সামহোয়্যারইন ব্লগে আমার অভিজ্ঞতা: যেভাবে ফেসবুককে নাস্তিকতামুক্ত করা যায়

<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://scontent-sin1-1.xx.fbcdn.net/t31.0-8/13064749_572728359562317_2779218657214349218_o.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" height="185" src="https://scontent-sin1-1.xx.fbcdn.net/t31.0-8/13064749_572728359562317_2779218657214349218_o.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <br /> আমার লেখালেখির শুরু ফেসবুকে নয়, ব্লগে। কারণ যখন আমি লেখালেখি শুরু করি, তখনও ফেসবুক ছিলো শিশুপর্যায়ে। তখনকার ব্লগগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী ছিলো সামহোয়্যার ইন ব্লগ, সংক্ষেপে সামুব্লগ। সেই সামুব্লগে কেউ রেজিস্ট্রেশন করলে তাকে সাথে সাথে লেখার সুযোগ দেয়া হতো না, অনেকদিন ঝুলিয়ে রাখতো এডমিনরা। রেজিস্ট্রেশনের অনেকদিন পর একপর্যায়ে আমি সেই ব্লগে লেখার সুযোগ পাই।<br /> সেই ব্লগটি ছিলো নাস্তিকতায় ভর্তি। কুখ্যাত নাস্তিক আসিফ মহিউদ্দীনের শুরু হয়েছিলো সেই ব্লগ দিয়ে। এই ব্লগটি তৈরী করেছিলো জার্মানির ডয়েচে ভেল, যাদের মাধ্যমে নাস্তিকেরা জার্মানিতে এসাইলাম পেয়ে থাকে। অর্থাৎ সামুব্লগটি তৈরীই হয়েছিলো নাস্তিকদের পৃষ্ঠপোষকতা করতে। <br /> আমি সামুব্লগের পরিবেশ দেখে প্রথমেই একটি জিনিস বুঝতে পেরেছিলাম। তা হলো, ব্লগসাইটকে যদি খেলার মাঠের সাথে তুলনা করা যায়, তবে নাস্তিকেরা হলো খেলোয়াড় আর সেই খেলোয়াড়দের সমর্থক শ্রেণী হলো হিন্দু সম্প্রদায়। কারণ নাস্তিকদের পোস্টগুলোতে প্রয়োজনীয় সমর্থন দেয়া ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে কমেন্ট করার কাজগুলো হিন্দুরাই করতো। এই হিন্দু সমর্থকগোষ্ঠীর সমর্থন পেয়েই নাস্তিকেরা সামুব্লগে তাদের ইসলামবিরোধী লেখালেখি চালিয়ে যেতো। কারণ ফাঁকা মাঠে কেউ খেলে না, যেহেতু তাতে বাহবা কিংবা টাকা কিছুই পাওয়া যাবে না। তখন আমি মনস্থির করলাম সামুব্লগে হিন্দুবিরোধী লেখালেখি শুরু করার। কারণ যদি সমর্থকশ্রেণীকে সরিয়ে দেয়া যায়, তাহলে সামুব্লগে নাস্তিকেরা ফাঁকা মাঠে খেলতে আগ্রহী হবে না।<br /> বলা বাহুল্য, আমার এই পদক্ষেপ অতি অল্পসময়েই কার্যকরী ফলাফল বয়ে আনলো। অনেকের হয়তো এরকম ধারণা রয়েছে যে, হিন্দুদের বিরুদ্ধে বললে তারা আবার মুসলমানদের বিরুদ্ধে বেশি করে বলে কিনা। কিন্তু আমার সামুব্লগের অভিজ্ঞতা সেটা বলে না। বরং বাস্তবতা হলো, মুসলমানরা ঢিলা দিলেই হিন্দুরা আরো সুযোগ পায়। উদাহরণস্বরূপ, সামুব্লগে সবচেয়ে জঘন্য ইসলামবিরোধী কমেন্টগুলো করতো যশোরের আশীষ চ্যাটার্জী নামক এক ব্যক্তি। নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানের বিরুদ্ধে ধর্ষক, ডাকাত সহ যা খুশি তাই লিখতো সে। <br /> একদিন দেখলাম, সে আমার একাউন্টে ঢুকে আমার লেখাগুলো পড়েছে। এরপর আমি দেখলাম, সেই আশীষ চ্যাটার্জি আর লজ্জায় সামুব্লগে আর কোন কমেন্ট করছে না। দু একটি কমেন্ট যাও করছে, তাতেও সেই আগের ইসলামবিরোধী জোশ তার নেই।<br /> সামুব্লগের আরেকজন ইসলামবিরোধী ব্লগার ছিলো বিপ্লব কান্তি দে। মগাচীপ, পারভেজ আলমের মতো নাস্তিকদের ব্লগে বিপ্লব কান্তি অহরহ ইসলামবিরোধী কমেন্ট করতো। তার আরেকটি পরিচয় হলো, সে ইসকনের সক্রিয় সদস্য। সেই বিপ্লব কান্তি আমার পোস্টে কোন জবাব দিতে না পেরে কাঁদো কাঁদো স্বরে একটি পোস্ট লিখেছিলো-<br /> “হিঁদু ধর্ম খুব খারাপ! তাদের মেয়েরা খারাপ! সবাই খারাপ!”<br /> একটি চরম ইসলামবিরোধী হিন্দুর এরকম নতজানু হওয়ার দৃশ্য ছিলো সত্যিই অভাবনীয়। এতো বছর পর আজও বিপ্লব কান্তির ঐ নতজানু পোস্টের শিরোনাম আমার চোখে ভাসে। যাই হোক, এরপর বিপ্লব কান্তিও তার মনোবল হারিয়ে ফেললো, ইসলামবিরোধী কোন কমেন্ট তাকে করতে দেখা যেতো না। উল্লেখ্য, বিপ্লব কান্তি আর আশীষ চ্যাটার্জি, এ দুজনেরই নাম নাস্তিকদের তালিকায় রয়েছে। (তালিকা সম্পর্কে জানতে- <a href="http://l.facebook.com/l.php?u=http%3A%2F%2Fgoo.gl%2FhixCc1&h=eAQF8khOmAQHb0dcHKVj9SikqJv36V_Hx9WqSFGNyEhRz3Q&enc=AZNSXSpZg2NsE2VsUHb35I3PxAf2n4cDRSJLWaKOmROwEWsVW0pxWmzVv-p6qV5YBVfVPB1f804bgZ5GXXwaXSVFbfXm_e_0BXcEnOi8GOJ61eqiEk_Cnj0MQC5-H13bjHybCJrwFXErZ1P3rUOpQJ_MENj5nPtzA_5lhj88orrClXiyeyyuEvotFDeXXS_1qBzdRDo3dEfhHeKxEJ1KkJJm&s=1" rel="nofollow" target="_blank">http://goo.gl/hixCc1</a>)<br /> ওদিকে সামুব্লগে পসার হারিয়ে নাস্তিকেরা একে একে ভিড় জমাতে লাগলো ফেসবুকে। হিন্দুরা তো আগেই সামুব্লগ ছেড়ে ভেগেছিলো। তারা সামু থেকে বিতাড়িত হয়ে ‘আমি হিন্দু’ ‘বাঙালি হিন্দু পোস্ট’ এসব ফেসবুক পেজ খুলে ইসলামবিরোধী লেখালেখি করতে লাগলো। আমিও ফেসবুকে একাউন্ট খুলে লেখালেখি শুরু করলাম। কিন্তু ফেসবুকটা ছিলো অন্যরকম। তা হলো, ফেসবুকে সত্যিকারের পাঠকের খুব অভাব। সবাই এখানে আসতো ছবি কিংবা অন্যান্য জিনিস দেখতে, স্রেফ ফাজলামো করাই অধিকাংশের উদ্দেশ্য এখানে। ব্লগের অনেক ভালো ইসলামপন্থী লেখক ফেসবুকে এসে এ কারণে সুবিধা করতে পারেনি, কারণ বুদ্ধিবৃত্তিক পোস্ট হজম করার মতো পাবলিক খুবই কম ফেসবুকে। <br /> অনেকের হয়তো শুনতে খারাপ লাগবে, কিন্তু ফেসবুকে জামাতিদের প্রভাবও এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছিলো। তারা ফেসবুকে বাঁশেরকেল্লা’র মতো পেজ থাকা সত্ত্বেও তা থেকে নাস্তিকতা কিংবা হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে কোন পোস্টই দিতো না। উল্টো তাদের অনেকেই হিন্দুদের বিরুদ্ধে লিখতে নিরুৎসাহিত করতো, আমাকেও বহুবার তাদের দ্বারা বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তবে পরিস্থিতি পাল্টেছে, বিশেষ করে নরেন্দ্র মোদি নির্বাচিত হওয়ার পর। ভারতে ক্রমবর্ধমান হিন্দু সাম্প্রদায়িকতার কারণে এখন আর কেউ হিন্দুদের বিরুদ্ধে বলতে পিছপা হয় না।<br /> এমতাবস্থায় ফেসবুক থেকে নাস্তিকতা দূরীকরণে আমার পরামর্শ হলো-<br /> ১) হিন্দুদের বিরুদ্ধে বেশি বেশি তথ্যমূলক পোস্ট দেয়া। পোস্টগুলো হিন্দুদের দেবদেবী নিয়ে কটূক্তি করে নয়, বরং তাদের সম্প্রদায়কে আঘাত করে হতে হবে। সম্প্রদায়কে কিভাবে আঘাত করা যায়? উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, আজকে খবরে পড়লাম ভারতে নাকি গর্ভ ভাড়া দেয়ার ব্যবসা চলে। সেদেশের হিন্দু মহিলারা টাকার বিনিময়ে পশ্চিমা সাদা চামড়াদের ভ্রুণ নিজের শরীরে বহন করে বাচ্চা ফোটায়। (<a href="http://l.facebook.com/l.php?u=http%3A%2F%2Fgoo.gl%2FfiIXs1&h=-AQGsysGbAQGXmpeaNg07gIs2Kc5Itpx9zaLrgKz2gzCYUQ&enc=AZNCLerJZwZstbPQvPYGekFodUksePmGQainVU84n8vOrVpHLVTyzjXaK8Dy3mmIxaPEuyGrllhR_Q5y7vIKhh_Pc2Lbu6sbX8EHCbigO9ih74WyAeeQO5KaEgKOdUzL7nGxAxzFL_6jA1HTC-sMqzEjCSgIFX1ezRWkdzfy8SwcCKKTYblBg6VTGKXqeqWQ1v4tj5FDM_46uISHvTj_I08E&s=1" rel="nofollow" target="_blank">http://goo.gl/fiIXs1</a>)<br /> এ বিষয়টি নিয়ে হিন্দুদের রুচিকে কটাক্ষ করবেন, ছি ছি করবেন। সাথে সাথে অন্যান্যরা সেটা শেয়ার ও লাইক-কমেন্ট করে লেখককে উৎসাহ দিবেন। সাথে সাথে হিন্দুদের যেসব কোর ব্যক্তি, যেমন রবীন্দ্রনাথ, শিবাজি, সূর্যসেন এদের দোষত্রুটিগুলো প্রকাশ করে বেশি বেশি পোস্ট দেয়া দরকার। সমসাময়িককালে হিন্দুদের বিভিন্ন প্রতারণা, বাটপাড়ির বিষয়গুলো তুলে আনা দরকার। মোটকথা, হিন্দুদেরকে অনলাইনে জাতিগতভাবে একঘরে করতে হবে। তাহলেই দেখবেন তারা ফেসবুক থেকে আপসেআপ সরে যেতে বাধ্য হবে আর নাস্তিকেরাও তাদের পসার জমাতে পারবে না।<br /> ২) কমেন্ট করাটাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ব্লগে থাকার সময়ে আমি নাস্তিক ও হিন্দুদের পোস্টগুলোতে এমনসব কমেন্ট করতাম, যেগুলোর ফলে তারা কিছুতেই কমেন্ট সেকশনে মুসলিমবিরোধী আলোচনা চালিয়ে যেতে পারতো না। <br /> উদাহরণস্বরূপ, ব্লগসাইট 'আমারব্লগ'-এ একটি পোস্ট করা হয়েছিলো ‘আন্তঃধর্মীয় বিবাহ’ নিয়ে। হিন্দু ও নাস্তিকেরা ঐ পোস্টে সমর্থন জানাচ্ছিল। ঐ পোস্টে গিয়ে আমি কমেন্ট করলাম- “হিন্দু মেয়েদের পরকীয়ার প্রবণতা বেশি। তাদের বিয়ে করলে সন্তান বৈধ না অবৈধ সে প্রশ্ন থেকে যায়।”<br /> এই কমেন্টে দারুণভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হলো ‘প্রীতম’ ওরফে প্রীতম দাস, আমারব্লগের একজন গৃহপালিত ইসলামবিরোধী ব্লগার। সে আরেকটি ব্লগ লিখে ঘোষণা দিলো, যদি আমার ‘দস্তার’ একাউন্ট আমারব্লগ থেকে ডিলিট না করা হয়, তবে সে আমারব্লগে লেখালেখি বন্ধ করে দেবে। (লিঙ্ক-<a href="https://www.facebook.com/l.php?u=https%3A%2F%2Fgoo.gl%2FdlQ2Vb&h=RAQG3giq3AQHatS8xAZxw0xCf_EhGqVD7-htl7k0UikT9kQ&enc=AZPH4S0sLGm57RIYv8sGty2QRlvSvbtsjC57FrWPYFzNkLmDFFLbHJyij9jwIwee1kgPCaKkcmpVpu6UYNzGSwxJjPhBs_o_QHHC14n95plcgOnepLDlyaJiUCIwIsLMMkYmjZDoztGGEjXGNgAZazzhOcoPNHqICutbu6zHESUPw-vOl0B0hDW-CfTORrBUqvFZCKWgdL8wMuoJrE6A61w-&s=1" rel="nofollow" target="_blank">https://goo.gl/dlQ2Vb</a>)<br /> এর জের ধরে আমারব্লগ এডমিন আমার একাউন্টটি ব্যান করে মন রক্ষা করলো তাদের গৃহপালিত ব্লগার প্রীতম দাসের। কিন্তু সবসময় তো আর এরকম হতো না, বিশেষ করে সামুব্লগে আমি বহুদিন ব্যান না হয়ে হিন্দুদের বিরুদ্ধে লিখে যেতে পেরেছি। যার ফলে ধ্বসে পড়েছিলো সামুর নাস্তিকতার সৌধ। হিন্দুদের নিয়ে জায়গামতো চোখা কমেন্ট যদি করা যায়, সেক্ষেত্রে তা অনেকগুলো একটিভ মুসলিমবিরোধী হিন্দুর মনোবলকে ভেঙে দিতে সক্ষম। হাল্কা কমেন্ট করবেন না, ফটো পোস্ট করবেন না। বুদ্ধিদীপ্ত ধারালো কমেন্ট করার চেষ্টা করবেন, যা হিন্দুদের কলিজায় গিয়ে আঘাত করবে। প্রীতম দাস তো মনের দুঃখে ব্লগ লেখাই ছেড়ে দিতে চেয়েছিল। এভাবেই মুসলমানদেরকে ফেসবুকে নাস্তিক খেদানোর হিকমত অবলম্বন করতে হবে হিন্দুবিরোধিতার জোয়ার আনার মাধ্যমে।<br /> এখানে ‘অসাম্প্রদায়িকতা’ কিংবা ‘সুশীলতা’ দেখার কোন অবকাশ নেই। ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সময়ে গ্রীক দর্শনকে গ্রহণ করাই ছিলো সুশীলতা, যেমনটি বর্তমানে হিন্দুয়ানী কালচারকে গ্রহণ করাটাকে ‘সুশীলতা’ বলা হয়। কিন্তু তিনি এই ‘সুশীলতা’র পরোয়া করেননি, গ্রীক দর্শনের বিরুদ্ধে লিখে গিয়েছেন। আমাদেরকেও নাস্তিক ও হিন্দুদের এই কথিত ‘সুশীলতা’র মাপকাঠিকে অগ্রাহ্য করে, ভেঙে চুরে বেরিয়ে আসতে হবে। হিন্দুদের বিরুদ্ধে কলম ধরতে হবে। তবেই সম্ভব হবে ফেসবুক থেকে নাস্তিকতা ও হিন্দুত্বের অবসান ঘটানো এবং মুসলমানদের জন্য একটি স্বস্তিদায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করা, যেখানে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার মতো কেউ থাকবে না।

সামহোয়্যারইন ব্লগে আমার অভিজ্ঞতা: যেভাবে ফেসবুককে নাস্তিকতামুক্ত করা যায়

আমার লেখালেখির শুরু ফেসবুকে নয়, ব্লগে। কারণ যখন আমি লেখালেখি শুরু করি, তখনও ফেসবুক ছিলো শিশুপর্যায়ে। তখনকার ব্লগগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্র...

Read more »

ভারতের মুসলমানদেরও তো একটি স্পেন ছিলো...

<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://scontent-sin1-1.xx.fbcdn.net/hphotos-xlp1/v/t1.0-9/13062443_572407432927743_5569938744295712394_n.png?oh=db37050694320f0ab1334e3e77ba98d3&oe=57B0ADF9" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" height="295" src="https://scontent-sin1-1.xx.fbcdn.net/hphotos-xlp1/v/t1.0-9/13062443_572407432927743_5569938744295712394_n.png?oh=db37050694320f0ab1334e3e77ba98d3&oe=57B0ADF9" width="320" /></a></div> <div style="background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; line-height: 19.32px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> <br /></div> <div style="background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; line-height: 19.32px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> <br /></div> <div style="background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; line-height: 19.32px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> হিন্দুদের দ্বারা ভারতীয় মুসলমানদের দাবিয়ে রাখার একটি মূল কারণ হলো, ভারতীয় মুসলমানরা তাদের অতীত ইতিহাস জানে না। একদা এই ভারতবর্ষ জঙ্গল ছিলো, জঙ্গলে ছিলো কিছু বানর। মনীষী আল বিরুনীর মতে, “হিন্দুরা শরীরের কোনো অংশের কেশ মুণ্ডন করত না। মূল রুপে তো গরমকালে তারা উদোম হয়ে চলাফেরা করত আর মাথার চুল না কাটার এটাই ছিল মূল কারণ যে, তারা সূর্যালোক থেকে বাঁচতে চাইত। তারা গোঁফদাড়িও কামাত না। আর তো গুপ্তাঙ্গের কেশ মুণ্ডনের প্রশ্নই ওঠে না।” সেই জঙ্গল থ<span class="text_exposed_show" style="display: inline;">েকে মুসলমানরা ভারতবর্ষকে গড়ে তোলে গোটা বিশ্বের সর্বাপেক্ষা ধনী ও সভ্যতার প্রাণকেন্দ্র হিসেবে।</span></div> <div class="text_exposed_show" style="background-color: white; color: #141823; display: inline; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; line-height: 19.32px;"> <div style="margin-bottom: 6px;"> এই ভারতবর্ষের মুসলিম সভ্যতার প্রাণকেন্দ্র ছিলো দিল্লী। কেমন ছিলো সেই দিল্লী? মুসলমানরা তা জানে না, কিন্তু খ্রিস্টানরা জানে। কারণ খ্রিস্টানরা এই সভ্যতা ধ্বংস না করলে পৃথিবীতে আজ সুপারপাওয়ার হতে পারতো না। ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের কথা সবাই শুনেছেন। সেই বছর খ্রিস্টান ও হিন্দুদের চক্রান্তে দিল্লীকে ধ্বংস করা হয়, ভারতবর্ষে চূড়ান্তরূপে প্রতিষ্ঠিত হয় ব্রিটিশ কলোনী। এ নিয়ে স্কটিশ লেখক উইলিয়াম ড্যালরিম্পেল লিখেছে- “মোগল দরবারের অস্তিত্ব না থাকায় সংস্কৃতি ও শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবে নগরীর খ্যাতিও বিদায় নিয়েছিল। গ্রন্থাগারগুলো লুণ্ঠিত হয়েছিল, মূল্যবান পাণ্ডুলিপিগুলো আর ছিলো না। প্রায় সবগুলো মাদ্রাসা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এবং মাদ্রাসার ভবনগুলোও বিক্রি হয়ে গিয়েছিলো। সেগুলো ধ্বংস করে ফেলে হিন্দু ব্যবসায়ীরা। সবচেয়ে বিখ্যাত মাদ্রাসা ছিলো ‘মাদ্রাসা-ই-রহিমিয়া’, যা নগরীর নেতৃস্থানীয় বানিয়া রামজি দাস নিলামে কিনে নিয়েছিল, যে এটি ব্যবহার করে গুদাম হিসেবে।</div> <div style="margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> ১৮৫৯ সালের মধ্যে গালিব (মির্জা গালিব) অভিযোগ করতে থাকে যে, নগরীতে সে একজন গ্রন্থ বিক্রেতা, গ্রন্থ বাঁধাইকারী অথবা একজন লিপিকার পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছে না, যে নগরীতে একসময় গ্রন্থ চর্চা ছিলো সবচেয়ে বেশি। (সূত্র: দ্য লাস্ট মোগল, উইলিয়াম ড্যালরিম্পেল, ঐতিহ্য প্রকাশনী, পৃষ্ঠা ৪৩৫)</div> <div style="margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> ড্যালরিম্পেলের বইটি আকারে বড়, যা থেকে ক্ষুদ্র পরিসরে দিল্লীর মুসলিম সভ্যতা নিয়ে আলোচনা করা সম্ভবপর নয়। এই যে ‘মাদ্রাসা-ই-রহিমিয়া’ এর উল্লেখ সে করেছিলো, তারই একজন ছাত্র ছিলেন হযরত ফযলে হক খায়রাবাদী। আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে আটক করে হযরত ফযলে হক খায়রাবাদীর থেকে ব্রিটিশরা ভারতীয় মুসলিম জ্যোতির্বিদ্যার একটি পাণ্ডুলিপির ব্যাখা লিখিয়ে নিয়েছিলো।</div> <div style="margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> অর্থাৎ এই ভারতবর্ষে একদিন স্পেন তো বটেই, তার চাইতেও ধনী ও সমৃদ্ধ মুসলিম সভ্যতা বিরাজ করতো। বিজ্ঞান-ইতিহাস ও কাব্যচর্চার প্রাণকেন্দ্র ছিলো দিল্লী, মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানিত সদস্য ছিলো ভারতবর্ষের মুসলমানরা। তার কিছুই এখন আর অবশিষ্ট নেই, যার মূল কারণ হলো হিন্দুদের চক্রান্ত। আমরা স্পেনের ইতিহাস পড়ে খ্রিস্টানদের প্রতি ক্ষুব্ধ হই, শপথ নেই প্রতিশোধ নেয়ার। কিন্তু দিল্লীর ইতিহাস আমরা জানি না, নিজেদের পূর্বপুরুষদের যে একটি বিরাট সভ্যতা ছিলো সেটাই এ অঞ্চলের মুসলমানরা জানে না। যার ফলে এই সভ্যতা ধ্বংসকারী হিন্দুদের প্রতি আমাদের কোন ক্ষোভ নেই, আর ক্ষোভ না থাকার ফলে আজও আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের অস্তিত্বের শত্রু এসব হিন্দুদের সাথে মিশতে গিয়ে পদে পদে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি।</div> </div>

ভারতের মুসলমানদেরও তো একটি স্পেন ছিলো...

হিন্দুদের দ্বারা ভারতীয় মুসলমানদের দাবিয়ে রাখার একটি মূল কারণ হলো, ভারতীয় মুসলমানরা তাদের অতীত ইতিহাস জানে না। একদা এই ভারতবর্ষ জঙ্গল...

Read more »

ফ্রী-তে পাওয়া ইসলাম নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের ধর্মনিরপেক্ষ বিলাসিতা

<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://scontent-sin1-1.xx.fbcdn.net/v/t1.0-9/13102636_572246349610518_4146026164479742185_n.jpg?oh=a1b1591884652d227cad9138fa720723&oe=57A1CBF4" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" height="189" src="https://scontent-sin1-1.xx.fbcdn.net/v/t1.0-9/13102636_572246349610518_4146026164479742185_n.jpg?oh=a1b1591884652d227cad9138fa720723&oe=57A1CBF4" width="320" /></a></div> <br /> <span style="background-color: white; color: #141823; font-family: "helvetica" , "arial" , sans-serif; font-size: 14px; line-height: 18px;">বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ফার্মে কেন ম্যানেজারিয়াল পোস্টে হিন্দু নিয়োগ দেয়া হয়, তা নিয়ে চমকপ্রদ একটি তথ্য তুলে ধরা হয়েছিলো ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে। তাতে বলা হয়েছিলো যে, এদেশে একজন মুসলমান অন্য মুসলমানকে আঘাত করলে তা হয় নরমাল কেস। কিন্তু একজন মুসলমান যদি অন্য একজন হিন্দুর অন্যায়ের প্রতিবাদ করে, তখন তা হয় ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন</span><span class="text_exposed_show" style="background-color: white; color: #141823; display: inline; font-family: "helvetica" , "arial" , sans-serif; font-size: 14px; line-height: 18px;">’।বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা এই ফায়দাটাই নেয়। তারা ম্যানেজারিয়াল পোস্টে হিন্দু বসিয়ে দেয়, যেন তার প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা কোনপ্রকার অসন্তোষ প্রকাশ বা বিদ্রোহ করতে না পারে। কারণ করলেই তা হয়ে যাবে ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’। (<a href="https://www.facebook.com/l.php?u=https%3A%2F%2Fyoutu.be%2FrLbrPq4-UwA%3Ft%3D5m5s&h=eAQEt_bTP&enc=AZPTWNKBikzkICgkVsgR5tnAC0Z34ZkRUGxF9dEll6fvVPmgQLHModfYL477Z5LqUDTfAx0iBQ7yjoGBVD0AXH_njhjEYSLrsuUcPLfqRxx3hqp-aa_JGBnIF8i0e0T62tOwjNuTXpFM451awOrqPTMD&s=1" rel="nofollow nofollow" style="color: #3b5998; cursor: pointer; text-decoration: none;" target="_blank">https://youtu.be/<wbr></wbr><span class="word_break" style="display: inline-block;"></span>rLbrPq4-UwA?t=5m5s</a>)<br /><br />অর্থাৎ আমাদের দেশে হিন্দুরা যে এখন মুসলমানদের উপর ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’ এর ছুতোয় দানবীয়ভাবে চড়াও হচ্ছে, এর পেছনে দায়ী আসলে মুসলমানরাই। এদেশের ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠান মালিকেরা যখন তার প্রতিষ্ঠানের মুসলমানদের দাবাতে হিন্দু নিয়োগ দেয়, তখন সে ভুলে যায় যে সে নিজেও একজন মুসলমান। সে ভুলে যায় যে, তার নিয়োগকৃত হিন্দুটি মুসলমান কর্মীদের ন্যায় তার বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র করতে পারে। বলাবাহুল্য, হিন্দুরা তা করেও। বহু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক পথের ফকির হয়েছে হিন্দুদের হাতে তাদের ব্যবসার ভার তুলে দিয়ে।<br /><br />অবশ্য এটাই স্বাভাবিক, কারণ দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা কেউ দেয় না। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান দেশে জন্ম নেয়ার কারণে এদেশের মুসলমানরা তাদের দ্বীন ইসলাম ‘ফ্রী’তে পেয়েছে। চাইলেই মাইকে আযান দিতে পারে, চাইলেই গরু কুরবানী করতে পারে বলে এদেশের মুসলমানরা ইসলামের মূল্য দিচ্ছে না। এ জন্যই তাদের মধ্যে ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার টাইপের বিলাসিতা দেখা যায়, প্রশাসন ও ব্যfবসা প্রতিষ্ঠানে হিন্দু নিয়োগ দেয়ার বিলাসিতা দেখা যায়। যদি এদেশের মানুষের অবস্থা কাশ্মীর কিংবা সিকিমের মতো হতো, তাহলে তাদের এ্সব ‘অসাম্প্রদায়িক’ বিলাসিতা হাওয়ায় উড়ে যেতো হিন্দুদের জুতার বারি খেয়ে।<br /><br />ভারতের জেএনইউর বিক্ষোভে কানহাইয়া কুমার, উমর খালিদ এদের কথা অনেকেই শুনেছেন। বিজেপি সরকার এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছিলো। বিশেষ করে বামপন্থী ছাত্রনেতা উমর খালিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ায় সে মন্তব্য করেছিলো- “গত সাত বছর ধরে সে জেএনইউ-এর সঙ্গে জড়িত। এত বছরে এই প্রথম গত দশদিন ধরে নিজেকে মুসলমান বলে মনে করানো হয়েছে।” (<a href="http://l.facebook.com/l.php?u=http%3A%2F%2Fgoo.gl%2FhtGoHe&h=uAQG9NpnZ&enc=AZNkD8bR1oFXikyKRb3VZl-CXi9S3mtZRMdyp5IN3QthU4kA6awSeKIRe_j8xg9jIVAvnaWmWoVMXKcYhWK4dKrO2_etwS_x-yJGoEyBpYEb7gzaS-25elTYlSNkg4vaMGj1avv-pjFwFPYbDuH2Tib3&s=1" rel="nofollow nofollow" style="color: #3b5998; cursor: pointer; text-decoration: none;" target="_blank">http://goo.gl/htGoHe</a>)<br /><br />অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলা ট্রিবিউন এ নিয়ে রিপোর্ট করেছে যে-“কখনও ইসলাম চর্চা করেনি 'গর্বিত রাষ্ট্রদ্রোহী’ উমর খালিদ”। (<a href="http://l.facebook.com/l.php?u=http%3A%2F%2Fgoo.gl%2FL3RA6U&h=kAQGwJtlu&enc=AZMlaQKG-ga3n4Oc3898wcDP5_PdFUPxZJptIqT2f57rZ5Qmh_nTys0Hq-etB42rsgqYsXalHxdves0bkBRdqWD0tPnUiXrYQusjwWxwjkx8tStXO0-6Ts1xC57rlOHz2oGPwPpQQBQqvgLnuOtGY4LY&s=1" rel="nofollow nofollow" style="color: #3b5998; cursor: pointer; text-decoration: none;" target="_blank">http://goo.gl/L3RA6U</a>)<br /><br />চিন্তা করুন পাঠকেরা, যে বামপন্থী উমর খালিদ গত ৭ বছরে নামায-কালাম কোনকিছুর ধার ধারেনি, তাকে হিন্দু বিজেপি সরকার রিমান্ডে নিয়ে ডান্ডার বাড়ি দিয়ে মনে করিয়ে দিয়েছে যে, সে একজন মুসলমান। আজকে যারা নিজের মুসলমান পরিচয়কে অবহেলা করে ‘পহেলা বৈশাখ’ সহ অন্যান্য হিন্দুয়ানী অনুষ্ঠান নিয়ে মত্ত হয়ে রয়েছে, তারাও তো এই উমর খালিদের মতোই ‘উদার’ ও ‘অসাম্প্রদায়িক’ হতে গিয়ে হিন্দুদেরকে প্রাধান্য দিচ্ছে। বাংলাদেশের মুসলমানের হিন্দু নিয়োগের বিলাসিতা, হিন্দু অনুষ্ঠান পালনের বিলাসিতার কারণে যখন এই বাংলাদেশ কাশ্মীর-সিকিম হবে, তখন উমর খালিদের মতো তাদেরকেও জুতার বাড়ি দিয়ে হিন্দুরা মনে করিয়ে দিবে যে, তারা মুসলমান।<br /><br />বাঙালি মুসলমান এখন ‘ফ্রী’তে ইসলাম পেয়ে ইসলামী নিয়মকানুনের গুরুত্ব দিচ্ছে না, হিন্দুয়ানী কালচারে মশগুল হচ্ছে। পরে এর জের ধরে যখন হিন্দুরা সবকিছু দখল করে নিবে, কেড়ে নিবে তাদের ইসলামী অধিকার, তখন এদেশের মানুষ ইসলামের গুরুত্ব বুঝতে পারবে। তখন তারা ইসলামী নিয়ম ফিরে পেতে হাহাকার করবে। তখন তারা মাইকে আযান দিতে ব্যাকুল হবে, গরু জবাই করতে গিয়ে আখলাকের মতো খুন হবে। তখন তারা আফসোস করবে,<br /><br />কেন হিন্দুদেরকে বড় বড় পদ দিয়েছিলাম!<br />কেন পহেলা বৈশাখ পালন করেছিলাম!<br />কেন দুর্গাপূজায় গিয়েছিলাম!<br /><br />কিন্তু সেই আফসোসে তখন আর কোনই কাজ হবে না।</span>

ফ্রী-তে পাওয়া ইসলাম নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের ধর্মনিরপেক্ষ বিলাসিতা

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ফার্মে কেন ম্যানেজারিয়াল পোস্টে হিন্দু নিয়োগ দেয়া হয়, তা নিয়ে চমকপ্রদ একটি তথ্য তুলে ধরা হয়েছিলো ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া...

Read more »

“পহেলা বৈশাখ কেন?”

<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="http://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/images/thumbs/puspitabd_1316675792_1-3.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" height="320" src="http://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/images/thumbs/puspitabd_1316675792_1-3.jpg" width="258" /></a></div> <div style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #141823; display: block; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: normal; letter-spacing: normal; line-height: 19.32px; margin: 0px 0px 6px; orphans: auto; text-align: start; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 1; word-spacing: 0px;"> <br /></div> <div style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #141823; display: block; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: normal; letter-spacing: normal; line-height: 19.32px; margin: 0px 0px 6px; orphans: auto; text-align: start; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 1; word-spacing: 0px;"> <br /></div> <div style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #141823; display: block; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: normal; letter-spacing: normal; line-height: 19.32px; margin: 0px 0px 6px; orphans: auto; text-align: start; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 1; word-spacing: 0px;"> সম্প্রতি ভারতের বিহারে নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেখানকার জনমানুষের প্রধান পানীয় ‘মদ’। ‘মদ’ নিষিদ্ধ হওয়ার কারণে সেখানে বহু মন্দিরের কার্যক্রম থেমে গিয়েছে। কারণ সেসব মন্দিরে দেবতার ‘ভোগ’ হিসেবে দেয়া হয় তাড়ি এবং দেশী মদ। বিহারে অবস্থিত হিন্দুদের প্রধান তীর্থস্থান ‘গয়া’র ব্রাহ্মণ পুরোহিতরা এজন্য পড়েছে বিপাকে। মদ না থাকায় ভক্তরা সেখানে আর যাচ্ছে না। (<a href="http://goo.gl/IV0CYG" rel="nofollow" style="color: #3b5998; cursor: pointer; text-decoration: none;" target="_blank">http://goo.gl/IV0CYG</a>)</div> <div style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #141823; display: block; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: normal; letter-spacing: normal; line-height: 19.32px; margin: 6px 0px; orphans: auto; text-align: start; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 1; word-spacing: 0px;"> অর্থাৎ হিন্দুরা তাদের পূজা-অর্চনার যা ব্যাখাই দিক না কেন, মূল বিষয় হলো মদ খাওয়া। মদ নেই, তো পূজা ন<span class="text_exposed_show" style="display: inline;">েই। হিন্দুয়ানী কিংবা পৌত্তলিক সকল কালচারেরই মূল চালিকাশক্তি হলে এই মদ, মহিলা এবং জুয়া। আইয়ামে জাহেলিয়াতের ইতিহাসেও আমরা ঠিক এমনটিই দেখতে পাই।</span></div> <div class="text_exposed_show" style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #141823; display: inline; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: normal; letter-spacing: normal; line-height: 19.32px; orphans: auto; text-align: start; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 1; word-spacing: 0px;"> <div style="margin: 0px 0px 6px;"> ঠিক সেভাবেই আমাদের দেশে বর্তমানে যে পহেলা বৈশাখ হচ্ছে, এর পেছনে যতো ‘সংস্কৃতি’র দোহাই দেয়া হোক না কেন, এখানে মূল কথা হলো ‘মেয়ে দেখা’। ভার্সিটি লেভেলে সহপাঠীদের মনোভাব দেখেছি, তাদের মূল কথাই ছিলো ‘মেয়ে দেখতে’ পহেলা বৈশাখে টিএসসিতে যেতে হবে। সংস্কৃতি-টংস্কৃতি এসব ফাও কথা, মূল কথা হলো মেয়ে দেখা।</div> <div style="margin: 6px 0px;"> এ কারণেই এসব উৎসবকে বলা হয় ‘সার্বজনীন’ উৎসব। কারণ মানুষে মানুষে ধর্মের পার্থক্য থাকলেও শয়তানির বিচারে কোন পার্থক্য নেই। নামায-রোযা কখনো সার্বজনীন হতে পারে না, কিন্তু মদ খাওয়া হতে পারে সার্বজনীন। সংস্কৃতি নয়, বরং বাঙালি মুসলমানের চারিত্রিক অবনতিই বর্তমানে পহেলা বৈশাখ, দুর্গাপূজা সহ যাবতীয় হিন্দুয়ানী ও পৌত্তলিক অনুষ্ঠানের বাড়বাড়ন্তের মূল কারণ ।</div> </div>

“পহেলা বৈশাখ কেন?”

সম্প্রতি ভারতের বিহারে নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেখানকার জনমানুষের প্রধান পানীয় ‘মদ’। ‘মদ’ নিষিদ্ধ হওয়ার কারণে সেখানে বহু মন্দিরের কার্যক্রম...

Read more »

সুসু পাঁঠার মূর্খতা (পার্ট-১)

<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://scontent.xx.fbcdn.net/hphotos-xfa1/v/t1.0-0/s480x480/12963776_567334606768359_688766558475907677_n.png?oh=e55fc8db2c9353f4e0cb7d55849f3f99&oe=57A98F0F" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" height="292" src="https://scontent.xx.fbcdn.net/hphotos-xfa1/v/t1.0-0/s480x480/12963776_567334606768359_688766558475907677_n.png?oh=e55fc8db2c9353f4e0cb7d55849f3f99&oe=57A98F0F" width="320" /></a></div> <div style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #141823; display: block; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: normal; letter-spacing: normal; line-height: 19.32px; margin: 0px 0px 6px; orphans: auto; text-align: start; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 1; word-spacing: 0px;"> <br /></div> <div style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #141823; display: block; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: normal; letter-spacing: normal; line-height: 19.32px; margin: 0px 0px 6px; orphans: auto; text-align: start; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 1; word-spacing: 0px;"> <br /></div> <div style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #141823; display: block; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: normal; letter-spacing: normal; line-height: 19.32px; margin: 0px 0px 6px; orphans: auto; text-align: start; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 1; word-spacing: 0px;"> ফেসবুকে এক কট্টর হিন্দুপন্থী ফেসবুকার হলো ‘সুষুপ্ত পাঠক’ ওরফে ‘সুসু পাঁঠা’। জাগো হিন্দু কিংবা হিন্দু মহাজোটের ন্যায় উগ্র হিন্দু সংগঠনের সদস্যরাই সুসু পাঁঠার লাদির মূল গ্রাহক। সে সম্প্রতি পোস্ট দিয়েছে হিজরী সনের মাসগুলো নিয়ে। তার দাবি, হিজরী সনের হারাম মাসগুলো নাকি আরবের পৌত্তলিকদের প্রণীত। (পাঁঠার লাদির লিঙ্ক:<span class="Apple-converted-space"> </span><a href="https://www.facebook.com/l.php?u=https%3A%2F%2Fgoo.gl%2FHtILoL&h=oAQEVF_p5AQEiF9_Y4ECV71-exNs9K-U4o6vTT7r8bOKIMw&enc=AZNgI8c4WCDMKqhnrKsCjesTrUll3RCur78y4mSpEQQlthFZUQocMhmkstTEKlUNW0nEjVBqfWDMnfy1gXDXzmxI5-Ij-hyn1fDH3q0enXgQ_i3mGMD-u-tKc2ioZ1QH8LyiWKtzU1jBscr-LWEIE6qUiEsQJXly0kObjuSJ3pN6otze55vpd20_vozrPkhGFb--__A37-aqNEQIKxciW2Ii&s=1" rel="nofollow" style="color: #3b5998; cursor: pointer; text-decoration: none;" target="_blank">https://goo.gl/HtILoL</a>)</div> <div style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: normal; letter-spacing: normal; line-height: 19.32px; margin: 6px 0px; orphans: auto; text-align: start; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 1; word-spacing: 0px;"> এর জবাবে প্রথমত বলতে হয়, পবিত্র কুরআন শরীফে বর্ণিত রয়েছে যে-</div> <div style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #141823; display: block; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: normal; letter-spacing: normal; line-height: 19.32px; margin: 6px 0px; orphans: auto; text-align: start; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 1; word-spacing: 0px;"> নিশ্চয় আল্লাহর বিধান ও গননায় মাস বারটি, আসমানসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকে। তন্মধ্য<span class="text_exposed_show" style="display: inline;">ে চারটি সম্মানিত। এটিই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান; সুতরাং এর মধ্যে তোমরা নিজেদের প্রতি অত্যাচার করো না। (সূরা তওবা শরীফ, আয়াত শরীফ ৩৬)</span></div> <div class="text_exposed_show" style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #141823; display: inline; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: normal; letter-spacing: normal; line-height: 19.32px; orphans: auto; text-align: start; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 1; word-spacing: 0px;"> <div style="margin: 0px 0px 6px;"> এই মাস পিছিয়ে দেয়ার কাজ কেবল কুফরীর মাত্রা বৃদ্ধি করে, যার ফলে কাফেরগণ গোমরাহীতে পতিত হয়। এরা হালাল করে নেয় একে এক বছর এবং হারাম করে নেয় অন্য বছর, যাতে তারা গণনা পূর্ণ করে নেয় আল্লাহর নিষিদ্ধ মাসগুলোর। (সূরা তওবা শরীফ, আয়াত শরীফ ৩৭)</div> <div style="margin: 6px 0px;"> প্রথমে ৩৬ নং আয়াত শরীফ বলা হয়েছে যে, ‘সৃষ্টির শুরু’ থেকেই মাসের সংখ্যা বারো এবং হারাম মাস হলো চারটি। এই বিষয়টি যে সৃষ্টির শুরু থেকেই নির্ধারিত এবং পৌত্তলিকদের প্রণীত নয়, তার প্রমাণ হলো পরবর্তী ৩৭ নং আয়াত শরীফটি। সেখানে বলা হয়েছে যে, আরবের পৌত্তলিকেরা মাস পিছিয়ে দেয়ার কাজ করতো।</div> <div style="margin: 6px 0px;"> কেন তারা মাস পিছিয়ে দিতো? এর উত্তর হলো, ৩৬ নং আয়াত শরীফে বর্ণিত ৪টি হারাম মাসে যুদ্ধ করাটা হলো নিষেধ। এই মাস চারটি হলো রজবুল হারাম, জিলকদ শরীফ, জিলহজ শরীফ ও মুহররম শরীফ। এখন আরবের পৌত্তলিকেরা ছিলো যুদ্ধবাজ, যার ফলে অনেক সময়ে যুদ্ধ গড়িয়ে হারাম মাসে চলে যেতো। ধরা যাক, যুদ্ধ চলতে চলতে জিলকদ মাস চলে আসলো, তখন কাফিরেরা শাওয়াল মাসকে বাড়িয়ে হয়তো ৪৫ দিনে করে নিতো। এভাবে আরবের পৌত্তলিকেরা মাসের দিন কম-বেশি গণনা করে কোনো বছর ১৭ মাসে, কিংবা কোনো বছর ১০ মাসে গণনা শেষ করতো নিজেদের যুদ্ধবিগ্রহের স্বার্থে।</div> <div style="margin: 6px 0px;"> অর্থাৎ সুষুপ্ত পাঠক ওরফে সুসু পাঁঠা’র পেয়ারের পৌত্তলিকেরা যে এই হারাম মাসের প্রণেতা নয়, তা স্পষ্ট। হারাম মাসের বিধান সেই সৃষ্টির শুরু থেকেই রয়েছে, যার থেকে বাঁচার জন্যই কাফির মুশরিকেরা মাস আগুপিছু করতো। সুসু পাঁঠা দাবি করেছে, এসব পৌত্তলিক নিয়ম নিয়েই নাকি নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইসলামী বিধান তৈরী করেছেন। (নাউযুবিল্লাহ)</div> <div style="margin: 6px 0px;"> হাস্যকর কথা! পৌত্তলিক নিয়মই যদি নেয়া হতো, তাহলে ‘নাসী’ তথা মাস আগুপিছু করার নিয়ম কেন কুরআন শরীফে আয়াত নাযিল করে বাদ দেয়া হলো? সেটিই তো ছিলো মূল পৌত্তলিক সংস্কৃতি, যা এখনো হিন্দুদের কোষ্ঠী, তিথি-নক্ষত্র কিংবা এ সম্পর্কিত কুসংস্কারে দেখা যায়।</div> </div>

সুসু পাঁঠার মূর্খতা (পার্ট-১)

ফেসবুকে এক কট্টর হিন্দুপন্থী ফেসবুকার হলো ‘সুষুপ্ত পাঠক’ ওরফে ‘সুসু পাঁঠা’। জাগো হিন্দু কিংবা হিন্দু মহাজোটের ন্যায় উগ্র হিন্দু সংগঠন...

Read more »

মোফা পাগলার মুনাফিকী নিয়ে কিছু কথা

<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://scontent.xx.fbcdn.net/hphotos-xpa1/v/t1.0-0/p480x480/12987127_568098510025302_4022695523874481201_n.jpg?oh=2eebc23cbb683be5715fcbec0564ebe4&oe=57BD0645" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" height="320" src="https://scontent.xx.fbcdn.net/hphotos-xpa1/v/t1.0-0/p480x480/12987127_568098510025302_4022695523874481201_n.jpg?oh=2eebc23cbb683be5715fcbec0564ebe4&oe=57BD0645" width="320" /></a></div> <div style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: normal; letter-spacing: normal; line-height: 19.32px; margin: 0px 0px 6px; orphans: auto; text-align: start; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 1; word-spacing: 0px;"> <br /></div> <div style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: normal; letter-spacing: normal; line-height: 19.32px; margin: 0px 0px 6px; orphans: auto; text-align: start; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 1; word-spacing: 0px;"> ফেসবুকে এক কথিত ইসলামিস্ট নাকি নাস্তিকে পরিণত হয়েছে, যার মানুষ ডাকে ‘মোফা পাগলা’ বলে। অনেকে বিষয়টি নিয়ে চুচেরা বিশ্লেষণ করছে, কেন মোফা পাগলা নাস্তিক হলো কী করে হলো ইত্যাদি। তবে আমি বিষয়টি আগে থেকেই বুঝতে পেরেছিলাম, কারণ সে আগে থেকেই নাস্তিক ছিলো। তার আগে থেকেই ইসলাম নিয়ে হীনম্মন্যতা ছিলো।</div> <div style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: normal; letter-spacing: normal; line-height: 19.32px; margin: 6px 0px; orphans: auto; text-align: start; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 1; word-spacing: 0px;"> সে এক স্ট্যাটাসে ব্রিটেনে বসবাস করা নিয়ে খুব গর্ব করেছিলো। আরেকটি স্ট্যাটাসে সে লিখেছিলো, মুসলমান বাদশাহরা সব অত্যাচারী ও যুদ্ধবাজ। এধরণের ধারণা অনেকের মধ্যেই রয়েছে, আর এখান থেকেই মুসলিম সমাজে নাস্তিকতার উৎপত্তি।</div> <div style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: normal; letter-spacing: normal; line-height: 19.32px; margin: 6px 0px; orphans: auto; text-align: start; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 1; word-spacing: 0px;"> এর কারণ, আমাদের দেশে ইসলামের ইতিহাসকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করা হয় না। এটা উপস্থাপন করা হয় না যে, আমরা বর্তমানে যে অফিস-আদালত দেখি, যে বিচারব্যবস্থা দেখি, প্রশাসন পরিচালনা দেখি, রাজস্ব আদায়ের নিয়ম দেখি, সেগুলো প্রত্যেকটিই এসেছে স্পেসিফিক্যালি ভারতবর্ষের মুসলিম সভ্যতা থেকে।</div> <div style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: normal; letter-spacing: normal; line-height: 19.32px; margin: 6px 0px; orphans: auto; text-align: start; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 1; word-spacing: 0px;"> ক্লাইভের ‘দ্বৈত শাসন’ ব্যবস্থা সম্পর্কে অনেকেই শুনেছেন। এই শাসনব্যবস্থা ছিলো এরকম যে, মুসলমানরা সব অফিস-আদালত, বিচারব্যবস্থা, রাজস্ব আদায় এগুলো পরিচালনা করবে, আর ইংরেজরা টাকাপয়সা যা লাভ হয় তা নিয়ে নিবে। এখানে প্রশ্ন হতে পারে, কেন এই শাসনব্যবস্থা করছিলো ব্রিটিশরা? এর কারণ, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর নিজস্ব কোন শাসনব্যবস্থার নিয়মকানুন জানা ছিলো না। এই সময়টিতে অফিসার নিয়োগ হতো মাদরাসা শিক্ষার উপর ভিত্তি করে। এ সম্পর্কে উইলিয়াম হান্টার লিখেছিলো,</div> <div style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: normal; letter-spacing: normal; line-height: 19.32px; margin: 6px 0px; orphans: auto; text-align: start; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 1; word-spacing: 0px;"> “এই ব্যবস্থা (মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থা) ভারতে সে সময়ের অন্য যে কোনও বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থার তুলনায় বহুগুণে উন্নত ছিলো। এই ব্যবস্থায় তাঁরা (মুসলমানরা) এক বুদ্ধিগত ও বৈষয়িক শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী হয়েছিলেন এবং কেবলমাত্র এর সাহায্যেই হিন্দুরা তাদের নিজেদের দেশে কর্তৃত্বের একটি ন্যূনতম অংশ পাবার উপযুক্ত হয়ে উঠার আশা করতে পারতো। আমাদের শাসনের প্রথম ৭৫ বছর আমরা প্রশাসন ও পরিচালনার জন্য অফিসার তৈরি করার উপায় হিসাবে এই ব্যবস্থাকে কাজে লাগাচ্ছিলাম।” (তথ্যসূত্র: দি ইন্ডিয়ান মুসলমানস, চিরায়ত প্রকাশন প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, পৃষ্ঠা ১২৪)</div> <div style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: normal; letter-spacing: normal; line-height: 19.32px; margin: 6px 0px; orphans: auto; text-align: start; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 1; word-spacing: 0px;"> এখানে শাসনব্যবস্থার প্রথম পঁচাত্তর বছর অর্থাৎ ১৭৫৭ থেকে ১৮৩৩ সাল পর্যন্ত সময়ের কথা উল্লেখ রয়েছে। ১৮৩৩ সালে ব্রিটিশরা সর্বপ্রথম ইংরেজি ভাষার প্রচলন করে। মুসলমানরা তা গ্রহণ করতে চায়নি। কেন চায়নি তার বহু কারণ রয়েছে। এর একটি কারণ উইলিয়াম হান্টারই বলে দিয়েছে, তা হলো মুসলমানরা এই শিক্ষাব্যবস্থার কারণেই শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী ছিলেন।</div> <div style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: normal; letter-spacing: normal; line-height: 19.32px; margin: 6px 0px; orphans: auto; text-align: start; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 1; word-spacing: 0px;"> কেমন ছিলো সেই শ্রেষ্ঠত্ব, তার উদাহরণ দিতে আমি ইংলিশ মিডিয়ামের কথা উল্লেখ করবো। মানুষ এখন ইংলিশ মিডিয়ামে নিজের বাচ্চাদেরকে পড়ানোর ইচ্ছা রাখে, ইংলিশে বুলি ছাড়ার চেষ্টা করে। ভাবে এরকম করলে সে জাতে উঠতে পারবে। ঠিক সেভাবেই ব্রিটিশ আমলের শুরুর দিকেও যখন মুসলিম শিক্ষাব্যবস্থা ছিলো, তখন হিন্দু ও খ্রিস্টানরা মুসলমানদের মতো পোষাক পরে, মুসলমানদের ফারসী ভাষা শিখে জাতে উঠতে চাইতো।</div> <div style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: normal; letter-spacing: normal; line-height: 19.32px; margin: 6px 0px; orphans: auto; text-align: start; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 1; word-spacing: 0px;"> ইতিহাসের ছাত্রমাত্রই মুসলিম শাসনামলে হিন্দু কর্মচারীদের কথা শুনে থাকবে। তবে এই ধারণা হয়তো অনেকেরই নেই যে, ঐসব হিন্দু কর্মচারীরা ধুতি নেংটি পরা হিন্দু ছিলো না। ঐসব হিন্দুরা ছিলো মুসলমানদের মতো পোষাক পরা, মুসলমানদের ভাষায় কথা বলা হিন্দু। এ প্রসঙ্গে নীরদ সি চৌধুরীর বক্তব্য-</div> <div style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: normal; letter-spacing: normal; line-height: 19.32px; margin: 6px 0px; orphans: auto; text-align: start; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 1; word-spacing: 0px;"> “তখনকার দিনে উচ্চ শ্রেণীর বাঙালি হিন্দুর বাহ্যিক রূপ ও আচরণ প্রায় মুসলমান আমিরদের মতো হইতো। তাহাদের কেহ কেহ মুসলমান রায় নবাবের উচ্চপদস্থ কর্মচারী হইতো। অন্য ভদ্র হিন্দুরা নবাবী শাসন-ব্যবস্থায় নিম্নতর কর্মচারী হইােত, তাহাদের উপাধি সাধারণত মজুমদার, সরকার, তালুকদার, কারকুন, কানুনগো, মল্লিক ইত্যাদি হইতো।</div> <div style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: normal; letter-spacing: normal; line-height: 19.32px; margin: 6px 0px; orphans: auto; text-align: start; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 1; word-spacing: 0px;"> এ কারণেই মুসলমানদের বলা হতো শাসক জাতি, কারণ অন্যান্য জাতিরা তাদেরই অনুকরণ করতো। এই যে উচ্চতর শ্রেণীর হিন্দুদের কথা বলা হয়েছে, তারা ছিলো ব্রাহ্মণ, কায়স্থ ইত্যাদি। বলা বাহুল্য, মুসলমানদের অধীনে ফারসী শিক্ষাগ্রহণ ও কেরাণীগিরি হওয়ার কারণেই আজ ব্রাহ্মণ-কায়স্থরা হিন্দুসমাজে শূদ্রদের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে। শূদ্ররা ইসলামি শিক্ষাব্যবস্থা ও জ্ঞানবিজ্ঞানকে গ্রহণ করেনি। যদি করতো, তাহলে আজ ব্রা্হ্মণরা নিচুবর্ণ হতো, শূদ্ররা হতো উচুবর্ণ।</div> <div style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: normal; letter-spacing: normal; line-height: 19.32px; margin: 6px 0px; orphans: auto; text-align: start; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 1; word-spacing: 0px;"> এখনকার দিনে মানুষ জানে না, মুসলমান বলতে তখন কোন স্টেজের মানুষদেরকে বোঝানো হতো? ব্রিটিশ আমলের শুরুর দিকে মুসলমানরাই যে অফিস আদালত সব চালাতো, তার প্রমাণ হিসেবে সে সময়ে মুসলিম কর্মকর্তাদের লিস্ট তুলে ধরেছেন ড. ওয়াকিল আহমদ তার ‘বাংলার মুসলিম বুদ্ধিজীবী’ নামক গ্রন্থে। বইটির কয়েকটি পাতার পিডিএফ লিঙ্ক-<a href="https://www.facebook.com/l.php?u=https%3A%2F%2Fgoo.gl%2Fi34mKv&h=XAQFvm1i6AQGPiutaM57esleH_diIqUcUpqUdlfoKhxrhOQ&enc=AZMpauVgwK-X-8MrkiZcuBGcTGB2OHpljeD-OsWhiZFdOKYir1iOwDIMacYu59HAgVdogdx3iSI4DfIXt1a-wzllSu3_OGQpUvUUXGp7_88H8sYTIRIsaCMfxtkQphmYUe1MWgyP387OnEm42CZ2yfrRS5VNFJey7ZTYHefFYpak3vb0EQtwrwQCwv6s08M-vkydU9duN4zqIdJswt4qg9nK&s=1" rel="nofollow" style="color: #3b5998; cursor: pointer; text-decoration: none;" target="_blank">https://goo.gl/i34mKv</a></div> <div style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: normal; letter-spacing: normal; line-height: 19.32px; margin: 6px 0px; orphans: auto; text-align: start; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 1; word-spacing: 0px;"> এখনকার মানুষ মনে করে, মুসলমানরা খালি যুদ্ধই করেছে। এ কারণেই মোফা পাগলা আর মগাচীপের মতো হীনম্মন্যতায় ভোগা লোকেরা নাস্তিক হয়। যাই হোক, মোফা পাগলা অনেক ভুল সময়ে তার রাস্তা বেছে নিয়েছে। কারণ আমেরিকা-ইউরোপের দম এখন শেষ পর্যায়ে। গ্রিসের মতো দেশের খ্রিস্টান মেয়েরা এখন স্যান্ডউইচের জন্য রাস্তায় রাস্তায় বেশ্যাবৃত্তি করে। আর আমেরিকার ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছে, তারা এখন দাঁড়িয়ে আছে এক বিশ্রী বুদবুদের উপর, যে কোন সময়ে তাদের অর্থনীতির পতন অনিবার্য। পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনৈতিক অবস্থা এতো খারাপ, যে সেখানকার কলকারখানা-গাড়িঘোড়া সব বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যার ফলে সৌদি তেলের যে চাহিদা আগে ছিলো, তা এখন আর নেই। আগে ১৫০ ডলারে যে অশোধিত তেলের ব্যারেল বিক্রি হতো, তার দাম এখন ৩০-৪০ ডলারও নেই।</div> <div style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #141823; display: inline; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: normal; letter-spacing: normal; line-height: 19.32px; margin: 6px 0px 0px; orphans: auto; text-align: start; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 1; word-spacing: 0px;"> পশ্চিমা দেশগুলোর এই বিশ্রী বুদবুদকে এখন অবলম্বন করেছে মোফা পাগলা আর মগাচীপেরা। তবে লাভ হবে না, পশ্চিমাদের পতন অনিবার্য। আর ভারতীয় হিন্দুরা তো পথেঘাটে কুকুরের মতো হেগে বেড়ায়। আসলে এখন মুসলমানদের যা করা দরকার, তা হলো তওবা-ইস্তেগফার করা। মুসলমানরাও তো মোফা পাগলার মতো নিজেদের ধর্ম ও জাতির ইতিহাস না জানার কারণে হীনম্মন্যতায় ভুগে থাকে, সুতরাং তাদের উচিত এসব থেকে তওবা করে গর্বিত মুসলমান হওয়া। তা হলে কাফিরদের বিশ্রী বুদবুদের পতন আরো তরান্বিত হবে আর মোফা পাগলার মতো পল্টিবাজ মুনাফিকেরা অচিরেই রাস্তায় ফুটা থালা হাতে বসতে বাধ্য হবে।</div>

মোফা পাগলার মুনাফিকী নিয়ে কিছু কথা

ফেসবুকে এক কথিত ইসলামিস্ট নাকি নাস্তিকে পরিণত হয়েছে, যার মানুষ ডাকে ‘মোফা পাগলা’ বলে। অনেকে বিষয়টি নিয়ে চুচেরা বিশ্লেষণ করছে, কেন মোফা ...

Read more »

বাঙালি মুসলমানের গন্তব্য: কলকাতা থেকে বাংলাদেশ, বাংলাদেশ থেকে বঙ্গোপসাগর

<div style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: normal; letter-spacing: normal; line-height: 19.32px; margin: 0px 0px 6px; orphans: auto; text-align: start; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 1; word-spacing: 0px;"> কয়েকদিন আগে ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। (লিঙ্ক:<a href="https://youtu.be/rLbrPq4-UwA" rel="nofollow" style="color: #3b5998; cursor: pointer; text-decoration: none;" target="_blank">https://youtu.be/rLbrPq4-UwA</a>) ভিডিওটি তৈরী করেছেন চাকরিক্ষেত্রে হিন্দুদের দ্বারা অপদস্থ হওয়া এক মুসলমান। সেই ভিডিওতে বক্তা প্রথমেই বলেছিলেন-</div> <div style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: normal; letter-spacing: normal; line-height: 19.32px; margin: 6px 0px; orphans: auto; text-align: start; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 1; word-spacing: 0px;"> “মুসলমানরা যখন কোন হিন্দুকে চাকরি দেয় কিংবা ব্যবসায় ডিল করে, তখন সে হিন্দুটিকে আর দশটা মানুষের মতোই মনে করে। কিন্তু বিপরীতে একটা হিন্দু যখন মুসলমানের মুখোমুখি হয়, তখন সে মুসলমান ব্যক্তিটিকে ধরে নেয় তার শত্রু হিসেবে।”</div> <div style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: normal; letter-spacing: normal; line-height: 19.32px; margin: 6px 0px; orphans: auto; text-align: start; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 1; word-spacing: 0px;"> অর্থাৎ মুসলমানরা হিন্দুদেরকে আর দশটা মানুষের ন্যায় গণ্য করে বলেই হিন্দুদের হাতে ব্যবসা চাকরি চলে গেলেও তাদের কোন মাথাব্যাথা নেই। বিপরীতে মুসলমানদের এই ধারণাও নেই যে, তার পাশের হিন্দুটা তাকে মানুষ বলেই গণ্য করে না। যার ফলে হিন্দুদের হাতে চাকরি-ব্যবসার দখল চলে গেলে ভবিষ্যৎ পরিণতি কী হতে পারে, সে সম্পর্কেও বাংলাদেশের মুসলমানদের কোন ধারণা নেই। এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের গায়ক কবীর সুমনের একটি স্ট্যাটাসের কথা তুলে ধরবো, যা তিনি আজকে শেয়ার করেছেন।</div> <div style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: normal; letter-spacing: normal; line-height: 19.32px; margin: 6px 0px; orphans: auto; text-align: start; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 1; word-spacing: 0px;"> কবীর সুমনের বাবা সুধীন্দ্রনাথ ছিলো কলকাতা রেডিওর কর্মী। সুধীন্দ্রনাথের কলিগ ছিলো শামসুল হুদা চৌধুরী, যে পরবর্তীতে বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী ও স্পীকার হয়েছিলেন।১৯৩৭ এ শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের নেতৃত্বে কৃষক প্রজা পার্টি জয়ী হলে কলকাতায় মুসলিম লীগ ও কৃষক প্রজা পার্টির কোয়ালিশন সরকার ক্ষমতায় আসে। যার ফলে কলকাতায় তখন মুসলমানদের একটি উন্নত অবস্থার সৃষ্টি হয়, শামসুল হুদা চৌধুরীর মতো অনেক মুসলমান চাকরিতে উঠে আসে। পরবর্তীতে ৪৭ এ দেশভাগ হলে কলকাতায় মুসলিম সরকারের পতন ঘটে। কিন্তু তারপরও শামসুল হুদা চৌধুরী কলকাতায় থেকে গিয়েছিলেন, কারণ তার বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমে। এ প্রসঙ্গে কবীর সুমন লিখেছেন-</div> <div style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: normal; letter-spacing: normal; line-height: 19.32px; margin: 6px 0px; orphans: auto; text-align: start; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 1; word-spacing: 0px;"> //দেশ ভাগের সময়ে কলকাতা রেডিও’র মুসলমান কর্মীদের তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানে চলে গিয়ে রেডিও পাকিস্তানে যোগ দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছিল। একমাত্র হুদা সাহেব যেতে চাননি। ভারতেই থেকে যেতে চেয়েছিলেন তিনি।</div> <div style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: normal; letter-spacing: normal; line-height: 19.32px; margin: 6px 0px; orphans: auto; text-align: start; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 1; word-spacing: 0px;"> সুধীন: বুঝলি, বছর দুই তিনের মধ্যেই হিন্দু-সাম্প্রদায়িকতা কাকে বলে টের পেয়ে গেলাম পুরোপুরি। হুদাকে উঠতে বসতে অপমান করতে লাগলো যে হিন্দু সহকর্মীরা - সকলেই বাঙ্গালি ভদ্রলোক - তাদের স্বরূপ যে এমন তা দেশভাগের আগে জানতে পারিনি। আমি হুদার বন্ধু ছিলাম, পারিবারিকভাবেও বন্ধু ছিলাম আমরা, হুদার স্ত্রী তোর মায়ের বন্ধু ছিলেন, তা আমি হুদার বন্ধু তাই আমাকেও ঠেস দিয়ে দিয়ে কথা বলতে লাগলো অনেকে। আশ্চর্য, আর কেউ হুদার পাশে এসে দাঁড়ালো না। হুদা কিন্তু হাসি মুখে সব সহ্য করতো। আমি রেগে যেতাম। হুদা আমায় ঠাণ্ডা করতো।</div> <div style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: normal; letter-spacing: normal; line-height: 19.32px; margin: 6px 0px; orphans: auto; text-align: start; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 1; word-spacing: 0px;"> ... কিন্তু আমিই একদিন ওকে বললাম, হুদা, তোমার এই অপমান তো নিতে পারছি না আর। বাথরুমে গিয়ে কেঁদেছিলাম আমি। তার কিছুদিন পরে হুদা আমায় কাঁদতে কাঁদতে বলল - আমি আর পারছি না। কবে যে কী করে বসব। তার চেয়ে ঢাকায় চলে যাই। ওটা আমার কাছে ‘দেশ’ না। আমার দেশ এখানে। আমি বীরভূমের ছেলে। কলকাতায় বড় হয়েছি। কিন্তু ঢাকাতেই মানিয়ে নিতে চেষ্টা করি, কী করবো। - সুধীনও মেনে নিলো অগত্যা// (স্ট্যাটাস লিঙ্ক:<a href="https://www.facebook.com/l.php?u=https%3A%2F%2Fgoo.gl%2FpWcD3B&h=5AQEmqYIeAQF0Bbj5Wrr_GUGRNC55tq-Q1lK1zslC59N70Q&enc=AZOZP20tY44oTjq7XFaafaBYg0p0lnYbv8d4eXCQgy7J5j3zDqkhUmvEaZC9n0vkvvJg-ziHp95SnLK2aywRzQl5oJsQvvFW3ObbQCrw6xysc0swNRKgTPU89_hJ2uhpNSxMlQ28Slhpiblcyj1W8T8L3Fm8zrxO38gMridfDGnask-VEyDhTkUzMwrI1bsqMEYWCjEmmYoplesHj_V0LtTl&s=1" rel="nofollow" style="color: #3b5998; cursor: pointer; text-decoration: none;" target="_blank">https://goo.gl/pWcD3B</a>)</div> <div style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: normal; letter-spacing: normal; line-height: 19.32px; margin: 6px 0px; orphans: auto; text-align: start; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 1; word-spacing: 0px;"> পাঠকেরা একটি বিষয় খেয়াল করুন। দেশভাগের আগে যখন কলকাতায় মুসলিম সরকার ক্ষমতায় ছিলো, তখন হিন্দুদের মধ্যে মুসলিমবিদ্বেষী মনোভাবটি কেউই ধরতে পারেনি। কিন্তু যখনই দেশবিভাগ হলো আর সরকার পরিবর্তন হয়ে হিন্দুরা কলকাতার ক্ষমতায় আসলো, সাথে সাথে হিন্দু কলিগেরা শামসুল হুদা চৌধুরীর সাথে অভাবনীয় দুর্ব্যবহার শুরু করে দিলো। যার কারণে বাধ্য হলে পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে শামসুল হুদা চৌধুরীকে আসতে হলো বাংলাদেশে।</div> <div style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #141823; display: inline; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: normal; letter-spacing: normal; line-height: 19.32px; margin: 6px 0px 0px; orphans: auto; text-align: start; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 1; word-spacing: 0px;"> ঠিক সেভাবেই যদি বর্তমানে বাংলাদেশেও অনুরূপ ঘটনা ঘটে, যদি হিন্দুরা কলকাতার ন্যায় বাংলাদেশেরও সবকিছুর দখল নিয়ে নেয়, সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি কী হতে পারে? তখন বাংলাদেশের মুসলমানদেরও কিন্তু দেশ ছাড়ার উপক্রম হবে হিন্দুদের অপমান ও লাঞ্ছনা সহ্য করতে না পেরে, যেসব হিন্দুরা এখন গোবেচারা ভালোমানুষ সেজে আমাদেরই পাশে অবস্থান করছে। তবে শামসুল হুদা চৌধুরীর কিন্তু কলকাতা ত্যাগ করে বাংলাদেশে আসার একটা সুযোগ ছিলো, কিন্তু বাংলাদেশের মুসলমানরা বাংলাদেশ ত্যাগ করে কই যাবে? বঙ্গোপসাগরে ডুবে মরা ছাড়া তখন তাদের সামনে আর কোন উপায়ই থাকবে না।</div>

বাঙালি মুসলমানের গন্তব্য: কলকাতা থেকে বাংলাদেশ, বাংলাদেশ থেকে বঙ্গোপসাগর

কয়েকদিন আগে ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। (লিঙ্ক: https://youtu.be/rLbrPq4-UwA ) ভিডিওটি তৈরী করেছেন চাকরিক্ষেত্রে হিন্দুদের দ্বারা অপদস্থ ...

Read more »

জয় মীম, জয় ভীম: ভারতীয় মুসলমানদের পুরনো ভুলের পুনরাবৃত্তি

<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://scontent-sin1-1.xx.fbcdn.net/hphotos-xlf1/v/t1.0-9/12919683_969506549771074_9080377228356706211_n.jpg?oh=ad4a5d31c7deade384cc843d3ef29222&oe=577D70D6" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" height="288" src="https://scontent-sin1-1.xx.fbcdn.net/hphotos-xlf1/v/t1.0-9/12919683_969506549771074_9080377228356706211_n.jpg?oh=ad4a5d31c7deade384cc843d3ef29222&oe=577D70D6" width="320" /></a></div> <br /> <br /> <span style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #141823; display: inline !important; float: none; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: normal; letter-spacing: normal; line-height: 18px; orphans: auto; text-align: left; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 1; word-spacing: 0px;">সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের ‘সানাউল্লাহ খান’ নামক একজনের পোস্টে আমার চোখ আটকে গেল। সেখানে লেখা ছিলো-</span><br style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: normal; letter-spacing: normal; line-height: 18px; orphans: auto; text-align: left; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 1; word-spacing: 0px;" /><br style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: normal; letter-spacing: normal; line-height: 18px; orphans: auto; text-align: left; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 1; word-spacing: 0px;" /><span style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #141823; display: inline !important; float: none; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: normal; letter-spacing: normal; line-height: 18px; orphans: auto; text-align: left; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 1; word-spacing: 0px;">“ভারতীয় রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ ! ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত ! খুলে গেল নতুন দিগন্ত !সর্বাধিক অত্যাচারীতরা এক মঞ্চে । ভারতীয় রাজনীতির দুর্বীপাকে পড়ে মুসলমান ও দলিতরা দিশেহারা । সময়ের দাবীকে মান্যতা দিয়ে এগিয়ে এসে হাত মেলালেন বহুজন সমাজবাদী পার্টির সু</span><span class="text_exposed_show" style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #141823; display: inline; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: normal; letter-spacing: normal; line-height: 18px; orphans: auto; text-align: left; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 1; word-spacing: 0px;">প্রিমো মায়াবতী ও বিতর্কিত MIM নেতা ব্যারিস্টার আসাউদ্দিন ওয়েসি ।” (<a href="https://www.facebook.com/l.php?u=https%3A%2F%2Fgoo.gl%2F0aRi6f&h=ZAQGXY5BU&enc=AZMtQnEpNXwJPg8aV2vZeOv_EOR4zzwLqfpvmCGN2csjtTiQkgrjcCZkeFB9oSM_gorsu3yt15wQ2Y449Rr7toLhY55nlebioW2tJKz2FrbOfwjdkZdAzTENTCgIfDtOmB-GHp39u3yAfgJiuw8kg8LZ&s=1" rel="nofollow nofollow" style="color: #3b5998; cursor: pointer; text-decoration: none;" target="_blank">https://goo.gl/0aRi6f</a>) </span><br /> <br /> <span class="text_exposed_show" style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #141823; display: inline; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: normal; letter-spacing: normal; line-height: 18px; orphans: auto; text-align: left; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 1; word-spacing: 0px;">আমি পোস্টটি পড়লাম আর চিন্তা করতে লাগলাম, হায়রে! এখন শুকর আর দেশী মদ খাওয়া দলিত হিন্দুগুলোর সাথে জোট করলো মুসলিম নেতারা। এরা এখন স্লোগান দিচ্ছে, জয় মীম, জয় ভীম। মীম হলো আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দল, আর ‘ভীম’ এসেছে দলিতদের নেতা ভীমরাও আম্বেদকরের নাম থেকে।<br /><br />অথচ এই দলিত হিন্দুরাই ভারতে দাঙ্গার সময়ে মুসলিম নিধনে মূল ভূমিকা পালন করে থাকে। ভারতে বিহার, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরাঞ্চলেই মূলত দলিতদের বাস, এবং সেসব জায়গাতেই সর্বাধিক মুসলিমবিরোধী দাঙ্গা হয়ে থাকে। দলিত নেত্রী মায়াবতী হলো উত্তরপ্রদেশের নেত্রী, আর উত্তরপ্রদেশে দলিতরা কিভাবে মুসলিমবিরোধী দাঙ্গা লাগিয়ে থাকে, তার একটি উদাহরণ হলো ১৯৮০ সালের মোরাদাবাদ দাঙ্গা। ঐ বছরের ১৩ই আগস্ট ছিল ঈদুল ফিতরের দিন। ঈদগাহে নামায চলাকালীন সময়ে দলিত হিন্দুরা তাদের বস্তি থেকে একটি গৃহপালিত শূকর এনে ছেড়ে দেয় নামাযরত মুছল্লীদের মাঝে, যার ফলে লেগে যায় ভয়াবহ দাঙ্গা।<br /><br />আমি আমার পূর্বের পোস্টে লিখেছিলাম যে, আমাদের পূর্বপুরুষদের ইতিহাস হলো বোধোদয়ের ইতিহাস। কংগ্রেস করা বাঙালি মুসলমানরা হিন্দুদের থেকে বারবার প্রতারিত হয়েছিলো, যার ফলশ্রুতিতে তারা কংগ্রেস থেকে বের হয়ে মুসলিম লীগে যোগদান করেছিলেন। এর ফলশ্রুতিতেই জন্ম নিয়েছিলো পাকিস্তান। (<a href="https://www.facebook.com/l.php?u=https%3A%2F%2Fgoo.gl%2FY8DXA7&h=bAQGhheia&enc=AZO0eSx0mwfiBKzS9OjYR6YZ0CxBrK_3HhUFRT3NleYRZwq-xzxV6x6gY3MwnKPvp1cNPfNoP-iBvltELxfTLlo8pNrGB8IYXndp0aQNhFOvwRQxvTqlsakJ0WRiYAjqlixh1dbW8hqpGH61kka7LAbX&s=1" rel="nofollow nofollow" style="color: #3b5998; cursor: pointer; text-decoration: none;" target="_blank">https://goo.gl/Y8DXA7</a>)<br /><br />এ বাদেও ভারতবর্ষের মুসলমানদের আরেকটি বিরাট অংশ রয়েছে, যাদের বোধোদয় হয়নি। যারা হিন্দুদের এতো এতো প্রতারণার পরও বুঝতে সক্ষম হয়নি যে, স্বজাতির মুক্তি অর্জনে হিন্দুদের থেকে আলাদা হওয়ার কোন বিকল্প নেই। এই বোধোদয় না হওয়া অংশটিই হলো বর্তমান ভারতীয় মুসলমানরা। সাতচল্লিশে তারা হিন্দুদের ভাই ডেকে ভারতের অন্তর্ভূক্ত হয়েছিলো, আর আমাদের পূর্বপুরুষেরা চেয়েছিলেন পাকিস্তান। সেই সাতচল্লিশের পর পদ্মা-মেঘনায় বহু পানি গড়িয়েছে, কিন্তু হিন্দুদের সাথে ট্যাগ লাগানোর মানসিকতা থেকে ভারতীয় মুসলমানদের উত্তরণ ঘটেনি। ভারতের মুসলমানরা পারে নিজেরা নিজেরা আলাদা দল গঠন করতে, সেই সংখ্যাগরিষ্ঠতাও তাদের রয়েছে। কিন্তু তারা তা না করে আজও সর্বক্ষেত্রে হিন্দুদের সাথে কোয়ালিশন করতে যায়।<br /><br />উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থী হিন্দুদের উপর ভরসা করে তাদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে রেখেছিলো সেখানকার মুসলমানরা। একপর্যায়ে পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানরা দেখলো যে, বামপন্থীদের রাজত্বে তাদের কোন উন্নতিই হয়নি, তারা প্রতারণার শিকার। এরপর তারা চয়েস করলো তৃণমূলীদের, মমতাকে বসালো কলকাতার মসনদে। বলা বাহুল্য, তৃণমূলীদের রাজত্বেও মুসলমানদের কোন উন্নতি হয়নি।<br /><br />এভাবেই চলছে ভারতীয় মুসলমানদের জীবন। বারবার তারা হিন্দুদের সাথে কোয়ালিশন করতে গিয়ে প্রতারিত হচ্ছে। সম্প্রতি ‘মীম-ভীমের’ কোয়ালিশন নিয়ে ভারতীয় মুসলমানরা যদি মনে করে যে, বর্ণহিন্দুদের দ্বারা নির্যাতিত বলে দলিত হিন্দুরা তাদের সাথে এক হবে, সেটা হবে তাদের ভুল ধারণা।<span class="Apple-converted-space"> </span><br /><br />বরং বাস্তবতা হলো, এই নির্যাতিত দলিতদের যতোটা হিন্দুধর্মপ্রীতি রয়েছে, সেটা ব্রাহ্মণদেরও নেই। উদাহরণস্বরূপ বলতে হয়, হিন্দু সম্প্রদায়ে তাদের মহিলারা বেশি নির্যাতিত হয়, কিন্তু তা বলে কী তাদের হিন্দুধর্মপ্রীতি কম? বরং বাস্তবতা হলো, হিন্দুধর্ম পালনের দিক দিয়ে, কিংবা মুসলিমবিদ্বেষের দিক দিয়ে এই শাখা-সিঁদুরওয়ালা হিন্দু মাসীগুলো পুরুষদের তুলনায় অনেক বেশি অগ্রগামী।<span class="Apple-converted-space"> </span><br /><br />ভারতীয় মুসলমানরা মুক্তি লাভ করতে পারবে, যদি তারা হিন্দুদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হলে নিজেরা আলাদা একটি প্ল্যাটফর্মে একত্রিত হয়। ব্রিটিশ আমলে কংগ্রেস থেকে মুসলমানরা পদত্যাগ করে মুসলিম লীগে একত্রিত হয়ে ঠিক সেই কাজটিই করেছিলো। পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানরা ইতিহাস পড়ে দেখুক, মুসলিম লীগ গঠন করে বাঙালি মুসলমানরা ১৯৩৭ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত কলকাতার ক্ষমতায় ছিলো। পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানরাও পারে সেরকম কিছু করতে, সেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা তাদের রয়েছে। কিন্তু আফসোস, হিন্দুদের সাথে কোয়ালিশন করার বোকামি থেকে তারা আজও মুক্ত হতে পারলো না।</span>

জয় মীম, জয় ভীম: ভারতীয় মুসলমানদের পুরনো ভুলের পুনরাবৃত্তি

সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের ‘সানাউল্লাহ খান’ নামক একজনের পোস্টে আমার চোখ আটকে গেল। সেখানে লেখা ছিলো- “ভারতীয় রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ ! ঐতিহাসিক...

Read more »

নাস্তিক হত্যা, শাহজালাল ভার্সিটিতে এক হিন্দুর তাণ্ডব ও মুসলমানদের নির্লিপ্ততা...

<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://scontent-sin1-1.xx.fbcdn.net/hphotos-xaf1/v/t1.0-9/s851x315/12933117_971305182924544_1439580903276048215_n.png?oh=852e6fed413e051aa2e30c281df4a1ad&oe=5783BC74" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" height="213" src="https://scontent-sin1-1.xx.fbcdn.net/hphotos-xaf1/v/t1.0-9/s851x315/12933117_971305182924544_1439580903276048215_n.png?oh=852e6fed413e051aa2e30c281df4a1ad&oe=5783BC74" width="320" /></a></div> <div style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #141823; display: block; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: normal; letter-spacing: normal; line-height: 19.32px; margin: 0px 0px 6px; orphans: auto; text-align: start; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 1; word-spacing: 0px;"> <br /></div> <div style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #141823; display: block; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: normal; letter-spacing: normal; line-height: 19.32px; margin: 0px 0px 6px; orphans: auto; text-align: start; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 1; word-spacing: 0px;"> <br /></div> <div style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: normal; letter-spacing: normal; line-height: 19.32px; margin: 6px 0px; orphans: auto; text-align: start; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 1; word-spacing: 0px;"> গত বুধবার রাতে নাজিমউদ্দীন সামাদ নামে সিলেটি এক নাস্তিক পুরান ঢাকায় খুন হলো। স্বাভাবিকভাবেই খুন করার দায় এদেশের মুসলমানদের উপর চাপিয়ে নাস্তিকেরা ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু সমসাময়িক ঘটনা বলছে, এদেশের মুসলমানদের দ্বারা ইসলামকে কটূক্তি করার দায়ে কাউকে হত্যা করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।</div> <div style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #141823; display: block; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: normal; letter-spacing: normal; line-height: 19.32px; margin: 6px 0px; orphans: auto; text-align: start; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 1; word-spacing: 0px;"> অনেকেই হয়তো বিষয়টিকে প্রশংসা হিসেবে নিবেন। কিন্তু না, এটি প্রশংসা নয়, এটি তিরষ্কার। কয়েকদিন আগেই স<span class="text_exposed_show" style="display: inline;">িলেটের শাহজালাল ইউনিভার্সিটিতে একটি ঘটনা আমাকে এরূপ ভাবতে বাধ্য করেছে। ঘটনাটি হলো, সিলেটের শাহজালাল ভার্সিটির শাহপরান হল ক্যান্টিনে ধনি রাম রায় নামে হিন্দু ছাত্র বেধড়ক পেটায় ক্যান্টিন মালিক কামাল আহমেদকে। ধনি রাম রায়কে নাকি মাছের জায়গায় গরুর গোশতের সুরুয়া দেয়া হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে সে ক্যান্টিন মালিককে পিটিয়ে চোখে, কানে, গালে ও ঘাড়ে ব্যাপক আঘাত করে। কামাল সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পুরুষ বিভাগের ৯নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছে।</span></div> <div class="text_exposed_show" style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: white; color: #141823; display: inline; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: normal; letter-spacing: normal; line-height: 19.32px; orphans: auto; text-align: start; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 1; word-spacing: 0px;"> <div style="margin: 0px 0px 6px;"> পাঠক! এটা বাংলাদেশের অন্য কোন জায়গা হলেও কথা ছিলো। এটা খোদ সিলেটের ঘটনা, যেখানকার মুসলমানরা নিজেদেরকে দাবি করে হযরত শাহজালাল রহমতুল্লাহি আলাইহির উত্তরসূরী হিসেবে। যেই হযরত শাহজালাল রহমতুল্লাহি আলাইহি গরু জবাইয়ের অধিকার লাভ করতে গৌরগোবিন্দকে পরাজিত করেছিলেন, সেই শাহজালাল ভার্সিটিতে এক সামান্য হিন্দু গরুর গোশতের ইস্যু তুলে মুসলমান ক্যান্টিন মালিককে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিলো, অথচ আশেপাশের মানুষ কিছুই করলো না!</div> <div style="margin: 6px 0px;"> আপনার কী এরপরও মনে হয়, এসব নপুংসক জনসাধারণের মধ্যে কাউকে নিয়ে ‘নাস্তিক হত্যা’ সম্ভব? লজ্জা! লজ্জা! সিলেটের মুসলমানদের জন্য। আরও লজ্জার বিষয় হলো, এই ঘটনার পর হিন্দুরা প্রভোস্টকে উল্টো স্মারকলিপি দিয়ে আহত ক্যান্টিন মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছে। স্মারকলিপিতে হিন্দু ছাত্রলীগকর্মী মোহন রায় লিখেছে “আমরা হিন্দু সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মাতার (গোমাতা) দুধ পান করি কিন্তু তার মাংস খেতে পারিনা।”</div> <div style="margin: 6px 0px;"> খোদ সিলেটের বুকে মুসলমান পিটিয়ে এখন গোমাতার হয়ে স্মারকলিপি দিচ্ছে হিন্দুরা। সিলেটের লোকজনের লজ্জাশরম থাকলে তারা এতক্ষণে মুখ দেখাতে পারতো না। পরিশেষে এটুকুই বলবো, তা হলো দিল্লীর উপকণ্ঠে দাদরিতে ফ্রিজে রাখা খাসির গোশতকে গরুর গোশত বানিয়ে মুহম্মদ আখলাককে পিটিয়ে মারার কথা আমরা জানি। এখন সিলেটের মতো একটি স্থানে, হযরত শাহজালাল রহমতুল্লাহি আলাইহির পবিত্র নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়ে এক চ্যাংড়া হিন্দু স্টুডেন্ট মাছের সুরুয়াকে গরুর সুরুয়া বানিয়ে ক্যান্টিন মালিককে পেটালো, কোন মিল পাচ্ছেন কী পাঠকেরা? এদেশের মুসলমানদের ঘুমিয়ে থাকার অবকাশ নেই, কারণ দাদরি এখন কড়া নাড়ছে তাদেরই দোরগোরায়। আজ হোক কাল হোক, তাদের পাশের বাসার হিন্দুটিই দাদরির হিন্দু হবে, বাংলাদেশের মুসলমানদের মার খেতে হবে মুহম্মদ আখলাকের মতোই। কারণ মুসলমানরা আজ ঈমান-আমল সব খুইয়ে নপুংসক হয়ে বসে রয়েছে।</div> <div style="margin: 6px 0px;"> খবর:<span class="Apple-converted-space"> </span><a href="http://www.campuslive24.com/campus.158745.live24/" rel="nofollow" style="color: #3b5998; cursor: pointer; text-decoration: none;" target="_blank">http://www.campuslive24.com/campus.158745.live24/</a></div> </div>

নাস্তিক হত্যা, শাহজালাল ভার্সিটিতে এক হিন্দুর তাণ্ডব ও মুসলমানদের নির্লিপ্ততা...

গত বুধবার রাতে নাজিমউদ্দীন সামাদ নামে সিলেটি এক নাস্তিক পুরান ঢাকায় খুন হলো। স্বাভাবিকভাবেই খুন করার দায় এদেশের মুসলমানদের উপর চাপিয়ে...

Read more »

হিন্দুরা হেরে গেলে, জিতে যায় বাংলাদেশ

<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://scontent-sin1-1.xx.fbcdn.net/hphotos-xfl1/v/t1.0-9/12936550_967136236674772_9121101409598316125_n.jpg?_nc_eui=ARhRbLM8L26SccsZZOjEW2EZKfsb8CY5Hq9jq1JFfeoxcstX0zu8HVxG_cmw&oh=50518a849558eb75e454ffca51c09481&oe=578597A8" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" height="270" src="https://scontent-sin1-1.xx.fbcdn.net/hphotos-xfl1/v/t1.0-9/12936550_967136236674772_9121101409598316125_n.jpg?_nc_eui=ARhRbLM8L26SccsZZOjEW2EZKfsb8CY5Hq9jq1JFfeoxcstX0zu8HVxG_cmw&oh=50518a849558eb75e454ffca51c09481&oe=578597A8" width="320" /></a></div> <span style="background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; line-height: 18px;"><br /></span> <span style="background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; line-height: 18px;"><br /></span> <span style="background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; line-height: 18px;">অধিকাংশ পাঠকই ছবির ক্যাপশনের সাথে দ্বিমত পোষণ করবেন। কারণ তারা কোহলি-ধোনির বিষন্ন চেহারাটি সম্পর্কে জানে, তারা জানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ভারতের হারের পর বাংলাদেশের মানুষ রাস্তায় মিছিল বের করেছিলো। অধিকাংশ মানুষ এটিকে ‘ভারত হেরে গেছে’ হিসেবেই মেনে নিতে আগ্রহী। ‘হিন্দু হেরে গেছে’ এভাবে বললেই মানুষ বলবে ‘আপনি সাম্প্রদায়িক’।</span><br style="background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; line-height: 18px;" /><br style="background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; line-height: 18px;" /><span style="background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; line-height: 18px;">আসলে সত্যি বলতে কী, আমিও ভারতের ক্রিকেট টীমের হারকে গুরুত্ব দিতে রাজি নই। এ</span><span class="text_exposed_show" style="background-color: white; color: #141823; display: inline; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; line-height: 18px;"> কারণেই আমি ভারতীয় ক্রিকেট টীমের ছবি নীচে রেখেছি, উপরে রেখেছি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের মিষ্টি খাওয়ার ছবি। কেন তারা মিষ্টি বিতরণ করছে, জানেন পাঠকেরা? গত ২৮শে মার্চ এদেশে হাইকোর্টে সংবিধানের ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’কে বহাল রাখা হয়, বাতিল করা হয় ১৯৮৮ সালে করা রাষ্ট্রধর্মের বিরুদ্ধে রিট পিটিশনটি। (<a data-lynx-uri="http://l.facebook.com/?u=http%3A%2F%2Fbanglamail24.com%2Fnews%2F142126&e=ATMUdtqr5Kb-L9TBEMJmJTDVcVFH9_uf3pgAmLaOHkiQG9fVEycIh1WWKeNJHW6f" href="http://banglamail24.com/news/142126" rel="nofollow" style="color: #3b5998; cursor: pointer; text-decoration: none;" target="_blank">http://banglamail24.com/<wbr></wbr><span class="word_break" style="display: inline-block;"></span>news/142126</a>)<br /><br />২৮ বছর আগে ১৫ জন উগ্র হিন্দু ও নাস্তিক মিলে এই রিটটি করেছিলো। রিটের উকিল ছিলো হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা সুব্রত চৌধুরী, যার ছবি কোহলি-ধোনির উপরে দেয়া হয়েছে। হাইকোর্ট যখন রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখে, তখন সে কাঁদো কাঁদো স্বরে সাংবাদিকদের কাছে পুরো ঘটনাটির বিবরণ দেয়। (<a data-lynx-uri="https://l.facebook.com/?u=https%3A%2F%2Fgoo.gl%2F7Ns8Os&e=ATPc6wAK2fIOv4zLefJTWLGNjc_a6Vody6m2kB70saWPtUaK8vG8_axmgG1B3Ees" href="https://goo.gl/7Ns8Os" rel="nofollow" style="color: #3b5998; cursor: pointer; text-decoration: none;" target="_blank">https://goo.gl/7Ns8Os</a>)<br /><br />তার গলার স্বর শুনেই বোঝা যায় যে, তারা হেরে গিয়েছে। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ হেরে গিয়েছে, ১৯৮৮ সালে যাদের জন্ম হয়েছিলো ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ এর বিরোধিতা করার জন্য। বিপরীতে জিতে গিয়েছে ৯৮ শতাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানরা, জিতে গিয়েছে গোটা বাংলাদেশ। অর্থাৎ হিন্দু হারলে, জিতে যায় বাংলাদেশ। বিপরীতে হিন্দু জিতলে যে বাংলাদেশ হেরে যায়, এটাও কিন্তু ঐতিহাসিক সত্য। স্কুলে আমরা বঙ্গভঙ্গের ইতিহাস পড়েছি। ১৯০৬ সালে ‘বঙ্গভঙ্গ’ করার মাধ্যমে বর্তমান বাংলাদেশকে কলকাতা থেকে আলাদা প্রশাসনিক সেক্টরে পরিণত করা হয়, যার ফলে এদেশ কলকাতার শোষণ থেকে মুক্ত হয়ে উন্নতির পথে এগিয়ে যাওয়ার বিরাট সুযোগ পায়।<br /><br />কিন্তু হিন্দুরা একে নেয় তাদের পরাজয় হিসেবে, কারণ ‘বঙ্গভঙ্গ’ এর ফলে তারা বাংলাদেশকে শোষণ করার সুযোগ হারায়। এই ‘বঙ্গভঙ্গ’ রদ করতে হিন্দুরা নানা জায়গায় বোমা হামলা, সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রম চালাতে থাকে। ফলে ব্রিটিশরা বাধ্য হয়ে ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ করে দেয়। এ ঘটনায় হিন্দুরা বিজয়ী হয়, হেরে যায় বাংলাদেশ।</span><br /> <span class="text_exposed_show" style="background-color: white; color: #141823; display: inline; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; line-height: 18px;"><br />অর্থাৎ হিন্দুরা হারলে যে বাংলাদেশ জিতে যায়, বিপরীতে হিন্দুরা জিতলে যে বাংলাদেশ হেরে যায়, এটাই ঐতিহাসিক প্রমাণিত সত্য। সুতরাং বাংলাদেশের মুসলমানরা যদি তাদের দেশকে বিজয়ী দেখতে চায়, তবে অবশ্যই তাদেরকে হিন্দুদের পরাজয় কামনা করতে হবে। হিন্দুদেরকে পরাজিত না করে বাংলাদেশকে বিজয়ী করার কোন রাস্তা এখন দেশপ্রেমিক জনতার সামনে খোলা নেই।<br /><br />(পরিশিষ্ট: যারা ভারতের হারকে হিন্দুর হার বলে মানতে রাজি নন, তারা এই লিঙ্কে গেলে (<a data-lynx-uri="https://l.facebook.com/?u=https%3A%2F%2Fgoo.gl%2FUHLFon&e=ATP8wqp-9XaOkt-_Q0BeUcb29FiDC_CVql41tbFsixgne4UyRMwN2O3iEKddBgwP" href="https://goo.gl/UHLFon" rel="nofollow" style="color: #3b5998; cursor: pointer; text-decoration: none;" target="_blank">https://goo.gl/UHLFon</a>) দেখতে পারবেন যে এদেশের হিন্দুরা ভারতের হারকে নিজের হার বলেই মনে করেছে। সুতরাং এরপরও আপনি যদি ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মতো হিন্দুপ্রীতি দেখাতে যান, সেক্ষেত্রে আপনার জন্য করুণা রইল।)</span>

হিন্দুরা হেরে গেলে, জিতে যায় বাংলাদেশ

অধিকাংশ পাঠকই ছবির ক্যাপশনের সাথে দ্বিমত পোষণ করবেন। কারণ তারা কোহলি-ধোনির বিষন্ন চেহারাটি সম্পর্কে জানে, তারা জানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছ...

Read more »

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে নাস্তিকদের কিছু আপত্তি ও এর দাঁতভাঙা জবাব

<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://scontent-sin1-1.xx.fbcdn.net/hphotos-xpt1/v/t1.0-9/12924388_965849516803444_6450902417892761353_n.jpg?_nc_eui=ARhAqM5eAtKp2YkOLRjTRwhq6Nd151rJt5dysRt09zF-H3p6GivqVoL_ayyx&oh=48c2bc9c3bfabe8cfdf31a3859484455&oe=57BF88D4" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" height="170" src="https://scontent-sin1-1.xx.fbcdn.net/hphotos-xpt1/v/t1.0-9/12924388_965849516803444_6450902417892761353_n.jpg?_nc_eui=ARhAqM5eAtKp2YkOLRjTRwhq6Nd151rJt5dysRt09zF-H3p6GivqVoL_ayyx&oh=48c2bc9c3bfabe8cfdf31a3859484455&oe=57BF88D4" width="320" /></a></div> <span style="background-color: white; color: #141823; font-family: "helvetica" , "arial" , sans-serif; font-size: 14px; line-height: 18px;"><br /></span> <span style="background-color: white; color: #141823; font-family: "helvetica" , "arial" , sans-serif; font-size: 14px; line-height: 18px;"><br /></span> <span style="background-color: white; color: #141823; font-family: "helvetica" , "arial" , sans-serif; font-size: 14px; line-height: 18px;">১) রাষ্ট্রের আবার ধর্ম কী? রাষ্ট্র কী ধর্ম পালন করে? নামায পড়ে, রোযা রাখে?</span><br /> <br style="background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; line-height: 18px;" /> <span style="background-color: white; color: #141823; font-family: "helvetica" , "arial" , sans-serif; font-size: 14px; line-height: 18px;">উত্তর: রাষ্ট্র হয়তো নামায পড়ে না, রোযা রাখে না। কিন্তু রাষ্ট্র নামাযের ব্যবস্থা করে দিবে, অর্থাৎ জুম্মাবারে ছুটি দিবে এবং মসজিদের কারেন্ট বিল মওকুফ করবে। রাষ্ট্র রোযা রাখার ব্যবস্থা করে দিবে, রমযান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাষ্ট্র নি</span><span class="text_exposed_show" style="background-color: white; color: #141823; display: inline; font-family: "helvetica" , "arial" , sans-serif; font-size: 14px; line-height: 18px;">বে। রাষ্ট্র রমযান মাসে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের সুবিধার্থে অফিস আওয়ারও কমিয়ে দিতে বাধ্য। আর এটা তখনই সম্ভব, যখন রাষ্ট্র দ্বীন ইসলামকে স্বীকৃতি দিবে। কারণ অমুসলিম রাষ্ট্রে মুসলমানদের এসব সুবিধা নেই।<br /><br />২) ১৯৮৮ সালে ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ সংবিধানে সংযুক্ত করার আগে কী মুসলমানরা ‘মুসলমান’ ছিলো না? তাহলে ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ না থাকলেই বা কী হবে?<br /><br />উত্তর: আসলে এর উদাহরণ এভাবে দেয়া যায়। ধরা যাক, কোন গ্রামে একজন ব্যক্তি রয়েছে। সেই গ্রামে তার পিতার নামে একটি স্কুল কিংবা রাস্তার নামকরণ করা হলো। পরবর্তীতে তার পিতার সেই নামটি কেটে অন্য নাম বসিয়ে দেয়া হলো।<br /><br />এখন এই ঘটনাটি সম্পূর্ণই উক্ত ব্যক্তি ও তার পিতাকে অপমান করার সমতুল্য। এখন যদি ঐ ব্যক্তি তার পিতার নাম কেটে দেয়ার প্রতিবাদ না করে, সেক্ষেত্রে সে হবে কুলাঙ্গার সন্তান। অর্থাৎ উদাহরণে উল্লিখিত ব্যক্তিটি তার পিতার নামে স্কুলের নামকরণ করার আগে সন্তান ছিলো এটা ঠিক, কিন্তু যদি তার পিতার নামে স্কুলের নামকরণ করে সেটা কেটে দেয়ার পর উক্ত ব্যক্তিটি প্রতিবাদ না করে, সেক্ষেত্রে সে সন্তান হিসেবে কলঙ্কিত হবে।<br /><br />ঠিক সেভাবেই ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ থাকার আগে এদেশের মানুষ মুসলমান ছিলো। কিন্তু ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ যোগ করে তা কেটে দেয়ার পায়ঁতারা হলে যদি তারা এর প্রতিবাদ না করে, সেক্ষেত্রে বিষয়টা এমন দাঁড়ায় যে এদেশের মানুষ ইসলামের অবমাননা মেনে নিয়েছে। সেক্ষেত্রে এদেশের মানুষ অবশ্যই মুসলমান থাকতে পারবে না, যা একটা শিশুও বুঝবে।<br /><br />৩) ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ তো সংযুক্ত করেছিলো এরশাদ। এরশাদ একটা লম্পট ছিলো, তাই তার সংযুক্ত করা রাষ্ট্রধর্মের পক্ষে মুসলমান হয়ে কথা বলছেন কেন?<br /><br />উ্ত্তর: এই যুক্তি দিলে আইয়ুব খানের আমলে প্রতিষ্ঠিত করা বুয়েট কিংবা ক্যাডেট কলেজগুলো ভেঙে ফেলতে হবে, কারণ সে পাকিস্তানী স্বৈরশাসক। ‘ইসলাম’ এরশাদের বাপের সম্পত্তি নয়। এদেশের মুসলমানরা এরশাদের দিকে তাকিয়ে ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ ফেরত চায়নি।<br /><br />বরং এদেশের মুসলমান আলিম-ওলামারা এই চিন্তা করে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখতে চেয়েছেন যে, এই ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ এর বিরোধিতা করছে নাস্তিক ও হিন্দুরা। অর্থাৎ ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বাতিল হলে এদেশের নাস্তিক ও হিন্দুদের নিশ্চয়ই কোন লাভ রয়েছে, আর নাস্তিক ও হিন্দুদের লাভ মানেই মুসলমানদের ক্ষতি।<br /><br />টকশোতে এসব ছেলেমানুষি যুক্তি দিয়ে বাঙালি ‍মুসলমানকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। তারা হাঁড়ির একটি ভাত টিপেই বুঝতে পারে ভাত হয়েছে কিনা। গোটা ভারতের মুসলমানদেরকে বিভ্রান্ত করতে পারলেও সাতচল্লিশে আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে ‘হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই’ স্লোগান দিয়ে ভোলানো যায়নি, আর যায়নি বলেই আমরা আজ স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি।</span>

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে নাস্তিকদের কিছু আপত্তি ও এর দাঁতভাঙা জবাব

১) রাষ্ট্রের আবার ধর্ম কী? রাষ্ট্র কী ধর্ম পালন করে? নামায পড়ে, রোযা রাখে? উত্তর: রাষ্ট্র হয়তো নামায পড়ে না, রোযা রাখে না। কিন্তু রাষ্...

Read more »

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের প্রক্রিয়া: যার সূত্রপাত ঘটেছিল একটি সিনেমা হল থেকে...

<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://scontent-sin1-1.xx.fbcdn.net/hphotos-xpf1/v/t1.0-9/12472581_962188967169499_4738842385000858166_n.jpg?_nc_eui=ARinRWCzrv2xbRzjliRPW7fwQzyK6oO-9eASo4Zr5a6R_aKnvyxQITgavi6h&oh=9a1b64f97d9c319bd257c0aa07da1ade&oe=5774A680" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" height="240" src="https://scontent-sin1-1.xx.fbcdn.net/hphotos-xpf1/v/t1.0-9/12472581_962188967169499_4738842385000858166_n.jpg?_nc_eui=ARinRWCzrv2xbRzjliRPW7fwQzyK6oO-9eASo4Zr5a6R_aKnvyxQITgavi6h&oh=9a1b64f97d9c319bd257c0aa07da1ade&oe=5774A680" width="320" /></a></div> <br style="background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; line-height: 18px;" /> <br style="background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; line-height: 18px;" /> <span style="background-color: white; color: #141823; font-family: "helvetica" , "arial" , sans-serif; font-size: 14px; line-height: 18px;">‘মুন সিনেমা হল মামলা’ সম্পর্কে সাধারণ মানুষদের কয়জন জানেন? কেউই হয়তো কিছু জানেন না, কারণ সাধারণ মানুষ ব্যস্ত রয়েছে ক্রিকেট খেলা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে। অথচ এই ‘মুন সিনেমা হল’ মামলাকেই ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে এমন এক রায় দেয়া হয়েছে, যাতে বাতিল হয়ে গিয়েছে সংবিধানের ‘আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’, ফিরে এসেছে হিন্দু ও নাস্তিকদ</span><span class="text_exposed_show" style="background-color: white; color: #141823; display: inline; font-family: "helvetica" , "arial" , sans-serif; font-size: 14px; line-height: 18px;">ের বহুল আকাঙ্খিত ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’।<br /><br />ভাবছেন এটা কী করে সম্ভব? তো আসুন বিষয়টি আলোচনা করি। একাত্তরে যুদ্ধের পর এদেশের বহু পাকিস্তানী তাদের প্রচুর সম্পত্তি ফেলে চলে যায়। সেসব সম্পত্তি সরকার বাজেয়াপ্ত করে নেয় ‘অর্পিত সম্পত্তি’ হিসেবে। সেরকম একটি সম্পত্তি ছিলো পুরান ঢাকার ওয়াইজঘাটের ‘মুন সিনেমা হল’, যার মালিক ছিলো পাকিস্তানের ‘ইটালিয়ান মার্বেল ওয়ার্কস’।<br /><br />এই সম্পত্তি বঙ্গবন্ধু সরকার বাজেয়াপ্ত করে প্রদান করেছিলো মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টকে। কিন্তু স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে কোম্পানীর নাম বদলে ‘বাংলাদেশ ইটালিয়ান মার্বেলস ওয়ার্কস লিমিটেড’ রাখা হয় । তারা মুন সিনেমা হল ফিরে পেতে নানা জায়গায় লবিং করতে থাকে। এর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় ২৭ জুন ১৯৭৫ সালে ওই সম্পত্তি ‘পরিত্যাক্ত সম্পত্তি” বলে প্রাক্তন মালিককে চিঠি দিয়ে জানিয়ে সব আবেদন নাকচ করে দেয়।<br /><br />স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। ইটালিয়ান মার্বেল ওয়ার্কস থেকে ১৯৭৬ সালে সম্পত্তি ফেরত পাবার আদেশ কামনা করে হাইকোর্টে রিট করেন। রিট দায়েরের প্রায় এক বছর পর ১৯৭৭ এর ১৫ জুনে হাইকোর্ট তার রায়ে মন্ত্রণালয় ও কল্যাণ ট্রাস্টকে সম্পত্তি ফেরত দিয়ে দেবার নির্দেশ জানিয়ে রিট নিষ্পত্তি করেন।<br /><br />কিন্তু তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালের সংবিধানের ৫ম সংশোধনীতে আর্টিকেল ৭ এ একটি ধারা যুক্ত করেন যে, মুক্তিযুদ্ধের যাবতীয় শত্রুসম্পত্তি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ সংস্থা পাবে। আইনটি ছিলো মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু এর ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যায় মুন সিনেমা হল মামলা। এখানেই শুরু হয় আসল নাটক। এরপর সামরিক শাসন বাতিল হলে ১৯৯৪ সালে সিনেমা হলের মালিক ফের মামলা করেন। তখন মামলাটি গিয়ে দাঁড়ায় এই তর্কবিতর্কে যে, জিয়াউর রহমানের ঐ আইন করার এখতিয়ার ছিলো কি না?<br /><br />শুনে অবাক হবেন, এই মামলার রায় দেয়া হয় ২০০৫ সালে বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় থাকা অবস্থায়। রায়ে বলা হয়, জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা দখল অবৈধ, তার পুরো শাসনকাল অবৈধ, তার শাসনকালের সময়ে করা পঞ্চম সংশোধনী অবৈধ। এই রায় দিয়ে হাইকোর্ট সিদ্ধান্ত দেয়, মুন সিনেমা হলের জমি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের কাছ থেকে নিয়ে ইটালিয়ান মার্বেল ওয়ার্কসের মালিক মাকসুদুল আলমকে বুঝিয়ে দিতে হবে।<br /><br />তখন বিএনপি সরকার তড়িঘড়ি করে মামলাটি কোনভাবে স্থগিত করিয়ে রাখে। কিন্তু পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই এই মামলাকে সচল করা হয়। ২০১০ সালে এই ‘মুন সিনেমা হল’ মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করা হয় এবং জিয়াউর রহমান আমলের সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করা হয়। জিয়াউর রহমান পঞ্চম সংশোধনীতে ‘গণভোট’ রেখেছিলেন, যেই ‘গণভোট’ নিয়েই সংবিধানে ‘আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ যোগ করা হয়েছিলো।<br /><br />২০১০ সালের রায়ে এই ‘গণভোট’ বাতিল করে দেয়া হয়, যার ফলে ‘আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধান থেকে বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু মজার বিষয় হলো, যেই ‘মুন সিনেমা হল’কে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে কেড়ে নিয়ে মাকসুদুল আলমকে বুঝিয়ে দিতে বলা হলো, সেই মাকসুদুল আলম যুদ্ধের সময়েই পাকিস্তান চলে যায়। সে ফেরত আসেনি, এই ছুতোয় ‘মুন সিনেমা হল’ এর সম্পত্তি এখনও ফেরত দেয়া হয়নি। জমি জমির জায়গাতেই আছে, ওদিকে বাদ দিয়ে দেয়া হয়েছে ‘আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’।<br /><br />এখানে আমরা যা দেখতে পেলাম-<br /><br />১) ‘বাহাত্তরের সংবিধান’ পন্থীরা প্রায়ই বলে থাকে, তারা সংবিধান চেঞ্জ করেছে নাকি ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ ফিরিয়ে আনার জন্য। কিন্তু ‘মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট’ থেকে সম্পত্তি কেড়ে নিয়ে তা পাকিস্তান পলাতক মাকসুদুলকে বুঝিয়ে দেয়ার মধ্যে কোন ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ কাজ করছে, তা সত্যিই আমার বুঝে আসে না।<br /><br />সাথে সাথে এটাও লক্ষণীয় যে, সংবিধানে আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস সংযুক্ত হয়েছিলো ‘গণভোট’ এর মাধ্যমে। হাইকোর্টের রায়ে এই গণভোট বাতিল করার ফলেই ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। অর্থাৎ গণতন্ত্রের নাম করে ‘গণভোট’ বাতিল করা হলো, আর ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’র নাম করে মুক্তিযুদ্ধ কল্যাণ ট্রাস্টের বিরুদ্ধে রায় দেয়া হলো।<br /><br />২) আওয়ামী লীগ সরকার খুব চালাক। সংবিধানের মূলনীতি পরিবর্তনের এখতিয়ার একমাত্র পার্লামেন্টের, কিন্তু আওয়ামী সরকার তা না করে আদালতের মাধ্যমে ঘুরিয়ে সংবিধান থেকে ‘আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস’ উঠিয়ে দিয়েছে। কাজটি সম্পূর্ণই বেআইনি, কিন্তু আওয়ামী সরকার তা করেছিলো নিজের ঘাড়ে দায় না নেয়ার জন্য।<br /><br />ঠিক সেভাবেই বর্তমানে যে সংবিধান থেকে ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ উঠিয়ে দেয়ার কাজ চলছে, তা করা হচ্ছে আদালতের মাধ্যমে। অথচ আদালতের এই বিষয়ে কিছু করার এখতিয়ার নেই। কিন্তু পার্লামেন্টে করলে আওয়ামী লীগের ঘাড়ে সরাসরি নাস্তিকতার দায় চাপবে, তাই তারা এখানেও আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে গুলি করেছে।<br /><br />৩) এখানে ইসলামবিরোধীদের মূল অস্ত্র হয়েছে একটি পরিত্যাক্ত সিনেমা হল। একটি সিনেমা হলের মামলার রায় দিতে গিয়ে সংবিধান থেকে ‘আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ উঠিয়ে দেয়া হয়েছে এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ ফিরিয়ে আনা হয়েছে।<br /><br />অর্থাৎ হারাম থেকে হারামই উৎপন্ন হয়। বর্তমানে হয়তো সিনেমা হল নেই, কিন্তু ক্রিকেট খেলা তো রয়েছে। ভারত থেকে নর্তকী এনে কনসার্ট করা তো রয়েছে। এর সুদূরপ্রসারী ফলাফল আমাদেরকে চিন্তা করতে হবে। ক্রিকেট খেলায় জাতিকে ডুবিয়ে রেখে কতো ক্ষতি করা হচ্ছে, তা হয়তো কেউ চিন্তাও করতে পারবে না। কলকাতা থেকে বিভিন্ন অভিনেতা এনে সাক্ষাৎকারে বলানো হচ্ছে, বাংলাদেশে এই সম্পত্তি তার, ঐ সম্পত্তি তার। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরবর্তীতে হয়তো এমন আইন পাশ করা হবে, যেখানে লেখা থাকবে কলকাতা থেকে হিন্দুরা সম্পত্তি ফেরত চাইলে তা মুসলমানরা ফেরত দিতে বাধ্য থাকবে। একটি সিনেমা হলের জমির মামলাকে কেন্দ্র করে যদি সংবিধান বাতিল করে দেয়া যায়, তাহলে এমনটি হলে তাতে আশ্চর্যের কিছু থাকবে না।<br /><br />অর্থাৎ মুসলমানদের এখন সমস্ত হারাম কাজ ত্যাগ করে মুসলমান হওয়াটাই সবচেয়ে বেশি জরুরী। একটি হারাম থেকেই উৎপত্তি ঘটতে পারে বিরাট দুর্যোগের, যাতে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে এদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব। আজকের ক্রিকেটের উল্লাস আগামী দিনের পরাধীনতার হাহাকার, আজকের ভারতীয় শিল্পীর গিটার আগামী দিনের বিএসএফের হিংস্র বেয়নেট।<br /><br />প্রয়োজনীয় লিঙ্ক:<br />১) <a data-lynx-uri="http://l.facebook.com/?u=http%3A%2F%2Fgoo.gl%2FieIXyc&e=ATOXwMvINCyxGVlT29rPqxmHCX8VAOLPIGpZHzIxs7vx2TFPHtTsoFib9iwc0H8G" href="http://goo.gl/ieIXyc" rel="nofollow" style="color: #3b5998; cursor: pointer; text-decoration: none;" target="_blank">http://goo.gl/ieIXyc</a><br />২) <a data-lynx-uri="http://l.facebook.com/?u=http%3A%2F%2Fgoo.gl%2FYCU9gi&e=ATM_FnimcwlhesHgrM7BmYho3siPE_XRw2xikyxGkAo4MUgHLDrfMkx7FEFs9j_4" href="http://goo.gl/YCU9gi" rel="nofollow" style="color: #3b5998; cursor: pointer; text-decoration: none;" target="_blank">http://goo.gl/YCU9gi</a><br />৩) <a data-lynx-uri="http://l.facebook.com/?u=http%3A%2F%2Fgoo.gl%2Fk4taAN&e=ATPLwwXrGGTRlw_d1glALdUEa7RBbMrmsE_deYWLt5fnvrd-5OXygq34mUg0FaUG" href="http://goo.gl/k4taAN" rel="nofollow" style="color: #3b5998; cursor: pointer; text-decoration: none;" target="_blank">http://goo.gl/k4taAN</a></span>

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের প্রক্রিয়া: যার সূত্রপাত ঘটেছিল একটি সিনেমা হল থেকে...

‘মুন সিনেমা হল মামলা’ সম্পর্কে সাধারণ মানুষদের কয়জন জানেন? কেউই হয়তো কিছু জানেন না, কারণ সাধারণ মানুষ ব্যস্ত রয়েছে ক্রিকেট খেলা ও অন্যান...

Read more »

তনু হত্যার পেছনে রয়েছে ‘র’ এর ষড়যন্ত্র

<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://scontent-sin1-1.xx.fbcdn.net/hphotos-xap1/v/t1.0-9/12321362_961227493932313_7176953481345964008_n.jpg?_nc_eui=ARiTIWoH8P09hf_ssVQuseEQN1UtrcT78vapR_7TMy1Yg2PkHJpyWNvhBqi6&oh=6b8894c3f9424b6c37cf95c4ab2457c7&oe=5774405F" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" height="320" src="https://scontent-sin1-1.xx.fbcdn.net/hphotos-xap1/v/t1.0-9/12321362_961227493932313_7176953481345964008_n.jpg?_nc_eui=ARiTIWoH8P09hf_ssVQuseEQN1UtrcT78vapR_7TMy1Yg2PkHJpyWNvhBqi6&oh=6b8894c3f9424b6c37cf95c4ab2457c7&oe=5774405F" width="320" /></a></div> <div style="background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; line-height: 19.32px; margin-bottom: 6px;"> <br /></div> <div style="background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; line-height: 19.32px; margin-bottom: 6px;"> <br /></div> <div style="background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; line-height: 19.32px; margin-bottom: 6px;"> কয়েকদিন আগে কুড়িগ্রামে হোসেন আলী (৬৫) নামক এক ধর্মান্তরিত খ্রিস্টানকে খুন করা হলো। পত্রিকাগুলো হেডিংয়ে বারবার ‘ধর্মান্তরিত’ শব্দ লাগিয়ে খবরটি প্রচার করছে, যেন ধর্মান্তরিত হওয়ার কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। (<a data-lynx-uri="http://l.facebook.com/?u=http%3A%2F%2Fgoo.gl%2F7cSo6X&e=ATPz1T4e7cGgqSA5rTsI6HzHKFxCo15_1HnMtsJdI0Qxt9pKyF_RmX_Zc6fCOSO0" href="http://goo.gl/7cSo6X" style="color: #3b5998; cursor: pointer; text-decoration: none;" target="_blank">http://goo.gl/7cSo6X</a>)</div> <div style="background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; line-height: 19.32px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> এখন বিষয়টি হলো, ঐ ব্যক্তিটি ধর্মান্তরিত হয়েছে আজকে কালকে নয়, সেই ১৯৯৯ সালে। এই ২০১৬ সালে এসে কয়জন লোক ১৯৯৯ সালের ঘটনা মনে রাখতে পারে? আজকে যারা ফেসবুক চালায়, তাদের অনেকেরই হয়তো তখনও জন্মও হয়নি।</div> <div style="background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; line-height: 19.32px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> সাধারণ লোকের পক্ষে এসব তথ্য কোনভাবেই যোগাড় করা সম্ভব নয়, কিন্তু বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর পক্ষে তা সম্ভব। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে কোন কোন ধর্মান্তরিত কিংবা বিদেশী ব্যক্তি বাস করে, সেটা চিহ্নিত করে তাদেরকে হত্যা করতে পারলেই সরকারকে চাপে ফেলা যাবে। তখন সরকারও বাধ্য হবে দেশ থেকে ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ তুলে দিতে।</div> <div style="background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; line-height: 19.32px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> অনেকেই হয়তো বিশ্বাস করতে চাইবে না, কিন্তু এটি আমার কথা নয়। এটি ভারতের পত্রিকা ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’র মন্তব্য। সেখানে বলা হয়েছে যে, Bangladesh may drop Islam as country's official religion following attacks on minorities অর্থাৎ সংখ্যালঘুদের উপর হামলার চাপ সামাল দিতেই সরকার ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ তুলে দিচ্ছে। (<a data-lynx-uri="http://l.facebook.com/?u=http%3A%2F%2Fgoo.gl%2FgptNN1&e=ATNEoaUq-ruypudeMhljLw8waMYzyshmXdgJWUrePpfuZKDZDjAtP0VjTehMJvwX" href="http://goo.gl/gptNN1" style="color: #3b5998; cursor: pointer; text-decoration: none;" target="_blank">http://goo.gl/gptNN1</a>)</div> <div style="background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; line-height: 19.32px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> এখন ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বাতিল কারা চায়? সোজা উত্তর, ভারত ও এদেশে বসবাসকারী হিন্দুরা। অর্থাৎ কোন সন্দেহ নেই যে, পঞ্চগড়ে হিন্দু পুরোহিত, কুড়িগ্রামে ধর্মান্তরিত খ্রিস্টান এদের হত্যার কাজটি হিন্দুরাই করেছে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের লক্ষ্যে্। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ই এসব কাজ করেছে। লক্ষ্য করার মতো বিষয় হলো, কুড়িগ্রাম কিংবা পঞ্চগড় এগুলো একদম ভারতের পাশ্ববর্তী সীমান্তবর্তী অঞ্চল। এসব অঞ্চলে ভারত থেকে অহরহ লোকজন পায়ে হেঁটে যাওয়া-আসা করে। সুতরাং এটা খুবই সম্ভব যে, ভারত থেকে সরাসরি ‘র’ এর কিলার এসে নির্দিষ্ট টার্গেটকে হত্যা করে ফের ভারতে চলে গিয়েছে।</div> <div style="background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; line-height: 19.32px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> কুমিল্লায় সম্প্রতি তনু হত্যার ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। কুমিল্লা থেকে সরাসরি বর্ডার ক্রস করে ভারতের ত্রিপুরায় প্রায়ই লোকজন আসা-যাওয়া করে থাকে। এখানেও ‘র’ এর বিশেষায়িত কিলার স্কোয়াড দিয়ে কাজটি করা হয়েছে। তনু হত্যার কাজটি করা হয়েছে মূলত ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ তুলে নেয়া, ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকা চুরি প্রভৃতি ইস্যু থেকে পাবলিকের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে। কারণ দেখুন, তনু হত্যার ইস্যু নিয়ে কিন্তু তসলিমা নাসরিনও কলাম লিখেছে। তসলিমা যেখানে হাত দিয়েছে, সেখানে ভারতীয় গোয়েন্দাদের হাত থাকবেই। কারণ তসলিমা নিজেই ‘র’ এর এজেন্ট। (<a data-lynx-uri="http://l.facebook.com/?u=http%3A%2F%2Fgoo.gl%2FnkDUY0&e=ATMN3eZQdCSVnjfsRjE9GaBWzAdbrzmcDhKKMDMaySPPpcKz6i-d5TtJKa2kseXz" href="http://goo.gl/nkDUY0" style="color: #3b5998; cursor: pointer; text-decoration: none;" target="_blank">http://goo.gl/nkDUY0</a>)</div> <div style="background-color: white; color: #141823; display: inline; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; line-height: 19.32px; margin-top: 6px;"> এমতাবস্থায় মুসলমানদের উচিত ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ ইস্যুতে শক্ত থাকা। কারণ বাকি যা-ই ঘটছে, সেটা তনু হত্যা হোক কিংবা খ্রিস্টান হত্যা হোক, সবই করা হচ্ছে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের উদ্দেশ্য সফল করারই লক্ষ্যে। বিশেষ করে তনু হত্যা একটি সুস্পষ্ট ডাইভার্শন, যা থেকে মুসলমান জনগণের সতর্ক হওয়া উচিত এবং একমাত্র ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে সর্বশক্তি নিয়োগ করা উচিত।</div>

তনু হত্যার পেছনে রয়েছে ‘র’ এর ষড়যন্ত্র

কয়েকদিন আগে কুড়িগ্রামে হোসেন আলী (৬৫) নামক এক ধর্মান্তরিত খ্রিস্টানকে খুন করা হলো। পত্রিকাগুলো হেডিংয়ে বারবার ‘ধর্মান্তরিত’ শব্দ লাগি...

Read more »

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল ও মধ্যপ্রাচ্যে কর্মী নিয়োগে এর প্রভাব

<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://scontent-sin1-1.xx.fbcdn.net/hphotos-xpa1/v/t1.0-0/s552x414/11219510_959204164134646_8556002182316521357_n.jpg?_nc_eui=ARg2N5ziXIbmXDJIIvmr1Bs1dZq1o1wfQbHeMx2Y5R-Vtc0pLfUWaMJUflPq&oh=123dde18315e0de4407d20abd5b77e20&oe=5782E94E" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" height="280" src="https://scontent-sin1-1.xx.fbcdn.net/hphotos-xpa1/v/t1.0-0/s552x414/11219510_959204164134646_8556002182316521357_n.jpg?_nc_eui=ARg2N5ziXIbmXDJIIvmr1Bs1dZq1o1wfQbHeMx2Y5R-Vtc0pLfUWaMJUflPq&oh=123dde18315e0de4407d20abd5b77e20&oe=5782E94E" width="320" /></a></div> <div style="background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; line-height: 19.32px; margin-bottom: 6px;"> <br /></div> <div style="background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; line-height: 19.32px; margin-bottom: 6px;"> <br /></div> <div style="background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; line-height: 19.32px; margin-bottom: 6px;"> বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মধ্যপ্রাচ্য ও মালয়েশিয়ার মতো বিভিন্ন মুসলিম রাষ্ট্রে এদেশ থেকে কর্মী নেয়া বন্ধ রয়েছে, সে সম্পর্কে সবাই নিশ্চয়ই অবগত রয়েছেন। বলা বাহুল্য, এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এদেশের লক্ষ লক্ষ বেকার যুবক।</div> <div style="background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; line-height: 19.32px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> গত ২০১৪ সালের মার্চ মাসের একটি ঘটনা হয়তো অনেকেরই মনে রয়েছে। সে সময়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রদর্শনী ওয়ার্ল্ড এক্সপো-২০২০ এর ভোটাভুটি হচ্ছিলো। ভেন্যু হিসেবে বাংলাদেশের সামনে দুবাইকে ভোট দেয়ার অপশন ছিলো। কিন্তু সরকার দুবাইকে ভোট না দিয়ে ভোট দেয় রাশিয়াকে। যার ফলে সেদেশের সরকার ক্ষুব্ধ হয়ে পুরোপুরি দুবাইয়ের ভিসা বন্ধ করে দেয়। অনিশ্চিত হয়ে পড়ে দুবাইতে থাকা লাখ লাখ বাংলাদেশীর ভাগ্য। (<a data-lynx-uri="http://l.facebook.com/?u=http%3A%2F%2Fgoo.gl%2FoacUCP&e=ATMJZYZFCkku71pFigk4c5LgnHbJOpuQ8QP45Mraih2s_XpxkZSGmJY8PaYd02p8" href="http://goo.gl/oacUCP" style="color: #3b5998; cursor: pointer; text-decoration: none;" target="_blank">http://goo.gl/oacUCP</a>)</div> <div style="background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; line-height: 19.32px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> এখানে আমি যা বলতে চাই তা হলো, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দিলে মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের কর্মসংস্থানের সংকট হবে আরো ভয়াবহ। কয়েকদিন আগে হাইকোর্ট বার মিলনায়তনের একটি অনুষ্ঠানে এক প্রবীণ আইনজীবীর বক্তব্য শুনছিলাম। তিনি বলেছিলেন যে, যখনই সংবিধানে কোন পরিবর্তন আসে, তখনই তার কপি জাতিসংঘ সহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে যায়। ২০১১ সালে এদেশের সংবিধান থেকে যখন ‘আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ বাদ দেয়া হলো, তখন মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশীদের ইমেজ ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো।</div> <div style="background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; line-height: 19.32px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> ঐ আইনজীবী বলেছিলেন যে, তার বৃদ্ধ বাবাকে তিনি কাবা শরীফের এক ইমামের সাথে পরিচিত করাতে নিয়ে গিয়েছিলেন। ঐ ইমামকে যখন বলা হলো তারা বাংলাদেশী, তখন তাদেরকে উল্টো তিনি প্রশ্ন করলেন, “তোমরা কী মুসলমান?”</div> <div style="background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; line-height: 19.32px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> প্রশ্নটা স্বাভাবিক, কারণ ‘আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ বাদ দিলে তো কেউ মুসলমান থাকতে পারে না। এখন যদি ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ও বাদ দিয়ে দেয় এদেশের সরকার, সেক্ষেত্রে এই দেশের মানুষের ইমেজ মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর নিকট কী হবে? মধ্যপ্রাচ্য থেকে শুরু করে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া সহ প্রত্যেকটি মুসলিম দেশে বাংলাদেশী মুসলমানরা তখন ধিক্কারের পাত্র হবে। চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে মুসলিম দেশগুলোতে বাংলাদেশী মুসলিম যুবকদের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা।</div> <div style="background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; line-height: 19.32px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> এর ফলশ্রুতিতে লাভবান হবে ভারতীয়রা। ফাঁকা মাঠ পেয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কর্মসংস্থানের দখল তারাই নেবে। অর্থাৎ ভারতের ইন্ধনে এদেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দিয়ে এক ঢিলে দুই পাখি শিকারের অপচেষ্টা করা হচ্ছে। একে তো এদেশে ইসলাম তুলে দিয়ে রামরাজত্ব প্রতিষ্ঠা করা হবে, অপরদিকে মুসলিম দেশগুলোতে বাংলাদেশের ইমেজ ডুবিয়ে দিয়ে সেখানে ভারতীয় প্রবেশ করানো হবে। উল্লেখ্য, দুবাইকে বাদ দিয়ে রাশিয়াকে ভোট দেয়ার পেছনেও ছিলো ভারতীয় চক্রান্ত, যেন দুবাইতে ভারতীয়দের কর্মসংস্থান নিশ্চিত হয়।</div> <div style="background-color: white; color: #141823; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; line-height: 19.32px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> সম্প্রতি বাংলানিউজের এই খবরটি দেখুন পাঠকেরা। সৌদি আরবের মরুভূমিতে বাংলাদেশী যুবক শহীদুল্লাহ গড়ে তুলেছেন বিশাল মাছের খামার। শহীদুল্লাহর সৌদি নিয়োগকর্তা তার কাজে এতো খুশি যে, তিনি বেতনের সাথে সাথে খামারের লাভের একটি অংশ শহীদুল্লাহকে দিয়ে থাকেন। শহীদুল্লাহ বলেছেন যে, সেই খামারে আরো বাংলাদেশী যুবক দরকার হওয়া সত্ত্বেও তাদেরকে নেয়া যাচ্ছেনা। কারণ সরকারের ইসলামবিরোধী নীতির কারণে সৌদি আরবে বাংলাদেশী ভিসা বন্ধ। (<a data-lynx-uri="http://l.facebook.com/?u=http%3A%2F%2Fgoo.gl%2FqeVLDo&e=ATO-W7-MLgh-4rk2rWeS4QEBK3lvR0Tv-YXHERfCPEi408V0KtDwTKSmxc-GzF8r" href="http://goo.gl/qeVLDo" style="color: #3b5998; cursor: pointer; text-decoration: none;" target="_blank">http://goo.gl/qeVLDo</a>)</div> <div style="background-color: white; color: #141823; display: inline; font-family: helvetica, arial, sans-serif; font-size: 14px; line-height: 19.32px; margin-top: 6px;"> সুতরাং যারা এখানো ঘুমিয়ে আছেন, তারা অবিলম্বে ঘুম থেকে জাগুন। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দিলে যে এদেশের মুসলমানরা কতোটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, কতো লক্ষ লক্ষ যুবক যে বেকার হবে, সেটা সময়ের আগেই বোঝার চেষ্টা করুন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগী হোন।</div>

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল ও মধ্যপ্রাচ্যে কর্মী নিয়োগে এর প্রভাব

বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মধ্যপ্রাচ্য ও মালয়েশিয়ার মতো বিভিন্ন মুসলিম রাষ্ট্রে এদেশ থেকে কর্মী নেয়া বন্ধ রয়েছে, সে সম্পর্কে সবা...

Read more »