যুক্তরাষ্ট্রস্থ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশ মাইনোরিটিস (এইচআরসিবিএম) এর সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলো রাকেশ রায়। নিজের বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারনে রাকেশকে ‘স্বর্গের অ্যাম্বাসেডর’ হিসেবে বিদ্রুপ করতো তারই সংগঠন। রাকেশের কুকীর্তির কারণে বিব্রত হয়ে এইচআরসিবিএম সিলেট কমিটি বাতিল করে কেন্দ্র। গত ১জুন গোলাপগঞ্জে নওমুসলিম আব্দুল আজিজের বিরুদ্ধে কথিত অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার বাদী কথিত এই ‘স্বর্গের অ্যাম্বাসেডর’ ।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যে জানা গেছে ঐ রাকেশ রায়ের বিরুদ্ধে জিডি করতে থানায় গেলে তাকে আটক করে পুলিশ। এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে কল করে সিলেট থেকে রাকেশ রায় নামক ঐ স্বর্গের অ্যাম্বাসেডরকে এনে বাদী সাজিয়ে গোলাপগঞ্জে আব্দুল আজিজের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হয়। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের এরকম রহস্যজনক আচরনে ক্ষোভে ফেটে পড়ে গোলাপগঞ্জ তথা সারা দেশের মানুষ। কে এই রাকেশঃ জকিগঞ্জ উপজেলার কেরাইয়া পল্লীশ্রী গ্রামের মৃত সুরেশ রায়ের ছেলে রাকেশ রায়। বর্তমানে সিলেট শহরের মিরাবাজার আগপাড়া এলাকায় বিলাসবহুল মৌসুমী -২৭ নং বাসায় বসবাস করছে সে। একটি ব্যাংকের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী (পূবালী ব্যাংকের পিয়ন) রাকেশের বিলাস বহুল জীবনের রহস্য জানে না কেউ। দুদকের অনুসন্ধানে তার এই বিলাসবহুল জীবনের তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে অনেকে মনে করেন। উগ্র হিন্দুত্ববাদে বিশ্বাসী এই রাকেশ ব্যাংকের কাজ ফেলে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক কর্মকান্ডে বেশী ব্যাস্ত থাকে। এমনকি হিন্দু দুই ভাই ঝগড়া করলে মাঝখান দিয়ে রাকেশ ঢুকে ঝগড়াটি সংখ্যালঘু নির্যাতনের কাহিনীতে রূপান্তর করে।

আব্দুল আজিজের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরে রাকেশের উগ্র হিন্দুত্ববাদী মনোভাব কাজ করেছে বলে অনেকে মনে করেন। প্রশ্ন উঠেছে দেশে এতো হিন্দু থাকতে রাকেশের বাদী হয়ে নওমুসলিম আজিজের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার পেছনে মূল উদ্দেশ্য কি? রাকেশের বাড়ী জকিগঞ্জ আর বসবাস সিলেটে, আর নওমুসলিম আব্দুল আজীজের বাড়ী মৌলভীবাজার, বসবাস গোলাপগঞ্জে। সিলেট থেকে পুলিশ রাকেশকে ডেকে এনে গোলাপগঞ্জ থানায় কেন মামলা নিলো? এসব প্রশ্নের উত্তর মেলেনি এখনো। (লিঙ্ক: https://goo.gl/Cpf7F7)

Post a Comment

 
Top