সম্প্রতি নারীবাদী সংগঠন ‘বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ’ একটি সভার আয়োজন করেছে হিন্দু মহিলাদের সম্পত্তির অধিকার নিয়ে। সেখানে গিয়ে উগ্র হিন্দু সংগঠনের কর্মীরা হামলার চেষ্টা চালায়। তারা সেটার ভিডিও ফেসবুকে প্রকাশ করেছে এবং তাতে দেখা যায়, তারা অত্যন্ত উগ্রভাবে ‘ক্ষয় ছিড়াম’ শ্লোগান দিচ্ছে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারতে যে যুবককে ১৮ ঘণ্টা ধরে পিটিয়ে হত্যা করেছে হিন্দুরা, সেখানেও তাদের স্লোগান ছিল ‘ক্ষয় ছিড়াম’। মহিলা পরিষদের অফিসের সামনে অনুরূপ স্লোগান দেওয়া এসব উগ্র হিন্দুরাও যে অদূর ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে বাংলাদেশে মুসলমান পিটিয়ে মারবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

ভিডিওতে যে ছেলেটি (হলুদ বাদামী স্ট্রাইপ টি শার্ট পরিহিত) উগ্র হিন্দুদের নেতৃত্ব দিচ্ছে, তার সাথে দহরম-মহরম রয়েছে বাংলাদেশের নারীবাদীদের অবিসংবাদিত নেত্রী, ওমেনচ্যাপ্টার এর মালকিন ‘সুপ্রীতি ধর’ এর। এই গেরুয়া সন্ত্রাসীটি সুপ্রীতি ধরের বাসায় গিয়েছে, চা-নাস্তা খেয়েছে এবং তার ছবি ফেসবুকে শেয়ারও করেছে। তারপরও সুপ্রীতি ধর তার শেয়ার করা ছবিতে ‍দুঃখপ্রকাশ করে কমেন্ট করেছে, তোমাকে ভালোমন্দ কিছু খাওয়াতে পারলাম না!

উল্লেখ্য, এদেশে মুসলমানরা হিন্দুদের সামান্য সমালোচনাও সহ্য করতে পারে না। এদের গৎবাঁধা বুলি, সব হিন্দু তো খারাপ নয়! এরা তাদের প্রতিবেশী কিংবা কলিগ হিন্দুদের বাহ্যিক রূপ দেখে এরকম অবাস্তব ধারণা পোষণ করে। আর যারা কথিত চুশীল সেকুলাঙ্গার, তাদের কথা তো বলাই বাহুল্য। সুপ্রীতি ধরদের দ্বারাই এরা বেষ্টিত থাকে আর তাদের মনোরঞ্জন করতে দিনরাত মুসলমানদের গালিগালাজ করতে থাকে, যে দেখ হিন্দুরা কতো নারীবাদী, কতো চুশীল! তোরা মুসলমানরা ব্যাকডেটেডই রয়ে গেলি!

কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে হিন্দুরা হলো জালিয়াত, দু মুখো সাপ। যেই হিন্দু নারীবাদী বলে নিজেকে দাবি করে, তার সাথে দহরম মহরম হলো সেইসব উগ্র হিন্দুদের, যারা নিজ সম্প্রদায়ের নারীদেরই সম্পত্তিতে অধিকার স্বীকার করে না! অনুরূপভাবে যারা হিন্দু কলিগ ও প্রতিবেশীদের ভালো মনে করছে, তারা জেনে রাখুক যে ঐসব হিন্দুরা সুযোগ পেলেই তার গলায় ছুরি চালাবে, তার কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণ করবে, যেমনটি তারা করেছে গুজরাট ও মুজাফফরনগরে।

Post a Comment

 
Top