বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ফার্মে কেন ম্যানেজারিয়াল পোস্টে হিন্দু নিয়োগ দেয়া হয়, তা নিয়ে চমকপ্রদ একটি তথ্য তুলে ধরা হয়েছিলো ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে। তাতে বলা হয়েছিলো যে, এদেশে একজন মুসলমান অন্য মুসলমানকে আঘাত করলে তা হয় নরমাল কেস। কিন্তু একজন মুসলমান যদি অন্য একজন হিন্দুর অন্যায়ের প্রতিবাদ করে, তখন তা হয় ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’।বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা এই ফায়দাটাই নেয়। তারা ম্যানেজারিয়াল পোস্টে হিন্দু বসিয়ে দেয়, যেন তার প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা কোনপ্রকার অসন্তোষ প্রকাশ বা বিদ্রোহ করতে না পারে। কারণ করলেই তা হয়ে যাবে ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’। (https://youtu.be/rLbrPq4-UwA?t=5m5s)

অর্থাৎ আমাদের দেশে হিন্দুরা যে এখন মুসলমানদের উপর ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’ এর ছুতোয় দানবীয়ভাবে চড়াও হচ্ছে, এর পেছনে দায়ী আসলে মুসলমানরাই। এদেশের ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠান মালিকেরা যখন তার প্রতিষ্ঠানের মুসলমানদের দাবাতে হিন্দু নিয়োগ দেয়, তখন সে ভুলে যায় যে সে নিজেও একজন মুসলমান। সে ভুলে যায় যে, তার নিয়োগকৃত হিন্দুটি মুসলমান কর্মীদের ন্যায় তার বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র করতে পারে। বলাবাহুল্য, হিন্দুরা তা করেও। বহু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক পথের ফকির হয়েছে হিন্দুদের হাতে তাদের ব্যবসার ভার তুলে দিয়ে।

অবশ্য এটাই স্বাভাবিক, কারণ দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা কেউ দেয় না। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান দেশে জন্ম নেয়ার কারণে এদেশের মুসলমানরা তাদের দ্বীন ইসলাম ‘ফ্রী’তে পেয়েছে। চাইলেই মাইকে আযান দিতে পারে, চাইলেই গরু কুরবানী করতে পারে বলে এদেশের মুসলমানরা ইসলামের মূল্য দিচ্ছে না। এ জন্যই তাদের মধ্যে ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার টাইপের বিলাসিতা দেখা যায়, প্রশাসন ও ব্যfবসা প্রতিষ্ঠানে হিন্দু নিয়োগ দেয়ার বিলাসিতা দেখা যায়। যদি এদেশের মানুষের অবস্থা কাশ্মীর কিংবা সিকিমের মতো হতো, তাহলে তাদের এ্সব ‘অসাম্প্রদায়িক’ বিলাসিতা হাওয়ায় উড়ে যেতো হিন্দুদের জুতার বারি খেয়ে।

ভারতের জেএনইউর বিক্ষোভে কানহাইয়া কুমার, উমর খালিদ এদের কথা অনেকেই শুনেছেন। বিজেপি সরকার এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছিলো। বিশেষ করে বামপন্থী ছাত্রনেতা উমর খালিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ায় সে মন্তব্য করেছিলো- “গত সাত বছর ধরে সে জেএনইউ-এর সঙ্গে জড়িত। এত বছরে এই প্রথম গত দশদিন ধরে নিজেকে মুসলমান বলে মনে করানো হয়েছে।” (http://goo.gl/htGoHe)

অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলা ট্রিবিউন এ নিয়ে রিপোর্ট করেছে যে-“কখনও ইসলাম চর্চা করেনি 'গর্বিত রাষ্ট্রদ্রোহী’ উমর খালিদ”। (http://goo.gl/L3RA6U)

চিন্তা করুন পাঠকেরা, যে বামপন্থী উমর খালিদ গত ৭ বছরে নামায-কালাম কোনকিছুর ধার ধারেনি, তাকে হিন্দু বিজেপি সরকার রিমান্ডে নিয়ে ডান্ডার বাড়ি দিয়ে মনে করিয়ে দিয়েছে যে, সে একজন মুসলমান। আজকে যারা নিজের মুসলমান পরিচয়কে অবহেলা করে ‘পহেলা বৈশাখ’ সহ অন্যান্য হিন্দুয়ানী অনুষ্ঠান নিয়ে মত্ত হয়ে রয়েছে, তারাও তো এই উমর খালিদের মতোই ‘উদার’ ও ‘অসাম্প্রদায়িক’ হতে গিয়ে হিন্দুদেরকে প্রাধান্য দিচ্ছে। বাংলাদেশের মুসলমানের হিন্দু নিয়োগের বিলাসিতা, হিন্দু অনুষ্ঠান পালনের বিলাসিতার কারণে যখন এই বাংলাদেশ কাশ্মীর-সিকিম হবে, তখন উমর খালিদের মতো তাদেরকেও জুতার বাড়ি দিয়ে হিন্দুরা মনে করিয়ে দিবে যে, তারা মুসলমান।

বাঙালি মুসলমান এখন ‘ফ্রী’তে ইসলাম পেয়ে ইসলামী নিয়মকানুনের গুরুত্ব দিচ্ছে না, হিন্দুয়ানী কালচারে মশগুল হচ্ছে। পরে এর জের ধরে যখন হিন্দুরা সবকিছু দখল করে নিবে, কেড়ে নিবে তাদের ইসলামী অধিকার, তখন এদেশের মানুষ ইসলামের গুরুত্ব বুঝতে পারবে। তখন তারা ইসলামী নিয়ম ফিরে পেতে হাহাকার করবে। তখন তারা মাইকে আযান দিতে ব্যাকুল হবে, গরু জবাই করতে গিয়ে আখলাকের মতো খুন হবে। তখন তারা আফসোস করবে,

কেন হিন্দুদেরকে বড় বড় পদ দিয়েছিলাম!
কেন পহেলা বৈশাখ পালন করেছিলাম!
কেন দুর্গাপূজায় গিয়েছিলাম!

কিন্তু সেই আফসোসে তখন আর কোনই কাজ হবে না।

Post a Comment

 
Top