আমরা মুসলমানরা অত্যন্ত উদাসীন, গাফিল ও গায়ে হাওয়া লাগিয়ে বেড়ানো জাতি। কাফির মুশরিকরা আমাদের যে আঘাতগুলো করে, তা আমরা এড়িয়ে যাই কিংবা হাসিমুখে ভুলে যাই। গত জুম্মাবারে হেফাজতের সমাবেশে স্কুলছাত্র রিফাত যখন কানেধরা শ্যামলকান্তির ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের সাক্ষ্য দিলো, তখন নাস্তিকেরা আঙুল তুললো তার গায়ের নতুন পাঞ্জাবীটার দিকে। রিফাতের গায়ে নতুন পাঞ্জাবী থাকাটাই স্বাভাবিক, কারণ স্টেজে সবার সামনে তো কেউ পুরাতন পোশাক পরে উঠবে না।
অথচ এই কানেধরা নাস্তিকদের নেতা ইমরান এইচ সরকারের নিত্যনতুন পাঞ্জাবী ও তার অর্থের উৎস নিয়ে অনলাইনে তোলপাড় হয়েছে বেশিদিন হয়নি। রিফাতের পাঞ্জাবী নিয়ে বলার সাথে সাথে যদি ইমরানের পাঞ্জাবীর বিষয়টি উল্লেখ করা হতো, তাহলেই নাস্তিকদের মুখে জুতার বাড়ি পড়ত। কিন্তু তা হয়নি, কারণ নাস্তিকদের যে শত্রুতামূলক মনোভাব আছে মুসলমানদের প্রতি, মুসলমানদের কিন্তু নাস্তিকদের প্রতি তা নেই। একারণেই ইমরানের ‘১০০ পাঞ্জাবী’র অ্যালবামের কথা সবাই ভুলে গিয়েছে। (অ্যালবামের লিঙ্ক: http://goo.gl/d4aBPn)
একই কথা খাটে নাস্তিকদের মসজিদের মাইক নিয়ে চুলকানির ক্ষেত্রে। স্থানীয় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে নাকি শ্যামলকান্তিকে গণধোলাই খাওয়ানো হয়েছে, এরকম মিথ্যা অভিযোগ তুলে মাইকগুলো সরকারি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার আহবান জানানোর ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে নাস্তিক ও হিন্দুরা। এমতাবস্থায় মুসলমানদের পাল্টা জবাব হতে পারে ভারতের গরুর গোশত রাখার মিথ্যা অভিযোগ তুলে আখলাককে হত্যা করার ঘটনাটি। আখলাকের ঘটনাটির সূত্রপাত কিন্তু হয়েছিলো স্থানীয় মন্দির থেকে। পুরোহিত মন্দিরের মাইকে ঘোষণা দিয়েছিলো, আখলাকের বাড়ির ফ্রিজে গরুর গোশত রয়েছে। সাথে সাথে গ্রামের কয়েকশ লোক একত্রিত হয়ে দরজা ভেঙে আখলাককে পিটিয়ে হত্যা করে। (http://goo.gl/voJDqr)
আমাদের মুসলমানদের শত্রু সম্পর্কে আরো অনেক বেশি সচেতন হতে হবে, গাফিল হলে চলবে না। ইসলামপন্থী অনলাইন এক্টিভিস্টদের উচিত নাস্তিক ও হিন্দুদের প্রত্যেকটি অপকর্মের রেকর্ড ফাইল করে রাখা, যেন তারা মাথাচাড়া দিলেই সেগুলো একটির পর একটি তাদের মুখে ছুঁড়ে মারা যায়। মুসলমানদের বুঝতে হবে যে, নাস্তিক ও হিন্দুরা হলো শক্তের ভক্ত নরমের যম। যখন শ্যামলকান্তি গণধোলাই খেয়েছিলো, তখন সে সেলিম ওসমানকে ভগবান ডেকেছিলো। কারণ তখন তাকে বাঁচানোর ক্ষমতা সেলিমের ছিলো। এখন ক্ষমতার বল নাসিমের কোর্টে, তাই শ্যামলকান্তি এখন সেলিম ওসমানকে বাদ দিয়ে নাসিমের পায়ে মাথা ঠুকে। নাস্তিকেরা মন্দিরের মাইককে সমীহ করে, কারণ মন্দিরের মাইকে ঘোষণা দিয়ে আখলাককে হত্যা করে ভারত সারাবিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে। কিন্তু মসজিদের মাইককে কেউই সমীহ করে না, কারণ মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে এখন পর্যন্ত কোন ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করা হিন্দুকে স্বর্গে পাঠানো সম্ভব হয়নি।

Post a Comment

 
Top