অধিকাংশ পাঠকই ছবির ক্যাপশনের সাথে দ্বিমত পোষণ করবেন। কারণ তারা কোহলি-ধোনির বিষন্ন চেহারাটি সম্পর্কে জানে, তারা জানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ভারতের হারের পর বাংলাদেশের মানুষ রাস্তায় মিছিল বের করেছিলো। অধিকাংশ মানুষ এটিকে ‘ভারত হেরে গেছে’ হিসেবেই মেনে নিতে আগ্রহী। ‘হিন্দু হেরে গেছে’ এভাবে বললেই মানুষ বলবে ‘আপনি সাম্প্রদায়িক’।

আসলে সত্যি বলতে কী, আমিও ভারতের ক্রিকেট টীমের হারকে গুরুত্ব দিতে রাজি নই। এ কারণেই আমি ভারতীয় ক্রিকেট টীমের ছবি নীচে রেখেছি, উপরে রেখেছি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের মিষ্টি খাওয়ার ছবি। কেন তারা মিষ্টি বিতরণ করছে, জানেন পাঠকেরা? গত ২৮শে মার্চ এদেশে হাইকোর্টে সংবিধানের ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’কে বহাল রাখা হয়, বাতিল করা হয় ১৯৮৮ সালে করা রাষ্ট্রধর্মের বিরুদ্ধে রিট পিটিশনটি। (http://banglamail24.com/news/142126)

২৮ বছর আগে ১৫ জন উগ্র হিন্দু ও নাস্তিক মিলে এই রিটটি করেছিলো। রিটের উকিল ছিলো হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা সুব্রত চৌধুরী, যার ছবি কোহলি-ধোনির উপরে দেয়া হয়েছে। হাইকোর্ট যখন রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখে, তখন সে কাঁদো কাঁদো স্বরে সাংবাদিকদের কাছে পুরো ঘটনাটির বিবরণ দেয়। (https://goo.gl/7Ns8Os)

তার গলার স্বর শুনেই বোঝা যায় যে, তারা হেরে গিয়েছে। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ হেরে গিয়েছে, ১৯৮৮ সালে যাদের জন্ম হয়েছিলো ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ এর বিরোধিতা করার জন্য। বিপরীতে জিতে গিয়েছে ৯৮ শতাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানরা, জিতে গিয়েছে গোটা বাংলাদেশ। অর্থাৎ হিন্দু হারলে, জিতে যায় বাংলাদেশ। বিপরীতে হিন্দু জিতলে যে বাংলাদেশ হেরে যায়, এটাও কিন্তু ঐতিহাসিক সত্য। স্কুলে আমরা বঙ্গভঙ্গের ইতিহাস পড়েছি। ১৯০৬ সালে ‘বঙ্গভঙ্গ’ করার মাধ্যমে বর্তমান বাংলাদেশকে কলকাতা থেকে আলাদা প্রশাসনিক সেক্টরে পরিণত করা হয়, যার ফলে এদেশ কলকাতার শোষণ থেকে মুক্ত হয়ে উন্নতির পথে এগিয়ে যাওয়ার বিরাট সুযোগ পায়।

কিন্তু হিন্দুরা একে নেয় তাদের পরাজয় হিসেবে, কারণ ‘বঙ্গভঙ্গ’ এর ফলে তারা বাংলাদেশকে শোষণ করার সুযোগ হারায়। এই ‘বঙ্গভঙ্গ’ রদ করতে হিন্দুরা নানা জায়গায় বোমা হামলা, সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রম চালাতে থাকে। ফলে ব্রিটিশরা বাধ্য হয়ে ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ করে দেয়। এ ঘটনায় হিন্দুরা বিজয়ী হয়, হেরে যায় বাংলাদেশ।


অর্থাৎ হিন্দুরা হারলে যে বাংলাদেশ জিতে যায়, বিপরীতে হিন্দুরা জিতলে যে বাংলাদেশ হেরে যায়, এটাই ঐতিহাসিক প্রমাণিত সত্য। সুতরাং বাংলাদেশের মুসলমানরা যদি তাদের দেশকে বিজয়ী দেখতে চায়, তবে অবশ্যই তাদেরকে হিন্দুদের পরাজয় কামনা করতে হবে। হিন্দুদেরকে পরাজিত না করে বাংলাদেশকে বিজয়ী করার কোন রাস্তা এখন দেশপ্রেমিক জনতার সামনে খোলা নেই।

(পরিশিষ্ট: যারা ভারতের হারকে হিন্দুর হার বলে মানতে রাজি নন, তারা এই লিঙ্কে গেলে (https://goo.gl/UHLFon) দেখতে পারবেন যে এদেশের হিন্দুরা ভারতের হারকে নিজের হার বলেই মনে করেছে। সুতরাং এরপরও আপনি যদি ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মতো হিন্দুপ্রীতি দেখাতে যান, সেক্ষেত্রে আপনার জন্য করুণা রইল।)

Post a Comment

 
Top