আওয়ামী লীগ ইমরান সরকার ও সনাতন মালো নামক নমশূদ্রটাকে শাহবাগ এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। আরও ঘোষণা দিয়েছে তাদেরকে কুত্তার মতো পেটানোর, সোজা কথায় গণপিটুনি দিয়ে মারার। হাসিনার বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়ার কারণেই তাদের এই হুঙ্কার, কারণ তাদের সম্প্রদায়গত শক্তির কেন্দ্র হচ্ছে শেখ হাসিনা। পাশ্ববর্তী ভারতে কথায় কথায় মুসলমানদেরকে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলাটা হিন্দুদের নিকট ডালভাতের মতো। গরুর গোশত ইস্যুতে আখলাককে গণপিটুনি দিয়ে মেরেছিল তারই এলাকার প্রতিবেশী হিন্দুরা। শুধু মুসলমান নয়, আফ্রিকান কালো চামড়ার যারা রয়েছে ভারতের বিভিন্ন শহরে, তারাও প্রায়শই বিভিন্ন গুজবের কারণে দলবদ্ধ হিন্দুদের গণপিটুনির শিকার হয়ে থাকে।

কিন্তু আফসোস, এই বাংলাদেশে কত শত হিন্দু প্রতিনিয়ত নিজেদের নাম-ছবি প্রকাশ করে ফেসবুকে ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করে যাচ্ছে, অথচ ‘সংখ্যাগুরু’ নামে পরিচিত অথর্ব মুসলমানগুলো কাউকে একটা টোকাও আজ পর্যন্ত দিল না। গত ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে বাড্ডা নিমতলা মন্দিরের বিমল চন্দ্র সাধু কুরআন শরীফ পোড়ায়। ফেসবুকের কারণে তার ছবি অনেকেরই দেখা হয়েছে। (https://goo.gl/0o3PQA) গত কয়েকমাস আগে একটি কাজে বাড্ডা এলাকা দিয়ে যাচ্ছি, হঠাৎ করে দেখি ছবির ঐ বিমল সাধু, ঘাড় উঁচু করে এলাকার রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। দেখে বুকের মধ্যে একটি চাপা কষ্ট অনুভব করলাম, হায়, আখিরাতের ময়দানে আমাকে এজন্য প্রশ্ন করা হবে যে, তোমার সামনে দিয়ে এই কুরআন শরীফ অবমাননাকারী হিন্দুটি হেঁটে গিয়েছিল, তুমি কী করেছিলে? শুধু আমি নই বাড্ডার নিমতলা মন্দির সংলগ্ন সমস্ত মুসলমানকেই এই প্রশ্ন করা হবে। তারা কোন উত্তর তখন দিতে পারবে না।

 চন্দ্রঘোনার দোভাষী বাজার এলাকায় বসবাসকারী হিন্দু প্রতীক ভট্টাচার্য, সারাদিন উগ্র হিন্দুত্ববাদী স্ট্যাটাস দিয়ে যেত। মুসলমানদের যৌনানূভূতি কুকুরের চেয়েও প্রবল (http://archive.is/NfY0c), ইসলামী ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে (https://archive.is/OSHYb) এরকম নানা স্ট্যাটাস সে নামছবি প্রকাশ করেই দিয়ে যেত। একদিন এজন্য চন্দ্রঘোনার স্থানীয় মুসলমানরা তার বাড়িতে যায়, যে প্রসঙ্গে প্রতীক ভট্টাচার্য লিখেছে- “কাটা বাড়ার মাদারচুদগুলো আমাকেতো কিছুই করতে পারবেনা,তাই ওখানে গিয়ে বাল ফেলতেছে।” (http://archive.is/lQYhb)

 সম্প্রতি সিলেটের রাকেশ রায় নামক এক উগ্র হিন্দুত্ববাদী নেতা মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে ভরেছে নওমুসলিম আবদুল আজিজকে, সাথে সাথে ইসলাম নিয়েও যথেচ্ছ কটূক্তি করেছে। তার বিরুদ্ধে জকিগঞ্জের মুসলমানরা বিক্ষোভ করেছে আর গ্রেফতারের ‘দাবি’ জানিয়েছে। অথচ এই রাকেশ রায় পেশায় পূবালী ব্যাংকের সামান্য একটা পিয়ন মাত্র! একটা পিয়নকে গ্রেফতারের জন্য গোটা জকিগঞ্জের মুসলমানরা রাস্তায় নেমে আসার কি দরকার ছিল, পঞ্চাশজন মুসলমানই তো যথেষ্ট এই রাকেশ রায়কে গণপিটুনি দিয়ে মারতে।

হ্যাঁ এই গণপিটুনিই ভারতীয় হিন্দুদের শক্তিশালী করেছে। আওয়ামী লীগ লগি বৈঠা দিয়ে প্রতিপক্ষকে পিটিয়ে মারার মানসিকতা রাখে বলেই তারা আজ ক্ষমতায়।বিপরীতে এদেশের মুসলমানরা সংখ্যায় বেশি হয়েও ভদ্র হতে যায়, সুশীল হতে যায়। তারা বিক্ষোভ করতে যায়, ‘দাবি’ জানাতে যায়, অথচ তারা জানে দাবি জানিয়ে কিছু হবে না। কারণ এদেশের রাষ্ট্রযন্ত্র মুসলমানদের অনুকূলে নয়।

ইসলামবিদ্বেষী হিন্দু ও নাস্তিকদের যতোদিন না পিটিয়ে মারার মানসিকতা অর্জন করা যাবে, ততদিন বাঙালি মুসলমানরা দুনিয়াতে উঠতে বসতে পশ্চাৎদেশে নাস্তিক ও হিন্দুদের লাথি খেতেই থাকবে।আর আখিরাতের ময়দানে তাদের নামায-রোযা কোনই কাজে আসবে না। কারণ নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অবমাননাকারীকে এলাকায় ঘুরতে-ফিরতে দিয়ে আখিরাতের ময়দানে তারা শাফায়াত পাবে, এটা কখনোই হবে না। আর দুনিয়াতে এমন কোন সন্তান জন্মায়নি, যে কিনা নবীজীর শাফায়াত ব্যতীত আখিরাতে নাজাত পেতে পারে। বাঙালি মুসলমান পকেটমারকে মারতে যায়। নিজ বাবাকে গালি দিলে, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদে লাঠি নিয়ে তেড়ে যায়। কিন্তু ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করলে একটা হিন্দুর লাশও তারা ফেলতে পারে না। এজন্যই এদেশে একের পর এক হিন্দুরা ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করে যায়, কারণ তারা জানে এসব অসাম্প্রদায়িক ’কাটা বাড়ার মাদারচুদ’গুলো তাদের কিছুই করবে না। তবে হিন্দুরা ক্ষমতা পেলে ভারতের মতো এদেশেও কথায় কথায় রাস্তাঘাটে মুসলমান পিটিয়ে মারা হবে, এতে কোনই সন্দেহ নেই।

Post a Comment

 
Top