“সাংবাদিকরা নাকি জাতির বিবেক। আমি দেশের শিক্ষার জন্য একটি ভালো কাজ কলাম। উল্টো সাংবাদিকরা আমার বিরুদ্ধে লিখেছে।”

পরীক্ষার হলে ঘুমিয়ে থেকে শিক্ষার্থীদের নকলে সুবিধা করে দেয়া হিন্দু টিচারকে হাতেনাতে ধরে বড়োই বিপদে পড়েছেন সিলেটের জকিগঞ্জের চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ। এলাকার সবাই জানে, ঐ হিন্দু টিচার দীপ্তি বিশ্বাস সবসময়ই ক্লাসে ঘুমায়। ঘটনার দিনও হেডমাস্টার ও চেয়ারম্যানের সামনে ঐ মহিলা ছিল একদমই সুস্থ। কিন্তু সাংবাদিকেরা তাকে অসুস্থ বানিয়ে চেয়ারম্যানকে ভিলেনে পরিণত করেছে। কারণ দেশে এখন বিবেক বলে কিছু নেই, আছে কেবল হিন্দুর আবেগ।

এদেশে এখন হিন্দুরা আবেগ দিয়ে তাদের অর্পিত সম্পত্তি চাইবে, মুসলমানদের উচ্ছেদ করে সরকার তা তাদের দিয়ে দিবে। যদিও ৬৫ সালের যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে করা শত্রু সম্পত্তি আইন ভারতেও রয়েছে এবং সেইসব জমি কোনটাই মুসলমানদের ফিরিয়ে দেয়া হয়নি। বিবেকের বিচারে হিন্দুরা কিছুতেই জমি ফিরে পেতে পারে না, কিন্তু আবেগ এখানে মুখ্য।

মুসলমানরা চিন্তা করে থাকে, এইসব অযাচিত আবেগকে প্রশ্রয় না দিলে কি আর অছাম্প্রদায়িক থাকা যায়? কিন্তু এসব আবেগের তোড়েই যে আইনের শাসন-দেশের স্বাধীনতা সব ভেসে যায়! আজকে ইসরায়েল যে ফিলিস্তিন দখল করে রয়েছে, এর পেছনে রয়েছে তাদের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ‘হলোকাস্ট’ নামক আবেগ। অর্থাৎ এইসব আবেগ দিয়ে পক্ষান্তরে মুসলিম গণহত্যাকেই বৈধতা দেয়া হয়ে থাকে। যেমন হিন্দুদের গরু নিয়ে আবেগের কারণে এদেশের অনেক রেস্টুরেন্টে ‘নো বিফ’ নোটিশ ঝোলানো হয়, কোন পিকনিকে ২-১ জন হিন্দুর জন্য ২০০-৩০০ মুসলমান গরু খাওয়া বন্ধ করে দেয়। অথচ এই আবেগের কারণেই পাশ্ববর্তী ভারতে এখন ‍মুসলমানদের হত্যা করা হচ্ছে, অচিরেই বাংলাদেশেও করা হবে।

পাবনায় সিভিল সার্জনকে হাসপাতাল খালি রেখে রেখা রানি বালোর জন্য ছুটে না আসায় ওএসডি হতে হয়েছে, কারণ হিন্দুদের আবেগকে প্রশ্রয়দান। ফিলিস্তিনিরা ইহুদীদের আবেগকে প্রশ্রয় দিয়ে পরাধীন হয়েছে, এখন বাঙালি মুসলমানরা হিন্দুদের আবেগকে প্রশ্রয় দিয়ে ঠিক সেই পথেই অগ্রসর হচ্ছে। এদেশ বর্তমানে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া নিয়ে তীব্র সংকটে রয়েছে। এর মধ্যে হিন্দুরা এসে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে প্রোপাগাণ্ডা শুরু করেছে। নিচের ছবিগুলো সবাই মিডিয়াতে দেখেছেন। তবে অনেকেই হয়তো খেয়াল করেননি, কুমিরের বাচ্চার মতো বারবার একই রোহিঙ্গা হিন্দু মেয়েকে দিয়ে কান্নার নাটক সাজিয়ে নিউজ করেছে ইসলামবিদ্বেষী মিডিয়া।

১৮৫৭ সালের বিদ্রোহে ব্রিটিশরা যখন হেরে যায় যায় অবস্থা, তখন বঙ্কিমচন্দ্র যায় ব্রিটিশদের অধীনে চাকরি নিতে। ব্রিটিশ নিয়োগকর্তা তাকে বলেছিল, “আমরা হয়তো এখানে বেশিদিন থাকব না, যদি আমরা চলে যাই তখন তোমার কী হবে?”

বঙ্কিম উত্তর দিয়েছিল, “আমি নির্দ্বিধায় বিশ্বাস করি, ব্রিটিশরাই যুদ্ধে জয়ী হবে। এই বিশ্বাস না থাকলে আমি কিছুতেই ব্রিটিশদের অধীনে চাকরি করতে আসতাম না।”

বঙ্কিমের এই বিশ্বাসের উৎস কোথায়? হিন্দুরা শত শত বছর ধরে  মুসলমানদের তোষামোদি করে, ভুলিয়ে-ভালিয়ে, আবেগের মাখনে ডুবিয়ে কাজ আদায় করে নিতে সিদ্ধহস্ত। যেভাবে আমরা বার্মিজ হিন্দু গুপ্তচরদের চিহ্নিত করার পরও তাদের ব্যাপারে কিছুই করতে পারছি না, ঠিক সেভাবেই মুঘলরাও অবরুদ্ধ দিল্লীতে হিন্দু গুপ্তচরদের চেনার পরও কিছুই করতে পারেনি তাদের হিন্দুপ্রীতির কারণে। একারণেই বঙ্কিম দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে বলেছিল, ব্রিটিশরা যুদ্ধে জিতে যাবে। ফিলিস্তিনিরাও নিচের ছবির মতো ইউরোপ থেকে বিতাড়িত ইহুদীদের চোখের পানির আবেগে ভেসেছিল, তারা এখন কোথায় একটু চিন্তা করে দেখুন।

Post a Comment

 
Top