আগুন হিন্দুদের অতীব পছন্দের বস্তু। আগুনকে
তারা দেবতা মানে, আগুনে পুড়ে মরাটাকে তারা
ভাগ্যের বিষয় মনে করে। গুজরাট দাঙ্গার সূত্রপাত
হয়েছিল ট্রেনে আগুন লাগিয়ে তার দোষ
মুসলমানদের উপর চাপিয়ে দেয়ার মাধ্যমে। ঠিক
সেভাবেই মিয়ানমারের হিন্দুরাও নিজ বাড়িতে আগুন
লাগিয়ে সাজানো নাটক তৈরী করার চেষ্টা করেছিল,
কিন্তু বিবিসির সাংবাদিকের চোখে তারা ধরা পড়ে যায়।
সুতরাং যারা এদেশের কথিত হিন্দু নির্যাতন আর মন্দির
ভাঙার কল্পকাহিনী নিয়ে হিন্দুদের প্রতি সহানুভূতি
দেখাতে যায়, তারা চিন্তা করুক তারা কতোটা বোকা।
এদেশে এ পর্যন্ত যতোগুলো মন্দির ভাঙার
কাহিনী শোনা গিয়েছে, সবগুলো হিন্দুদের
নিজস্ব সাজানো নাটক ছাড়া আর কিছুই নয়। হিন্দুদের
মিথ্যাচার ও মুসলিম বিদ্বেষের হাতিয়ার হলো তাদের
মন্দির ও মূর্তিসমূহ।
আফসোসের বিষয়, এতো ভয়াবহ বিষয়টি বিবিসি,
প্রথম আলো, ইত্তেফাকের মত সেক্যুলার
সংবাদমাধ্যমগুলো কোনরকম রাখঢাক ছাড়া প্রচার
করলেও মুসলমানদের মধ্যে এ নিয়ে বিন্দুমাত্র
প্রতিক্রিয়া দেখলাম না। প্রথম আলো কিংবা বিবিসির
ফেসবুকে হিন্দুদের বিরুদ্ধে একটি
কমেন্টও ‍খুঁজে পাওয়া গেল না।
বিবিসি: https://goo.gl/XcSXMP
ইত্তেফাক: https://goo.gl/3U7KYp
প্রথম আলো: https://goo.gl/bh5zga
প্রথম আলোর মতো পত্রিকাও তার ফেসবুক
পেজে লিঙ্কটি শেয়ার করতে গিয়ে লিখেছে
“'সাংবাদিকদের কাছে এই ছবি দুটি দিয়ে বলা হয়,
রোহিঙ্গারা নিজেরাই নিজেদের বাড়িতে আগুন
দিচ্ছে। কিন্তু এই নারী ও পুরুষকে (বাঁয়ের দুজন)
রোহিঙ্গাদের হাতে নির্যাতিত হয়ে স্কুলে আশ্রয়
নেওয়া হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন হিসেবেও
উপস্থাপন করা হয় সাংবাদিকদের সামনে...”
এতো স্পষ্ট বক্তব্য থাকার পরও উপরের
ফেসবুক লিঙ্কগুলোতে হিন্দুদের বিরুদ্ধে
কোন বক্তব্য পাওয়াটা দুষ্কর। পানির মাছও যেন
বাঙালি মুসলমানদের রক্তের শীতলতা দেখে
লজ্জা পাবে। অথচ এর ধারেকাছে যদি কিছু নামধারী
মুসলমানদের দ্বারা সংঘটিত হতো, প্রতি
সেকেন্ডে হিন্দুরা ইসলাম ও নবীজী সল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অবমাননা করে শত শত
কমেন্ট করত। কিন্তু ‍মুসলমানরা অথর্ব, মুসলমানরা
অছাম্প্রদায়িক। তাই এরা চুপ করে রয়েছে, বোবা
হয়ে রয়েছে। আর এই নিষ্ঠুর দুনিয়ায় অছাম্প্রদায়িক
বোবা জাতির মার খাওয়া ছাড়া আর কোন উপায়ই নেই।

Post a Comment

 
Top