“দাদা আদ্ধেকটা দিলুম পুরোটা খাবেন কিন্তু” ডায়ালগটার সাথে আমরা সবাই পরিচিত। এর দ্বারা একদিকে যেমন হিন্দুদের ছোটলোকি ফুটে উঠে, আরেকদিকে ফুটে উঠে তাদের ক্ষুদ্র অন্তঃকরণ। তারা দেয়ার সময়ে দিবে অতি কম, অতি ক্ষুদ্র, কিন্তু জাহির করার সময় বিরাট কিছু বলে দাবি করবে।
কয়েকদিন আগে ভারতের আরএসএসের নেতা ইন্দ্রেশ কুমার বলেছে, “আমি একটা জিনিস জানতে চাই যে, রোহিঙ্গা সংকটে ইসলামিক রাষ্ট্রগুলি কেন এগিয়ে আসছে না এবং রোহিঙ্গাদের কেন সেদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করা হচ্ছে না। কারণ আমাদের দেশে (ভারত) ইতিমধ্যেই অনেক মানুষের বসবাস, সেই তুলনায় জায়গা অনেক কম’। (https://goo.gl/EJ9HfJ)
চুন্দ্রেশ কুমারের দাবি শুনে মনে হয়, যেন ভারতের মতো পাবলিক টয়লেট মার্কা দেশই বিশ্বের সমস্ত রোহিঙ্গাদের জায়গা দিয়ে রেখেছে। অথচ ভারতে রোহিঙ্গা শরনার্থীর সংখ্যা মাত্র চল্লিশ হাজার। ওদিকে সুদূর সৌদি আরবেই রোহিঙ্গারা আছে ২ লাখ, পাকিস্তানে সাড়ে তিন লাখ। বাংলাদেশে এখন রোহিঙ্গা সাড়ে সাত লাখের মতো।
শহীদ আফ্রিদি কিন্তু ঠিকই বলেছিল, এসব হিন্দুদের আত্মা সবসময় ছোটই থেকে যাবে। ইদানিং কিছু হিন্দু ছোটলোক, ফেসবুকে ভারতের মাত্র দুই ট্রাক ত্রাণ দেয়া নিয়ে খুব আস্ফালন করছে। অথচ ভারত দিয়েছে মাত্র ৫৩ মেট্রিক টন, যেখানে তুরষ্ক প্রথম দফাতেই দিয়েছিল ১০০০ মেট্রিক টন।
লাখ লাখ রোহিঙ্গার জন্য দুই চিমটি ত্রাণ দিয়ে সেটা নিয়ে আবার ফটোসেশনও করে, লজ্জাও নেই এসব হিন্দু ছোটলোকের বাচ্চাগুলোর। স্কুলে পড়েছিলাম, শৈবাল দীঘিরে কহে উচ্চ করি শির, লিখে রেখ একফোঁটা দিলাম শিশির। দীঘির পানি ব্যতীত শৈবালের কোন অস্তিত্ব নেই, দীঘির পানিতেই তার জন্ম এবং মৃত্যু। কিন্তু তারপরও তার গা বেয়ে একফোঁটা শিশির যদি কোনমতে দীঘির পানিতে পড়ে, তার অহংকারের সীমা থাকে না। ঠিক সেভাবেই হিন্দুরা সারাজীবনই মুসলমানদের অধীনস্থ ছিল, মুসলমানদেরটা খেয়ে-পরেই তারা সবসময় জীবনধারণ করেছে। এজন্য হিন্দুদের মধ্যে যে হীনম্মন্যতা আছে, তা সে দূর করতে চায় ঐ শৈবালটির মতো।
শৈবালটির মতোই কোন মুসলমান রাষ্ট্রে সামান্য কিছু ত্রাণ পৌঁছালেই, বার্মা থেকে গুটিকয়েক রোহিঙ্গা রেন্ডিস্থানে শরনার্থী হিসেবে আশ্রয় নিলেই হিন্দুদের অহংকারের সীমা থাকে না। কারণ হিন্দুদের ধারণা, এই অহংকার দিয়ে তারা তাদের গোলামির চিহ্নকে মুছে দিতে পারবে, যদিও কখনোই সেটা সম্ভব নয়। শৈবালটির মতোই মুসলমানদের দয়ার উপরই নির্ভর করছে হিন্দুদের অস্তিত্ব।
Post a Comment