বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দেশের প্রতিটি সেক্টরে হিন্দুদের প্রাধান্য দেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এজন্য চাকরিতে একচেটিয়া নিয়োগ তো রয়েছেই, আরো রয়েছে রমজান মাসে পরীক্ষা ফেলা। কারণ পরীক্ষার রেজাল্ট চাকরির ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে। চিন্তা করুন, একজন হিন্দু পরীক্ষার্থী সকালে ব্রেকফাস্ট করে পরীক্ষা দিবে, তার পেট ভরা থাকবে। ফলে সে মনোযোগ ঠিক রেখে পরীক্ষা দিতে পারবে। আর মুসলমান শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে দেখা যাবে, সে অংকের একটি জটিল সমস্যা সলভ করছে, তখনই তার পেটে মোচড় দিয়ে উঠল আর তার মনোযোগ অন্যদিকে ঘুরে গেল।

 সবচেয়ে বেশি কষ্ট হবে পানির। পরীক্ষার হলে প্রত্যেক শিক্ষার্থীই পানির বোতল নিতে ভুলে না। কিন্তু রোজা রাখলে তো পানি খাওয়া যাবে না। এখন রোজা পরেছে তীব্র গরমে, ফলে পরীক্ষার প্রথম ঘণ্টাতেই অধিকাংশ শিক্ষার্থীর শরীরে পানির চাহিদা দেখা দিবে। সেই চাহিদা যদি পূরণ না করা হয়, তবে শরীরে খনিজ পদার্থ ও ইলেকট্রোলাইটের সমস্যা দেখা দিবে, যার অবধারিত ফল হচ্ছে দুর্বল হওয়া ও ঝিমিয়ে পড়া। এটি খুবই মারাত্মক বিষয়, কারণ পরীক্ষার হলে দ্রুত লিখতে হয়। মুসলমান শিক্ষার্থীর শরীর থেকে পানি বের হয়ে যাওয়ায় চাইলেও দ্রুত লিখতে পারবে না, অন্যদিকে তার পাশের হিন্দুটি দ্রুত লিখে বেশি নাম্বার পাবে। হিন্দুটির পিপাসা লাগলে পানি তো খাবেই. পারলে সবাইকে দেখিয়ে দেখিয়ে ঢকঢক শব্দ করে পানি খাবে। যেন আশেপাশের মুসলমান শিক্ষার্থীদের গলা আরো শুকিয়ে আসে।

একটি পেজে এই বিষয়টি নিয়ে অনেক লেখা হয়েছে। তাতে অনেকে কমেন্ট করেছে যে, পরীক্ষা দিয়ে কষ্ট করে রোজা রাখলে নাকি বেশি ছোয়াব হবে! আসলে এই অছাম্প্রদায়িক মুসলমানরা নিজেরা নিজেরা নানারকম উদ্ভট মাসয়ালা বানায়। তাদের মতে হিন্দুর পূজায় সহযোগিতা করলে ছোয়াব, হিন্দুর পূজায় প্রসাদ খেলে ছোয়াব ইত্যাদি। হাদীস শরীফে বলা হয়েছে যে, কিছু কিছু রোজাদারের খাওয়ার কষ্ট ব্যতীত আর কিছুই লাভ হয় না। এটা আমরা সবাই জানি যে, আমাদের দেশের বর্তমান সিলেবাস হলো হিন্দুয়ানী-নাস্তিক্যবাদী সিলেবাস। সেই সিলেবাসে পরীক্ষা দিতে হলে কৃষ্ণের প্রশংসা করতে হয়, মাথার থেকে বোরখা ছুঁড়ে ফেলার মাহাত্ম্য বর্ণনা করতে হয়। রোজা রেখে সেগুলো করলে খাওয়ার কষ্ট ব্যতীত আর কী ফায়দা হবে? বরং পরীক্ষার্থী যে মুরতাদ হবে, এটি নিশ্চিতভাবে বলা যায়।

আপনাকে যদি সরাসরি এটা বলা হয় যে, আপনার সাথে আরেকজনের পরীক্ষা নেয়া হবে। পরীক্ষার হলে আপনি পানি খেতে পারবেন না, আপনার পাশেরজন পারবে। তখন ঠিকই আপনি প্রতিবাদ করে উঠবেন, বলবেন যে পরীক্ষা নেয়ার ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা বজায় রাখা হয়নি। অথচ রমজান মাসে পরীক্ষা নিয়ে ঠিক সে কাজটিই যে করা হলো, এই সহজ জিনিসটিই আপনারা ধরতে পারছেন না। কারণ আপনারা বাঙালি মুসলমানরা হলেন গিয়ে ‘অছাম্প্রদায়িক’! হিন্দুপ্রীতির শেকল আপনাদের স্বাভাবিক বোধবুদ্ধিকে অনেক আগেই আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে দিয়েছে।:

Post a Comment

 
Top