মনে আছে সিলেটের রাগীব আলীর কথা? নমশূদ্র বংশজাত এসকে সিনহার বাবা এই রাগীব আলীর চা বাগানে শ্রমিকের কাজ করত। তাই সে সরকারি সহযোগিতায় সিনিয়র জাস্টিসদের ডিঙিয়ে চীফ জাস্টিস হওয়ার পরই এই রাগীব আলীকে জেলে ঢোকাতে সক্রিয় হয়ে উঠে। সরকারও তার এই অন্যায় কাজে সহযোগিতা করেছিল। মাল মুহিত সিলেটে গিয়ে আওয়ামী নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিল, তোমরা রাগীব আলীর বিরুদ্ধে অবস্থান নাও।

প্রথমে প্রথমে নেতাকর্মীরা একটু ঘাবড়ে গিয়েছিল, কারণ এতোদিন তারা রাগীব আলীর কাছ থেকেই আর্থিক সাহায্য নিয়ে চলেছে। কিন্তু অচিরেই তারাও মোড় ঘুরে রাগীব আলীর বিরুদ্ধে প্রচারণা শুরু করে এবং একপর্যায়ে রাগীব আলীকে জেলে যেতে হয়, আওয়ামী সহযোগিতায় নিচুজাতের হিন্দু এসকে সিনহার প্রতিশোধ গ্রহণ সম্পন্ন হয়।

উল্লেখ্য, রাগীব আলীর ছেলে অটিজমে আক্রান্ত। প্রধানমন্ত্রী তার মেয়ে পুতুলকে ‘অটিজম বিশেষজ্ঞ’ হিসেবে ব্যাপক প্রচার করে, নিজের ‘অটিস্টিক দরদী’ ইমেজ তৈরী করার জন্য। কিন্তু সিনহার মতো নিচুজাতের হিন্দুর ছোটলোকি প্রতিশোধ চরিতার্থ করতে অটিজমে আক্রান্ত পুত্রসহ বৃদ্ধ রাগীব আলীকে জেলের ঘানি টানাতে প্রধানমন্ত্রীর বিবেকে এতটুকু বাঁধেনি। ফারসীতে একটি প্রবাদ আছে,

কমজাত আগার বুযূর্গ শাওয়াদ
রনজে দেহা উসতাযে রেহা

অর্থাৎ কমজাতকে যদি উচ্চপদ দেয়া হয়, তবে সে মানী লোকের মানহানি করবে। ব্রিটিশ আমলে যখন হিন্দুদের হঠাৎ করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বানানো হয়েছিল, তখন তারা মুসলিম উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের অপমান করে প্রশাসনিক অফিসগুলো থেকে বিতাড়িত করেছিল, যেসব কর্মকর্তাদের অধীনে হিন্দুরা একদা পিয়ন হিসেবে চাকরি করত। ঠিক সেভাবেই সিনহার মতো চা বাগানের শ্রমিক নমশূদ্রের সন্তানটিকে যখনই চীফ জাস্টিসের পদে বসানো হল, তখনই সে তার পিতার সাবেক মনিব রাগীব আলীকে জেলের ভাত খাওয়াল।

সুতরাং এটাই স্বাভাবিক যে, এই নমশূদ্র সিনহা আওয়ামী লীগকেও জেলের ভাত খাইয়ে ছাড়বে, কারণ আওয়ামী লীগ একদা এই নমশূদ্রটার মনিব ছিল। সিনিয়র মুসলিম জাস্টিসকে ডিঙিয়ে আওয়ামী লীগ তাকে নিয়োগ দিয়েছিল যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও। স্বাভাবিকভাবেই এই সিনহা নমশূদ্রটাকে তখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পা ধরতে হয়েছিল। যার প্রতিশোধ সে নেবে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে, আদালতের রায়ে শেখ মুজিব সম্পর্কে আপত্তিকর বক্তব্য প্রদান করে।

আসলে নমশূদ্রটা যখনই রাগীব আলীকে জেলে ঢুকিয়েছিল, তখনই সে স্বপ্ন দেখেছিল সরকারের পতন ঘটানোর। রাগীব আলী দেশের প্রধান ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে অগ্রগণ্য। প্রধান ধনীকে যদি জেলের ভাত খাওয়ানো যায়, প্রধান মন্ত্রীকে খাওয়াতে কতক্ষণ? প্রকৃতির অমোঘ নিয়মেই রাগীব আলীর পরিণতি সরকারকে বহন করতে হচ্ছে। সুতরাং যদি পরিস্থিতির মোড় ঘুরাতে হয়, সেক্ষেত্রে আমি আওয়ামী লীগকে বলব তারা যেন রাগীব আলীকে জেল থেকে ছাড়িয়ে নিজের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করে নেয়। রাগীব আলীকে জেল থেকে বের করে আনাই হবে নমশূদ্রটার গালে চপেটাঘাত করার সর্বোত্তম উপায়।

----
ব্যাকাপ পেজ: https://web.facebook.com/dastaar.rajdarbaar/
সারাহাহ: dastaar.sarahah.com

Post a Comment

 
Top