‘আওয়ামী লীগ করলে মুসলমান থাকা যায় না’ অভিযোগটি অনেকেই শুনেছেন। সম্প্রতি পূজাকে কেন্দ্র করে একটি ঘটনায় অভিযোগটি আরও জোরালোভাবে প্রমাণিত হলো। বি.বাড়িয়ার নবীনগর এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের নমিনেশন প্রত্যাশী এবাদুল করিম বুলবুল, স্থানীয় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছে-
“আমি একজন মুসলমান। তাই মুসলিম ধর্মের রীতি ও বিধান অনুযায়ি ভিন্ন ধর্মাবম্বীর কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আমি ব্যক্তিগতভাবে আর্থিক অনুদান কিংবা নগদ অর্থ কোনভাবেই প্রদান করতে পারিনা এবং কখনও সেটি করবোও না। তবে তাদের বিয়ে, চিকিৎসা, লেখাপড়াসহ যে কোন প্রয়োজনে আমি অবশ্যই আমার সাধ্যমত সর্বতভাবে সহযোগিতা করতে সদা প্রস্তুত আছি।” (https://bit.ly/2J8hdni
)
উপরের বক্তব্য দেয়ার ঠিক কয়েকদিন পরেই কালেরকণ্ঠে খবর ছেপেছে-
“আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী এবাদুল করিম বুলবুল নবীনগরের ১১৫টি পূজামণ্ডপে আর্থিক অনুদান দিয়েছে। গতকাল রবিবার সকালে স্থানীয় কালীবাড়িতে মণ্ডপ কমিটির নেতাদের কাছে তাঁর দেওয়া অনুদান তুলে দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে এবাদুল করিম বুলবুল বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া আমার বক্তব্যটি প্রত্যাহার করে নিয়েছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে আর্থিক অনুদান পাঠিয়েছি পূজার জন্য। আশা করি, এ বিষয়ে হিন্দুদের সঙ্গে আমার ভুল-বোঝাবুঝির অবসান ঘটবে।” (https://bit.ly/2CSnfIo
)
বলা বাহুল্য, এই বক্তব্য প্রত্যাহার করার দ্বারা বুলবুল মূলত নিজের মুসলমান পরিচয়টিকেই প্রত্যাহার করে নিল। আওয়ামী লীগের উচ্চপর্যায় থেকে বুলবুলকে বাধ্য করা হয়েছে এরকম নাকে খত দিয়ে বিবৃতি প্রত্যাহার করতে, আর সেও তার মুসলমানিত্বের বিনিময়ে নমিনেশনকে গুরুত্ব দিয়ে নির্দেশ অনুযায়ী কাজটি করেছে। এখন বুলবুলের কাছে নিজের মুসলমান পরিচয়ের চেয়ে নিজের লীগার পরিচয়টি বড় হতে পারে, কিন্তু এদেশের মুসলমানদের নিকটও কি তাই? তারাও কি আর মুসলমান থাকতে চায় না?
শুধু বুলবুলকে দিয়ে এই হিন্দুকরণের ধারা শেষ হবে না, অদূর ভবিষ্যতে বুলবুলের ন্যায় এটি কোনো মুসলমানই বলতে পারবে না যে, আমি মুসলমান, তাই আমি পূজা করতে পারি না। আমি প্রসাদ খেতে পারি না। সরকার এদেশের প্রত্যেক মুসলমানকেই বাধ্য করবে গোচনা মিশ্রিত প্রসাদ খেয়ে, তাদের নিজ নিজ মুসলমানিত্ব ত্যাগ করে নিজেদেরকে প্রমাণ করতে। যেভাবে চীনে শুকরের গোশত খেয়ে উইঘুর মুসলমানদেরকে নিজেদের প্রমাণ করতে হয়।
আশ্চর্যের বিষয়, এরকম সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশের পরও কিভাবে মুসলমান জনগণ স্বাভাবিকভাবেই খায়-দায়, বউ-বাচ্চা নিয়ে সুখনিদ্রা যায়? কেন তারা তীব্র প্রতিবাদে ফেটে পড়ছে না? এ কি বাংলার মুসলমানদের রোহিঙ্গাকরণের পূর্বাভাস নয়? এ কি সিরিয়া-বসনিয়া-আফগানিস্তানের পদধ্বনি নয়?
Post a Comment