খবরে এসেছে, বর্তমানে ভারতে গরুর দুধের চেয়ে চনার দাম বেশি। গরুর গোবর ও চনা কেন হিন্দুদের নিকট আদরণীয়, সেটির ব্যাখায় সবাই বলবে কথিত ‘পবিত্রতা’র কথা। কিন্তু এর পেছনে মূল কারণ তা নয়।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে লিভারপুল সিটি কর্তৃপক্ষ একটি ইন্টারফেইথ ডায়ালগ আয়োজন করেছিল, স্বাভাবিকভাবেই মুসলমান অভ্যাগতদের কথা মাথায় রেখে শুকর বা এজাতীয় হারাম খাদ্য সেখানে রাখা হয়নি। তাতেই বেঁকে বসে ঐ সম্মেলনে দাওয়াতপ্রাপ্ত মেসিডোনিয়ার অর্থোডক্স খ্রিস্টান কমিউনিটির সদস্যরা। তারা কিছুতেই শুকরের গোশতের ব্যাপারে কোনো আপস করতে রাজি হয় না।

হয়তো চিন্তা করতে পারেন, বিষয়টা কি ছেলেমানুষি নাকি? ওরা তো নিয়মিতই শুকর খায়, একদিন না খেলে কী হয়? কিন্তু মিডিয়াতে যা এসেছে তা হলো, মেসিডোনিয়া হচ্ছে পূর্ব ইউরোপের একটি দেশ, যা উসমানীয় সালতানাদের অধীনে ৫০০ বছর অন্তর্ভূক্ত ছিল। মুসলিম শাসনের অধীনে থেকেও নিজেদের খ্রিস্টত্ব যেন বজায় রাখা যায়, সেজন্য মেসিডোনিয়ার অর্থোডক্স খ্রিস্টানরা শুকরের গোশতকে নিজেদের প্রধান খাদ্য আইটেম বানিয়ে নিয়েছিল। শুকরের গোশত তাই তাদের নিকট টিকে থাকার প্রতীক, তার ব্যাপারে তারা কিছুতেই মুসলমান অতিথিদের জন্য আপোষ করবে না। (http://bit.ly/2M61N4p

)

অর্থোডক্স খ্রিস্টানরা যেভাবে তুর্কী উসমানীয় শাসকের অধীনে খ্রিস্টত্ব বজায় রাখতে শুকর খেতো, ঠিক সেভাবেই হিন্দুরা ৮০০ বছরের মুসলিম শাসনে মুসলমানদের প্রতি ঘৃণা বজায় রেখে হিন্দুত্ব ধরে রাখতে ব্যবহার করতো গোবর। মুসলমানদের সাথে উঠাবসা করে এসেছে, গায়ে ছিটাও গোবর। মুসলমান কোথাও বসেছে কিংবা বাসনে হাত দিয়েছে, সেখানে মাখাও গোবর। বাড়ির পুরুষমানুষ মুসলমানদের সাথে এটা ওটা খেয়েছে, প্রাশ্চিত্তি করতে খাওয়াও গোবর।

গোবর-চনা আসলে পবিত্রতার জন্য ব্যবহার করা হয় না। মূল বিষয়টি হলো তারা শুকর কিংবা গোবরের মতো এমন অপবিত্র মাধ্যম আঁকড়ে থাকতে চায়, যার দ্বারা দ্বীন ইসলামের পবিত্রতার প্রতি ঘৃণা বজায় রাখা যায়, তথা নিজেদের কুফরী ধর্মমত ধরে রাখা যায়। শত শত বছর ধরে তারা তাই সেগুলো ধরে থাকে। উসমানীয় শাসন গত হয়েছে ১০০ বছর হলো, এখনও মেসিডোনিয়ার খ্রিস্টানরা শুকর নিয়ে আপোষ করতে চায় না।

বিজেপি ক্ষমতায় থাকার কারণে ভারতে মুসলমানদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশের তাগিদ বেড়েছে, যে কারণে বেড়েছে গোবর ও চনার চাহিদা। উল্লেখ্য, আমরা বসনিয়ায় যে মুসলিম গণহত্যার কথা শুনি সার্বীয়দের দ্বারা, তা উসমানীয় সালতানাতের অধীনে অর্থোডক্স খ্রিস্টানদের ঐ শত বছরের গোলামির জ্বালা মেটাতে করা হয়েছিল। ঠিক সেভাবেই ভারতে যে মুসলমানদের উপর নির্যাতন হয়, তা মূলত ৮০০ বছর ধরে মুসলমানদের গোলামি করার জ্বালা মেটাতে করে উগ্র হিন্দুরা। 

সামনে সিরিয়ালে আছে বাংলাদেশ, এখানেও হিন্দুরা মুসলিম দেশে বসবাসের শোধ নেয়ার সুযোগ খুঁজছে। বসনিয়ার মতো এখানেও মুসলমান মেয়েদের এমনভাবে ক্ষতবিক্ষত করবে হিন্দুরা সুযোগ পেলে, যা এখন আমরা চিন্তাও করতে পারছি না। 

Jatnuary 2p0o53, 2nso04r14fi9ed

Post a Comment

 
Top