্রকাশ থেকে সবকিছুই ছিল মূলত নাটক। পাশ্চাত্যের একটি অন্যতম মূল ষড়যন্ত্র এদেশে বাল্যবিবাহ বিরোধী সেন্টিমেন্ট তৈরী করা। বাল্যবিবাহ এদেশের সমাজে কখনোই নিন্দনীয় ছিল না, জসীমউদ্দীনের ‘কবর’ কবিতা যার উদাহরণ। কিন্তু তারপরও বাল্যবিবাহ বিরোধী সেন্টিমেন্ট তৈরী করতে হবে, কারণ বাল্যবিবাহ যে করেছিলেন স্বয়ং নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই।

যখন এদেশের সমাজ বাল্যবিবাহকে খারাপ জানতে শিখেনি, তখন এসব নাস্তিক ও হিন্দুরাও নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানে অবমাননার সুযোগ পায়নি। যদি এখনও এদেশের সমাজ বাল্যবিবাহকে গ্রহণযোগ্য হিসেবে মেনে নেয়, তাহলেই এসব নাস্তিকদের সমস্ত প্রোপাগাণ্ডা মাঠে মারা যাবে। সুতরাং ইসলামবিদ্বেষী সাম্রাজ্যবাদীদের কাছে বাল্যবিবাহ-বিরোধী প্রচারণা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যার মাসকট বা মুখপাত্র হিসেবে এদেশে এভ্রিল নামক চরিত্রহীন মেয়েটিকে দাঁড় করানো হয়েছে।

আবার এভ্রিলকে বাদ দিয়ে এমন একজনকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে, যে সম্ভবত সবগুলো মেয়ের মধ্যে সবচেয়ে কুৎসিত প্রকৃতির। প্রথম আলোতে তার দাঁতাল ছবি নিয়ে সারা দেশ ট্রোলে ভেসে গিয়েছিল। এখানের কিন্তু রয়েছে ষড়যন্ত্র। খবরে প্রকাশিত হয়েছে,

“থামি পরে সুন্দরীদের মঞ্চে যাবেন জেসিয়া”

এই ‘থামি’ হচ্ছে বৌদ্ধ পাহাড়ি সন্ত্রাসী ও মিয়ানমারের মগ সন্ত্রাসীদের জাতীয় পোষাক। এই জেসিয়াকে মনোনয়ন দেয়ার সময়ে সবাই চিন্তা করেছিল, এরকম কুৎসিত মেয়ে কিভাবে বিজয়ী হয়? আসলে তার কুৎসিত চেহারাটাই তো ষড়যন্ত্রকারীদের অস্ত্র। তার এই দুর্বলতাকে ব্যবহার করেই তো তাকে পাহাড়িদের পোষাকে মঞ্চে তোলাটা সহজ হবে।

এদেশে আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর প্রত্যেক ঘাটে ঘাটে মুসলমানদের মানসিকভাবে পর্যুদস্ত করা তথা ‘ডিমরালাইজ’ করা হচ্ছে। যেমন রোহিঙ্গা নিয়ে যখন এদেশের মানুষ প্রতিবাদে মুখর হয়ে উঠেছে, তখনই সরকার বার্মা থেকে আতপ চাল কিনে এদেশের মানুষকে বিশ্বের সামনে হেয় করে দিয়েছে, এদেশের জনমানুষের আত্মসম্মানবোধ ধ্বংস করে দিয়েছে। যখন এই দাঁতাল জেসিয়া মিস ওয়ার্ল্ড আসরে এদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে পাহাড়িদের ‘থামি’ পরে, এদেশের মানুষকে পরিচয় করিয়ে দেবে পাহাড়ি সংস্কৃতির ধারকবাহক হিসেবে, তখন বার্মা কিংবা বিচ্ছিন্নতাবাদী পাহাড়িদের বিরুদ্ধে এদেশের মানুষের আত্মসম্মানবোধ এমনিতেই ধ্বংস হয়ে যাবে, যুদ্ধের আগেই মানসিকভাবে হেরে যাবে তারা। তাতে করে বহুদূর এগিয়ে যাবে ফেনী থেকে গোটা চট্টগ্রাম দখল করে নেয়ার বর্মী ষড়যন্ত্র।

Post a Comment

 
Top