ইহুদী ধর্মে একটি নিয়ম আছে ‘নিদ্দাহ’ নামে। এই নিয়ম অনুযায়ী কোন মেয়ের মাসিক শুরু হলে তাকে পরিবার থেকে আলাদা হয়ে একটি নির্জন কুঁড়েঘরে বসবাস করতে হয়, যাকে ইংরেজিতে বলে ‘niddah hat'। এখন স্বাভাবিকভাবে একটি মেয়ের মাসে একবার মাসিক হয়, যা ৭-১০ দিন স্থায়ী হয়। এই হিসেবে একটি ইহুদী মেয়েকে তার জীবনের ৩ ভাগের ১ ভাগই নির্বাসিত জীবনযাপন করতে হয়।

‘কাদোশ’ নামক এক ইসরায়েলি সিনেমার শুরুতেই দেখানো হয়, এক ইহুদী পুরুষ সকালে উঠেই প্রার্থনা করছে, “হে ঈশ্বর, তোমাকে ধন্যবাদ যে আমাকে নারী হিসেবে দুনিয়াতে পাঠাওনি।” প্রশ্ন হতে পারে, এ জন্য কি ইহুদী মহিলাদের প্রতি মুসলমান হিসেবে আমাকে সহানুভূতি দেখাতে হবে? উত্তর হলো, না। ইহুদী মেয়েরা তাদের ধর্ম দ্বারা নির্যাতিত হলেও তারাই এই ধর্মটার পক্ষ নিয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে সর্বদা ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করেছে। ইসলামবিরোধী ষড়যন্ত্রে সেই শুরুর ক্রুসেডের সময় থেকে হাল আমলের ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা পর্যন্ত ইহুদী মেয়েরা কিভাবে কাজ করেছে, সেটা ইতিহাস যারা পড়েন তারা ভালোভাবেই জানেন। আসলে ইহুদী ধর্ম দ্বারা ইহুদী মেয়েরা যে নির্যাতিত হয়, এটা আসলে তাদের ইসলামবিরোধী মানসিকতা ধারণ করারই শাস্তি। তাই মুসলমান হিসেবে তাদের জন্য কোনপ্রকার সহানুভূতি আমার নেই।

আমাদের পাশ্ববর্তী হিন্দু সমাজে তাদের মেয়েরা নির্যাতিত হয় এটি যেমন সত্য, ঠিক এটিও কিন্তু সত্য যে হিন্দু মহিলাগুলোই তাদের সমাজে হিন্দুয়ানী গোঁড়ামিকে ধারণ করে রয়েছে। অধিকাংশ হিন্দু ফ্যামিলিগুলোতে পুরুষেরা মন্দিরে যায় না, পূজা করে না। কিন্তু মহিলাগুলো পূজা দিতে ব্যস্ত হয়ে থাকে। সবচেয়ে বড় কথা, একটা হিন্দু যে ছোট বয়স থেকেই মুসলমানদের প্রতি ঘৃণা নিয়ে বড় হয়, সেই শিক্ষা তার পরিবারের মহিলাদের কাছ থেকেই সে নিয়ে থাকে। বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীর শুরুতেই একটি ঘটনা আছে, যেখানে তার হিন্দু স্কুল সহপাঠী তাকে তার বাসায় নিয়ে যায়। বাসায় ঐ হিন্দু ছেলেটির কাকী সামনাসামনি শেখ মুজিবকে খুব আদর করে। কিন্তু যে-ই বালক শেখ মুজিব বিদায় নিয়ে বের হয়, অমনি ঐ কাকী হিন্দু ছেলেটিকে বকাঝকা করে বাধ্য করে পুরো ঘর পরিষ্কার করতে। ঘরে মুসলমান প্রবেশ করা তো দূরের কথা, হিন্দু মহিলাগুলো মুসলমানদের পোষাকও সহ্য করতে পারত না।

মুসলিম শাসনামলে হিন্দুরা যখন মুসলমানদের অধীনে চাকরি করত, তখন তাদেরকে মুসলমানদের মতো পোষাক পরে অফিসে যেতে হত। সেই পোষাক নিয়ে তারা বাড়িতে প্রবেশ করতে পারত না, কারণ তাদের হিন্দু স্ত্রীরা সেটা এলাউ করত না। তাদেরকে ঘরের বাইরে মুসলমানী পোষাক পরিবর্তন করে ধুতি-নেংটি পরে ঘরে প্রবেশ করত হত। হিন্দু পুরুষেরা কার্যক্ষেত্রে মুসলমানী ভাষা, আদব-কায়দা, পোষাক যেগুলো ফলো করত, সেগুলো যদি তাদের নিজ নিজ বাড়িতেও ফলো করতে পারত, সেক্ষেত্রে তারা তো মুসলমানই হয়ে যেত। কিন্তু তাদের হিন্দু স্ত্রীরা তাদেরকে হিন্দু থাকতে বাধ্য করেছে। যদি হিন্দু মহিলারা এরকম বিদ্বেষ পোষণ না করত, ভারতবর্ষ কিন্তু মুসলমানদের দেশই হয়ে যেত। ভারতবর্ষ আজও পৌত্তলিকদের দেশ হয়ে রয়েছে এই হিন্দু মহিলাদের কারণে।

হিন্দুরা ‘কালী’ নামক একটি অন্ধকার নারীমূর্তির পূজা করে থাকে। এই মূর্তির আইডিয়া হিন্দুদের মাথায় এসেছে তাদের মহিলাদের চরিত্রের কারণে। কারণ মুসলিম শাসনামলে যখন হিন্দু পুরুষদেরকে বাড়ির বাইরে মুসলমানী সভ্যতা ধারণ করতে বাধ্য হয়েছে, হিন্দু মহিলারা তখন তাদের ঘরের মধ্যে হিন্দুয়ানী অন্ধকারকে ধারণ করে রেখেছে। বাইরে ইসলামী আলো, ভেতরে হিন্দুয়ানী অন্ধকার। হিন্দু মহিলারা সেই অন্ধকারের ধারকবাহক, তাই তার অনুকরণে তাদের পূজনীয় নারীমূর্তিটিও অন্ধকার, কালো-কর্পিশ। অনেকেই সতীদাহ, বিধবা বিবাহ নিষিদ্ধ সহ আরো অনেক কুৎসিত প্রথার দ্বারা হিন্দু মহিলাদের নির্যাতিত হওয়া নিয়ে সহানুভূতি দেখায়, কিন্তু আসলে তাদের প্রতি সহানুভূতি দেখানোর কিছু নেই। তারা যদি তাদের ঘর বন্ধ না করে রাখত, সেক্ষেত্রে তো তাদেরকে নির্যাতিত হতে হতো না। তাদের নির্যাতিত হওয়াটা তাদের হিন্দুয়ানী ধারণ করার কর্মফল, ইসলামের প্রতি ঘৃণা পোষণ করারই কর্মফল।

Post a Comment

 
Top