কে কতোভাবে হিন্দুদের খুশি করতে পারে, তা নিয়ে যেন রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু করেছে বর্তমান সরকারের মন্ত্রীরা। সকালে শুনলাম, কুশিক্ষামন্ত্রী নাহিদ ঘোষণা দিয়েছে যে, যারা হিন্দুধর্ম বিষয়ে ফেল করানোর জন্য দায়ী তাদের বেতন বন্ধ করা হবে, এমনকি চাকরি থেকে পর্যন্ত বরখাস্ত করা হবে। (http://goo.gl/1lA3wW)
আর রাত না পোহাতেই শুনলাম অনর্থমন্ত্রী মাল মুহিতের মন্দিরসর্বস্ব বাজেট বক্তব্য। জাতীয় বাজেটের বক্তৃতায় সে ধর্মীয় স্থাপনা বলতে কেবলমাত্র মন্দিরের কথাই উল্লেখ করেছে, এমনকি কথিত তীর্থস্থানের জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়ার উল্লেখও বাদ যায়নি। কিন্তু মুসলমানদের মসজিদের কথা সে একবারও তার বক্তব্যে উল্লেখ করেনি। এমনকি বৌদ্ধদের প্যাগোডা বা খ্রিস্টানদের গীর্জার কথাও নয়। মাল মুহিত বাজেটে উল্লেখ করেছে কেবলই হিন্দুদের মন্দিরের কথা। (http://banglamail24.com/news/154933)
শ্যামল কান্তির হয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম কতোভাবেই না সেলিম ওসমানকে অপদস্থ করলো, জাস্ট হিন্দুদের খুশি করার জন্য। ফাটাকেষ্টও কম যায় না, ঢাউস সাইজের এক মহাভারত নিয়ে ফেবুতে ছবি প্রকাশ করে প্রমাণ করতে চায়, দেখো আমিও পিছিয়ে নেই। এসব বদমায়েশির দ্বারা ঐসব মন্ত্রীরা জনগণের নিকট কী বার্তা পৌঁছাতে চায়? এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের কোন দরকার তাদের নেই? জাতীয় বাজেটে মসজিদের প্রসঙ্গ উল্লেখ না করে সরকার তো এটিই প্রমাণ করলো যে, তারা আর সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান জনগণকে এদেশের নাগরিক বলেই গণ্য করতে প্রস্তুত নয়!
সরকার নাকি ইহুদীদের ঠেকাতে চায়! মোসাদকে ঠেকাতে চায়! অথচ মোসাদ কিন্তু ইহুদী হিসেবে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে না। মোসাদ এদেশে ঢুকছে শিপন কুমার বসুদের হয়ে, হিন্দু সংগঠনগুলো হয়ে। হিন্দুদের দিয়েই সে সরকারকে উৎখাতের পরিকল্পনা এগিয়ে নিতে চায়। আর পৌত্তলিকদের সাথে ইহুদীদের বন্ধুত্ব সেই ইসলামের প্রাথমিক যুগ থেকেই।
হিন্দুদের খুশি করতে গিয়ে ক্রিকেটার রফিকুল ইসলামকে বহিষ্কার করলো তারা, অথচ সে খোদ শেখ কামালের বন্ধু। খোদ প্রধানমন্ত্রীর বেয়াই খন্দকার মোশাররফকে অপদস্থ করার পরও হিন্দু বলে রানা দাশগুপ্তের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হলো না। হিন্দুদের খুশি করতে গিয়ে ওসমান পরিবারের সাথে সম্পর্ক খারাপ করছে আওয়ামী লীগ, অথচ ওসমান পরিবারের বাসস্থানেই আওয়ামী লীগের জন্ম। এই ওসমান পরিবার আওয়ামী লীগের কতোটা কাছের, তার বর্ণনা দিতে গিয়ে নাসিম ওসমানের স্ত্রী পারভীন ওসমান বলেছে, “১৯৭৫ সালের আগষ্টে আমার বিয়ে হয়েছিল। আর এই মাসেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে আমার স্বামী নাসিম ওসমান আমাকে বাসর ঘরে রেখে বাসা থেকে চলে গিয়েছিলেন। তিনি আমাকে ১৫ দিনের কথা বলে গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সাড়ে তিন বছর পর ফিরে আসছিলেন।” (http://goo.gl/P2ojBQ)
অর্থাৎ এই হিন্দুদের ধরে রাখতে গিয়ে গোটা দুনিয়াকে বিসর্জন দিতে পারে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। বেয়াই হোক, আত্মীয় হোক, বন্ধু হোক, প্রতিষ্ঠাতা পরিবার হোক, হিন্দুদেরকে তুষ্ট করতে এখন ক্ষমতাসীন সরকার কাউকেই পরোয়া করে না। এটাই মোসাদের পরিকল্পনা, সে বুঝেছে হিন্দুদেরকে দিয়ে একের পর এক আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠজনদের সাথে গণ্ডগোল করাতে পারলেই আওয়ামী লীগ চোখকান বন্ধ করে হিন্দুটিরই পক্ষ নিবে। যার ফলে আওয়ামী লীগের বন্ধু ও ঘনিষ্ঠজনেরা একে একে তাকে ছেড়ে চলে যাবে, আর বন্ধুহীন করতে পারলেই আওয়ামী লীগের পতন সুনিশ্চিত হবে।

Post a Comment

 
Top