রামরাজত্ব চাই, আবার গরুর গোশতও খেতে চাই...

ইদানিং এদেশের নাটক-সিনেমায় হিন্দুদের ‍পূজার অনুষ্ঠান দেখানোর একটি প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সম্প্রতি Bushra Shahriar নামক এক নর্তকী ‘উৎসবের বাংলাদেশ’ নামে এক মিউজিক ভিডিও তৈরী করেছে ক্রিকেটার মাশরাফিকে সাথে নিয়ে, যেখানে দেখানো হয়েছে ধর্ম যার যার উৎসব সবার। ভিডিওতে বুশরা শাহরিয়ার হাতজোড় করে প্রণামও করেছে, মুসলমানদের হিন্দুদের পূজায় যোগ দিতে উৎসাহিত করার জন্য। (https://youtu.be/A00fwSgGkE0)

এর পুরষ্কার হিসেবে এই বুশরা শাহরিয়ার সম্প্রতি উত্তরভারতের ‘রুরকি’তে অবস্থিত IIT Roorkee তে পড়ার সুযোগ পেয়েছে। উল্লেখ্য, এই উত্তরভারতকেই হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির ভাষায় ‘গোবলয়’ বলা হয়, কারণ এই এলাকাতেই গরুর গোশত ইস্যুতে মুসলমান পিটিয়ে মারা হয়।

তা সেখানে যাওয়ার পর স্বভাবতই সে গরুর গোশত খেতে পারছে না। শুধু গরুর গোশত নয়, যে কোন রকম গোশত কিংবা আমিষও সেখানে দুর্লভ হয়ে পড়েছে আদিত্যনাথ ক্ষমতায় আসার পর। ফলে সেই বুশরা ছুকরিটা একপর্যায়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসই দিয়ে দেয়-

//ঠিক এই মুহূর্তে আমার কাছ যদি একটা আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ থাকত,
আর তার ভেতর থেকে একটা বিশাল দৈত্য বের হয়ে যদি আমাকে জিজ্ঞেস করত যে ‘হে বালিকা, কি তোমার তিনটি ইচ্ছা?’
তাহলে আমি বলতাম,
‘১. আমি গরুর মাংস খেতে চাই।
২. আমি গরুর মাংস খেতে চাই।
৩. আমি গরুর মাংস খেতে চাই।’// (https://goo.gl/5hbz4Y, http://archive.is/jdz1d)

এই চুশীলগুলোর আসলে সুখে থাকতে ভুতে কিলায়। বাংলাদেশে এরা মুসলমানদের পদে পদে সাম্প্রদায়িকতা দেখতে পায়, আর চিন্তা করে “ইশশশ, ভারতে না জানি কতো সুখ রয়েছে!” নিরামিষের ধাক্কায় বুশরা ছুকরিটার রামরাজত্বের খায়েশ ইতিমধ্যেই মিটে গেছে, তাই আসুন বুড়া দামড়াগুলোর অবস্থাটা একটু দেখি। নাছিরউদ্দীন ইউচুপ বাচ্চুকে সবাই চেনেন। তার ওয়াইফ শিমুল ইউচুপ প্রথম আলোতে এক ঈদের আগে সাক্ষাৎকার দিয়েছিল, “বাচ্চু আমার রান্না গরুর গোশত পছন্দ করে। ঈদের দিন তাই তার জন্য গরুর গোশত আর খিচুড়ি রান্না করব।”

অথচ এই বাচ্চু রাজাকারটাই পত্রিকায় লিখেছে, ৪৭ এ দেশভাগ ছিল একটি বড় ভুল। হায়রে বাচ্চু, দেশভাগ না হলে তুই গরুর গোশত তো দূরে, তার সুরুয়াটাও আজ খেতে পারতি না। এই চুশীলগুলো রামরাজত্ব চায়, আবার গরুর গোশতও চায়। দুটো কখনোই একসাথে পাওয়া যাবে না।

যদি রামরাজত্বই তারা চায়, সেক্ষেত্রে তাদের এখনই উচিত হবে গরুর গোশত তো বটেই, এমনকি সমস্তপ্রকার ডিম-মাছও বাদ দিয়ে প্রতিদিন একদলা গোবর নিয়ে জিভ দিয়ে চাটার প্র্যাকটিস করা। আগের থেকে অভ্যাস করে রাখা ভাল, কারণ যেভাবে তারা এদেশকে বিক্রি করে দেয়ার তোড়জোর করছে তাতে করে বাংলাদেশ হঠাৎ করে ভারতের অঙ্গরাজ্য হয়ে গেলে তারা সাথে সাথে গোবর খাওয়া শুরু করতে পারবে না।