লেখায় বিদ্বেষ ফুটিয়ে তুলতে সবাই পারে না। পড়াশোনা ও বুদ্ধির দিক দিয়ে খুবই নিন্মশ্রেণীর নমশূদ্র হিন্দু যুবকেরা, আওয়ামী লীগের শেল্টারে অনলাইনে ইসলাম ও নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে যা খুশি তাই গালিগালাজ করে যাচ্ছে। তবে তাদের ক্ষেত্রে গালিগালাজই সার, বিদ্বেষ কি সেটা বোঝা যায় অনলাইনে তাদের মুরুব্বীদের কমেন্ট দেখলে।

ভারতে তমাল দাশগুপ্ত নামক এক উগ্র হিন্দু ভার্সিটি শিক্ষক অনলাইনে সক্রিয়। তার লেখায় সবসময় সে তার আকাঙ্খাকে তুলে ধরে ‘ইসলামমুক্ত’ পৃথিবী তৈরী করার। একটি কাল্পনিক লেখায় সে কবি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তর প্রেতাত্মার সাথে তার কথোপকথন তুলে ধরেছে এভাবে- //ইসলামের হাত থেকে রক্ষা কারও একার হাতে নেই। রাশিয়া, চীন, পশ্চিম ইউরোপ আর অ্যামেরিকা এক না হলে ইসলাম ধ্বংস হবে না। সেটা যতদিন না আরবের পেট্রোল শেষ হচ্ছে, ততদিন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আরও পঞ্চাশ বছর। ততদিনে বাংলাদেশ আর পশ্চিমবঙ্গে যা খারাপ হওয়ার হয়ে যাবে। ইসলামমুক্ত ভবিষ্যৎ একদিন গড়ে উঠবে বটে, তবে সেই প্রভাতে তদ্দিন পর্যন্ত বাঙালি বেঁচে থাকবে না। গুপ্তকবির ভূত একটা লম্বা শ্বাস নিলেন। তারপরে আচমকা প্রশ্ন করলেন, যদি ট্রাম্প জেতে? আমার আক্কেল গুড়ুম হয়ে গেল। মানে? আপনি ট্রাম্পের জেতার আশায় বসে আছেন? ঈশ্বর গুপ্ত একটা রহস্যময় হাসি হাসলেন।// সেই স্ট্যাটাসে ‘সুব্রত ভৌমিক’ নামক একজনের কমেন্ট ছিল এরকম- //এবার নিশ্চিন্তে ঘরে গিয়ে আইরিশ হুইস্কির বোতল খুলে বেদানার রস মিশিয়ে গলাধঃকরণ করেন । আমদের দেশের নোবেল লরিয়েট ইউনুসের বান্ধবী ই (মানে হিলারি ক্লিনটন) জিতবে এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যেমন বাঁশ দিয়েছিল তেমনই বাঁশ খাওয়ার অপেক্ষায় আছি আমরা// (https://goo.gl/xcSx4I, আর্কাইভ: http://archive.is/sUIqJ)

উপরের স্ট্যাটাস ও কমেন্ট ট্রাম্প জেতার আগেকার সময়ে লেখা, দেখেই বুঝতে পারছেন। সুব্রত ভৌমিকের আইডিতে ঢুকে আমি দেখলাম, সে বগুড়ার আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন স্কুলের শিক্ষক। দেখে আমি ভারাক্রান্ত হয়ে উঠলাম এই ভেবে যে, মনের মধ্যে তীব্র বিদ্বেষ পুষে রাখা এইসব শিক্ষকরূপী হিন্দু হায়েনাদের হাতেই এদেশের কচি মগজের শিক্ষার্থীদের তুলে দেয়া হচ্ছে। এমনি এমনি তো এদেশে এতো নাস্তিক গজায় না, মুসলমান অভিভাবকদের হিন্দুপ্রীতিই মূলত এর পেছনে দায়ী।

অনলাইনে আমার দেখা কিছু কিছু জিনিস ভোলার মত নয়, যার মধ্যে উপরের কমেন্টটি ছিল একটি। আজকে দেখলাম, ঐ ‘সুব্রত ভৌমিক’ এর সাথে তোলা ছবি ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছে আমাদের অসাম্প্রদায়িক মাথামোটা যুবসমাজের নয়নমণি ‘পিনাকী ভট্টাচার্য’, পরিচয় করিয়ে দিয়েছে তার মামা হিসেবে। (https://goo.gl/8daia6, আর্কাইভ: http://archive.is/zUCre)

পিনাকীরা মুসলমানদের সামনে ভালোমানুষ সাজতে পারে, কিন্তু মামা-ভাগ্নে যখন একত্রিত হয় তখন পিনাকীদের রূপ কি দাঁড়ায়? এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফে রয়েছে, “তোমরাই তাদেরকে ভালোবাসো, কিন্তু তারা তোমাদেরকে ভালোবাসে না। আর তোমরা কিতাবের প্রতিটি বিষয়ে ঈমান রাখ। তারা যখন তোমাদের সংস্পর্শে আসে, তখন তারা বলে, আমরা ঈমান এনেছি। আর যখন তারা একান্তে মিলিত হয় তখন তোমাদের প্রতি আক্রোশে নিজেদের আঙুলের মাথা কামড়াতে থাকে। ” (সূরা আলে ইমরান, আয়াত ১১৯)

Post a Comment

 
Top