“আমি স্বামীকে হারিয়ে সংসদ সদস্য হয়েছি। দিরাই-শাল্লার (সুনামগঞ্জ-২) জনগণ আমাকে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য বানালো। আমি নির্বাচিত হবার পর দিন থেকেই আমার এলাকার মানুষের ফসলহানি শুরু হয়েছে। তাদের দুঃখ দুর্দশার সীমা নেই।” এখানে যেই বিষয়টি লক্ষণীয়, তা হলো সুরঞ্জিতের স্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পরের দিন থেকেই সুনামগঞ্জবাসীর উপর প্রাকৃতিক দুর্যোগ নেমে আসা। উল্লেখ্য, এই সুরঞ্জিত সেনগুপ্তই একদা সংবিধান থেকে বিসমিল্লাহ তুলে দিতে চেয়েছিল, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তুলে দিতে চেয়েছিল। এই সুরঞ্জিতই একদা কথায় কথায় ইসলাম অবমাননা করত, যার ফলে গোটা দেশের মুসলমানরা তার উপর ক্ষিপ্ত ছিল। যার ফলে যখনই তার রেল দুর্নীতির খবর চাউর হয়, তখনই তার ছিটকে পড়তে এতটুকু সময় লাগেনি। গোটা দেশে তার নাম হয়ে যায় ‘কালো বিড়াল’।

কিন্তু সুনামগঞ্জের ‘মুসলমান’দের ক্ষেত্রে সেটি হয়নি। ওখানকার স্থানীয় রাজনীতি সম্পর্কে যারা অবগত, তারা জানে যে সারাদেশে সুরঞ্জিতের ইমেজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার পরও সুনামগঞ্জের স্থানীয় জনতা তাকে এখনও যথেষ্ট সম্মান করে। যার ফলে সুরঞ্জিতের মৃত্যুর পরপরই তার স্ত্রীকে তারা বিপুল ভোটে নির্বাচিত করে। উল্লেখ্য, এবার দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলটি হচ্ছে সুনামগঞ্জের দিরাই-শাল্লা উপজেলা, সেখানে প্রায় ২৭টি হাওরের ধান নষ্ট হয়েছে।

উল্লেখ্য, শুধু সুরঞ্জিতই নয়, বরং ‍বৃহত্তর সিলেটের স্থানীয় সমস্ত রাজনৈতিক অভিভাবকই এদেশের নাস্তিক চক্রের হোতা হিসেবে পরিচিত। যেমন অর্থমন্ত্রী মাল মুহিত, পাঠ্যপুস্তকে হিন্দুয়ানী শিক্ষা দেয়া শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এদেরকেই সিলেটিরা তাদের রাজনৈতিক অভিভাবক হিসেবে মানে। এদের কথাতেই সিলেট ওঠাবসা করে। সম্প্রতি ‘জামাই’ হিসেবে লিস্টে যোগ হয়েছে মুকুটহীন নাস্তিকসম্রাট ইমরান এইচ সরকার। হিন্দুরা সবসময়ই চায়, মুসলমানদের মধ্যে যারা সম্মানিত তাদেরকে হেনস্থা করতে। সম্মানিত লোকদের হেনস্থা করে হিন্দুরা নিজেদের ক্ষমতার প্রকাশ ঘটাতে চায় তথা রামরাজত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তারা না.গঞ্জের সেলিম ওসমান, ফরিদপুরের খন্দকার মোশাররফ কাউকেই হেনস্থা করতে ছাড়েনি। কিন্তু ঐসব ক্ষেত্রে তারা ব্যর্থ হয়েছে, কারণ এলাকাবাসী হিন্দুদের পক্ষে দাঁড়ায় নি। কিন্তু সিলেটিরা সবাই একজোট হয়ে হিন্দুদের পক্ষে দাঁড়িয়ে রাগীব আলীকে দোষারোপ করেছে এবং তারাপুর চা বাগান হিন্দুদের হাতে তুলে দিয়ে সিলেটে রামরাজত্ব প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেছে।

এই কথার বিরোধিতা করতে কমেন্টবক্সে সিলেটিদের অভাব হবে না। তারা বলবে, জমিটা হিন্দুদেরই, রাগীব আলীই চুরি করেছে। ঠিক আছে, ধরলাম রাগীব আলী চুরি করেছে। কিন্তু সিলেটি মন্ত্রীরা যে নাস্তিকতা করেছে, সুরঞ্জিত যে ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করেছে, সেটাকে নিয়ে তো তারা টু শব্দটাও করেনি। ইসলামের অবমাননা সিলেটিদের চোখে ‘দোষ’ হিসেবে ধরা পড়ল না, কিন্তু কোথাকার কোন ‘দেবোত্তর সম্পত্তি’ রাগীব আলী কেন কিনেছে, সেটা তাদের চোখে দোষ হয়ে গেল। দ্বিতীয় খলীফা কুরআন শরীফে ইরশাদ হয়েছে, জমিনে-পানিতে যা কিছু ফিতনা হয়, প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়, সব মানুষের হাতের কামাই। এখন যে ভারতীয় মুসলমানরা হিন্দুদের হাতে মার খাচ্ছে, তা তাদের সাতচল্লিশে হিন্দুপ্রীতি দেখানোর প্রতিদান। আর সুনামগঞ্জে যে ভারতীয় ঢলে ধানের পর মাছ, মাছের পর হাঁসের মড়ক হচ্ছে, এটিও সুনামগঞ্জ তথা বৃহত্তর সিলেটবাসীর হিন্দু ও নাস্তিক প্রীতির ফসল, এতে কোনই সন্দেহ নেই।

Post a Comment

 
Top