ভারতে ঈদের নামাজে মসজিদে হিন্দুরা হামলা চালায়?
ঈদের আগে মুসলিমদের কোন উপলক্ষকে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়?
ভারতের কোথাও ‘এনিমি প্রপার্টি’ বলতে কিছু আছে?

হিন্দুদের এক ফেসবুক সেলিব্রেটি এরকম বেহায়ার মতো কিছু প্রশ্ন করে একটি পোস্ট দিয়েছে সম্প্রতি। (https://goo.gl/8eIR5Z) বেহায়া না হলে অন্তত সে এই প্রশ্ন করতে পারতো না যে, ভারতের কোথাও ‘এনিমি প্রপার্টি’ আছে কি না। তো আসুন পাঠকেরা, এই হিন্দু বেহায়াটার প্রশ্নের জবাবগুলো দেখি-
প্রশ্ন: ভারতে ঈদের নামাজে মসজিদে হিন্দুরা হামলা চালায়?
উত্তর: চালায় এবং ভারতের সবচেয়ে জঘন্য মুসলিম নিধনের আয়োজনটি হয়েছিল ঈদুল ফিতরের নামাযকে কেন্দ্র করে। ১৯৮০ সালে ভারতের উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ। ১৩ই আগস্ট ছিল ঈদুল ফিতরের দিন। সেখানকার পুলিশ ঈদগাহ ময়দানে নিরাপত্তা দেয়ার নাম করে ভেতরে ভেতরে দলিত হিন্দুদের সাথে সলাপরামর্শ করে দাঙ্গা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে। পুলিশের যোগসাজশে ঈদগাহ ময়দানে নামায চলাকালীন সময়ে দলিত হিন্দুরা তাদের বস্তি থেকে একটি গৃহপালিত শূকর এনে ছেড়ে দেয় মুসল্লীদের মাঝে। নামায চলাকালীন সময়ে পুলিশি পাহারা সত্ত্বেও এরকম একটি ঘটনা ঘটায় স্বাভাবিকভাবেই মুসলমানগণ উত্তেজিত হয়ে পড়েন, এবং এই সুযোগে মুসলমান উনাদের উপর গুলিবর্ষণ শুরু করে হিন্দু পুলিশবাহিনী। ময়দানে সেদিন পঞ্চাশ হাজার মুসলমান উপস্থিত ছিল, অনেকের সাথে ছিল তাদের শিশুসন্তান। পাঠকরা বুঝতেই পারছেন, কি পরিমাণ রক্ত ঝরেছিল সেদিন মোরাদাবাদে? (তথ্যসূত্র: দাঙ্গার ইতিহাস, শৈলেশকুমার বন্দোপাধ্যায়)
প্রশ্ন: ভারতের কোথাও ‘এনিমি প্রপার্টি’ বলতে কিছু আছে?
উত্তর: শুধু ভারতেই ‘এনিমি প্রপার্টি’ বা শত্রুসম্পত্তি বলতে একটি জিনিস রয়েছে, যা বাংলাদেশে নেই। বাংলাদেশে আছে ‘ভেস্টেড প্রপার্টি’ বা অর্পিত সম্পত্তি। ভারতে মাত্র কিছুদিন আগেই সেখানকার অভিনেতা সাইফ আলী খানের পৈতৃক সম্পত্তি শত্রুসম্পত্তি হিসেবে বাজেয়াপ্ত করে নেয় মোদি সরকার। (খবরের লিঙ্ক: http://goo.gl/ctLlDH)
কারিনা কাপুরকে বিয়ে করে কথিত ‘লাভ জিহাদ’ এর আসামি হওয়ার কারণেই সাইফ আলী খানকে এই শাস্তি দেয়া হয়েছিল। বর্তমানে শুধু মুম্বাইতে ১৬০০০ শত্রু সম্পত্তি হিসেবে গণ্য মুসলমানদের সম্পত্তি রয়েছে। যা ফেরত পেতে ৫৫০টি মামলা হলেও মুসলমানদেরকে তাদের ভূমি ফেরত দেয়া হয়নি।
প্রশ্ন: ঈদের আগে মুসলিমদের কোন উপলক্ষকে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়?
উত্তর: ‘সুষুপ্ত পাঠক’ হিন্দু হওয়ার কারণে সারাক্ষণ মূর্তি ভাঙ্গার প্রচারণা চালায়, তাই ঈদের প্রসঙ্গ আসতেও সে ‘ভাঙ্গা’ শব্দটি নিয়ে এসেছে। মুসলমানদের ঈদে হিন্দুদের মতো কোন বিশেষ আকৃতি তৈরী করা হয় না, সুতরাং ভাঙ্গারও প্রশ্ন উঠে না।
মুসলমানদের ঈদ হলো নির্দিষ্ট আমলের সাথে সংশ্লিষ্ট, যেমন কুরবানী। এক সময়ে কংগ্রেস শাসনে থাকা অবস্থায় মুসলমানদের আমলকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য ঈদ আসলেই গরু কুরবানী বাদ দেয়ার প্রচারণা চালানো হতো। এখন তো ভারতে মোদি ক্ষমতায়, তাই সারাবছরই গরু কুরবানী নিষিদ্ধ। আর হিন্দুরা মুসলমানদের মতো লুতুপুতু ‘অসাম্প্রদায়িক’ নয় যে, তারা কিছু একটা ‘ভেঙ্গে’ নিজেদেরকে ঠাণ্ডা করার চেষ্টা করবে। মুসলমানরা তো হিন্দুদের গায়ে টোকা দিতেও ভয় পায়। বিপরীতে ভারতের হিন্দুরা ডাইরেক্ট হত্যায় বিশ্বাস করে, তা সে ফ্রিজে গরুর গোশত থাকলেও।

Post a Comment

 
Top