ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের গিরিদ জেলা। বাবা-মা-স্ত্রীসহ সেখানেই বাস করে দীলিপ যাদব। একটি ছোট গরুর খামার আছে তাদের। আর সেখান থেকে বিক্রি হওয়া দুধই পরিবারের আয়ের একমাত্র উৎস। খামারের গরুগুলোকে রোজ প্রচুর পানি পান করাতে হয়। কিন্তু গত ডিসেম্বর থেকে অনাবৃষ্টির কারণে খরা উপদ্রুত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ঝাড়খন্ড। পশু তো দূরের কথা, মানুষের জন্যই পানি পাওয়া দুষ্কর।

এমন অবস্থায় কিছুদিন আগে এক বন্ধুর কাছ থেকে ৭৫ হাজার রুপি ধার করে দীলিপ। ভেবেছিলো, এই টাকা দিয়ে গ্রামের বাড়িতে গভীর কূপ খনন করে পরিবারের পানির সমস্যা দূর করবে। কিন্তু ৭০০ ফুট পর্যন্ত খনন করার পরও পানির দেখা পাওয়া যাচ্ছিল না। দীলিপের বাবা নরেশ গোপ বলে, ‘দীলিপ আমার কাছে জানতে চায়, পানি পাওয়া গেছে কি না? আমি তাকে জানাই যে পাওয়া যায়নি। সে রেগেমেগে তার মোবাইল ফোনটি মাটিতে ছুড়ে ফেলে দিয়ে চলে যায়।’

এর পর পরিবারের সদস্যরা ভেবেছিলো, রাগ ঠান্ডা হলে ফিরে আসবের দীলিপ। কিন্তু রাত হয়ে যাওয়ার পরও যখন সে ফিরে এলেন না, তখন দুশ্চিন্তা শুরু হলো পরিবারের সদস্যদের। এর পর দীলিপকে খুঁজতে শুরু করলো তারা।

মঙ্গলবার ভোরে গ্রামের এক কিশোরী পানির সন্ধানে যখন ওই কূপের কাছে গেল, তখন কূপের ভেতরে তার চোখে পড়ে দীলিপের মরদেহ। যে কূপ খুঁড়ে পানি বের করতে চেয়েছিলো, সেই কূপে লাফ দিয়েই আত্মহত্যা করলো দীলিপ। (খবরের সূত্র: http://goo.gl/Y7iYoZ)

আসলে শুধু দীলিপ নয়, গোটা ভারতই নিজের কুয়ায় নিজে পড়েছে। ভারত চেয়েছিলো বাঁধ দিয়ে আমাদের পানির অধিকার কেড়ে নিতে, বাংলাদেশকে পানির অভাবে মরুভূমি বানাতে। কিন্তু পরের জন্য কূপ খুঁড়লে সে কুয়ায় নিজেকেই পড়তে হয়। তারই প্রমাণ হলো ভারতের সাম্প্রতিক খরা।

এরকম আরও সংবাদ প্রতিনিয়ত ছাপা হচ্ছে সংবাদমাধ্যমগুলোতে। ভারতে ভয়াবহ খরার স্বীকার হচ্ছে ৩৩ কোটি মানুষ। যা দেশটির মুল জনসংখ্যার ২৫ শতাংশ। খরা পরিস্থিতির কারণে চলতি বছরের প্রথম তিন মাসেই এ পর্যন্ত দেশটিতে ১১৬ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছে (আসলে প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি)। সম্প্রতি খরা ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে উত্তরাখণ্ডে শুরু হয়েছে দাবানল। লক্ষ লক্ষ গ্রামবাসী উদ্ধাস্তু হয়ে শহরে আশ্রয় নিয়েছে। ভূস্বামী হয়েছে নির্মাণশ্রমিক। (http://goo.gl/FTLUit)

এ জন্য মুসলমানদের উচিত বেশি বেশি করে খুশি প্রকাশ করা, আরো বেশি বেশি করে দুয়া করা যেন আল্লাহ পাক মুশরিক হিন্দুদের উপর আপতিত আযাব-গযব আরো বহুগুণে বাড়িয়ে দেন। ক্রুসেডের ইতিহাসে রয়েছে যে, ফ্রেন্স, জার্মান, রোমান তিন বাহিনীর প্রধান এসে দামেস্কের অদূরে হাতিমের ময়দানে উপস্থিত হয় সালাউদ্দিন আইয়ুবী রহমতুল্লাহি আলাইহির সাথে ক্রুসেডের ৩য় যুদ্ধের জন্য। ৩টি ফ্রন্টে নৌ বাহিনী ভূমধ্যসাগরে, অশ্বারোহী বাহিনী ও পদাতিক বাহিনী হাজির আংকারা সিরিয়া হয়ে ।

ইতিমধ্যে খবর আসে খ্রিস্টান বাহিনী রীতিমতো বিশাল, প্রায় অনুপাত ৫ঃ১। এদের মধ্যে পুরো শরীর বর্মে আবৃত নাইট রয়েছে প্রচুর। ইতিমধ্যে অনেকেই এই খবরে পালিয়ে গেল। মহান যোদ্ধা সালাহউদ্দিন আইয়ুবী রহমতুল্লাহি আলাইহি আল্লাহ্‌র কাছে গায়েবী মদদের জন্য দোয়া করলেন সিজদায় লুটিয়ে। রাত হল পরদিন থেকে শুরু হল বালু ঝড় আর শিলা বৃষ্টি। মুজাহিদরা নিরাপদে মসজিদে অবস্থান করলেন, দুয়া পড়তে লাগলেন।

খবর এল ক্রুসেডার শিবিরে শুরু হয়েছে মহামারী, ক্ষুদ্র এক পোকার আক্রমনে চামড়া গোশত পচে গলে যাচ্ছে , নিষেধ করা হল আল্লাহ্‌র নিয়ামত এই গায়েবী মদদের বিপরীতে কেউ যেন কাফিরদের উদ্দেশ্যে দোয়া না করে। সবাই আনন্দ শুকরিয়া আদায় করতে বলা হল।

হঠাৎ বা'পাশ থেকে চিৎকার আর্তনাদ - ঐ মুসলিম আক্রান্ত। কারণ আল্লাহ্‌র দেয়া কুফার শিবিরের উপর গায়েবী মদদের বিরুদ্ধে সে তার এক আত্মীয় ক্রুসেডারের জন্য দোয়া করেছিল (সূত্র: আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া)

সুতরাং কেউ কাফির-মুশরিকদের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে তার গযবের ভাগীদার হবেন না। আজ পবিত্র শবে মিরাজ শরীফ, দুয়া কবুলের খাছ রাত। এই রাতে সবাই দুয়া করুন, যেন আল্লাহ পাক যমীন থেকে এই হিন্দু মুশরিক সহ দুনিয়ার সমস্ত কাফির মুশরিকদেরকে নিশ্চিহ্ন-বিলীন করে দেন। আমীন।

Post a Comment

 
Top