নিচের ছবিটি হিন্দুদের কথিত ‘লাভ জিহাদ’ বিরোধী একটি নাটক, যেখানে হিন্দু অভিনেতারা টুপি-পাঞ্জাবী ও রুমাল পরেছে ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য। নাটকটির নাম তারা দিয়েছে ‘বিসর্জন’। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, পাঞ্জাবী-রুমাল পরিয়ে একজনকে বিয়ে পড়ানোর কাজী সাজানো হয়েছে, পেছনের ব্যানারেই লেখা রয়েছে শিব মন্দির, দয়াগঞ্জ, ঢাকা।


নাটকে অভিনয় করেছে তেজগাঁও কলেজের ‘হিন্দু ছাত্র মহাজোট’ এর সদস্যরা। তাদের একজন ফেসবুকে ঘোষণা দিয়েছে, যে কোনও ধর্মীয় (হিন্দুধর্মীয়) অনুষ্ঠানে এই লাভ জিহাদ বিরোধী নাটক ‘বিসর্জন’ করতে চাইলে অবশ্যই আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। তথ্য ও যোগাযোগঃ 01880-275332।


উল্লেখ্য, অমুসলিম দেশগুলোতে বানোয়াট ইস্যুতে কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবেই মসজিদ-মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয়া হয়। কয়েকদিন আগেই সংবাদে এসেছে যে, গরুর গোশত থাকতে পারে এই সন্দেহে ভারতের উত্তরপ্রদেশে একটি গোটা মাদ্রাসা পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। 


কিন্তু বাংলাদেশ এমনই অথর্ব অছাম্প্রদায়িক মুসলমানদের দেশ, যেখানে চট্টগ্রামের ৩০ হাজারের অধিক শিক্ষার্থীকে ‘হরে কৃষ্ণ, হরে রাম’ বলিয়ে প্রসাদ খাওয়ালেও প্রবর্তক ইসকন মন্দির বন্ধ হওয়া তো দূরে, একটি ইটও খসানো হয় না। খোদ রাজধানী ঢাকা শহরের, তাও আবার মন্দিরের ভেতরে তেজগাঁও কলেজের হিন্দু শিক্ষার্থীরা টুপি-পাঞ্জাবী পরে ইসলামবিরোধী নাটক মঞ্চস্থ করেঅ কারণ তারা জানে অথর্ব অছাম্প্রদায়িক বাঙালি মুসলমানরা গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন, তাদের মন্দিরের কিছু হওয়া তো দূরে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও তাদের বিরুদ্ধে এ কারণে কোনো ব্যবস্থা্ নিতে পারবে না।

বাংলাদেশের মুসলমানরা কি মনে করে, দেশটা এখনও তাদের রয়েছে? না দেশটা তাদের নেই, থাকলে তাদের দেশে তাদের বুকের ওপর চড়ে হিন্দুরা তাদের শিশুদের হরে কৃষ্ণ বলাতে পারত না। তাদের অছাম্প্রদায়িকতাই তাদেরকে তাদের দেশের মালিকানা হতে বিচ্যুত করেছে, তাদেরকে নিজভূমে পরাধীন করেছে।





Post a Comment

 
Top