কওমের ডালভাতকে এখন অবজ্ঞা করা হচ্ছে আওয়ামী বিরিয়ানীর স্বাদ পেয়ে...

<p dir="ltr">কিছুদিন আগে কওমি মাদ্রাসার সনদ নিয়ে একটি লেখা পড়েছিলাম ফেসবুকে। তারা কওমি মাদ্রাসার সনদের বিনিময়ে ৫ই মে এর বিষয়টি আপোষ করেছে, এই বিষয়টি তুলে ধরলেই তারা বলে 'আমাদের বিষয় আমরা বুঝবো", 'মায়ের চেয়ে মাসীর দরদ বেশি, না?', 'সুযোগসন্ধানী ফিতনাবাজ'। 'রক্তও দিয়েছি আমরা, সনদ আর স্বীকৃতিও আমাদের। তোমাদের বাইরের লোকের এতো মাথাব্যাথা কেন?’ (http://bit.ly/2ye1DBp)</p> <p dir="ltr">উল্লেখ্য, আমার বিগত লেখাটিতেও এধরণের কিছু কমেন্ট এসেছে। একজন ভুলভাল বানানে লিখেছে </p> <p dir="ltr">// #আজ কাল দেখতেচি মায়ের চেয়ে (মামির) দরদ টা একটু বেসি।<br> আজ যারা কওমীর আলেমদের নিয়ে এত সমলছনা করছে,এর আগেতো কখনো দেখিনি তোমাদের মাঝে তাদের জন্য সরিষা পরিমান ভালবাসা।<br> একটা প্রবাদ আমাদের সকলেরই জানা <br> ( শাসন করা তারই সাজে সোহাগ করে যে) তোমাদের কাছেতো ভাল কিচুই পাইনি তাহলে তোমরা সমলছনা করার অধিকার পাইলা কৈ?//</p> <p dir="ltr">উল্লেখ্য, কওমি মাদ্রাসাগুলো তাদের নামের সাথে যে ‘কওম’ শব্দটা লাগায়, তার মূল কারণ তাদের মাদ্রাসার মূলনীতি হচ্ছে সরকারের থেকে তারা কোনো সহযোগিতা নেবে না, কওম তথা সম্প্রদায়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে, যাকাত-ফেতরা নিয়ে, কুরবানীর চামড়া নিয়ে তারা তাদের ব্যয় মেটাবে। গ্রামাঞ্চলে এই মাদ্রাসা ছাত্রদের দিয়ে বিভিন্ন বাড়ি থেকে চাল, পাটখড়ি যোগাড় করার কাজও করানো হয়। </p> <p dir="ltr">একটি পোস্ট ফেসবুকে দেখেছিলাম, সেখানে দেখানো হয়েছিল একটি অবস্থাপন্ন পরিবারের ছেলেকে দ্বীনি শিক্ষার জন্য স্বেচ্ছায় মাদ্রাসায় ভর্তি করানো হয়। যেহেতু অবস্থাপন্ন পরিবারের সন্তান, সেহেতু অভিভাবকেরা বলে দিয়েছিল যেন তার ছেলেকে দিয়ে পাটকাঠি যোগাড় করানোর মতো কাজ না করানো হয়। শুরুতে বলে নেয়ার পরও সেই ছেলেকে পাটকাঠি যোগাড় করার জন্য জোর করা হয় এবং ছেলেটি তা করতে না চাইলে তাকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়। (http://bit.ly/2RpTQcj)</p> <p dir="ltr">অর্থাৎ তারা এতোদিন কওমের ডালভাত খেয়ে, চামড়া থেকে শুরু করে পাটকাঠি যোগাড় করেও দিন গুজরান করেছে। এখন আওয়ামী সনদ পেয়ে তাদের পাখনা গজিয়েছে, তাই সেই কওম এখন ‘বাইরের লোক’ হয়ে গিয়েছে। কওমের উদ্দেশ্যেই তারা এখন আস্ফালন প্রকাশ করছে এই বলে যে </p> <p dir="ltr">“তোমাদের কাছেতো ভাল কিচুই পাইনি তাহলে তোমরা সমলছনা করার অধিকার পাইলা কৈ?” </p> <p dir="ltr">তা এই বিষয়টিকে কওমের সদস্যরা কিভাবে দেখবেন? ‍দুধকলা দিয়ে কালসাপ বড় করেছেন কী এতোদিন? অবশ্য ‍নিন্মশ্রেণীর লোকদের কৃতজ্ঞতাবোধ এমনিতেই কম হয়। হঠাৎ বিরিয়ানীর স্বাদ পেলে মুহূর্তেই তারা সেই অভিভাবককে অস্বীকার করতে পারে, যে কিনা তাকে এতোদিন ধরে ডালভাত খাইয়ে বড় করে এসেছিল।</p>

কওমের ডালভাতকে এখন অবজ্ঞা করা হচ্ছে আওয়ামী বিরিয়ানীর স্বাদ পেয়ে...

কিছুদিন আগে কওমি মাদ্রাসার সনদ নিয়ে একটি লেখা পড়েছিলাম ফেসবুকে। তারা কওমি মাদ্রাসার সনদের বিনিময়ে ৫ই মে এর বিষয়টি আপোষ করেছে, এই বিষয়টি তুলে...

Read more »

মসনবী শরীফে বর্ণিত ইহুদী উজিরের ঘটনা ও পূর্বতন পোস্টের প্রেমনাথ বাজাজ প্রসঙ্গে

<div class="_5pbx userContent _3ds9 _3576" data-ft="{"tn":"K"}" data-testid="post_message" id="js_can"> হযরত জালালউদ্দীন রুমী রহমতুল্লাহি আলাইহি রচিত ‘মসনবী শরীফ’ কিতাবের অধ্যায়সমূহের মধ্যে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সাথে ইহুদী উজিরের প্রতারণার ঘটনাটি উল্লেখযোগ্য বলে বিবেচনা করা হয় এবং বিভিন্ন কিতাবে এর উল্লেখ পাওয়া যায়। ঘটনাটি হচ্ছে, তৎকালীন সময়ে এক ইহুদী রাজা ছিল। সে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের উপর অনেক নির্যাতন চালাত তাদের ধর্ম ত্যাগে বাধ্য করানোর জন্য, কিন্তু তাতে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছিল না। অতঃপর তার উজির তাকে পরামর্শ দিল- “মহারাজ! খ্রিস্টানদের ধ্বংস করার জন্য উৎপীড়নের পথই যথেষ্ট নয়। কারণ ধর্ম জিনিসটা অন্তরের বিষয়। বাইরে আপনার ভয়ে খ্রিস্টানরা প্রকাশ্যে ধর্ম পালন করবে না বটে, কিন্তু গোপনে হযরত ঈসা আলাইহিস সালামকে নবী বলে মানবে আর উপাসনালয়ে প্রার্থনা করবে। আমার নিকট একটি কৌশল রয়েছে, যে কৌশল মোতাবেক কাজ করলে হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের উম্মতরা সমূলে ধ্বংস হয়ে যাবে।<br /> <br /> আপনি প্রথমে আমার দুই কান কেটে আমার একটা চোখ কানা করে প্রকাশ্যে রাজ দরবারে হাজির করে ঘোষণা দিন, উজির রাজার দরবার থেকে গোপনে হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের ধর্ম পালন করেছে আর বাইরে রাজার কাছে পরিচয় দিয়েছে নিজেকে ইহুদী বলে, তাই এ বিশ্বাসঘাতক উজিরকে শুলে চড়িয়ে হত্যা করা হবে। রাজপথে শুলের কাছে আমাকে বেঁধে রেখে রাজ্যময় এ কথা প্রচার করতে হবে। তারপর আমাকে শুলে চড়ানোর সময় রাজ পরিবারের একজন উপস্থিত জনতার সামনে আপনার কাছে আমার প্রাণ ভিক্ষা চাইবে। আপনি তৎক্ষণাৎ আমার জীবন ভিক্ষা দিয়ে মুক্তি দিবেন। তারপর আমি ঈসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে গিয়ে তাদের ধর্মগুরু সেজে বসবো। তারপর দেখতে পাবেন আমি ঈসায়ীদের কিভাবে ধ্বংস করি।”<br /> <br /> অতঃপর উপরোক্ত ষড়যন্ত্র মোতাবেক কাজ হলো। সদ্য দুই কান কাটা, এক চোখ কানা ছদ্মবেশী ইহুদী উজির রাজপ্রাসাদ ত্যাগ করে খ্রিস্টানদের ধর্মগুরুতে পরিণত হল এবং খ্রিস্টানদের যে ১২টি গোত্র ছিল, তাদের সর্দারদের প্রত্যেককে সে আলাদাভাবে একান্তে বলল যে, আমার মৃত্যুর পর তুমিই হবে খ্রিস্টানদের মূল নেতা। অতঃপর একদিন নিজ কুটিরে উক্ত ইহুদী উজির বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করল, তার মৃত্যুর পরেই খ্রিস্টানদের মধ্যে কলহ ও ফলশ্রুতিতে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ বেঁধে গেল খ্রিস্টানদের নেতৃত্ব নিয়ে। এভাবেই তারা নিজেরা নিজেরা মারামারি করে নিঃশেষ হয়ে গেল। ইহুদী উজির নিজের জীবনের বিনিময়ে খ্রিস্টানদের ধ্বংস করার চক্রান্ত সফল করল।<br /> <br /> উল্লেখ্য, ইহুদীদের এই চক্রান্ত মোতাবেক হিন্দুদের মধ্যেও এমন কিছু কুচক্রীর সন্ধান মেলে, যারা মুসলমানদের শুভাকাঙ্খী সেজে হিন্দুদের নিকট ধিকৃত হয়, শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয় এবং হত্যার শিকারও হয়। পূর্ববর্তী পোস্টে কাশ্মীরের ব্রাহ্মণদের মধ্য থেকে আগত প্রেমনাথ বাজাজের বিষয়টি আলোচনা করেছিলাম, যাকে তার নিজ সম্প্রদায় ত্যাজ্য করেছিল, এমনকি তার মুখের ওপর প্রস্রাব করে দিয়েছিল মুসলমানদের পক্ষে কথা বলার জন্য।<br /> <br /> কিন্তু এর বিনিময়ে এই প্রেমনাথ বাজাজ মুসলমানদের সহানুভূতি পেয়েছিল, যার ফলে সে মুসলমানদের প্ররোচিত করতে পেরেছিল সেক্যুলার হতে, পাকিস্তানে না গিয়ে ভারতে যোগ দিতে। যার জের এখনও কাশ্মীরের মুসলমানরা বহন করে চলেছে।<br /> <br /> নিজ সম্প্রদায়ের হাতে প্রেমনাথ বাজাজের লাঞ্ছনা, কিংবা গডসের হাতে গান্ধীর গুলি খেয়ে মরাটা মূলত মসনবী শরীফে বর্ণিত প্রাচীনকালের উক্ত ইহুদী চক্রান্তেরই আধুনিক বহিঃপ্রকাশ। তাদের এক ভট্টাচার্য উত্তরসূরী রয়েছে বাংলাদেশী মুসলমানদের বিভ্রান্ত করতে, যে প্রতিনিয়ত ফেসবুকে ইনিয়ে-বিনিয়ে বলে থাকে সে নির্যাতিত, সে বাড়ি থেকে বিতাড়িত! পাঞ্জাবী-পায়জামা আর দাড়িওয়ালা ছবি প্রকাশ করে সেই ভট্টাচার্য ব্রাহ্মণটি ইতিমধ্যে ফেসবুকে একটি বড় অংশের ধর্মগুরু সেজে বসেছে উক্ত ইহুদী উজিরটির মতো, যার পরিণতি হবে খুবই খুবই ভয়ঙ্কর।</div>

মসনবী শরীফে বর্ণিত ইহুদী উজিরের ঘটনা ও পূর্বতন পোস্টের প্রেমনাথ বাজাজ প্রসঙ্গে

হযরত জালালউদ্দীন রুমী রহমতুল্লাহি আলাইহি রচিত ‘মসনবী শরীফ’ কিতাবের অধ্যায়সমূহের মধ্যে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সাথে ইহুদী উজিরের প্রতারণার ঘ...

Read more »

শেরে বাংলা বনাম শেরে কাশ্মীরঃ নেতা বড়, না আদর্শ বড়?

<span aria-live="polite" class="fbPhotosPhotoCaption" data-ft="{"tn":"K"}" id="fbPhotoSnowliftCaption" tabindex="0"><span class="hasCaption"><img alt="Image may contain: 1 person, closeup and indoor" aria-busy="true" class="spotlight" src="https://scontent.fdac22-1.fna.fbcdn.net/v/t1.0-9/70185162_1269944946516988_3814518244086120448_o.png?_nc_cat=110&_nc_eui2=AeFZxn5mYD6gc8-C9wZklkGgF-x_V5Cn-U8S3BrEuMi7TzPhoAjJMN7QezNfB_MykjPd5HTDGr9WPdBJJL5HeOFJ3t2aCxiFKzEarIMsWH8mIw&_nc_oc=AQmDAgAXnmAwnVihQYG_KK3RVRHGVDGG8KZsDujZxDa1W7mSao8p-PbFkEEFvG3wTMk&_nc_ht=scontent.fdac22-1.fna&oh=3cd9d4eac3aaf365002f67e9c83fc0f4&oe=5DF4D055" style="height: 660px; width: 1438px;" /> </span></span><br /> <br /> <span aria-live="polite" class="fbPhotosPhotoCaption" data-ft="{"tn":"K"}" id="fbPhotoSnowliftCaption" tabindex="0"><span class="hasCaption">আমার কাশ্মীর নিয়ে পূর্ববর্তী পোস্টগুলোতে একটি মন্তব্য করেছি যে, ব্রিটিশ আমলের প্রেক্ষিতে বাংলা ও কাশ্মীরের মুসলমানদের ইতিহাসের মিল খাপে খাপ। ব্রিটিশ কর্তৃক বাংলাকে যেমন হিন্দুদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছিল, ঠিক তেমনি দেয়া হয়েছিল কাশ্মীরকে। বাংলায় হিন্দুরা যেমন ক্ষমতা পেয়েই মুসলমান নির্যাতন শুরু করেছিল, কাশ্মীরে তা ছিল আরো বেশি ভয়ানক। কারণ বাংলায় হি<span class="text_exposed_show">ন্দুরা মুসলমান নির্যাতন করত ব্রিটিশদের প্রতিনিধি হিসেবে জমিদারী লাভ করে, সরাসরি শাসক তারা ছিল না। বিপরীতে কাশ্মীর ছিল ‘প্রিন্সলি স্টেট’ হিসেবে সরাসরি ব্রিটিশ নিয়োজিত হিন্দু রাজার অধীন। কাশ্মীরের হিন্দু শাসকেরা সরাসরি সৈন্য ব্যবহার করে ব্যাপকহারে মুসলিম গণহত্যা চালিয়েছিল ব্রিটিশ আমলে। বাংলায় হিন্দু জমিদাররা পেয়াদা-লাঠিয়াল দিয়ে মুসলিম নির্যাতন করলেও, সরাসরি সৈন্যবাহিনী তাদের ছিল না।<br /> <br /> ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক ব্লগ ‘ইস্টিশন’ একটি ভিডিও বানিয়েছিল ভারতে মুসলিম নির্যাতন নিয়ে, যার ম্যাক্সিমামই হচ্ছে কাশ্মীরে ব্রিটিশ নিয়োজিত রাজা গুলাব সিং ও তার পুত্র রণবীর সিংয়ের মুসলিম গণহত্যা নিয়ে। (</span></span></span><span aria-live="polite" class="fbPhotosPhotoCaption" data-ft="{"tn":"K"}" id="fbPhotoSnowliftCaption" tabindex="0"><span class="hasCaption"><span class="text_exposed_show"><span dir="ltr"><span class="_3l3x"><a class="" data-hovercard="/ajax/hovercard/user.php?id=476856486452095" href="https://www.facebook.com/istishon/videos/476856486452095/?hc_location=ufi">https://www.facebook.com/istishon/videos/476856486452095/</a></span></span>)<br /> <br /> বাংলায় মুসলিম নির্যাতনের বিরুদ্ধে দৃপ্ত কণ্ঠস্বর হিসেবে উঠে এসেছিলেন শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, যার নেতৃত্বে কৃষক-প্রজা পার্টি ও মুসলিম লীগের কোয়ালিশন করে বাংলার মুসলমানরা সর্বপ্রথম বেঙ্গল প্রভিন্সে ক্ষমতায় আরোহন করেছিল। শেরে বাংলা শুধু বাংলার মুসলমানদের ক্ষমতাই দেননি, তিনি লাহোরে পাকিস্তান প্রস্তাবও রেখেছিলেন। মুসলিম লীগ ও কৃষক প্রজা পার্টির সমন্বয়ে শেরে বাংলার নেতৃত্বে বাংলার মাটি ভবিষ্যতের পাকিস্তান রাষ্ট্রের সূতিকাগার হয়ে উঠে।<br /> <br /> কিন্তু এই শেরে বাংলা-ই একপর্যায়ে বিগড়ে যান, মুসলিম লীগের সাথে কোয়ালিশন ভেঙে দিয়ে কট্টর হিন্দু শ্যামাপ্রসাদের ‘হিন্দু মহাসভা’ দলের সাথে কৃষক-প্রজা পার্টির কোয়ালিশন করেন তিনি। এই শ্যামাপ্রসাদকে নিশ্চয়ই পাঠকেরা অনেকেই চেনে, ভারতের বিজেপি দলটির প্রতিষ্ঠাতাদের একজন সে। শেরে বাংলা এই শ্যামাপ্রসাদকে সাথে নিয়েছিল তার শিক্ষক আশুতোষের ছেলে হিসেবে, যদিও সে সবসময়ই ছিল কট্টর মুসলিমবিদ্বেষী।<br /> <br /> আসলে উপমহাদেশের মুসলমানদের মাথায় ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে ‘সব হিন্দু খারাপ নয়’, এটাই যতো নষ্টের গোড়া। এদেশের মুসলমানরা তাদের হিন্দু প্রতিবেশী, কলিগ, স্যারের ছেলে অমুক-তমুক সুতা টেনে হিন্দুদের চাকরি থেকে শুরু করে বিভিন্ন সুযোগসুবিধা দিয়ে থাকে, যেমনটি দিয়েছিল একে ফজলুল হক। একারণে চট্টগ্রামে হিন্দুরা মুসলমান বাচ্চাদের প্রসাদ খাওয়ালেও সেখানকার স্থানীয় মুসলমানেরা হিন্দুদের বিরুদ্ধে কিছু্ই করতে পারেনি, বা করতেও চায়নি।<br /> <br /> কিন্তু শেরে বাংলা বিগড়ালে কি হবে, বাংলার শিক্ষিত মুসলমান যুবকরা তীরে এসে তরী ডুবাতে রাজি ছিল না। তারা মুসলিম লীগের সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলে ‘শ্যামা-হক মন্ত্রিসভা’র বিরুদ্ধে। শ্যামাপ্রসাদের সাথে জোট করার এক বছরের মাথায় ১৯৪২ সালে শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। শুধু তাই-ই নয় পরবর্তী ১০ বছর, তথা ব্রিটিশ আমল শেষ হয়ে পাকিস্তান আমলে গিয়ে ১৯৫৩ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের আগপর্যন্ত এই শেরে বাংলাকে বাংলার রাজনীতিতেই নিষ্ক্রিয় ও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে থাকতে হয়! <br /> <br /> অর্থাৎ এতোবড় জাঁদরেল নেতার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারকে সাময়িক হাইবারনেশনে পাঠিয়ে দিয়েছিল আমাদের বাঙালি মুসলমানদের পূর্বপুরুষেরা, শ্যামাপ্রসাদের ন্যায় কট্টর হিন্দুর সাথে জোট করার অপরাধে। শেখ মুজিবের আত্মজীবনীতেও এর উল্লেখ রয়েছে, যিনি ছিলেন সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে ফজলুল হকের বিরুদ্ধে। <br /> <br /> এখন শেরে বাংলার মতো ‘শেরে কাশ্মীর’ নামেও একজন ছিল, সে হচ্ছে নেহরুর সহযোগী বিশ্বাসঘাতক শেখ আব্দুল্লাহ। পার্থক্য হচ্ছে, এই শেরে বাংলা যখন বিগড়ে গিয়ে হিন্দুর হাত ধরেছিল, তখন বাংলার মুসলিম জনগণ তাকে ক্ষমতা থেকে নামতে বাধ্য করেছিল। বাংলার মুসলমানরা আদর্শের উর্ধ্বে নেতাকে স্থান দেয়নি, ব্যক্তিপূজায় লিপ্ত হয়নি। বিপরীতে এই শেখ আব্দুল্লাহ যখন কাশ্মীরি ব্রাহ্মণ প্রেমনাথ বাজাজের প্ররোচনায় বিভ্রান্ত হয়ে নেহরুর সাথে দোস্তি করল, নিজের ‘মুসলিম কনফারেন্স’ দলটির নাম পাল্টে ‘ন্যাশনাল কনফারেন্স’ করল হিন্দুদের তুষ্ট করার লক্ষ্যে, তখন কিন্তু কাশ্মীরের মুসলমানরা প্রতিবাদ করেনি। তারা বরঞ্চ ব্যক্তিপূজাকে প্রাধান্য দিল, নেতার অনুকরণে নিজেরাও সেক্যুলাঙ্গারে পরিণত হল। জম্মুর মুসলমানদের উপর সাতচল্লিশে সংঘটিত গণহত্যায় কাশ্মীরে বসবাসরত মুসলমানরা মৌন সমর্থন দিল, কারণ জম্মুর মুসলমানরা ভারত নয় পাকিস্তানের সাথে কাশ্মীরের অন্তর্ভূক্তি চেয়েছিল। <br /> <br /> মোটামুটি হিন্দুদের দ্বারা নির্যাতিত মুসলিম জনগোষ্ঠী হিসেবে কাশ্মীরের সাথে বাংলার মুসলমানদের সব জায়গাতেই মিল আছে, শুধুমাত্র এই একটি জায়গা বাদে। এখানে মিল থাকলে কাশ্মীরিরা আজ ভারতে গরু-ছাগলের মতো না থেকে সম্মানের সাথে মুসলিম-শাসিত ভূখণ্ডে বসবাস করতে পারত। <br /> <br /> শেরে বাংলা ও শেরে কাশ্মীরের মধ্যে হিন্দুর সাথে জোট বাধা প্রসঙ্গে মিল তো আলোচিত হয়েছেই, নেহরুকে কেন্দ্র করেও তাদের মধ্যে মিল রয়েছে। শেখ আব্দুল্লাহর আলোচনা করতে গেলে নেহরুর প্রসঙ্গ আসবেই, কারণ নেহরুর চামচামি করেই সে কাশ্মীরকে ভারতের করদরাজ্য করেছে। শেরে বাংলা অবশ্য নেহরুর চামচা ছিল না, বরং নেহরুই ছিল ১৯১৮-১৯ সাল পর্যন্ত শেরে বাংলার ‘পিএস’ (উইকিপিডিয়াতে ছবিসহ রয়েছে)! এই নেহরু সারাজীবন শেরে বাংলা, আবুল কালাম আজাদের মতো মুসলিম নেতাদের নবিশি করে রাজনীতি শিখেছিল। অবশ্য সমস্ত মুসলিমবিদ্বেষী প্রতিষ্ঠিত হিন্দু নেতা, হোক সে নেহরু বা শ্যামাপ্রসাদ, তাদের সবার গর্দানেই মুসলমানদের জমানো চর্বি পরিলক্ষিত হয়।</span></span></span><br /> <br />

শেরে বাংলা বনাম শেরে কাশ্মীরঃ নেতা বড়, না আদর্শ বড়?

আমার কাশ্মীর নিয়ে পূর্ববর্তী পোস্টগুলোতে একটি মন্তব্য করেছি যে, ব্রিটিশ আমলের প্রেক্ষিতে বাংলা ও কাশ্মীরের মুসলমানদের ইতিহাসের মিল খাপে ...

Read more »

কাশ্মীরের মুসলমানদের স্বাধিকার আন্দোলনে এক ব্রাহ্মণের অনুপ্রবেশ, আন্দোলনের সেক্যুলারকরণ, ভারত কর্তৃক কাশ্মীরকে গলঃধকরণ ও বর্তমান মুসলমানদের শিক্ষাগ্রহণ

 <img alt="Image may contain: stripes" aria-busy="false" class="spotlight" src="https://scontent.fbkk14-1.fna.fbcdn.net/v/t1.0-9/69775745_1268431350001681_4834637671978500096_o.png?_nc_cat=100&_nc_oc=AQm31IQGkQJwIMebYdzbXVkvME5l6psF3GQS0VwuzJ3QbYukekL0wrcmBFd_gvPmBLs&_nc_ht=scontent.fbkk14-1.fna&oh=c2512ff2c326d9833135ca35e2374a2d&oe=5E0F26E5" style="height: 800px; width: 1200px;" /><br /> <br /> হিন্দুদের ইতিহাসে তাদের বেশকিছু চরিত্র রয়েছে, যারা হিন্দুদের নিকট ধিকৃত, যদিও তাদের কারণেই বর্তমানে হিন্দুদের অস্তিত্ব টিকে রয়েছে বলা চলে। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলো পাপাত্মা গান্ধী নিজে, যে সেক্যুলার সেজে মুসলমানদের একটি বড় অংশকে ভারতে যোগ দেওয়াতে সমর্থ হয়েছিল। সে ব্যতীত হিন্দুরা কিছুতেই এতো বড় ভূখণ্ড পেতো না, কিন্তু তারপরও তাকে হত্যা করলো হিন্দুরাই। তাকে আজও ধিক্কার দেয় হিন্দুরাই।<br /><br />কাশ্মীরের মুসলমানদের ইতিহাস প্রসঙ্গে শুরুতেই বলতে হয়, তাদের সাথে আমাদের বাঙালি মুসলমানদের ইতিহাসের একদম খাপে খাপ মিল রয়েছে। ব্রিটিশ আমলে বাংলাদেশে ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ করে মুসলমানদের জমি ও সম্পত্তি হিন্দুদের হাতে তুলে দিয়েছিল ব্রিটিশরা, এর ফলে যেসব হিন্দুরা মুসলমানদের কর্মচারী-আর্দালি ছিল, তারা হঠাৎ করে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে মুসলমানদের উপর নির্যাতন করা শুরু করে। <br /><br />ঠিক সেভাবেই কাশ্মীর অঞ্চলটিও এক হিন্দু গভর্নরের কাছে উপঢৌকন দিয়েছিল ব্রিটিশরা, তার প্রভুর প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করে ব্রিটিশদের সাহায্য করার বিনিময়ে। ব্রিটিশ আমলের শুরুতে কাশ্মীর ছিল পাঞ্জাবকেন্দ্রিক শিখ শাসকদের অধীন। কাশ্মীরে শিখদের নিয়োজিত গভর্নর ছিল ‘গুলাব সিং’, যে কিনা ব্রিটিশ-শিখ যুদ্ধে তার মনিবের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে ব্রিটিশদের পক্ষ নেয়। এর প্রতিদানস্বরূপ শিখরা তাকে যে কাশ্মীর অঞ্চলের গভর্নর নিয়োগ দিয়েছিল, সেটারই ‘রাজা’ বানিয়ে দেয় তাকে ব্রিটিশরা।<br /><br />এর পরপরই বাংলার ন্যায় কাশ্মীরের মুসলমানদেরকেও রাতারাতি চতুর্থ শ্রেণীর নাগরিক বানিয়ে ফেলা হয়। প্রশাসনের সমস্ত পদ ও মুসলমানদের জমিগুলো কেড়ে নিয়ে গুলাব সিংয়ের অনুগত গুটিকয়েক ব্রাহ্মণের (যাদেরকে পণ্ডিত বলা হয়) হাতে কুক্ষিগত করা হয়। কাশ্মীরে গরু জবাই নিষিদ্ধ করা হয় এবং হিন্দুরা গরু জবাইয়ের শাস্তি নির্ধারিত করেছিল সংশ্লিষ্ট মুসলমানকে তার পরিবারসুদ্ধ ঘরে আটকিয়ে সেই ঘরসুদ্ধ পুড়িয়ে হত্যা করা। হিন্দুদের দ্বারা জোরপূর্বক খাদ্যশস্য লুটপাট করার কারণে কাশ্মীরে ১৮৭৭-৭৯ সালে এক ভয়ানক দুর্ভিক্ষ হয়, যে দুর্ভিক্ষে কাশ্মীরের পাঁচভাগের দুইভাগ মুসলমান মারা গেলেও একটা হিন্দু ব্রাহ্মণও না খেয়ে মারা যায়নি বলে বিভিন্ন বইতে উল্লেখ রয়েছে।<br /><br />উল্লেখ্য, কাশ্মীরের মুসলমানদের ওপর এসব অত্যাচারের দলিল হিসেবে যাদের বই থেকে সবচেয়ে বেশি রেফারেন্স নেয়া হয়, তাদের একজন হলো ‘প্রেমনাথ বাজাজ’। তার ‘ইনসাইড কাশ্মীর’, ‘স্ট্রাগল ফর ফ্রিডম ইন কাশ্মীর’ উল্লেখযোগ্য রেফারেন্স বই হিসেবে ধরা হয়। এই প্রেমনাথ বাজাজ নিজে কাশ্মিরী পণ্ডিত সম্প্রদায়ের লোক হয়েও মুসলমানদের ওপর অত্যাচার নিয়ে বই লেখায় তার নিজের সম্প্রদায় তাকে ত্যাজ্য করেছিল। ‘হিন্দুস্তান টাইমস’ পত্রিকায় লেখা হয়েছে “Bazaz said the Muslim grievances were correct. Some Pandits urinated in his mouth! He had to leave his home and move into another neighbourhood in Srinagar, at Amirakadal,”<br /><br />অর্থাৎ মুসলমানদের ক্ষোভকে যথার্থ বলে রায় দেয়ায় এই প্রেমনাথ বাজাজের চেহারার ওপর প্রস্রাব করে দিয়েছিল তার সম্প্রদায়ের লোকেরা! ফলশ্রুতিতে তাকে শ্রীনগরে তার নিজ মহল্লা ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে বসবাস করতে হয়।<br /><br />এপর্যন্ত পড়ে মদারেত মোছলমানরা মনে করবে যে, প্রেমনাথ বাজাজ এক মহান লোক, যে কিনা নিজ সম্প্রদায়ের অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে! গতানুগতিক বইতেও সেরকমটিই লেখা হয়ে থাকে। তবে প্রেমনাথ বাজাজের আরেকটি পরিচয়ও আছে। শুরুতে বলেছি যে, বাংলার সাথে কাশ্মীরের ইতিহাসের মিল খাপে খাপ। যেভাবে হিন্দুদের অত্যাচারের কারণে বাংলার মুসলমান যুবকদের মধ্যে ব্রিটিশ আমলের শেষের দিকে ‘মুসলিম লীগ’ এর নেতৃত্বে পাকিস্তান আন্দোলন তীব্রতা পেয়েছিল, ঠিক সেভাবেই কাশ্মীরেও ব্রিটিশ আমলের শেষের দিকে উদীয়মতা মুসলমান যুবক নেতারা ‘মুসলিম কনফারেন্স’ এর নেতৃত্বে হিন্দু শাসক ও পণ্ডিতদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়েছিল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বাংলার মুসলিমদের ন্যায় কাশ্মীরের মুসলিমরাও পাকিস্তানেই যোগ দিত, কিন্তু সবকিছু তালগোল পাকিয়ে যায় শেষ সময়ে এসে শেখ আবদুল্লাহ’র হঠাৎ করে সেক্যুলার হওয়ার মধ্য দিয়ে, ‘মুসলিম কনফারেন্স’ দলটি ‘ন্যাশনাল কনফারেন্স’-এ পরিণত হওয়ার মধ্য দিয়ে। <br /><br />যার প্ররোচনায় শেখ আব্দুল্লাহ সেক্যুলার হলো, সে ব্যক্তিটি আর কেউ নয়, এই প্রেমনাথ বাজাজ! হিন্দুদের দ্বারা ধিকৃত হলেও এই সেক্যুলার ভেকধারী বাজাজই ছিল সবচেয়ে বড় হিন্দু, কারণ শেখ আব্দুল্লাহকে ‘সেক্যুলাঙ্গারে’ পরিণত করা না গেলে গোটা কাশ্মীর আজ পাকিস্তানেই থাকত, এতে কোনো সন্দেহ নেই।<br /><br />উল্লেখ্য, এই প্রেমনাথ বাজাজের ন্যায় আরেকটি ব্রাহ্মণ রয়েছে বর্তমান সময়ে, যে কিনা বাজাজের ন্যায়ই নিজ সম্প্রদায়ের অন্যায় ও দেশদ্রোহিতামূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ফেসবুকে সোচ্চার! যার ফলে সেই ব্রাহ্মণটি নিজ সম্প্রদায় কর্তৃক প্রতিনিয়ত ফেসবুকে ধিকৃত হয়। বাজাজের ন্যায় সেই ব্রাহ্মণটিও মুসলিমপ্রীতি প্রকাশ করে একের পর এক বই লিখে বেস্টসেলারে জায়গা করে নেয়। অবশ্য রমনা কালীমন্দিরের প্রধান সেবায়েত দয়াময় বিশ্বাস দীপু বলেছে, আপনারা তাকে গালি দিলেও সে কিন্তু সবার চেয়ে বড় হিন্দু। <br /><br />ইতিহাসের ক্রান্তিকালে, যখন মুসলমানদের এসপার-ওসপার সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় হয়, তখন এসব ব্রাহ্মণ-পণ্ডিতগুলো মিনমিনে সেক্যুলার ভাব নিয়ে মুসলিম নেতৃত্বের মাঝে প্রবেশ করে মুসলমানদের সর্বনাশ ঘটায়। সাতচল্লিশ ছিল একটি ক্রান্তিকাল, তখন মুসলমানদের মধ্যে যারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছে, তাদের উত্তরসূরীরা আজ স্বাধীন দেশে মানুষ হিসেবে জীবনধারণ করতে পারছে। বিপরীতে যারা এই বাজাজ-গান্ধীদের দ্বারা বিভ্রান্ত হয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি, তাদের বংশধররা আজ হিন্দুরাষ্ট্রে চতুর্থ শ্রেণীর জনগোষ্ঠী হিসেবে গরুর জন্য রাস্তাঘাটে গণপিটুনির শিকার হয়ে বেঘোরে প্রাণ হারাচ্ছে।<br /><br />বর্তমানেও সেরকমই এক ক্রান্তিকাল এসেছে উপমহাদেশের মুসলমানদের সম্মুখে, বাংলার মুসলমানদের সম্মুখে। প্রিয়া সাহারা বাংলাদেশ আক্রমণের অনুরোধ জানাচ্ছে আসাম থেকে মুসলমান বিতাড়নের সময় ঘনিয়ে আসছে, হিন্দু নেকড়েরা তাদের দাঁত-নখে শান দিচ্ছে, গাযওয়াতুল হিন্দু অতি সমাগত! এখানে যদি এই বাজাজ-গান্ধীদের অনুসারী ভট্টাচার্যর হাতে যদি মুসলমানদের আন্দোলনের স্টিয়ারিং তুলে দেয়া হয়, তাহলে বাংলার মুসলমানদের সামনে কী ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে, তা আশাকরি ব্যাখা করে বোঝাতে হবে না।

কাশ্মীরের মুসলমানদের স্বাধিকার আন্দোলনে এক ব্রাহ্মণের অনুপ্রবেশ, আন্দোলনের সেক্যুলারকরণ, ভারত কর্তৃক কাশ্মীরকে গলঃধকরণ ও বর্তমান মুসলমানদের শিক্ষাগ্রহণ

  হিন্দুদের ইতিহাসে তাদের বেশকিছু চরিত্র রয়েছে, যারা হিন্দুদের নিকট ধিকৃত, যদিও তাদের কারণেই বর্তমানে হিন্দুদের অস্তিত্ব টিকে রয়েছে বলা চল...

Read more »

৪৭’ এর জম্মুর মুসলমানদের রক্তের কাফফারাই এখন পর্যন্ত কাশ্মীরি মুসলমানরা আদায় করে যাচ্ছে

<span></span><br /> <div data-contents="true"> <br /><div class="_2cuy _3dgx" data-block="true" data-editor="bnij8" data-offset-key="ep06g-0-0"> <div class="_1mf _1mj" data-offset-key="ep06g-0-0"> <span data-offset-key="ep06g-0-0"><span data-text="true"><img alt="Image may contain: one or more people" aria-busy="true" class="spotlight" src="https://scontent.fdac23-1.fna.fbcdn.net/v/t1.0-9/68829452_118050656202666_8298491906728394752_n.png?_nc_cat=110&_nc_oc=AQk6_ixQud7PPb8xiRgXUM3vqVvxWSVvZsS0g_RTBkR2HsRg5ovu4ihCYTJSb5ImB-U&_nc_ht=scontent.fdac23-1.fna&oh=3a11bbed8508f2a79545b8f13ab73cbb&oe=5DD4EEEF" style="height: 438px; width: 615px;" /> </span></span></div> <div class="_1mf _1mj" data-offset-key="ep06g-0-0"> <span data-offset-key="ep06g-0-0"><span data-text="true"> </span></span></div> <div class="_1mf _1mj" data-offset-key="ep06g-0-0"> <span data-offset-key="ep06g-0-0"><span data-text="true">কাশ্মীরে মুসলমানরা এবারের ঈদ পালন করতে পারেনি, এই সংবাদে অনেকেই ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ। কিন্তু ঈদ পালন করার আগে তো মুসলমান হওয়া দরকার, আর কাশ্মীরিরা কি মুসলমান হতে পারবে তওবা করার আগপর্যন্ত? ৪৭-এ এই কাশ্মীরিদের পূর্বপুরুষেরাই মুসলমানের বদলে সেক্যুলার হতে চেয়েছিল, আর মুসলমান হওয়ার ‘অপরাধে’ জম্মুর মুসলমানদের উপর হিন্দুদের গণহত্যায় ইন্ধন দিয়েছিল তারা।</span></span></div> </div> <div class="_2cuy _3dgx" data-block="true" data-editor="bnij8" data-offset-key="3a9ib-0-0"> <div class="_1mf _1mj" data-offset-key="3a9ib-0-0"> <span data-offset-key="3a9ib-0-0"><span data-text="true">ইন্টারনেটের কল্যাণে জম্মু গণহত্যার ইতিহাস আমরা সবাই কমবেশি জানি। বর্তমান ভারতে জম্মু নামক অঞ্চলটি হিন্দু অধ্যুষিত হলেও দেশবিভাগের আগে তা ছিল মুসলিম অধ্যুষিত, জম্মুর ৬১ শতাংশ জনসংখ্যাই ছিল মুসলমান। সেই জনসংখ্যা রাতারাতি ৩৫% এ নেমে আসে গণহত্যার ফলে। ১৯৫১ সালের আদমশুমারি করতে গিয়ে এজন্য দেখা যায়, জম্মুতে গ্রামের পর গ্রাম কোন মানুষ নেই। ১২৩টি গ্রাম সম্পূর্ণ জনমানবহীন ছিলো, জম্মুর কাঠুয়া জেলার ৫০ শতাংশ মুসলিম গায়েব হয়ে গিয়েছিল। প্রিয়া সাহারা যে মিথ্যাচার করে থাকে, হিন্দুরা হারিয়ে গিয়েছে, কিভাবে হারিয়ে গিয়েছে? হারিয়ে যাওয়া কাকে বলে, তা জম্মু গণহত্যার দিকে তাকালে বোঝা যায়। </span></span></div> </div> <div class="_2cuy _3dgx" data-block="true" data-editor="bnij8" data-offset-key="e8dv9-0-0"> <div class="_1mf _1mj" data-offset-key="e8dv9-0-0"> <span data-offset-key="e8dv9-0-0"><span data-text="true">এখন প্রশ্ন হলো, জম্মুতে মুসলিমদের গণহত্যা হলেও কাশ্মীরে কেন তা হলো না? এখানেই রয়ে গিয়েছে জম্মু গণহত্যার উত্তর, যা গতানুগতিক লেখায় উঠে আসেনি। জম্মুর মুসলমানরা সেক্যুলার হতে চায়নি, যে কারণে তারা একইসাথে শত্রুতে পরিণত হয়েছিল হিন্দুদের এবং সেক্যুলার কাশ্মীরি নেতা শেখ আব্দুল্লাহ ও তার অনুসারী কাশ্মীরি জনগণের।</span></span></div> </div> <div class="_2cuy _3dgx" data-block="true" data-editor="bnij8" data-offset-key="aprd8-0-0"> <div class="_1mf _1mj" data-offset-key="aprd8-0-0"> <span data-offset-key="aprd8-0-0"><span data-text="true">কাশ্মীরে মুসলমানদের একটিই সংগঠন ছিল, ‘অল জম্মু এন্ড কাশ্মীর মুসলিম কনফারেন্স’, তার দুইজন প্রধান নেতা ছিল। একজন ছিলেন চৌধুরী গোলাম আব্বাস, যিনি ছিলেন জম্মুর অধিবাসী ও জম্মুর মুসলমানদের নেতা। আরেকজন ছিল শেখ আব্দুল্লাহ, যে ছিল কাশ্মীরের অধিবাসী ও কাশ্মীরি মুসলমানদের নেতা। এই শেখ আব্দুল্লাহ একপর্যায়ে কংগ্রেস নেতা নেহরুর সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে এবং সেক্যুলাঙ্গারে পরিণত হয়। সে তার দলটির নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দিয়ে দেয়, নতুন নাম দেয় ‘জম্মু এন্ড কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্স’। অনেকটা আওয়ামী মুসলিম লীগের নাম থেকে ‘মুসলিম’ বাদ দেয়ার মতো।</span></span></div> </div> <div class="_2cuy _3dgx" data-block="true" data-editor="bnij8" data-offset-key="60v7o-0-0"> <div class="_1mf _1mj" data-offset-key="60v7o-0-0"> <span data-offset-key="60v7o-0-0"><span data-text="true">চৌধুরী গোলাম আব্বাস প্রতিবাদস্বরূপ দল থেকে বের হয়ে যান এবং নিজেই আলাদাভাবে ‘মুসলিম কনফারেন্স’ গঠন করেন তার ন্যায় মুসলিম চেতনাসমৃদ্ধ নেতাকর্মীদের নিয়ে। এর পর থেকেই জম্মু অঞ্চলটি চৌধুরী গোলাম আব্বাসের নেতৃত্বে মুসলিম কনফারেন্স, এবং কাশ্মীর অঞ্চল শেখ আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে ন্যাশনাল কনফারেন্সের ঘাঁটিতে পরিণত হয়।</span></span></div> </div> <div class="_2cuy _3dgx" data-block="true" data-editor="bnij8" data-offset-key="f5csv-0-0"> <div class="_1mf _1mj" data-offset-key="f5csv-0-0"> <span data-offset-key="f5csv-0-0"><span data-text="true">শুধু তাই নয়, চৌধুরী গোলাম আব্বাসের সাথে ছিল জিন্নাহর সুসম্পর্ক, আর নেহরুর সাথে শেখ আব্দুল্লাহর দোস্তালি তো আগে থেকেই ছিল। এর ফলশ্রুতিতেই ৪৭ এ জম্মুর মুসলমানদের উপর গণহত্যা চালানো হয়, কারণ জম্মুর জনগণ ছিল ‘মুসলিম কনফারেন্স’ এর সমর্থক ও চৌধুরী গোলাম আব্বাসের নেতৃত্বে পাকিস্তানে যোগ দিতে আগ্রহী। </span></span></div> </div> <div class="_2cuy _3dgx" data-block="true" data-editor="bnij8" data-offset-key="9il1k-0-0"> <div class="_1mf _1mj" data-offset-key="9il1k-0-0"> <span data-offset-key="9il1k-0-0"><span data-text="true">তবে শুধু হিন্দু নয়, শেখ আব্দুল্লাহ নামক বেঈমানটিও ছিল এই জম্মু গণহত্যার ইন্ধনদাতা। কারণ জম্মু ছিল মুসলিম কনফারেন্সের ঘাঁটি, সেখানকার নেতা চৌধুরী গোলাম আব্বাস ছিল তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী। শেখ আব্দুল্লাহ বেঈমানটি চিন্তা করেছিল, জম্মুকে মুসলিম মুক্ত করতে পারলে ভারতভুক্তির পর তার একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করতে কোনো সমস্যা হবে না। এ প্রসঙ্গে lostkashmirihistory.com ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে-</span></span></div> </div> <div class="_2cuy _3dgx" data-block="true" data-editor="bnij8" data-offset-key="2cvh6-0-0"> <div class="_1mf _1mj" data-offset-key="2cvh6-0-0"> <span data-offset-key="2cvh6-0-0"><br data-text="true" /></span></div> </div> <blockquote class="_2cuy _509u" data-block="true" data-editor="bnij8" data-offset-key="ed5aa-0-0"> <div class="_1mf _1mj" data-offset-key="ed5aa-0-0"> <span data-offset-key="ed5aa-0-0"><span data-text="true">Soon after taking over as the emergency administrator of the state, Sheikh Abdullah crushed the dissidents in Kashmir. A galaxy of leaders of the Muslim Conference including Aga Showkat Ali, Qureshi Muhammad Yusuf, Yusuf Buch and many others were exiled. Hundreds were jailed. The “Peace Brigade” commonly known as Khuftan Fakirs let loose a reign of terror. Even listening to Radio Pakistan was forbidden. Sheikh Abdullah also allowed the massacre of Jammu Muslims. The massacre had begun in July for a purpose. He expected stiff resistance from Jammu. Earlier the Muslim Conference, headed by Chowdhury Abbas, had passed a resolution seeking accession of Jammu & Kashmir to Pakistan. And, to tame the Jammu Muslims, they were massacred and forced to migrate. Being the head of the administration, Sheikh Abdullah could have prevented the carnage but he did not act because preventing it did not fit anywhere in New Delhi’s scheme of things. Sheikh visited Jammu when it had been cleared of ‘mischief mongers’ only to sent Chowdhury Abbas and Allah Rakha Sagar into exile.</span></span></div> </blockquote> <div class="_2cuy _3dgx" data-block="true" data-editor="bnij8" data-offset-key="6t76v-0-0"> <div class="_1mf _1mj" data-offset-key="6t76v-0-0"> <span data-offset-key="6t76v-0-0"><span data-text="true"> </span></span></div> </div> <div class="_2cuy _3dgx" data-block="true" data-editor="bnij8" data-offset-key="2c77b-0-0"> <div class="_1mf _1mj" data-offset-key="2c77b-0-0"> <span data-offset-key="2c77b-0-0"><span data-text="true">অর্থাৎ কাশ্মীরের তৎকালীন জরুরী অবস্থাজনিত প্রশাসনের দায়িত্ব নেয়ার পরই শেখ আব্দুল্লাহ তার প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল কনফারেন্সের সব নেতাকর্মীদের জেলে ভরেছিল। জম্মুর মুসলমানদের tame তথা বশীভূত করতে চালানো হয়েছিল গণহত্যা। এই শেখ আব্দুল্লাহ তখনই জম্মু পরিদর্শনে গিয়েছিল, যখন যাবতীয় ‘mischief mongers’ তথা সমস্যা সৃষ্টিকারী মুসলমানদের বের করে দেয়া হয়েছিল এবং চৌধুরী আব্বাস ও আল্লাহ রাখা সাগরের মতো নেতাদের নির্বাসিত করা গিয়েছিল।</span></span></div> </div> <div class="_2cuy _3dgx" data-block="true" data-editor="bnij8" data-offset-key="91fsb-0-0"> <div class="_1mf _1mj" data-offset-key="91fsb-0-0"> <span data-offset-key="91fsb-0-0"><span data-text="true">উল্লেখ্য, বর্তমানে পাকিস্তানের অধীনে যে আজাদ কাশ্মীর অঞ্চলটি রয়েছে, তা ভারতের জম্মু অঞ্চলের পাশে একটি ক্ষুদ্র অংশ মাত্র। জম্মুর মুসলমানরা পূর্ব থেকেই প্রস্তুত থাকায় পাঠান মুজাহিদদের দ্বারা জম্মুর ‘পুঞ্চ’ ও সংলগ্ন এলাকাকে কেন্দ্র করে প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভবপর হয়, যার ফলে উক্ত অংশটি পরবর্তীতে পাকিস্তানের অন্তর্ভূক্ত হয়। </span></span></div> </div> <div class="_2cuy _3dgx" data-block="true" data-editor="bnij8" data-offset-key="3muar-0-0"> <div class="_1mf _1mj" data-offset-key="3muar-0-0"> <span data-offset-key="3muar-0-0"><span data-text="true">বর্তমানে যে ৩৭০ ধারা তুলে নেয়ার কথা হচ্ছে, তা ছিল ভারতভুক্তির পর কাশ্মীরে শেখ আব্দুল্লাহর আধিপত্য বিস্তারের চুক্তি। কিন্তু মুসলমানদের সাথে বেঈমানি করা মুনাফিকদেরকে কখনোই আল্লাহ পাক সফলতা দেননি, ইতিহাসের পাতায় তার নজির নেই। ১৯৫৪ সালেই এই শেখ আব্দুল্লাহকে ‘পাকিস্তানের সাথে ষড়যন্ত্রকারী’ তকমা দিয়ে জেলে ছুঁড়ে ফেলেছিল তার দোস্ত নেহরু, অবশেষে ১৯৭৫ সালে, ২০ বছর পর নেহরুর মেয়ে ইন্দিরার সাথে আজ্ঞাবহ হয়ে থাকার চুক্তি করে তবেই তার পরিত্রাণ মিলেছিল।</span></span></div> </div> <div class="_2cuy _3dgx" data-block="true" data-editor="bnij8" data-offset-key="5vidi-0-0"> <div class="_1mf _1mj" data-offset-key="5vidi-0-0"> <span data-offset-key="5vidi-0-0"><span data-text="true">সুতরাং ৩৭০ ধারার জন্য আফসোস কেন, কাশ্মীরের মুসলমানরা ঈদের নামায পড়তে পারেনি সেজন্য আফসোস কেন? ঈদের নামায কি মুনাফিকদের জন্য, নাকি মুসলমানদের জন্য? পশ্চিমবঙ্গের জিম নওয়াজ সম্প্রতি জম্মু গণহত্যা নিয়ে একটি লেখা লিখেছে, স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে সেখানে সে উল্লেখ করেছে যে, </span></span></div> </div> <blockquote class="_2cuy _509u" data-block="true" data-editor="bnij8" data-offset-key="9qgno-0-0"> <div class="_1mf _1mj" data-offset-key="9qgno-0-0"> <span data-offset-key="9qgno-0-0"><span data-text="true">“হরি সিং-এর ডোগরা সেনা, আর এস এস কর্মী, হিন্দু মহাসভার কর্মী, কংগ্রেস নেতা, পাঞ্জাব ও অন্যান্য প্রদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী হিন্দু এবং শিখদের যোগসাজশে জম্মুতে ব্যাপক মুসলিম নিধনযজ্ঞ চালানো হলেও প্রতিক্রিয়া হিসেবে কাশ্মীর প্রদেশের মুসলিমরা একজন কাশ্মীরি পণ্ডিতকেও হেনস্থা করেনি, হত্যা দূরে থাক।”</span></span></div> </blockquote> <div class="_2cuy _3dgx" data-block="true" data-editor="bnij8" data-offset-key="frmr1-0-0"> <div class="_1mf _1mj" data-offset-key="frmr1-0-0"> <span data-offset-key="frmr1-0-0"><span data-text="true">অর্থাৎ ভারতীয় মুসলমান হিসেবে জিম নওয়াজ বোঝাতে চেয়েছে যে, কাশ্মীরি মুসলমানরা কতোটা অছাম্প্রদায়িক! আসলে অছাম্প্রদায়িকতা নয়, কাশ্মিরী মুসলমানরা তো গণহত্যার সমর্থক ছিল। সমর্থক ছিল বলেই তারা জম্মুর গণহত্যার প্রতিবাদে কাশ্মীরে একটি হিন্দুর মরামুখও নিশ্চিত করেনি। এখন সেই জম্মুর মুসলমানদের রক্তের কাফফারা, জম্মুর মুসলিম মা-বোনদের ইজ্জতের কাফফারা কাশ্মিরী বেঈমানদের দিতে হবে। না আমি তাদেরকে মুসলিম বলতে রাজি নই, যতক্ষণ তারা না প্রকাশ্যে বলবে আমরা ভুল করেছি, আমাদের পূর্বপুরুষেরা ভুল করেছে। আমরা ক্ষমাপ্রার্থী, আমরা তওবাপ্রার্থী।</span></span></div> </div> </div>

৪৭’ এর জম্মুর মুসলমানদের রক্তের কাফফারাই এখন পর্যন্ত কাশ্মীরি মুসলমানরা আদায় করে যাচ্ছে

  কাশ্মীরে মুসলমানরা এবারের ঈদ পালন করতে পারেনি, এই সংবাদে অনেকেই ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ। কিন্তু ঈদ পালন করার আগে তো মুসলমান হওয়া দরকার, ...

Read more »

#সব_হিন্দু_খারাপ_না হলে, সব মুসলমানকে খারাপ হতে হবে

<div class="_5pbx userContent _3ds9 _3576" data-ft="{"tn":"K"}" data-testid="post_message" id="js_d"> (১)<br /> বিভিন্ন মিডিয়া ও বইপত্রে গুজরাট দাঙ্গায় নিহতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হিসেবে সবার আগে এহসান জাফরি’র নাম তুলে ধরা হয়। এই এহসান জাফরি ছিল উর্দু ভাষার প্রথমসারির কবি, তার বন্ধুবান্ধবরাও ছিল ইন্টেলেকচুয়াল সার্কেলের। উল্লেখ্য, এইশ্রেণীর হিন্দুদেরকে অনেকে ‘ভালো হিন্দু’ হিসেবে তুলে ধরে। <br /> কিন্তু এসব ভালো হিন্দুরা এহসান জাফরির নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর কোনো প্রতিবাদ করেনি। সে প্রসঙ্গে এহসান জাফরির মেয়ে একটি চিঠিতে লিখেছিল- “যে শহরকে আপনি আপনার বাড়ি মনে করেন, সেই শহর এবং যাকে আপনি দেশ বলে মনে করেন- সেই দেশ আপনার পাশে দাঁড়াবে না । যেমন দাঁড়ায়নি আমার বাবা এহসান জাফরি ও মা জাকিয়া জাফরির পাশে । তার দীর্ঘদিনের বন্ধুরাও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল । ন্যায় বিচারের দাবী তুলেনি, কেউ একবার প্রতিবাদও করেনি । অথচ কতবার এই মানুষগুলিকে দেখেছি বাবার টেবিলে বসে খাওয়া দাওয়া করতে । কত মিটিং-মিছিলে এক সাথে হেঁটেছেন । একসাথে উদযাপন করেছেন ঈদ, হোলি, দিওয়ালীর মত উৎসব । একসাথে বসে সিমুই, লাচ্ছা, বিরিয়ানি খেয়েছেন । তখন মনে হত এরা কত আপনজন । কিন্তু গুজরাট দাঙ্গার সময় বুঝলাম পাশে কেউ নেই ।”<br /> উল্লেখ্য, ভারতের লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যভিত্তিক বিধানসভার নির্বাচনে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এসব জায়গায় বিজেপিকে সরিয়ে কংগ্রেস জিতেছিল। তখন এক ভারতীয় মুসলমানের স্ট্যাটাস দেখেছিলাম এরকম-“<a class="_58cn" data-ft="{"type":104,"tn":"*N"}" href="https://www.facebook.com/hashtag/%E0%A6%B8%E0%A6%AC_%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%81_%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AA_%E0%A6%A8%E0%A7%9F?source=feed_text&epa=HASHTAG&__xts__%5B0%5D=68.ARC35JPKHqehDmjsQOXG0BQbVLw0d9YeIQXuRgfXq0B-Vvpk_zrMAh4I-IePJwOM7PmAo5Sp-q14w3EC0d7L-PydT7xFCV7hwrx1WsqtB776v-InvZBgxp3nlR59hnEyduSWSv-ssbK8plcGhubnsgLrTft6G0cD-SAKxzWgHC6QoZ3iThOM9eTrcZhEtE6l3PQY3chpgNeA66kuQKR1vpJ82n-uTMlrrhcqXSXf8gzG-x1LFVyn8pLzmvyqe5TTtDe1df_xnL3_CDLxb9tp8lYVbNLDQ-vR19PQjLSrNqZes5RQY-k2ogPgwEUDgvajuLg8PQDosWAMzW5jmBNMIQ&__tn__=%2ANK-R"><span class="_5afx"><span aria-label="hashtag" class="_58cl _5afz">#</span><span class="_58cm">সব_হিন্দু_খারাপ_নয়</span></span></a>। আমাদের ভালো হিন্দু ভাইয়েরাই বিজেপিকে সরানোর জন্য যথেষ্ট, আমাদের ভারতীয় মুসলমানদের শুধুশুধু বিজেপির বিরোধিতা করা উচিত নয়।” <br /> অথচ সেই কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানেই সম্প্রতি গরুর জন্য পিটিয়ে মারা পেহলু খানের প্রত্যেকটি খুনিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।<br /> (২) <br /> সাংবাদিক ইলিয়াসের একটি ভিডিওতে তাকে দেখলাম আক্ষেপ করতে, প্রিয়া সাহারা দেশবিরোধী কাজ করল, ইসকনিরা মুসলমান বাচ্চাদের প্রসাদ খাওয়ালো, অথচ কারো কোনো বিচার হলো না!<br /> কিন্তু বিচার হবে কিভাবে? যদি মুসলমানরা ‘ভালো হিন্দু’দের নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে এবং তাদের পেয়ারের ‘ভালো হিন্দু’রা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এই আশঙ্কায় কোনোরূপ বাস্তব পদক্ষেপ নিতেই কুণ্ঠাবোধ করে?<br /> কিছুদিন আগে ফেসবুকের একটি জনপ্রিয় পেজ থেকে আহবান করা হয় যে, ভারতে টাকা পাচার রুখতে আপনারা হিন্দুদের চাকরি দেবেন না, হিন্দুদের থেকে অর্থের বিনিময়ে কোনোরূপ সেবা (ডাক্তার উকিল থেকে শুরু করে মুচি-নাপিত পর্যন্ত) গ্রহণ করবেন না। এতে করে যা হলো, কমেন্টবক্সে ঐ পেজের নিয়মিত লাইকাররা ‘ভালো হিন্দু’দের পাছা বাঁচাতে নানাভাগে বিভক্ত হয়ে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া শুরু করে দিল। না #সব_হিন্দু_খারাপ_নয়, সবাইকে চাকরিচ্যুত করা যাবে না! একজন পোস্টদাতাকে উদ্দেশ্য করে লিখল, এটা আপনার গত সাড়ে তিনবছরের মধ্যে সবচেয়ে সাম্প্রদায়িক পোস্ট!<br /> এই যদি হয় অবস্থা, সেক্ষেত্রে কী করে প্রিয়া সাহাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব? প্রিয়া সাহাদের বিরুদ্ধে একটিই কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে, তা হলো সরকার এ পর্যন্ত যেসব হিন্দুদেরকে প্রমোশন দিয়ে উপরে তুলেছে, গর্দানে চর্বি জমিয়েছে, তাদেরকে ধীরে ধীরে ওএসডি করে প্রশাসনকে ফের আগের স্বাভাবিক অবস্থানে নিয়ে আসা। সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে কোনো প্রিয়া সাহারা মাথাচাড়া দিতে পারবে না। রোগ হলে উপশমের ব্যবস্থা গ্রহণের আগে তাকে প্রতিরোধ করাটাই শ্রেয়তর।<br /> কিন্তু আওয়ামী সরকার তা করতে পারবে না, কারণ মুসলমানরাই তাকে সাপোর্ট দিবে না। যেহেতু মুসলমানদের মাথায় প্রবেশ করানো হয়েছে যে #সব_হিন্দু_খারাপ_নয়<br /> মুসলমান বাচ্চাদের প্রসাদ খাওয়ানো নিয়ে ব্যবস্থা নিতে গেলে #সব_হিন্দু_খারাপ_নয়<br /> সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরের পুরোহিত দেশবিরোধী কথা বললে মন্দিরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে #সব_হিন্দু_খারাপ_নয়<br /> শ্যামলী পরিবহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে #সব_হিন্দু_খারাপ_নয়<br /> ‘ঠগ বাছতে গা উজাড়’ বলতে একটি বাগধারা রয়েছে। হিন্দুদের ক্ষেত্রেও বিষয়টি সেরূপ, অর্থাৎ কাটা বাছার মতো ‘ভালো হিন্দু’ বেছে নিয়ে আপনি খারাপ হিন্দুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাবেন, এটি প্র্যাকটিক্যালি কখনোই সম্ভব নয়। এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানরা অবাস্তব তত্ত্ব আঁকড়ে ধরে থাকায় হিন্দুদের বিরুদ্ধে কোনো বাস্তব পদক্ষেপই নিতে পারছে না, তা হিন্দুরা যতো যা-ই করুক না কেন ।<br /> (৩)<br /> মুসলমানরা অবাস্তব মরীচিকার মধ্যে পড়ে থাকলে কি হবে, হিন্দুরা বাস্তবিকই সব মুসলমানদের খারাপ বলে মনে করে থাকে। যে কারণে পিশাচ বন্দে-পাদ-দেয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে পারে যে, টাখনুর উপরে কাপড় থাকলেই সে সন্ত্রাসী। প্রিয়া সাহারা হোয়াইট হাউজে গিয়ে খোদ আওয়ামী সরকারকেও হিন্দুবিরোধী হিসেবে দাবি করতে কুণ্ঠাবোধ করে না।<br /> এতে করে মুসলমানদের নিজেদের দেশের প্রেক্ষাপটই মুসলমানদের বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছে। মুসলমানদের এই বিষয়টি অনুধাবন করতে হবে যে, তাদের এই #সব_হিন্দু_খারাপ_নয় থিওরীর মাধ্যমে একটি vacuum বা শূন্যস্থানের তৈরী হচ্ছে, যে শূন্যস্থান হিন্দুরা পরিপূর্ণ করছে সব মুসলমান খারাপ, টাখনুর উপরে কাপড় থাকলে সন্ত্রাসী হয় এসব প্রচারণার মাধ্যমে। পানিতে মূর্তি ডোবালে নদী দূষিত হয়, এই বিষয়টি মুসলমানরা প্রচার না করার কারণে যে শূন্যস্থানের সৃষ্টি হয়েছে, তা পূর্ণ করা হচ্ছে এই প্রচারের মাধ্যমে যে, কুরবানীর রক্তে পরিবেশ দূষিত হয়। রথযাত্রার কারণে, পূজামণ্ডপ করে রাস্তা আটকানোর কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়, এ সম্পর্কিত কোনো প্রচার মুসলমানরা করে না। যার ফলে হিন্দু ও ইসলামবিদ্বেষীদের দ্বারা এটি প্রচার করা সম্ভব হয়েছে যে, কুরবানীর হাটের কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়।<br /> মোটকথা, #সব_হিন্দু_খারাপ_নয় এই প্রচার মডারেট মুসলমানরা করতে পারে, কিন্তু সেটা করতে হবে তাদের সমস্ত মুসলমানদেরকে খারাপ হিসেবে সাব্যস্ত হবার বিনিময়ে। বেসিক নামায শিক্ষার বইগুলো, যেগুলো কোনো কাল্ট বা মতের প্রতিনিধিত্বও করে না, সেগুলোকেও তুলে ধরা হচ্ছে ‘উগ্রবাদী বই’ হিসেবে। <br /> কিন্তু মুসলমানরা এর বিরুদ্ধে কিছুই করছে না, কারণ #সব_হিন্দু_খারাপ_নয়! কিছু বলতে গেলে তো সব হিন্দুর বিরুদ্ধেই বলতে হয়। আরে আমার উপ্রের হিন্দু ভালো, নিচের হিন্দু ভালো, হিন্দু কলিগ ভালো, হিন্দু বৌদি ভালো, ভালো ভালো ভালো। খারাপ হিন্দু দেখার টাইম আমার নাই।<br /> আরে এই হেন্দু হেন্দু নয়,<br /> ভালো হেন্দু আছে<br /> এই হেন্দুরে নিতে হবে<br /> সেই হেন্দুরই কাছে<br /> এ এ এ এ</div>

#সব_হিন্দু_খারাপ_না হলে, সব মুসলমানকে খারাপ হতে হবে

(১) বিভিন্ন মিডিয়া ও বইপত্রে গুজরাট দাঙ্গায় নিহতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হিসেবে সবার আগে এহসান জাফরি’র নাম তুলে ধরা হয়। এই এহসান জাফরি ছিল উ...

Read more »

প্রিয়া সাহার ইসলামবিরোধী স্ট্যাটাস

<div class="_5pbx userContent _3576" data-ft="{"tn":"K"}" data-testid="post_message" id="js_7j"> <img alt="Image may contain: 1 person, smiling" aria-busy="true" class="spotlight" src="https://scontent.fdac23-1.fna.fbcdn.net/v/t1.0-9/67899243_1250202355157914_879103857584504832_n.png?_nc_cat=101&_nc_oc=AQm7wqnBZY9fqVGKkrpki1QCbi2PT2MFq65exQoXp4pWVRs786h04t77QtgofDyoj14&_nc_ht=scontent.fdac23-1.fna&oh=ca47905f9e91217983a7b9a3015e8be8&oe=5DD97122" style="height: 609px; width: 960px;" /> <br /> <br /> এই কুৎসিতদর্শন নমশূদ্র মহিলাটি বহু আগে থেকেই ফেসবুকে ইসলামবিদ্বেষী লেখালেখি করত, যেমন নিম্নোক্ত পোস্টটি সে শেয়ার দিয়েছিল গত ২০১৮ সালের ১১ই জুনে ( <span dir="ltr"><span class="_3l3x"><a data-lynx-mode="asynclazy" href="https://l.facebook.com/l.php?u=http%3A%2F%2Farchive.is%2FrjjLK%3Ffbclid%3DIwAR3w3KBKU7hJsDROUS8xu8UC9RP0HprMvEij1ouJd7G26cNN5WSpb3KiqT0&h=AT0L-jm3i-3OI0-bn5tRIMsOEVbCLV68_p29GmWnOFz7xUyz80C4EvjU21gKKhcz-48BL6UvAQ9kXDmMOCJw0X2BmORHeuwJEZRJppqGxjgLvXuuT3Y5Yes3wPj6J7iy9xYg" rel="nofollow noopener" target="_blank">http://archive.is/rjjLK</a></span></span>)। পোস্টটি মৃত নাস্তিক বাচ্চুর লেখা, শুরুতেই আল্লাহ-রসূল তুলে কটূক্তি করা হয়েছে। এই পোস্টটি শেয়ার করে এই নমশূদ্রটি লিখেছে, সাজাহান বাচ্চুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা!<br /> <br /> এই নমশূদ্র হিন্দুগুলো প্রতিনিয়ত ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করে গেলেও মুসলমানরা তাদের শাস্তি বিধান করতে চায় না, উল্টো সংখ্যালঘুর অধিকার দেয়ার নামে হিন্দুদের গর্দানে চর্বি জমায়। যদি হিন্দুদের এসব কটূক্তির শাস্তি বিধান করত এদেশের মুসলমানরা, তাহলে কখনোই এসব প্রিয়া সাহারা এদেশে মাথাচাড়া দিতে পারত না।</div>

প্রিয়া সাহার ইসলামবিরোধী স্ট্যাটাস

এই কুৎসিতদর্শন নমশূদ্র মহিলাটি বহু আগে থেকেই ফেসবুকে ইসলামবিদ্বেষী লেখালেখি করত, যেমন নিম্নোক্ত পোস্টটি সে শেয়ার দিয়েছিল গত ২০১৮ সালের...

Read more »

চট্টগ্রামঃ হিন্দুপ্রেমে টইটম্বুর বাড়ির পাশের হবু কাশ্মীর!

<br /> <br /> <span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";"></span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">কিছুদিন আগে চট্টগ্রামে মুসলমান শিশুদের যে প্রসাদ খাওয়ানোর ধৃষ্টতা দেখালো হিন্দুরা, তা তারা করেছিল তাদের রথযাত্রা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে। সেই রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে তারা হিন্দু মেয়েদের সাজিয়েছিল চরম গেরুয়া উগ্র সাজে, মিছিলের নেত্রীকে তারা উপাধি দিয়েছিল ‘ডাকু রানী। তা নিয়ে স্ট্যাটাস দেয়াতে উল্টো চট্টগ্রামের এক লোক আমাকে চার্জ করলো, যে হিন্দুদের রথের মিছিল করা তাদের ধর্মীয় অধিকার। আমি নাকি মাঝখান দিয়ে ঢুকে ‘অশান্তি’ সৃষ্টি করছি, এই-ই ছিল তার অভিমত।</span><br /> <span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";"> </span> <br /> <div class="MsoNormal"> <span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">উল্লেখ্য, এরকম কমেন্ট পোস্টকারীকে কতোটা অস্বস্তিতে ফেলতে পারে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। চট্টগ্রামের লোকটি বারবার কমেন্ট করছিল, আপনি কি শান্তি চান না! আপনি কি অছাম্প্রদায়িকতা চান না! অর্থাৎ আপাতদৃষ্টিতে চট্টগ্রামের মুসলমানদের সাবধান করতে গিয়ে পোস্টকারী হয়ে গেল ভিলেন, ‘অশান্তি’ সৃষ্টিকারী। ফেসবুকে তা ছিল আমার সবচেয়ে বিব্রত পরিস্থিতিগুলোর একটি।</span></div> <div class="MsoNormal"> <br /></div> <div class="MsoNormal"> <span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">সম্প্রতি ১ বছর আগের আরেকটি স্ট্যাটাস চোখে পড়ল, ২০১৮ সালে চট্টগ্রামে যে রথযাত্রা হয়েছিল তা নিয়ে। ঐ বছরও চট্টগ্রামের উগ্র হিন্দুরা গেরুয়া মিছিল বের করেছিল। তার কিছু ছবি শেয়ার করায় পশ্চিমবঙ্গের উগ্র হিন্দু সংগঠন ‘হিন্দু সংহতি’র Animitra Chakraborty নামক এক নেতা কমেন্ট করল-</span></div> <div class="MsoNormal"> <br /></div> <div class="MsoNormal"> <span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">“হাতে শস্ত্র নেই কেন Joyanta। নারী শস্ত্রধারিণী চামুন্ডা হয়ে উঠুক। যবনের রক্তে স্নান করুক। প্রতিশোধের আকাঙ্খা হল পূর্ণতম, শ্রেষ্ঠতম আবেগ।”</span></div> <div class="MsoNormal"> <span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">এই কমেন্টের উত্তরে সেই জয়ন্ত উত্তর দিল- “<span class="3l3x">দাদা</span></span><span class="3l3x"> </span><span class="3l3x"><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">সময়</span> </span><span class="3l3x"><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">মহা</span> </span><span class="3l3x"><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">বলবান।</span> </span><span class="3l3x"><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">তাই</span> </span><span class="3l3x"><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">সেই</span> </span><span class="3l3x"><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">মহাকালের</span> </span><span class="3l3x"><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">অপেক্ষায়।”</span></span></div> <div class="MsoNormal"> <span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">ঐ স্ট্যাটাসে হিন্দু সংহতির প্রধান তপন ঘোষেরও কমেন্টটি লক্ষণীয়। সে লিখেছে- “</span><span class="3l3x">Like </span><span class="3l3x"><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">দিতে</span> </span><span class="3l3x"><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">পারলাম</span> </span><span class="3l3x"><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">না।”</span></span></div> <div class="MsoNormal"> <br /></div> <div class="MsoNormal"> <span class="3l3x"><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">কেন সে লাইক দিতে পারল না? কারণ শিবসেনা কিংবা বিজেপির মিছিলের মতো উগ্র হিন্দুত্ববাদী গেরুয়া মিছিল বের করলেও, চট্টগ্রামের হিন্দুরা এখনো অস্ত্রহাতে বের হয়নি। যেদিন অস্ত্রহাতে বের হবে এবং ‘যবনের রক্তে স্নান’ করবে, সেদিন তপন ঘোষ লাইক দেবে। </span></span></div> <div class="MsoNormal"> <br /></div> <div class="MsoNormal"> <span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">আর চট্টগ্রামের মুসলমানরা এগুলোই সমর্থন করে থাকে। ঐ রথযাত্রার দিন চট্টগ্রামের হিন্দুরা গোটা শহরটি কার্যত দখল করে নিয়েছিল, নেতৃত্বে ছিল নওফেল আর আজম নাছির। নওফেলের একটি ভিডিও ফেসবুকে রয়েছে, যেখানে সে স্লোগান দিচ্ছে ‘ক্ষয় জগন্নাথ, ক্ষয় জগন্নাথ’ বলে।</span></div> <div class="MsoNormal"> <br /></div> <div class="MsoNormal"> <span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">উল্লেখ্য, ভারতে যদি এখন কোনো মুসলিম নেতা প্রকাশ্যে বলে ‘ক্ষয় ছিড়াম’, তাহলে সেটা নিয়ে সেখানকার মুসলমানরা কিছুটা হলেও প্রতিবাদ জানাবে। বিপরীতে নওফেলের এই ‘ক্ষয় জগন্নাথ’ স্লোগান নিয়ে চট্টগ্রামের কেউ কোনো প্রতিবাদ করেনি, যেমনটি করেনি তাদের সন্তানদের প্রসাদ খাওয়ানোর ব্যাপারে। এ সম্পর্কে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখা হয়েছে-</span></div> <div class="MsoNormal"> <br /></div> <div class="MsoNormal"> <span style="mso-bidi-font-family: "Siyam Rupali";">“</span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">হিন্দুদের</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">সংগঠন</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="mso-bidi-font-family: "Siyam Rupali";">'</span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">ইসকন</span><span style="mso-bidi-font-family: "Siyam Rupali";">' </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">চট্টগ্রামে</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">যা</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">করেছে</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">তার</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">বিপরীতে</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">প্রথম</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">রিএকশানটা</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">দেখানো</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">উচিত</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">ছিল</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">অভিভাবকদের।</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">যেসব</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">স্কুলে</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">তারা</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">পূজার</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">প্রসাদ</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">খাইয়েছে</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">এবং</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">ছোট</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">ছোট</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">বাচ্চাদের</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">হিন্দুদের</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">ধর্মীয়</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">স্লোগান</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">দেওয়ানো</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">হয়েছে</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">এসব</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">স্কুলকে</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">জবাবদিহিতার</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">আওতায়</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">আনা</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">উচিত</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">ছিল</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">অভিভাবকদের।</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">এরকম</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">কিছু</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">চোখে</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">পড়েনি।</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">কারণ</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">আমাদের</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">অভিভাবকরা</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">এসব</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">নিয়ে</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">আসলে</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">মাথা</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">ঘামায়</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">না</span><span style="mso-bidi-font-family: "Siyam Rupali";">, </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">তার</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">উপর</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">অনেকের</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">কাছেই</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">ইসকনের</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">এই</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">কাজটা</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">নিতান্ত</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="mso-bidi-font-family: "Siyam Rupali";">'</span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">ভালো</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">কাজ</span><span style="mso-bidi-font-family: "Siyam Rupali";">' </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">বলে</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">মনে</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">হবে।</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">আর</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">এই</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">সচেতনতার</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">অভাবটা</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">তৈরি</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">করেছে</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">আমাদের</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">আলেমরা।</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">আচ্ছা</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">আজকে</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">চট্টগ্রামের</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">কয়টা</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">মসজিদে</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">এই</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">ইশ্যুতে</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">খুতবা</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">দেওয়া</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">হয়েছে</span><span style="mso-bidi-font-family: "Siyam Rupali";">? </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">মানুষকে</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">সচেতন</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">করা</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">হয়েছে</span><span style="mso-bidi-font-family: "Siyam Rupali";">? </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">হেজাফত</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">ইসলাম</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">বিক্ষোভ</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">মিছিল</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">করেছে</span><span style="mso-bidi-font-family: "Siyam Rupali";">, </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">কিন্তু</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">এতে</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">কি</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">আসলে</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">মানুষের</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">মাঝে</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">সচেতনতা</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">এসেছে</span><span style="mso-bidi-font-family: "Siyam Rupali";">? </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">মানুষ</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">এ</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">বিক্ষোভ</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">মিছিলকে</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> "</span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">হেফাজতের</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">মিছিল</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;">" </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">হিসেবে</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">নিয়েছে</span><span style="mso-bidi-font-family: "Siyam Rupali";">, </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">নিজেদের</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">হিসেবে</span><span style="font-family: "Siyam Rupali","serif"; mso-hansi-font-family: Calibri; mso-hansi-theme-font: minor-latin;"> </span><span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">নেয়নি।</span><span style="mso-bidi-font-family: "Siyam Rupali";">”</span></div> <div class="MsoNormal"> <br /></div> <div class="MsoNormal"> <span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">উল্লেখ্য, ফেনী নদীর পর থেকে গোটা চট্টগ্রামকে উগ্র হিন্দু ও উপজাতি শাসিত আলাদা রাষ্ট্রে পরিণত করাটা যে সিআইএ ও ভারতের যৌথ প্ল্যান, এটি সবাই জানে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে কাশ্মীর স্টাইলে, চট্টগ্রামের মুসলমানদের হিন্দুপ্রীতির সৌজন্যে! কাশ্মীর দখল হয়েছিল ৩৭০ ধারার মূলা ঝুলিয়ে, যে তোমরা কাশ্মীরিরা পাকিস্তানে না গিয়ে ভারতের সাথে থাকলে তোমাদের এই এই সুবিধা দেয়া হবে! কাশ্মীরিরা দালাল শেখ আব্দুল্লাহর প্ররোচনায় ও হিন্দুপ্রীতির কারণে সেই পথে পা বাড়ায়। এর পরের ইতিহাস তো সবারই জানা!</span></div> <div class="MsoNormal"> <br /></div> <div class="MsoNormal"> <span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">মূলত সেনাবাহিনী নামালেই দেশ দখল হয় না, যদি না জনগণ নিজেই দখলদারদের গোলামি করতে চায়। দখলদাররা এসব ৩৭০ ধারার মূলা ঝুলায়, আর ডি-মরালাইজড কাফিরপ্রীতিতে ভোগা মুসলিমরা সেই ফাঁদে পা দেয় এবং সেটাকেই মূলত ‘পরাধীনতা’ বলে অভিহিত করা যায়। ধরা যাক, চট্টগ্রাম অঞ্চলটি ভারত ও আমেরিকার যৌথ সেনাবাহিনী দখল করল। এরপর তারা চট্টগ্রামের মুসলমানদের উদ্দেশ্যে এরকম ৩৭০ মার্কা একটা মূলা ঝুলাবে, যে তোমাদের এই এই সুবিধা দেয়া হবে, তোমরা আমাদের মেনে নাও! </span></div> <div class="MsoNormal"> <br /></div> <div class="MsoNormal"> <span style="font-family: "Nirmala UI","sans-serif";">চট্টগ্রামের মুসলমানরা তখন চিন্তা করবে, তাদের প্রাণের প্রিয় হিন্দু প্রতিবেশী, জয় জগন্নাথ আর ইসকনের গোচনা-মারা প্রসাদের চেয়ে কী স্বাধীনতা বেশি কাম্য! হতেই পারে না, সুতরাং মেনে নাও অমুক ধারা, তমুক ধারা! স্বীকৃতি দাও হিন্দু রাষ্ট্রের! এভাবেই বাংলার বুক চিরে আরেকটি পরাধীন ফিলিস্তিন কিংবা কাশ্মীরের জন্ম হবে, আর হিন্দুপ্রেমিক চট্টগ্রামের মুসলমানরা ধর্ষণে ধর্ষণে ক্ষতবিক্ষত হবে তাদের প্রতিবেশী রোহিঙ্গাদের মতো।</span></div> <div class="MsoNormal"> <br /></div> <div class="MsoNormal"> <br /></div> <div class="MsoNormal"> <br /></div> <img alt="Image may contain: 9 people, people smiling, text" aria-busy="true" class="spotlight" src="https://scontent-arn2-1.xx.fbcdn.net/v/t1.0-9/67603470_114416536566078_8378846183581286400_n.png?_nc_cat=104&_nc_oc=AQlzCgWNDlskTUnq0xoxSUJZVO9uzB2AA9q-odQyR2-BQy9zmaVLCQeBUkXamdD_Zqs&_nc_ht=scontent-arn2-1.xx&oh=09e084bebf8371581334b7373aa37391&oe=5DED51DA" style="height: 666px; width: 960px;" />

চট্টগ্রামঃ হিন্দুপ্রেমে টইটম্বুর বাড়ির পাশের হবু কাশ্মীর!

কিছুদিন আগে চট্টগ্রামে মুসলমান শিশুদের যে প্রসাদ খাওয়ানোর ধৃষ্টতা দেখালো হিন্দুরা, তা তারা করেছিল তাদের রথযাত্রা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে। স...

Read more »

৩৭০ ধারা ছিল একটি মূলা, হিন্দুপ্রেমের উছিলাঃ সেই মূলা হাতছাড়া হওয়ার জন্যই আজ গাধাগুলো কাঁদছে

<p dir="ltr"><br> ==<br> কাশ্মীরে ৩৭০ এবং ৩৫এ ধারাকে আজ সরিয়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকার। যারা এই ধারার ইতিহাস সম্পর্কে অবগত, তারা জানে যে এই ধারা ছিল ছলনার হাতিয়ার। কারণ এই ধারায় যে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে, তা ভারত সরকার বহু আগে থেকেই লঙ্ঘন করে আসছে। তারপরও ভারতীয় হিন্দুপ্রেমিক মুসলমানরা আশায় বুক বেঁধে ছিল নামকাওয়াস্তে খাতাকলমে এই <br> ৩৭০ ধারা যুক্ত থাকার কারণে।</p> <p dir="ltr">৯৮ শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত কাশ্মীর উপত্যকা কখনোই হিন্দুপ্রধান ভারতের সাথে যুক্ত হওয়া স্বাভাবিক ছিল না, কিন্তু নেহরুর দালাল শেখ আব্দুল্লাহ এই ৩৭০ ধারার মূলা দেখিয়েই কাশ্মীরিদের ভারতের সাথে যুক্ত হতে প্ররোচিত করেছিল। এই ধারানুযায়ী কাশ্মীরের আলাদা পতাকা, আলাদা সংবিধান ছিল এবং কাশ্মীরের শাসককে সম্বোধন করা হতো ‘প্রধানমন্ত্রী’ বলে, ভারতের অন্যান্য প্রদেশের মতো ‘মূখ্যমন্ত্রী’ বলে নয়। মূলত হিন্দুদের সাথে জোট বেঁধে কাশ্মীরের একচ্ছত্র অধিপতি হওয়াটা এই বেঈমান শেখ আব্দুল্লাহর মূল উদ্দেশ্য ছিল, যা বৃহত্তর পাকিস্তানের সাথে যোগ দিলে সম্ভব ছিল না। </p> <p dir="ltr">কিন্তু হিন্দুরা তো কাশ্মীরিদের মধ্যে কোনো শক্তিশালী নেতৃত্ব গড়ে উঠতে দিবে না, তাই ১৯৫৪ সালেই শেখ আব্দুল্লাহকে গভর্নরের মাধ্যমে গ্রেফতার করায় নেহরু নিজেই। তৎকালীন সময়ে কাশ্মীরের গভর্নর ছিল কাশ্মীরের শেষ রাজা হরি সিংয়ের পুত্র করণ সিং, বর্তমানে সে একজন কংগ্রেস নেতা। শেখ আব্দুল্লাহকে জেলে বন্দী রাখা হয়েছিল টানা দশ বছর, ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত।<br> পরবর্তীতে ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর ভারত সরকার আরো আগ্রাসী হয়ে উঠে, ক্ষমতায় তখন নেহরুর মেয়ে ইন্দিরা। ১৯৭৫ সালে শেখ আব্দুল্লাহর সাথে ইন্দিরা এক চুক্তি করে তাকে ফের কাশ্মীরের ক্ষমতায় বসায়, কিন্তু তার টাইটেল তখন হয় ‘মূখ্যমন্ত্রী’, পূর্বের মতো ‘প্রধানমন্ত্রী’ নয়। </p> <p dir="ltr"> অর্থাৎ ৩৭০ ধারার কবর সেই ইন্দিরার আমলেই দেয়া হয়ে গিয়েছিল। ১৯৮২ সালে শেখ আব্দুল্লাহ মারা যায়, কিন্তু তার বেঈমানির সিলসিলা তার পরিবারের মধ্যে বিদ্যমান থাকে। মূলত শেখ আব্দুল্লাহর ছেলে ফারুক, তার ছেলে ওমর, এদের প্রত্যেকেই হচ্ছে কংগ্রেসের দালাল ও বেঈমান। সবচেয়ে বড় কথা, কংগ্রেসের দ্বারা বারংবার ফুটবলে পরিণত হলেও তাদের মধ্যে কখনো আনুগত্যের ঘাটতি হয়নি।</p> <p dir="ltr">উদাহরণস্বরূপ, শেখ আব্দুল্লাহর মৃত্যুর পর তার ছেলে ফারুক আব্দুল্লাহ কাশ্মীরের মূখ্যমন্ত্রী হয়, কিন্তু তাকেও তার পিতার মতো গভর্নরের মাধ্যমে সরিয়ে দেয়া হয় ১৯৮৪ সালে। তখন কাশ্মীরের গভর্নর ছিল ‘জগমোহন’, ইন্দিরার ছেলে সঞ্জয়ের বন্ধু। </p> <p dir="ltr">১৯৮৪ সালে এই ফারুককে কংগ্রেস সরকার লাথি দিয়ে সরিয়ে দিলেও সে-ই আবার ১৯৮৭ এর কুখ্যাত নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গী হয়। উক্ত নির্বাচনে কেন্দ্রের কংগ্রেস সরকার ব্যাপক কারচুপি করেছিল কাশ্মীরের ‘মুসলিম ইউনাইটেড ফ্রন্ট’ কে ক্ষমতায় আসা থেকে বিরত রাখার জন্য, জিতিয়ে দেয়া হয়েছিল এই বেঈমান ফারুককে। </p> <p dir="ltr">মূলত ঐ সময়ের ঘটনারই ধারাবাহিতায়-ই এখনো কাশ্মীরে আগুন জ্বলছে। ১৯৮৭ সালের ভুয়া নির্বাচন ও বিক্ষোভের প্রেক্ষিতেই ১৯৯০ সালে ‘আর্মড ফোর্সেস পাওয়ার অ্যাক্ট’ জারি করা হয়, যার ফলশ্রুতিতে কাশ্মীর বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সেনা অধ্যুষিত এলাকায় পরিণত হয়েছে। ২০১২ সালে মোদি আসার আগে এই ফারুকের ছেলে ওমর (সম্প্রতি যাকে গৃহবন্দী করা হয়েছে) ছিল মূখ্যমন্ত্রী, তখন সে বক্তব্য দিয়েছিল যে কাশ্মীরে নাকি ‘আর্মড ফোর্সেস পাওয়ার অ্যাক্ট’ তুলে নেয়ার মতো পরিবেশ নেই!</p> <p dir="ltr">উল্লেখ্য, এই ওমরের সাথে গৃহবন্দী হিসেবে উঠে আসছে আরেক বেঈমান মেহবুবা মুফতির নাম। এই মেহবুবা মুফতি ওমরকে হারানোর জন্য বিজেপির সাথে জোট বেঁধেছিল, যার ফলশ্রুতিতে কাশ্মীরে সর্বপ্রথম বিজেপি ক্ষমতা লাভ করেছিল। এর পর আসিফার ঘটনায় বিজেপির নেতাদের দ্বারা ধর্ষণকে সমর্থন ও অন্যান্য ঘটনার দ্বারা কাশ্মীরে উগ্র হিন্দুত্ববাদ আরো প্রভাববিস্তার করে এবং এর ফলশ্রুতিতেই আজকে কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা তুলে নেয়া হয়েছে।  </p> <p dir="ltr">ভারতীয় মুসলমানদের মধ্যে যারা ৩৭০ ধারা বাতিল হওয়ায় মায়াকান্না কাঁদছে, তাদের কান্নার মূল কারণ হচ্ছে এই ধারা বাতিল হলে কাশ্মীরের ভারতের সাথে থাকার কোনো আইনগত ভিত্তি থাকে না, আলগা হিন্দুপ্রেমের ভিত্তি থাকে না। হিন্দুরা ৩৭০ ধারার মূলা ঝুলিয়ে রেখেছে যে কাশ্মীরিদের প্রধানমন্ত্রী দেয়া হবে, পতাকা দেয়া হবে, স্বাধীনতা দেয়া হবে। এর কিছুই দেয়া হয়নি, তারপরও ভারতের হিন্দুপ্রেমিক মুসলমান আশায় বুক বাঁধতে চায়।</p> <p dir="ltr">ভারতীয় মুসলমানরা তাদের কল্পিত হিন্দুপ্রেমের বেহেশত থেকে বের হতে চায় না। হাসান বিন সাব্বাহ যেমন হাশিশ খাইয়ে কৃত্রিম বেহেশতী সুখের আয়োজন করত, যেই নেশা কেটে গেলে ব্যক্তি পাগল হয়ে যেত যে কোন মূল্যে ফের সেই বেহেশতে প্রবেশের জন্য, ভারতীয় মুসলমানদের অবস্থা হয়েছে ঠিক সেরকম। ৩৭০ ধারা রদের মাধ্যমে তারা বাস্তবে ফিরতে চায় না। তারা এই বাস্তবতা স্বীকার করতে চায় না যে ভারতের ভারতের বিরুদ্ধে তাদেরকে যুদ্ধ করতেই হবে। ভারতের অংশ তারা নয়, হিন্দুরা তাদের বন্ধু নয়।</p>

৩৭০ ধারা ছিল একটি মূলা, হিন্দুপ্রেমের উছিলাঃ সেই মূলা হাতছাড়া হওয়ার জন্যই আজ গাধাগুলো কাঁদছে

== কাশ্মীরে ৩৭০ এবং ৩৫এ ধারাকে আজ সরিয়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকার। যারা এই ধারার ইতিহাস সম্পর্কে অবগত, তারা জানে য...

Read more »