এবার নির্বাচনে একটি বিষয় খুব বেশি শোনা গিয়েছে, তা হলো ভোটকেন্দ্রে বেছে বেছে কেবল হিন্দু মহিলাদের প্রবেশ করার সুযোগ দেয়া। Rifat Hasan নামে এক লেখক তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছে-
“আমার বউ বলল, আমরা তো এইমাত্র দিয়ে আসলাম। ওরা জানাল, এখন আর ঢুকতে দিচ্ছে না। শুধু হিন্দুদের ঢুকতে দিচ্ছে। মুসলমান মেয়েদের ঢুকতে দিচ্ছে না। আমরা অবাক হলাম।” (http://archive.vn/flgHj
)
Mohammed Lokman নামে একজন লিখেছে-
“আমাদের সামনে হিন্দু মহিলারা ভোট দিয়ে ফিরছিলো আর আমার স্ত্রীকে প্রবেশ করতে দেওয়া হলো না। কারণ, সে মুসলিমা।” (http://archive.vn/8MzyN
)
Syed Faiz Ahmed নামে একজনের স্ট্যাটাসে (https://goo.gl/28MsBB
) Samsun Nahar নামক একজন কমেন্ট করেছে-
“আমার মা আর ভাবি গত দুই বছর ভোট দিতে গিয়ে দেখেছে তাদের ভোট আগেই দিয়ে দিয়েছে। এবছর বাড়ি বাড়ি এসে ভয় দেখায় গেছে। গ্রামে হিন্দু পাড়ার মহিলা ছাড়া কোন মহিলা ভোট দিতে যায়নি।”
মূলত বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানটি ছিল হিন্দুত্ববাদীদের একটি বিশেষ ল্যাবরেটরী, যেখানে তাদের ভবিষ্যৎ কর্মকৌশল ঠিক করার লক্ষ্যে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা সম্পাদিত হয়েছে। আমরা জানি যে, কিছুদিন আগে ভারতে তিনটি রাজ্যে কংগ্রেস জয়ী হয়েছে। সেদেশে নোটবন্দি, জিএসটি ও আরো অনেক কিছুকে কেন্দ্র করে জনমত এখন নরেন্দ্র মোদির পক্ষে অতোটা নয়। ওদিকে দরজায় কড়া নাড়ছে ২০১৯ এর নির্বাচন, এতে না জিতলে মোদিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বহাল রাখা যাবে না।
এমতাবস্থায় ২০১৯ এর নির্বাচনে ক্ষমতা ধরে রাখতে কি ধরণের কৌশল অবলম্বন করতে হবে হিন্দুত্ববাদী বিজেপিকে, তারই একটি পরীক্ষা মূলত সম্পাদিত হয়েছে বাংলাদেশের নির্বাচনে। ‘র’ এর বাংলাদেশী এজেন্টরা এতে জড়িত ছিল এবং এক ভারতীয় সাংবাদিক টুইটারে লিখেছে যে, আওয়ামী লীগের ভোট ডাকাতি প্রক্রিয়ার সামগ্রিক ফলাফল দেখে তারা নিজেরাই বিস্মিত হয়ে গিয়েছে। (https://goo.gl/Gcmh3D
)
আরেকটি হলো মুসলমানদের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ার পরীক্ষা। ভারতীয় উগ্র হিন্দুরা বারবার সেটি তাদের বিভিন্ন পত্রিকায় ও বক্তব্যে বলে গিয়েছে। ভারতের হিন্দুত্ববাদী দল শিবসেনা তাদের দলীয় মুখপত্র ‘সামনা’-তে প্রকাশিত এক নিবন্ধে প্রস্তাব দিয়েছে যে ভারতে মুসলমানদের স্বার্থেই তাদের ভোটাধিকার প্রত্যহার করে নেয়া উচিত। (https://goo.gl/zhik6y
)
বাংলা বিশ্ব হিন্দু বার্তার (৪৪তম বর্ষ, কার্তিক ১৪২৫, তৃতীয় সংখ্যা) ১৯-২২ নং পৃষ্ঠায় নৃসিংহ প্রসাদ দে’র লেখা ‘হিন্দু সমাজ ভাবনা’র একটি অংশে মুসলিমদের ভোটাধিকার বাদ দেয়ার জন্য জোর দাবি করা হয়েছে। (https://goo.gl/6FkQpb
)
উগ্র হিন্দু সুব্রামানিয়ম স্বামীও বলেছে, মুসলমানদের ভোটাধিকার থাকা উচিত নয়।
অর্থাৎ ভোটকেন্দ্রগুলোতে কেবলমাত্র ‘হিন্দু মহিলা’ প্রবেশ করতে দেয়ার মাধ্যমে যে মুসলমানদের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ার পরীক্ষা করা হয়েছে, এটি দিবালোকের মতো স্পষ্ট।
Post a Comment