কয়েকদিন ধরে বিবিসি বাংলা - BBC Bangla পেজটি একটি জিনিস বারবার শেয়ার করছে, তা হলো বাসাবোর বৌদ্ধমন্দিরে কথিত ইফতার বিতরণের ভিডিওটি। সর্বশেষ শেয়ারে তারা আকুতি জানিয়েছে এভাবে ‘যদি দেখে না থাকেন তাহলে দেখুন’ অর্থাৎ বিবিসি এই বৌদ্ধদের ইফতার বিতরণের ভিডিওটি জোর করেই সবাইকে দেখাতে চায়। (https://goo.gl/GXLiyT)
বিবিসি যখন এই জিনিসটি নিয়ে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে, তখন বুঝতেই হবে এতে নিশ্চয়ই কোন ষড়যন্ত্র রয়েছে। ভিডিওটিতে আমি যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর মনে করেছি, তা হলো বৌদ্ধরা নিজেরাই খাবার তৈরী করে বিতরণ করছে গরীব মুসলমানদের মাঝে। কয়েকদিন আগেই থাইল্যান্ডে এক বৌদ্ধমন্দিরের ফ্রিজে পাওয়া যায় অন্যান্য প্রাণীর সাথে ৪০টি বাঘের বাচ্চার মৃতদেহ। (http://goo.gl/oCz1vQ) এখানে প্রশ্ন উঠতেই পারে, বৌদ্ধমন্দিরে তারা যেই খাবার রান্না করছে, তা কী মুসলমানদের জন্য হালাল? থাইল্যান্ডের বৌদ্ধমন্দিরের ফ্রিজে যদি থাকে মরা বাঘ, বাসাবোর বৌদ্ধমন্দিরের ফ্রিজে সেক্ষেত্রে কী রয়েছে?
অনেকেই এবার বলে উঠবে, ধুর মিয়া! আপনি বেশি চিন্তা করেন। ঐসব উদারমনা-দের বলবো, আমাদের দেশের বৌদ্ধদের সাথে সরাসরি কানেকশন আছে চীনের রাষ্ট্রযন্ত্রের, যা কিনা বিশ্বের সবচেয়ে অনুদার দেশগুলোর একটি। পাকিস্তানের সাথে চীনের বন্ধুত্ব থাকার কারণে একাত্তরের যুদ্ধে বৌদ্ধরা পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিল। পাকিস্তানী সেনাদের চোখে এদেশের বৌদ্ধরা ছিল ‘চায়না বুডিস্ট’। সে সময়ে বৌদ্ধদের প্রধান ধর্মীয় গরু বিশুদ্ধানন্দ মহাথের ছিলো চিহ্নিত রাজাকার। ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান সরকার এই অশুদ্ধানন্দকে ‘তঘমা-ই-পাকিস্তান’ উপাধিতে ভূষিত করেছিলো। এখনো বাসাবোর বৌদ্ধমন্দির এলাকায় তার নামে ব্যানার ও প্রতিষ্ঠান দেখা যায়।
চীন নিজেকে নাস্তিক দাবি করলেও এদেশের চীনা রাষ্ট্রদূত ঠিকই বৌদ্ধমন্দির পরিদর্শনে যায়। (http://goo.gl/o6xUad) চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিআরআই এর খবর অনুযায়ী, ঢাকায় নিযুক্ত চীনে রাষ্ট্রদূত মা মিংছিয়াং বলেছে, চীনের সহযোগিতায় অতীশ দীপঙ্করের জন্মস্থান মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুরের নাটেশ্বর গ্রামে প্রাচীন বৌদ্ধ নগরীর স্থাপনা আবিষ্কারে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও গভীর হবে। (http://goo.gl/cyXSSB)
ভারতের কথামতো এদেশের হিন্দুরা যেমন উঠবস করে, ঠিক সেভাবেই চীনের কথামতো এদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায় উঠবস করে। তা পবিত্র রমজান মাস ও রোযা রাখা নিয়ে চীনের অবস্থান কী? প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও চীন তাদের দেশে রোযা রাখা নিষিদ্ধ করেছে। (http://goo.gl/KHmvw5) ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকা অনুযায়ী, চীনে রোযার মাসে মদ ও সিগারেট বিক্রিও বাড়িয়ে দেয়া হয় ‘ইসলামকে দুর্বল’ করার জন্য। (https://goo.gl/AM9TqV)
চীন শুধু রোযা নিষিদ্ধ করার কথা বলেই ক্ষান্ত হয় না, সাথে সাথে জোর করে খাইয়ে রোযা ভাঙার কাজটিও তারা করে থাকে। মুসলিম সরকারি কর্মকর্তাদের বাধ্যতামূলকভাবে দুপুরের খাবার খেতে হয়, না খেতে চাইলেই চাকরি থেকে ছাঁটাই তো বটেই, এমনকি জানেও মেরে ফেলাটা চীনের মতো দেশে খুবই স্বাভাবিক। বাচ্চাদেরকে স্কুলে দুপুরের খাবার খাওয়ানো হয়, যেনো রোযা রাখতে না পারে। চীনের সরকারের দেয়া সেই খাবারে অবধারিতভাবে থাকে শুকরের গোশত। চীনে উইঘুর মুসলমানদের জোর করে শুকরের গোশত খাওয়ানোর ইতিহাস অনেক দিনের। উইঘুর মুসলমানদের জোর করে শুকরের গোশত খাওয়াতে, এমনকি মুসলমানের লাশকে জোর করে বৌদ্ধদের মতো পোড়াতে বাধ্য করা হয়। মসজিদের ইমামদের গলায় শুকরের কাটা মাথা বেঁধে বাধ্য করা হয় রাস্তা দিয়ে হাঁটতে। (https://goo.gl/OA7LXg)
চীনে মুসলমানদের জোর করে শুকরের গোশত খাওয়ানোটা এতোটাই স্বাভাবিক যে, সেখানে কোন উইঘুর মুসলমান হানদের সাথে খেতে বসলে তাকে টেবিলের অন্যান্যরা জোর করে শুকরের গোশত খেতে বাধ্য করে। (http://goo.gl/t1oeP9)
এখন এদেশের বৌদ্ধদের হর্তাকর্তা চীনের রাষ্ট্রীয় নীতি যদি হয় মুসলমানদের রোযা নষ্ট করা, সাথে সাথে শুকরের গোশত খাইয়ে ধর্ম নষ্ট করা, সেক্ষেত্রে বাসাবোর বৌদ্ধমন্দিরে ইফতারের নামে কী খাওয়ানো হচ্ছে? নিশ্চয়ই তাতে নাপাক বা হারাম কিছু মিশিয়ে দেয়া হচ্ছে মুসলমানদের ধর্ম নষ্ট করার জন্য। যারা অবস্থাসম্পন্ন মুসলমান, তাদেরকে না পেরে এবার গরীব মুসলমানদের ধর্ম নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে বৌদ্ধরা। কিন্তু মুসলমানদের কোন প্রতিবাদ নেই, কারণ তাদের রক্ত এখন বৌদ্ধদের খাদ্য মরা প্রাণীর মতোই ঠাণ্ডা ও শীতল।
বাসাবোর বৌদ্ধমন্দিরের প্রধান পুরোহিত বিবিসির ভিডিওতে বলেছে যে, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের লোকজন এসে নাকি তাকে বলে গিয়েছে, আপনারা ‘ইফতার’ বিতরণ করেন, কোন অসুবিধা নাই। আফসোস, নাস্তিকদের সুশীলদের ন্যায় এদেশের আলেম-উলামারাও আজ সেক্যুলারিজমের রোগে আক্রান্ত। তারা কী এই আয়াত শরীফ পড়েনি যে, নিশ্চয়ই মুশরিকরা নাপাক (সূরা তওবা, আয়াত শরীফ ২৮)। কিন্তু ইসলাম এখন আর মুসলমানদের চোখে গুরুত্ব বহন করে না, কারণ তারা হতে চায় সেক্যুলার। সেক্যুলার হতে এখন ফাটাকেষ্ট মন্ত্রী মহাভারত হাতে নেয়, আর গরীব মুসলমানরা হাতে নেয় বৌদ্ধদের দেয়া ধর্ম নষ্টকারী নাপাক খাদ্যবস্তু।

Post a Comment

 
Top