তখন ২০১৫ সাল হবে, ভারতে সদ্য প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছে গুজরাটের কসাই নরেন্দ্র মোদি। ভারত তো বটেই, বাংলাদেশের হিন্দুদের মধ্যেও বেশ খুশির আমেজ বিরাজ করছে। বিভিন্ন গ্রুপ ও চ্যাট থ্রেডে আলাপ করছে তারা, কিভাবে এখন মুসলমানদের আরো নিত্যনতুন উপায়ে হত্যা করা যায়।

ফেসবুক খুললেই সেসব চ্যাট থ্রেড চোখে পড়ত। একদিন দেখলাম, তেজগাঁও কলেজের এক ছাত্র কমেন্ট করেছে, আপনারা ভারতীয় হিন্দুরা মুসলমানদের ইঞ্জেকশন দিয়ে বন্ধ্যা করে দিতে পারেন না?

বাংলাদেশের মুসলমানদের ধারণা, তাদের প্রতিবেশী হিন্দুরা বোধহয় অনেক শান্তশিষ্ট, লেজবিশিষ্ট। বাস্তবতা কিন্তু পুরোই উল্টো, বরং এদেশের হিন্দুরা ভারতীয় হিন্দুদের মুসলিম নির্যাতন দেখে সবসময় আফসোসে ভোগে, ইসসস আমি কেন মুসলমান হত্যা করতে পারি না? ভারতীয় হিন্দুরা যেখানে মুসলিম রক্তে তৃপ্ত, সেখানে বাংলাদেশী হিন্দুরা হলো ক্ষুধার্ত নেকড়ের মতো। অর্থাৎ সুযোগ পেলে ভারতীয় হিন্দুদের তুলনায় এদেশের হিন্দুরা অনেক বেশি হিংস্র হবে।

এদেশের উপজাতি-চাকমারাও কিন্তু কোন অংশে কম নয়। আপনি রোহিঙ্গা মুসলমানদের অবস্থা দেখে শিউরে উঠছেন? জেনে রাখুন, এই উপজাতি চ্যাপ্টাগুলো যদি পার্বত্য চট্টগ্রামকে আলাদা করতে পারে, তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী এদেশীয় মুসলমানদের উপরই এতো বেশি নির্যাতন চালাবে যে, তার নিচে রোহিঙ্গাদের অত্যাচারের গোটা ইতিহাসই চাপা পড়ে যাবে।

আসলে ভারতে যে মুসলিম নির্যাতন হয়, তার মূল কারণ এদেশের মুসলমানরা কোন প্রতিক্রিয়া দেখায় না। এদেশে ইসলাম নিয়ে যথেচ্ছ কটূক্তির পরও একটা হিন্দুর মরামুখও যে বাংলাদেশী ছেকুলার মুসলমানগুলো নিশ্চিত করতে পারবে না, সেটা ভারতীয় হিন্দুরা জানে। জানে বলেই তারা আরামসে ভারতীয় মুসলমান মেরে যাচ্ছে।

ঠিক সেভাবেই বার্মিজ বৌদ্ধরাও জানে, তারা যতোই রোহিঙ্গা মুসলমান মারুক না কেন, এদেশের মুসলমানরা কোন উপজাতি-বৌদ্ধকে মারবে না। এমনকি এদেশের ১ শতাংশেরও কম উপজাতি বৌদ্ধদের ৫ শতাংশ কোটা নিয়েও কোন প্রশ্ন তুলবে না। বুয়েটে যেখানে ভর্তি পরীক্ষায় ১২০ এর মধ্যে না থাকলে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হওয়া যায় না, সেখানে উপজাতি চ্যাপ্টাটার সিরিয়াল ৩০০০ এর বাইরে থাকলেও সে কোটার জোরে অনায়াসে তাতে ভর্তি হতে পারে।

এই হলো এদেশের মুসলমানদের অবস্থা! এমতাবস্থায় কি করে আশা করা যেতে পারে যে, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হবে? এই সমাধানের একটিমাত্র উপায়ই আছে, তা হলো উপজাতিদের এদেশ থেকে বের করে মিয়ানমারে ঠেলে দেয়া। মিয়ানমারকে যখন তার চ্যাপ্টা-বৌদ্ধ জাতভাইদেরকে বাঁচাতে ত্রাণ দিতে হবে, থাকার জায়গা দিতে হবে, তখনই সে সোজা হবে। তার আগে নয়।

Post a Comment

 
Top