রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যের একটি বড় অংশই চুরির ফসল, এ নিয়ে কারো কোন সন্দেহ নেই। এতসব চুরির মধ্যে আমার কাছে সবচেয়ে চমকপ্রদ মনে হয় হযরত জালালউদ্দীন রুমী রহমতুল্লাহি আলাইহি’র বিখ্যাত ‘বায আঁ’ কবিতার ভাবকে নকল করে রবীন্দ্রনাথের লেখা ‘ভারত মহামানবের সাগরতীরে’ কবিতাটি। হযরত রুমী লিখেছিলেন- “বায্ আঁ, বায আঁ হর আঁচে হাস্তী বায আঁ। গর কাফির গর গবর ওয়া বোত পরস্তী বায আঁ। ইঁ দরগাহে মা দরগাহে না উমেদ নীস্ত। ছদবার গর তাওবাহ শিকস্তী বায আঁ।” প্রথমে তিনি আহবান করেছেন “বায আঁ” অর্থাৎ ফিরে আসো। তুমি ‘কাফির’ হও কিংবা ‘গবর’ তথা অগ্নিউপাসক হও, কিংবা ‘বোত পরস্তী’ তথা মূর্তিপূজারীও যদি হও, তুমি আল্লাহ পাকের দরবারে ফিরে এসো। এই দরবার আশার দরবার, এখানে কেউ আশ্রয়হীন নয়। যদি শতবার গুনাহ কর তারপরও তওবা করে ফিরে এসো।

অর্থাৎ রুমী রহমতুল্লাহি আলাইহি তার কবিতায় গোটা মানবজাতিকে আহবান করেছিলেন যে, তোমরা তওবা করে মুসলমান হয়ে যাও। এখন হিন্দুরাও চায় তাদের ধর্ম সবার উপর চাপিয়ে দিতে, কিন্তু হযরত রুমীর মতো কবিতা তো তারা লিখতে পারবে না। তাই উপরের কবিতার ভাবকে নকল করা ছাড়া রবীন্দ্রনাথদের সামনে আর কোন উপায় নেই।

সে লিখল- এসো হে আর্য, এসো অনার্য, হিন্দু-মুসলমান ।
এসো এসো আজ তুমি ইংরাজ, এসো এসো খৃষ্টান ।
মার অভিষেকে এসো এসো ত্বরা,
 মঙ্গলঘট হয় নি যে ভরা সবার-পরশে-পবিত্র-করা তীর্থনীরে—
আজি ভারতের মহামানবের সাগরতীরে ॥


অর্থাৎ মুসলমান খ্রিস্টান সব আসো, ‘মা’ তথা দেবীর পূজায় অংশগ্রহণ করো! পূজায় ব্যবহৃত ‘মঙ্গলঘট’ এখনো ভরা হয়নি, তার আগেই চলে আসো! সবাইকে হিন্দু হতে আহবান করতেও মুসলমান কবির কবিতা নকল করতে হলো রবীন্দ্রনাথকে। কিন্তু এখানে প্রশ্ন থাকতে পারে, ঐ কথিত দেবী কি কোন আশা প্রদর্শন করতে পারে? ইসলাম তো কাফির বা বিধর্মী তওবা করলেও তাকে বেহেশতের আশা প্রদান করে, যতো পাপিষ্ঠ হোক তওবার দরজা তো তার জন্য বন্ধ হয় না। ‘বায আঁ’ এর বিপরীতে ‘এসো হে’ বলে রবীন্দ্রনাথ কেবল আহবান করার ভাবটিকে নকল করতে পেরেছে হযরত রুমীর কবিতা থেকে। কিন্তু হযরত রুমীর কবিতার তওবার অংশটিকে, আশা প্রদর্শনের উদারতাকে রবীন্দ্রনাথ তার নকল করা কবিতায় ঢোকাতে পারেনি। কারণ তওবার বিশালতাকে ধারণ করাটা সংকীর্ণ হিন্দুধর্মের পক্ষে কখনোই সম্ভবপর নয়।

 আসলে রবীন্দ্রনাথ তো দূরে, হযরত রুমীর উপরোক্ত কবিতার ন্যায় কবিতা কোন বিধর্মী কবিই লিখতে পারবে না। যেহেতু দ্বীন ইসলাম এবং কুরআন শরীফের যে সার্বজনীন আহবান গোটা মানবজাতির উদ্দেশ্যে, সেটার ধারেকাছে অন্য কোন ধর্ম বা ধর্মগ্রন্থ যেতে পারবে না। কারণ দ্বীন ইসলামের পূর্বে অন্য কোন ধর্মই পুরো মানবজাতির জন্য আসেনি। রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে পূর্বের লেখা, যেভাবে শূদ্র রবীন্দ্র ব্রাহ্মণ হলো- https://goo.gl/3G8fZK

Post a Comment

 
Top