তুরস্কের রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান যেই কথাটি আজকে বলেছেন, সেই কথাটি বিধর্মীদের ধর্মীয় নেতারা বছরের পর বছর ধরে বলে আসছে। এরদোগান বলেছেন, ‘পরিবার পরিকল্পনা ও জন্মনিয়ন্ত্রণের ধারণা মুসলমানদের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। আমরা আমাদের উত্তরসূরি কয়েক গুণ করব। এই ক্ষেত্রে প্রধান দায়িত্ব বর্তায় মায়েদের ওপর।’ (http://goo.gl/W1h4Bd)
আমরা আমাদের পাশের দেশ ভারতের দিকে তাকালে দেখতে পাবো, সেখানে হিন্দুরা তাদের সন্তানদের খেতে দিতে পারে না। সাম্প্রতিককালের খরায় ভারতের একটি গ্রামের সব মহিলাই পতিতাবৃত্তিতে নিযুক্ত হয়েছে। (http://goo.gl/nsKhBy) সেই চরম দুর্ভিক্ষগ্রস্ত ভারতেও হিন্দু নেতারা ৫ সন্তানের জন্ম দিতে পারলে ২ লাখ টাকা পুরষ্কারের ঘোষণা দেয়।
কারণ বিধর্মীরা বোঝে যে, মানুষের সংখ্যা বাড়লে তাদের খাওয়ানো যাবে না, কথাটা সম্পূর্ণ ভুয়া এবং ফালতু। আল্লাহ পাক যদি চান, তাহলে কোটি কোটি মানুষকে খাওয়ানো কোন ব্যাপার নয়। আর যদি না চান, তাহলে ভারতের মতো খরার কারণে খাদ্য তো দূরে, পানি পাওয়াটাও হয়ে দাঁড়াবে কঠিন। বিপরীতে এই বিষয়টিও অমুসলিমরা ভালোমতোই বোঝে যে, নিজ সম্প্রদায়ের সন্তানদের সংখ্যা না বাড়লে মুসলমানরা তাদের উপর প্রাধান্য বিস্তার করবে।
ভারতের উগ্র হিন্দু নেতা সাক্ষী মহারাজ হিন্দু মহিলাদের আহবান করে কমপক্ষে ৪টি করে সন্তান নেয়ার। হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় গুরু শঙ্করাচার্য তো আরো কয়েককাঠি উপরে। তার মতে পরেরবার মোদিকে নির্বাচিত করতে হলে হিন্দু মহিলাদেরকে কমপক্ষে ১০টি করে সন্তান জন্ম দিতে হবে! বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক মহাসচিব চম্পত রাই সরাসরি বলেছে যে 'বেশি সন্তানের জন্ম না দিলে ভারত মুসলমানদের হাতে চলে যাবে'
নিজের সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি মানেই নিজের সম্প্রদায়ের শক্তি বৃদ্ধি। বিধর্মীরা যেভাবে তাদের নিজেদের সন্তানদের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে চায়, ঠিক সেভাবেই মুসলমানদের সংখ্যাও তারা কমাতে চায়। উগ্র হিন্দু সংগঠন হিন্দু মহাসভার নেত্রী দেবা ঠাকুর সরাসরিই ঘোষণা দেয় যে, মুসলমানদের জোর করে বন্ধ্যা করে দিতে হবে। উগ্র হিন্দু সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা প্রবীণ তোগাড়িয়া সরাসরি ঘোষণা দেয় যে, মুসলমানদের ২টির বেশি সন্তান হলে শাস্তি দিতে হবে।
এমনকি বিদেশে গিয়েও মুসলমানদের সন্তান কমাতে হিন্দুদের দৌড়ঝাপ বন্ধ হয় না। শ্রীলা ফ্লেদার নামে ব্রিটেনের এক হিন্দু মহিলা, সেদেশের বাংলাদেশী ও পাকিস্তানী মুসলমানদের অধিক সন্তান জন্ম দেয়া নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে। (http://goo.gl/xlpBUj)
মিডিয়াতে এসব খবর প্রতিনিয়তই এতো বেশি প্রচারিত হয় যে, উপরের সবগুলো খবরের লিঙ্ক দেয়ার দরকার মনে করিনি আমি। কিন্তু তারপরও অথর্ব মুসলমানদের চোখ খুলে না। তারা বুঝে না যে, এই এনজিও, এই জন্মনিয়ন্ত্রণ এগুলো কেন করা হচ্ছে? কাদের খুশি করার জন্য এগুলো করা হচ্ছে? এরদোগান সেই ২০১৪ সালেই জন্মনিয়ন্ত্রণকে বিশ্বাসঘাতকতার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। বলেছিলেন, “যারা জন্মনিয়ন্ত্রণ-সামগ্রী ব্যবহার করছে, তারা একটি সমৃদ্ধ জাতিতে পরিণত হওয়ার পথে থাকা দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে।” যারা নিজেদের দলের লোকসংখ্যা কমিয়ে শত্রুপক্ষের উত্থানে সহায়তা করে, তাদেরকে বিশ্বাসঘাতক ছাড়া আর কিছুই বলার নেই।

Post a Comment

 
Top