গত বুধবার রাতে নাজিমউদ্দীন সামাদ নামে সিলেটি এক নাস্তিক পুরান ঢাকায় খুন হলো। স্বাভাবিকভাবেই খুন করার দায় এদেশের মুসলমানদের উপর চাপিয়ে নাস্তিকেরা ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু সমসাময়িক ঘটনা বলছে, এদেশের মুসলমানদের দ্বারা ইসলামকে কটূক্তি করার দায়ে কাউকে হত্যা করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
অনেকেই হয়তো বিষয়টিকে প্রশংসা হিসেবে নিবেন। কিন্তু না, এটি প্রশংসা নয়, এটি তিরষ্কার। কয়েকদিন আগেই সিলেটের শাহজালাল ইউনিভার্সিটিতে একটি ঘটনা আমাকে এরূপ ভাবতে বাধ্য করেছে। ঘটনাটি হলো, সিলেটের শাহজালাল ভার্সিটির শাহপরান হল ক্যান্টিনে ধনি রাম রায় নামে হিন্দু ছাত্র বেধড়ক পেটায় ক্যান্টিন মালিক কামাল আহমেদকে। ধনি রাম রায়কে নাকি মাছের জায়গায় গরুর গোশতের সুরুয়া দেয়া হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে সে ক্যান্টিন মালিককে পিটিয়ে চোখে, কানে, গালে ও ঘাড়ে ব্যাপক আঘাত করে। কামাল সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পুরুষ বিভাগের ৯নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছে।
পাঠক! এটা বাংলাদেশের অন্য কোন জায়গা হলেও কথা ছিলো। এটা খোদ সিলেটের ঘটনা, যেখানকার মুসলমানরা নিজেদেরকে দাবি করে হযরত শাহজালাল রহমতুল্লাহি আলাইহির উত্তরসূরী হিসেবে। যেই হযরত শাহজালাল রহমতুল্লাহি আলাইহি গরু জবাইয়ের অধিকার লাভ করতে গৌরগোবিন্দকে পরাজিত করেছিলেন, সেই শাহজালাল ভার্সিটিতে এক সামান্য হিন্দু গরুর গোশতের ইস্যু তুলে মুসলমান ক্যান্টিন মালিককে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিলো, অথচ আশেপাশের মানুষ কিছুই করলো না!
আপনার কী এরপরও মনে হয়, এসব নপুংসক জনসাধারণের মধ্যে কাউকে নিয়ে ‘নাস্তিক হত্যা’ সম্ভব? লজ্জা! লজ্জা! সিলেটের মুসলমানদের জন্য। আরও লজ্জার বিষয় হলো, এই ঘটনার পর হিন্দুরা প্রভোস্টকে উল্টো স্মারকলিপি দিয়ে আহত ক্যান্টিন মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছে। স্মারকলিপিতে হিন্দু ছাত্রলীগকর্মী মোহন রায় লিখেছে “আমরা হিন্দু সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মাতার (গোমাতা) দুধ পান করি কিন্তু তার মাংস খেতে পারিনা।”
খোদ সিলেটের বুকে মুসলমান পিটিয়ে এখন গোমাতার হয়ে স্মারকলিপি দিচ্ছে হিন্দুরা। সিলেটের লোকজনের লজ্জাশরম থাকলে তারা এতক্ষণে মুখ দেখাতে পারতো না। পরিশেষে এটুকুই বলবো, তা হলো দিল্লীর উপকণ্ঠে দাদরিতে ফ্রিজে রাখা খাসির গোশতকে গরুর গোশত বানিয়ে মুহম্মদ আখলাককে পিটিয়ে মারার কথা আমরা জানি। এখন সিলেটের মতো একটি স্থানে, হযরত শাহজালাল রহমতুল্লাহি আলাইহির পবিত্র নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়ে এক চ্যাংড়া হিন্দু স্টুডেন্ট মাছের সুরুয়াকে গরুর সুরুয়া বানিয়ে ক্যান্টিন মালিককে পেটালো, কোন মিল পাচ্ছেন কী পাঠকেরা? এদেশের মুসলমানদের ঘুমিয়ে থাকার অবকাশ নেই, কারণ দাদরি এখন কড়া নাড়ছে তাদেরই দোরগোরায়। আজ হোক কাল হোক, তাদের পাশের বাসার হিন্দুটিই দাদরির হিন্দু হবে, বাংলাদেশের মুসলমানদের মার খেতে হবে মুহম্মদ আখলাকের মতোই। কারণ মুসলমানরা আজ ঈমান-আমল সব খুইয়ে নপুংসক হয়ে বসে রয়েছে।

Post a Comment

 
Top