যেই মূর্তিকে দশদিন ধরে হিন্দুরা পূজা করে, বিসর্জনের সময়ে সেই মূর্তিটাকেই পায়ে লাথি দিয়ে পানিতে ফেলতে হিন্দুদের এক সেকেন্ডও লাগে না। যেই মূর্তিকে দশদিন ধরে হিন্দুরা ‘মা’ ‘মা’ ডেকে অস্থির হয়ে যায়, পানিতে ডোবানোর পর সেই মূর্তির গা থেকেই তারা শাড়ি-কাপড় ও গয়নাগাটি খুলে নিতে প্রতিযোগিতা শুরু করে দেয়।
হিন্দুদের জাতিগত স্বভাবটাই এমন, যার উদাহরণ হলো শ্যামলকান্তি নিজেই। সে কিন্তু সেলিম ওসমানের হাতে পায়ে ধরে উদ্ধার পেয়েছিলো, এমনকি ‘ভগবান’ও ডেকেছিলো। যখন সেই ‘ভগবান’ এর প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলো, তখন সে মিডিয়াতে সেলিম ওসমানের বিরুদ্ধে বিষেদগার শুরু করলো। সাথে সাথে তার নতুন ভগবান স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিমের পায়ে মাথা নত করে সিজদা করলো।
কারণ শ্যামলকান্তি তো হিন্দু। হিন্দুধর্মের নিয়ম অনুসারে তাকে পুরাতন ভগবানকে পানিতে ফেলে দিয়ে নতুন ভগবানকে পূজা করতে হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিমের মতো ভগবান থাকতে এমপি সেলিম ওসমানের মতো ভগবানের তো আর শ্যামলকান্তির দরকার নেই।
তবে একটি কথা বলতে হয়, তা হলো সেলিম ওসমান যেহেতু ইতিমধ্যে পুরাতন ভগবান হয়েছে, নাসিমও অচিরেই হিন্দুদের দৃষ্টিতে পুরাতন ভগবানে পরিণত হতে বাধ্য। তখন নাসিমকেও ঠিকই লাথি দিয়ে সরিয়ে হিন্দুরা তাদের আরেক নতুন ভগবানকে মসনদে বসিয়ে দিবে, যাতে কোনই সন্দেহ নেই।

Post a Comment

 
Top