কয়েকদিন আগে কুড়িগ্রামে হোসেন আলী (৬৫) নামক এক ধর্মান্তরিত খ্রিস্টানকে খুন করা হলো। পত্রিকাগুলো হেডিংয়ে বারবার ‘ধর্মান্তরিত’ শব্দ লাগিয়ে খবরটি প্রচার করছে, যেন ধর্মান্তরিত হওয়ার কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। (http://goo.gl/7cSo6X)
এখন বিষয়টি হলো, ঐ ব্যক্তিটি ধর্মান্তরিত হয়েছে আজকে কালকে নয়, সেই ১৯৯৯ সালে। এই ২০১৬ সালে এসে কয়জন লোক ১৯৯৯ সালের ঘটনা মনে রাখতে পারে? আজকে যারা ফেসবুক চালায়, তাদের অনেকেরই হয়তো তখনও জন্মও হয়নি।
সাধারণ লোকের পক্ষে এসব তথ্য কোনভাবেই যোগাড় করা সম্ভব নয়, কিন্তু বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর পক্ষে তা সম্ভব। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে কোন কোন ধর্মান্তরিত কিংবা বিদেশী ব্যক্তি বাস করে, সেটা চিহ্নিত করে তাদেরকে হত্যা করতে পারলেই সরকারকে চাপে ফেলা যাবে। তখন সরকারও বাধ্য হবে দেশ থেকে ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ তুলে দিতে।
অনেকেই হয়তো বিশ্বাস করতে চাইবে না, কিন্তু এটি আমার কথা নয়। এটি ভারতের পত্রিকা ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’র মন্তব্য। সেখানে বলা হয়েছে যে, Bangladesh may drop Islam as country's official religion following attacks on minorities অর্থাৎ সংখ্যালঘুদের উপর হামলার চাপ সামাল দিতেই সরকার ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ তুলে দিচ্ছে। (http://goo.gl/gptNN1)
এখন ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বাতিল কারা চায়? সোজা উত্তর, ভারত ও এদেশে বসবাসকারী হিন্দুরা। অর্থাৎ কোন সন্দেহ নেই যে, পঞ্চগড়ে হিন্দু পুরোহিত, কুড়িগ্রামে ধর্মান্তরিত খ্রিস্টান এদের হত্যার কাজটি হিন্দুরাই করেছে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের লক্ষ্যে্। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ই এসব কাজ করেছে। লক্ষ্য করার মতো বিষয় হলো, কুড়িগ্রাম কিংবা পঞ্চগড় এগুলো একদম ভারতের পাশ্ববর্তী সীমান্তবর্তী অঞ্চল। এসব অঞ্চলে ভারত থেকে অহরহ লোকজন পায়ে হেঁটে যাওয়া-আসা করে। সুতরাং এটা খুবই সম্ভব যে, ভারত থেকে সরাসরি ‘র’ এর কিলার এসে নির্দিষ্ট টার্গেটকে হত্যা করে ফের ভারতে চলে গিয়েছে।
কুমিল্লায় সম্প্রতি তনু হত্যার ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। কুমিল্লা থেকে সরাসরি বর্ডার ক্রস করে ভারতের ত্রিপুরায় প্রায়ই লোকজন আসা-যাওয়া করে থাকে। এখানেও ‘র’ এর বিশেষায়িত কিলার স্কোয়াড দিয়ে কাজটি করা হয়েছে। তনু হত্যার কাজটি করা হয়েছে মূলত ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ তুলে নেয়া, ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকা চুরি প্রভৃতি ইস্যু থেকে পাবলিকের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে। কারণ দেখুন, তনু হত্যার ইস্যু নিয়ে কিন্তু তসলিমা নাসরিনও কলাম লিখেছে। তসলিমা যেখানে হাত দিয়েছে, সেখানে ভারতীয় গোয়েন্দাদের হাত থাকবেই। কারণ তসলিমা নিজেই ‘র’ এর এজেন্ট। (http://goo.gl/nkDUY0)
এমতাবস্থায় মুসলমানদের উচিত ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ ইস্যুতে শক্ত থাকা। কারণ বাকি যা-ই ঘটছে, সেটা তনু হত্যা হোক কিংবা খ্রিস্টান হত্যা হোক, সবই করা হচ্ছে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের উদ্দেশ্য সফল করারই লক্ষ্যে। বিশেষ করে তনু হত্যা একটি সুস্পষ্ট ডাইভার্শন, যা থেকে মুসলমান জনগণের সতর্ক হওয়া উচিত এবং একমাত্র ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে সর্বশক্তি নিয়োগ করা উচিত।

Post a Comment

 
Top