নাস্তিক ও হিন্দুরা বড়ই ক্ষেপেছে এদেশে বামপন্থার জনক হিসেবে পরিচিত বদরুদ্দীন উমরের উপর। কারণ সে প্রশ্ন তুলেছে এদেশে হিন্দুদের কথিত ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’ নিয়ে। বদরুদ্দীন উমরের ভাষায়, “বাংলাদেশের এই হিন্দুরা সরকারি ও বেসরকারি অনেক উচ্চপদে অধিষ্ঠিত। অথচ বাংলাদেশে সংখ্যালঘু বলতে বোঝায় শুধু হিন্দুদের এবং সংখ্যালঘুর বিরুদ্ধে নির্যাতন বলতে বোঝায় হিন্দুদের ওপর নির্যাতন! এর থেকে সত্যের বড় অপলাপ আর কী হতে পারে? এই অসত্য ও মিথ্যার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আজ স্পষ্টভাবে প্রকৃত সংখ্যালঘু সমস্যাকে সামনে আনা দরকার, যে সংখ্যালঘু ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিন্দুরা নয়। ” (http://goo.gl/T6eiqf)

বদরুদ্দীন উমরের যুক্তি অকাট্য হলেও মিডিয়ার নিকট অগ্রহণযোগ্য, কারণ এসব মিথ্যা ও যুক্তিহীন তত্ত্ব দিয়েই বর্তমানে গোটা বিশ্ব পরিচালিত হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় হলোকাস্ট তত্ত্বের কথা। হিটলার ইহুদীদের উপর হলোকাস্ট চালিয়েছে, এই বানানো গল্পের উপর ভিত্তি করেই ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, মুসলমান হত্যা থেকে শুরু করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে সমূহ আগ্রাসনের বৈধতা দেয়া হচ্ছে। সেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকেই কুমিরের খাঁজকাটা খাঁজকাটা গল্পটার মতোই পশ্চিমারা বারবার হলোকাস্ট হলোকাস্ট জপছে, আর মুসলমানদের উপর বোমা ফেলছে।

পশ্চিমে যেমন হলোকাস্ট, তেমনি বাংলাদেশের ইসলামবিরোধী গোষ্ঠীর প্রাণপাখি হলো ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’। ইন্টারনেটে ইসলামবিরোধী নাস্তিক যতো ফেসবুকার, সবাই ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’ ধুয়ে ধুয়ে পানি খাচ্ছে। পূজামণ্ডপের সংখ্যা বাড়ানোর কজ হিসেবে দেখানো হচ্ছে ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’। অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আইন করে মুসলমানদের জমি কেড়ে নিয়ে হিন্দুদের দেয়া হবে, এখানেও ইস্যু সংখ্যালঘু নির্যাতন। তসলিমা নাসরিনের ‘লজ্জা’ হোক আর হুমায়ুন আজাদের ‘পাক সার জমিন সাদ বাদ’ হোক, সবার মূল কথা একই ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’। পশ্চিমে ঘণ্টায় ঘণ্টায় হলোকাস্ট নিয়ে সেমিনার হয়, আর বাংলাদেশে হয় ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’ নিয়ে।

শুধু মুসলিম নির্যাতন নয়, বরং অযাচিত সুবিধা আদায়ের অস্ত্রও হলো এই হলোকাস্ট আর সংখ্যালঘু নির্যাতন। এদেশে কোন হিন্দুকে অন্যায়ের শাস্তি দেয়া যাবে না, দিলে তা হবে সংখ্যালঘু নির্যাতন। সংখ্যালঘু নির্যাতনের জুজু দেখিয়েই সরকারকে হিন্দুরা চাপে ফেলে সমস্ত সরকারি পদ আর টাকাপয়সা আজ হাতিয়ে নিচ্ছে। আর হলোকাস্ট নিয়ে মার্কিন রিপাবলিকান নেতা আর্থার জোনস বলেছে, "এটা (হলোকাস্ট) ইতিহাসের সবচেয়ে কালো মিথ্যা। বই-পুস্তক, চলচ্চিত্র, নাটক ও টেলিভিশনে ইহুদিদের এই দুঃখ-দুর্দশার কাহিনী প্রচার করে ইহুদিরা মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।" (http://goo.gl/j24uKL)

সে কারণেই আজ এদেশের ইসলামবিরোধী গোষ্ঠীটি তাদেরই সমগোত্রীয় বদরুদ্দীন উমরের উপর আজ ক্ষিপ্ত। এদেশের ইসলামবিরোধী দানবটির মূল রুটিরুজির জায়গায় হাত দিয়েছে সে। প্রশ্ন হতে পারে, সংখ্যালঘু কিভাবে দানব হয়? সংখ্যালঘু দানব তথা সুপার মাইনোরিটি হয় ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে। (সুপার মাইনোরিটি তত্ত্ব সম্পর্কে জানতে: https://goo.gl/lU2Snt) পশ্চিমে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইলের হাতিয়ার হলো হলোকাস্ট, আর প্রাচ্যে তা ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’। এই দানব আজ এদেশের মুসলমানদের গলা টিপে ধরছে, যা থেকে পরিত্রাণের সহজ উপায় হলো ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’ এর মিথ্যাচারকে অস্বীকার করা।

পশ্চিমে ‘হলোকাস্ট ডিনায়াল’ আইন করে ইহুদীদের দানব হওয়াকে বৈধতা দেয়া হয়েছে, যা বাংলাদেশে এখনো পুরোপুরি হয়নি। সময়ের আগেই আমাদেরকে কাজ করতে হবে, সংখ্যালঘু নির্যাতন তত্ত্বটি বাতিলের খাতায় ফেলে দিতে হবে। তা না হলে দেখবেন, একটা সময়ে হিন্দুরা ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন ডিনায়াল’ আইন করিয়ে এদেশের মুসলমানদের গলা টিপে ধরবে

Post a Comment

 
Top