কয়েকদিন আগে যখন কুরবানীর ঈদ আসল, তখন কুরবানীর গরুর টাকা বন্যার্তদের মাঝে দিয়ে দিতে নাস্তিক্যবাদী মহল জোর প্রচারণা চালিয়েছিল। উল্লেখ্য, কুরবানীর গরুর টাকা কোন পাবলিক মানি নয়, এটি একটি পরিবারের কষ্টার্জিত টাকা। বিপরীতে সরকার কর্তৃক পূজামণ্ডপে যে চাল দেয়া হচ্ছে, তা ত্রাণ তহবিল তথা জনগণের টাকা থেকে স্বৈরাচারী কায়দায় দেয়া হচ্ছে।
যেখানে বন্যা ও রোহিঙ্গা পরিস্থিতির কারণে আমাদের প্রচুর ত্রাণ দরকার, সেখানে ত্রাণের টাকা দিয়েই পূজার খরচ জোগানো কিছুতেই বরদাস্ত করা যায় না। অন্যান্য মুসলিম দেশ যেখানে হাজার হাজার মেট্রিক টন ত্রাণ পাঠাচ্ছে, সেখানে এদেশে ত্রাণের টাকা দিয়ে পূজামণ্ডপে মদ-মহিলার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। খবরে প্রকাশিত হয়েছে, দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশের ৬৪ জেলায় ৩০ হাজার ১৩০ পূজামণ্ডপে বিতরণের জন্য ১৫ হাজার ৬৫ মেট্রিক টন জিআর (গ্র্যান্ট রিলিফ বা ত্রাণ তহবিলের) চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। রোববার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর থেকে চালের বরাদ্দপত্র জেলা প্রশাসকদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
১৫ হাজার ৬৫ মেট্রিক টন, অর্থাৎ ১৫০৬৫০০০ কেজি চাল। প্রতি কেজি চাল ৭০ টাকা ধরলে এর মূল্য দাঁড়ায় ১০৫,৪৫,৫০,০০০ বা একশত পাঁচ কোটি পয়তাল্লিশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা!
আচ্ছা পূজা কি কোন দুর্যোগের মধ্যে পড়ে, যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়কে মণ্ডপে মণ্ডপে চাল দিতে হচ্ছে? হয়তো পড়ে, কারণ পূজা ও হিন্দুয়ানী অনুষ্ঠানের দ্বারা দেশের উপর আল্লাহ পাকের লানত ছাড়া কিছু পড়ে না। এবছরের শুরুতেই দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে বৈশাখী পূজা ও অমঙ্গল শোভাযাত্রা পালন করা হয়েছে। যার ফলে এবছর একের পর এক দুর্যোগ এসেছে। বছরের শুরুতে সুনামগঞ্জের বন্যায় দেশের চালের একটি বিরাট মজুদ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। এরপর দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যা হলো, এরপর রোহিঙ্গা তথা অন্যদেশের দুর্যোগও আমাদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হল। এগুলোর কোনটিরই খবর নেই, দুর্যোগ মন্ত্রণালয় আছে হিন্দুদের পূজা নিয়ে।
মুসলমানদের কুরবানী আসলে তারা মুসলমানদের গরু কেনার টাকা দিয়ে দিতে বলে, কিন্তু পূজায় সরাসরি রিলিফের ফান্ড থেকে শতকোটি টাকার উপর দিতে তাদের বাধে না, যেখানে রিলিফের অভাবে ধুঁকছে লক্ষকোটি রোহিঙ্গা ও উত্তরাঞ্চলবাসী। এরা মানুষ না, এরা আওয়ামী লীগ। এরা দুর্যোগগ্রস্ত মুসলমানদের চাল না দিয়ে সেই টাকায় হিন্দুদের পূজায় মদের বাজেট যোগাচ্ছে। উল্লেখ্য, হিন্দুদের পূজার একটি প্রধান খরচের খাত হলো মদ, জুয়া, অশ্লীল নাচের প্যান্ডেল ও সাউন্ড সিস্টেমের ভাড়া। এগুলো ব্যতীত হিন্দুদের পূজা হয় না।
মুসলমানরা যদি এর প্রতিবাদ না করে, তাহলে তাদের আমলনামাতেও পূজা করার গুনাহ লেখা হয়ে যাবে। মুসলমানদের ট্যাক্সের টাকায় যে ত্রাণের তহবিল গঠিত হয়, তা মুসলমানদের দুর্যোগে ব্যয় হতে হবে। হিন্দুর মদ-মহিলাসর্বস্ব পূজায় তা কিছুতেই ব্যয় করতে দেয়া যাবে না।
Post a Comment