কথায় আছে, মনে আছে যা, ফাল দিয়ে উঠে তা। কারো মনে দুরভিসন্ধি থাকলে সেটা কথার মাঝখানে অপ্রাসঙ্গিকভাবে ফাল দিয়ে উঠবেই। সুলতানা চক্রবর্তীর সাথে মুফতি সাখাওয়াতের যে তর্কবিতর্ক, তাতে মসজিদ ছিল সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক। প্রথমে কথাটি শুরু করেছিলেন মুফতি সাখাওয়াত নিজেই। গ্রিক মূর্তি স্থাপনের বিরুদ্ধে তিনি বলেছিলেন যে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল ‘সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত’।

মুফতি সাখাওয়াত কথা শেষ করতে পারেনি, সাথে সাথে সুলতানা চক্রবর্তী তার মুখের কথা কেড়ে নিয়ে বলল, তাহলে তো মসজিদও থাকতে পারবে না। মসজিদও থাকতে পারবে না। এভাবে কয়েকবার সে এই কথাটি বলল। এতেই কিন্তু বোঝা যায় যে, নাস্তিকদের চোখে ‘সাম্প্রদায়িকতা-মুক্ত’ শব্দের অর্থই হচ্ছে মুসলমান সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব না থাকা, মসজিদের অস্তিত্ব না থাকা। প্রথমেই বলেছি যে, মসজিদের বিষয়টিই ছিল সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক। কিন্তু সুলতানা চক্রবর্তী টকশোর উত্তেজনায় তার মনের গোপন ইচ্ছাটা লুকিয়ে রাখতে পারেনি। তাই মুফতি সাখাওয়াত যখনই মুক্তিযুদ্ধ মানে "সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত" এই কথাটি বললেন, তখনই সুলতানা চক্রবর্তীর মনে হয়েছিল- “পাইছি মওকা"। এজন্য সাথে সাথেই একবার নয়, একাধিকবার সুলতানা কামাল বলে উঠল যে, তাহলে তো মসজিদও থাকতে পারবে না, মসজিদও থাকতে পারবে না। বোঝাই যায় যে, সুলতানা চক্রবর্তীর মনের সুপ্ত বাসনা একদম ঝট করে লাফ দিয়ে বের হয়ে এসেছিল। ক্ষমতা থাকলে সে টকশোর স্টুডিওতে বসেই হাইকোর্ট থেকে মসজিদ-ঈদগাহ সরিয়ে দিত এটা নিশ্চিত।

নাস্তিক ও হিন্দুরা ফেসবুকে প্রচার চালাচ্ছে যে, দোষ তো হেফাজত নেতারই, সুলতানা চক্রবর্তী কি সুন্দর কথার পিঠে কথা দিয়ে যুক্তি দিল, সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত মানে মসজিদ থাকতে পারবে না, জাতীয় ঈদগাহ থাকতে পারবে না! হ্যাঁ আসলেই দোষটা হেফাজত নেতার, কারণ তিনি যদি মুক্তিযুদ্ধ মানে ‘ছাম্প্রদায়িকতা-মুক্ত' এই ভুয়া কথাটি না বলতেন, সুলতানা চক্রবর্তী সেক্ষেত্রে মসজিদের বিরুদ্ধে কথা বলার সুযোগ পেত না। মুক্তিযুদ্ধের সাথে এই ফালতু ‘অছাম্প্রদায়িকতা’ শব্দটি বর্জন করাটা এখন সময়ের দাবি। মুক্তিযুদ্ধ ‘অছাম্প্রদায়িক’ চেতনা দিয়ে হয়নি, পাকিস্তানী বাহিনীর যুলুম নির্যাতন প্রতিরোধ করতে হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সাথে এই ‘অছাম্প্রদায়িক’ টার্মটা যোগ করে নাস্তিকেরা, তাদের রাজনৈতিক সুবিধা হাসিলের স্বার্থে। অবশ্য মুফতি সাখাওয়াত যদি “মুক্তিযুদ্ধ ছিল সাম্প্রদায়িকতা-মুক্ত” এই কথাটি না বলতেন, তাহলে আমরা মুসলমানরাও ঝানতাম না যে, ইম্রান সরকার, সুলতানা চক্রবর্তী আর তার সাঙ্গপাঙ্গরা ‘সাম্প্রদায়িকতা-মুক্ত’ বলতে কি বোঝে? তারা সাম্প্রদায়িকতা-মুক্ত বলতে বোঝে, মুসলিম সম্প্রদায়কে বিলুপ্ত করে হিন্দু সম্প্রদায়কে প্রতিষ্ঠা করা। তারা ‘সাম্প্রদায়িকতা-মুক্ত’ বলতে বোঝে, মসজিদ ভেঙে মন্দির স্থাপন করা। ভিডিও লিঙ্ক: https://youtu.be/o20cRX_StfQ

Post a Comment

 
Top