সম্প্রতি ভারতের বিহারে নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেখানকার জনমানুষের প্রধান পানীয় ‘মদ’। ‘মদ’ নিষিদ্ধ হওয়ার কারণে সেখানে বহু মন্দিরের কার্যক্রম থেমে গিয়েছে। কারণ সেসব মন্দিরে দেবতার ‘ভোগ’ হিসেবে দেয়া হয় তাড়ি এবং দেশী মদ। বিহারে অবস্থিত হিন্দুদের প্রধান তীর্থস্থান ‘গয়া’র ব্রাহ্মণ পুরোহিতরা এজন্য পড়েছে বিপাকে। মদ না থাকায় ভক্তরা সেখানে আর যাচ্ছে না। (http://goo.gl/IV0CYG)
অর্থাৎ হিন্দুরা তাদের পূজা-অর্চনার যা ব্যাখাই দিক না কেন, মূল বিষয় হলো মদ খাওয়া। মদ নেই, তো পূজা নেই। হিন্দুয়ানী কিংবা পৌত্তলিক সকল কালচারেরই মূল চালিকাশক্তি হলে এই মদ, মহিলা এবং জুয়া। আইয়ামে জাহেলিয়াতের ইতিহাসেও আমরা ঠিক এমনটিই দেখতে পাই।
ঠিক সেভাবেই আমাদের দেশে বর্তমানে যে পহেলা বৈশাখ হচ্ছে, এর পেছনে যতো ‘সংস্কৃতি’র দোহাই দেয়া হোক না কেন, এখানে মূল কথা হলো ‘মেয়ে দেখা’। ভার্সিটি লেভেলে সহপাঠীদের মনোভাব দেখেছি, তাদের মূল কথাই ছিলো ‘মেয়ে দেখতে’ পহেলা বৈশাখে টিএসসিতে যেতে হবে। সংস্কৃতি-টংস্কৃতি এসব ফাও কথা, মূল কথা হলো মেয়ে দেখা।
এ কারণেই এসব উৎসবকে বলা হয় ‘সার্বজনীন’ উৎসব। কারণ মানুষে মানুষে ধর্মের পার্থক্য থাকলেও শয়তানির বিচারে কোন পার্থক্য নেই। নামায-রোযা কখনো সার্বজনীন হতে পারে না, কিন্তু মদ খাওয়া হতে পারে সার্বজনীন। সংস্কৃতি নয়, বরং বাঙালি মুসলমানের চারিত্রিক অবনতিই বর্তমানে পহেলা বৈশাখ, দুর্গাপূজা সহ যাবতীয় হিন্দুয়ানী ও পৌত্তলিক অনুষ্ঠানের বাড়বাড়ন্তের মূল কারণ ।

Post a Comment

 
Top