বরিশালে এক বামপন্থী নেত্রী তার সম্প্রদায়ের চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছে, কুরবানীর দিনে গরিবদের উদ্দেশ্যে তার দলের গোশত বিতরণের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, সেই অনুষ্ঠানে সে স্রেফ দাঁড়িয়ে ছিল, নিজ হাতে কিন্তু সে গোশতের পোটলা বিতরণ করেনি। অথচ মেয়র হয়েও আতিকুলেরা লাজশরমের মাথা খেয়ে নমশূদ্রদের মতো গলায় ঢোল জড়িয়ে পূজায় নাচতে লেগে যায়।

এটুকু তো তাকে করতেই হবে, অন্তত বাংলাদেশের মতো একটি মুসলিম দেশে রাজনীতি করতে চাইলে। বিশ্বের প্রতিটি দেশেই ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে ব্যবহার করে জনসংযোগ করে থাকে রাজনীতিবিদরা। কিন্তু মনিষার জাতভাইদের তাও সহ্য হয়নি, যার কারণে মনিষাকে একটি ব্যাখামূলক পোস্টও লিখতে হয়েছে এই মর্মে যে, অনুষ্ঠানটি তার ব্যক্তিগত নয়, বরং দলীয়। তাছাড়া গরু জবাইয়ের খরচও দলের পক্ষ থেকে বহন করা হয়েছে।

বিপরীতে মুসলমানদের ট্যাক্সের টাকা, যাকাত ফান্ডের টাকা হি*দুর পূজায় দেয়ার জন্য কোনোদিনও কি এদেশের সরকারকে জবাবদিহি করতে হয়েছে? হয়নি বলেই কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েও এদেশে মুসলমানদের কোনো গুরুত্ব নেই।

মোটকথা, এদেশের হি*দুরা ৯৮ শতাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশে বসবাস করেও মুসলমানদের অস্তিত্বের বিন্দু থেকে বিন্দুতম প্রতিফলনও সহ্য করতে পারে না। বিগত এক-দেড়মাস আগে কানাডায় রমজান চলাকালে ইফতারের পূর্বে কেবল এক ওয়াক্ত মাগরিবের আযান দেয়ার অনুমতি দিয়েছিল সেদেশের একটি রাজ্যে। তাতেই সেখানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী হি*দুরা চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেছিল, তারা যেহেতু মুসলমানদের থেকে রেহাই পেতে বাংলাদেশ ছেড়েছে, সেহেতু তারা কানাডায় গিয়ে আযানের শব্দ শুনতে চায় না।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বসনিয়ার সেব্রেনিৎসা গণহত্যা দিবস অতিবাহিত হল। বসনিয়ায় সেই গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল বসনিয় ভূখণ্ডের বসবাসরত সার্ব খ্রিস্টানদের দ্বারা, যারা পাশ্ববর্তী সার্বিয়ার সহায়তায় তাদের প্রতিবেশী মুসলমানদের উপর গণহত্যা ও ধর্ষণযজ্ঞ চালিয়েছিল। অথচ বসনিয় যুদ্ধ শুরু হওয়ার (১৯৯০) মাত্র ছয় বছর আগে, ১৯৮৪ সালে অবিভক্ত যুগোশ্লাভিয়ায় অলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তখন বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে অতিথিরা বসনিয় মুসলমানদের সাথে সার্বিয় খ্রিস্টানদের ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি’ দেখে ভীষণ আপ্লুত হয়েছিল।

বিপরীতে এদেশে হি*দুদের তরফ থেকে কোনো সম্প্রীতির বালাই নেই। আনুষ্ঠানিক গণহত্যা শুরুর আগে থেকেই তারা সমূহ ইঙ্গিত দিচ্ছে, সুযোগ পেলে তারা বসনিয় গণহত্যাকেও ম্লান করে দেবে। কেবল সার্বিয়ার মতো পাশের দেশ থেকে সাহায্যের অপেক্ষা মাত্র।

কারণ মুসলমানরা পেরে উঠছে না ঘৃণার যুদ্ধে। ঘৃণার যুদ্ধে, ঘৃণার যুদ্ধে এবং ঘৃণারই যুদ্ধে, মুসলমানরা তাদের প্রতিবেশী হি*দুদের তুলনায় শতসহস্র আলোকবর্ষ পিছিয়ে রয়েছে।

(গোশত বিতরণটা স্রেফ মনিষার রাজনীতি, আর নিচের ছবিটি হচ্ছে তার প্রকৃতরূপ) 

Post a Comment

 
Top